সাংহাই মাস্টার্সের ফাইনালে উঠেছেন দুই প্রজন্মের দুই তারকা, ‘বড় তিন’-এর শেষ প্রতিনিধি সার্বিয়ার নোভাক জোকোভিচ ও বিশ্ব টেনিসের নতুনের কেতন ওড়ানো ইতালির ইয়ানিক সিনার।
ইঙ্গিতটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন—২০২৪-ই সম্ভবত তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ বছর। এবার শেষের চূড়ান্তও করে ফেলেছেন রাফায়েল নাদাল। ডেভিস কাপের ফাইনাল খেলেই বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
কথায় আছে, ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না’। ‘পাপ’ যদি ইয়ানিক সিনার করেই থাকেন শাস্তি পেতে হবে তাঁকেও। ডোপ কেলেঙ্কারি থেকে বেঁচে গত ইউএস ওপেন জিতলেও ইতালির এই টেনিস তারকার ডোপ কেলেঙ্কারি নতুন করে সামনে এনেছে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা)।
এবারই প্রথম খেলতে নেমেছিলেন লেভার কাপ। আর তাতেই বাজিমাত কার্লোস আলকারাসের। লেভার কাপ একক পারফরম্যান্সের টুর্নামেন্ট না হলেও ইউরোপকে শিরোপা জেতাতে কোর্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২১ বছর বয়সী এই স্প্যানিয়ার্ডই। একক ও দ্বৈত মিলিয়ে মোট ৯টি ম্যাচ খেলেছেন—জিতেছেন আটটিতেই। বাকি বিশ্ব দলের টেলর ফ্রিটজকে ৬-২, ৭-৫ গেম
গত বছর উইম্বলডনে নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে দেওয়ার পর টেনিস পণ্ডিতেরা বিশ্ব টেনিসে ‘আলকা-রাজ’-এর শুরুর কথা বলেছিলেন। এবারের ইউএস ওপেনে যদিও দ্বিতীয় রাউন্ডে বিদায় নিয়েছেন, তবু কার্লোস আলকারাস বোদ্ধাদের পূর্বানুমানের যথার্থতা প্রমাণ করেছেন বছরের ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডন জিতে।
টেলর ফ্রিটজ, ইয়ানিক সিনার—দুজনের কাছেই আর্থার অ্যাশের মঞ্চটা ছিল ইতিহাস গড়ার। শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়লেন সিনার। ঐতিহাসিক এই শিরোপা ইতালিয়ান টেনিস তারকা উৎসর্গ করলেন তাঁর অসুস্থ খালাকে।
কত দিন কোনো আমেরিকান পুরুষ প্রতিযোগী ইউএস ওপেনের ফাইনালে খেলেন না! ছেলেদের বিভাগে আমেরিকান হিসেবে সবশেষ ফাইনাল খেলেছিলেন অ্যান্ডি রডিক, ২০০৯ সালে। মাঝখানে পেরিয়ে গেছে ১৫টি বছর। দীর্ঘ এই সময় পর মার্কিনদের আশা নিয়ে এবার ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠলেন টেলর ফ্রিটজ।
আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে নারী ইউএস ওপেনের ফাইনালটা কেবল শেষ হয়েছে। টুর্নামেন্ট শেষ হতে না হতেই কাঁদলেন আরিনা সাবালেঙ্কা। প্রথমবারের মতো