শরৎকাল এখনো শেষ হয়নি। এ সময় শেষ রাতে হিম হিম ভাব থাকলেও উত্তরবঙ্গের চিত্র একটু ভিন্ন। ঠাকুরগাঁওয়ে রীতিমতো কুয়াশার দেখা মিলছে। স্থানীয়রা বলছেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। মধ্যরাত ও ভোরের দিকে ঠান্ডা লাগলেও বেলা বাড়লে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
নীল-সাদার মেলবন্ধনে শুদ্ধ সুন্দরের প্রত্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় উদ্যাপিত হলো শরৎ উৎসব। নাচ, গান, আবৃত্তি আর কথনে রাজধানীবাসীর মনে ছড়িয়ে পড়ল শরতের ছোঁয়া। প্রতিবারের মতো এবারও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজন করেছে ‘শরৎ উৎসব’...
বর্ষা শেষ। শুরু হয়েছে শরৎকাল। বর্ষার সতেজ প্রকৃতি এখন বেশ স্নিগ্ধ। খাল-বিল কিংবা নদীতে পানি আছে। তবে তা শান্ত। বিলের পানি এখন একেবারে নিস্তরঙ্গ। শাপলা-শালুকের মাথায় এখন খেলা করছে ফড়িং। বিল দেখতে যাওয়ার এখন উপযুক্ত সময়। মাঝেমধ্যে ঝিরঝিরে বৃষ্টি বা নরম রোদ মাথায় নিয়ে নৌকায় বসে শাপলা ছুঁয়ে দেখার আনন্দই
বান্দরবান জেলার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষে ছড়িয়ে আছে থানচি উপজেলা। এখানে আছে ছোট-বড় অসংখ্য ঝিরি-ঝরনা। পর্যটকদের জন্য আছে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা অনেক পর্যটনকেন্দ্র। একসঙ্গে এত বিখ্যাত পর্যটন গন্তব্য সম্ভবত পার্বত্য অঞ্চলে আর কোথাও পাওয়া যাবে না। এগুলোর মধ্যে আছে আমিয়াখুম, রাফাখুম, সাত ভাইখুম, বড়প
শরৎ শেষে আগমন ঘটেছে হেমন্তের। প্রকৃতি হালকা কুয়াশার চাদর বিছাতে শুরু করেছে। এদিকে হেমন্তের সকালে শিউলি কুড়ানোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে শিশুদের। রাতে ফোটা শিউলি ফুল ঝরে পড়ে সকালে, সেই ঝরা শিউলি কুড়িয়ে মনের আনন্দে মালা গেঁথে চলে তারা। বাড়ির সামনে মেঠো পথের ধারে রঙিন পাটি বিছিয়ে কেউ আবার ফুলগুলো নিয়ে খেলা
প্রায় এক শ ফুট ওপর থেকে নিচে আছড়ে পড়ছে ঝরনার জল। আধা কিলোমিটার দূর থেকেও পর্যটকেরা শুনতে পান ঝরনার পানির প্রবাহের শব্দ। স্বাভাবিকভাবেই বর্ষাকালে রূপের ডালি মেলে দেয় এ ঝরনা। তবা বর্ষা পেরিয়ে শরতেও অটুট থাকে তার সৌন্দর্য।
শরৎ এসে গেছে। স্বচ্ছ নীল আকাশ। তাতে উড়ে বেড়ায় সাদা সাদা মেঘ। আর নদীর জলে স্পষ্ট প্রতিবিম্ব দেখা যায়। দুই ধারে ফোটা সাদা কাশফুল হাওয়া-বাতাসে দোল খায়। নদীর বুকে পালতোলা নৌকা। গলা ছেড়ে গেয়ে ওঠেন মাঝি-মাল্লারা।
এমন বৃষ্টি দেখে কে বলবে শরৎ এসেছে! অথচ আজ শরতের পয়লা দিন। খানিক উজ্জ্বল, খানিক নিষ্প্রভ কিংবা হঠাৎ নীল, এই হলো শরৎ। আদি ও অকৃত্রিম শরৎ। সম্ভবত বসন্তের পর এই একটি ঋতুকে নিয়ে খানিক আদিখ্যেতা করে মানুষ। করে, কারণ এর চরিত্রই এমন।
প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের কাছে কাশফুল মানেই ভালো লাগার অনুভূতি। শরৎ এলেই তাঁরা ছুটে যান কাশবনে। কাটান অবসর সময়। কাশফুল সাধারণত চরাঞ্চল বা খালবিলের ধারে জন্মে। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অনেকে কাশফুল পরিচর্যা করে কাশিয়া বিক্রি করছেন। এতে তাঁদের সংসারে সচ্ছলতা এসেছে।
নানা উৎসবকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শুরু হয়েছে প্রকৃতির রং বদলের হাওয়া। প্রকৃতির এ দোলাচলে মানুষ আর প্রকৃতির মাঝে নতুনের আহ্বান কানে বাজে। জীবজগৎ ও প্রাণীকুলের মাঝে রঙের হাওয়া লাগে। পৃথিবীর অন্য সব দেশের মতো এখানেও শরতের শিশির ভেজা, শিহরণ জাগা উৎসবের মাস শরৎ আসে বারবার।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘ছায়ানটের পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের মধ্যে দিয়ে আমাদের দেশে ষড়্ঋতু উদ্যাপন শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় শরৎ উৎসব স্বচ্ছতার আনন্দ নিয়ে আমাদের মধ্যে আসে। এ সময় কাশফুল দেখা যায়। স্বচ্ছ নীলাকাশে সাদা মেঘ—এগুলো খুবই উপভোগ্য।
একে চন্দ্র, দুইয়ে পক্ষ, তিনে নেত্র থেকে শুরু করে ছয়ে ঋতুর ধারাপাত গণনার যুগ শেষ হয়েছে আমাদের ছেলেবেলার একটু আগে আগে, সেটা সত্তরের দশক। আমাদের ছেলেবেলা গড়ে ওঠে আশির দশকে। তখন প্রথম শ্রেণির ক্লাস শেষে সুর করে ধারাপাত পড়া হতো এক এক্কে এক, দুই এক্কে দুই…। চন্দ্র, পক্ষ, নেত্র মিলিয়ে ধারাপাত পড়ার সময় আমরা
ঋতুর রানি শরৎ বিদায় নিয়েছে বেশ কিছুদিন হয়েছে। ধানের ওপর মাথা রেখে প্রকৃতিতে হাজির হয়েছে হেমন্ত। রাত ও ভোরের দিকে হালকা শীত অনুভব হলেও, দুপুরে রোদের তাপ কিন্তু আছেই।
শরৎ বিদায় নিয়েছে। প্রকৃতিতে এসেছে হেমন্তকাল। আর হেমন্ত মানেই নতুন ধানের ম-ম গন্ধ। এই ঋতু শীতের আগাম পূর্বাভাস জানিয়ে দেয়। হেমন্তকালের রাত ও ভোরের দিকে অনেকটাই শীত পড়ে। শীতের আগমনী ও নতুন ধান উপজীব্য করে একটি ফুড আর্ট করে ফেলতে পারো। খুব সহজে বানাতে পারো ঘুমন্ত ভালুক। এর জন্য লাগবে ভাত, কলা, চিজ, কাল
শরৎ শেষ। শঙ্খ সাদা শিউলি, নীল আকাশ, ঝিম মেরে থাকা পরিপক্ব সোনালি ধানের খেত, শিষে ঝুলে থাকা শিশির বিন্দু, জল টেনে যাওয়া বিল, শাপলার গোড়ায় ঘাঁই মারা পুরুষ্ট শোল আর দিগন্তে ঝুলে থাকা তেজি রোদের ধূসর বিকেল। বাঁশবনের ফাঁকে ফাঁকে বইবে হেমন্তের হাওয়া— কেমন একটা শিরশিরে অনুভূতি নিয়ে। শিউলির সুগন্ধ পাওয়া য
ঝকঝকে রৌদ্রোজ্জ্বল দিন। সূর্যের সোনালি আভা ঠিকরে পড়ছে সকালের আকাশে। কী স্বচ্ছ নীল! আকাশটাই যদি গায়ে জড়িয়ে নেওয়া যেত, শাড়ির মতো। থাকে থাকে নীলের বুকে সাদা মেঘের পাহাড়। বাতাসে ভেসে বেড়ায় কাশফুলের রেণু। এমন দিনে কি ঘরে থাকা যায়? প্রকৃতির রং গায়ে তুলে নদীর ধার দিয়ে হেঁটে এলে মন্দ হয় না! এমন এক ভাবনা এখন
যদিও আকাশে মেঘ, তারপরও আজ শরতের প্রথম দিন। কাশ এখনো ফোটেনি বটে। কিন্তু শিউলি ফুটতে শুরু করেছে। প্রকৃতিতে লেগেছে বদলের ছোঁয়া।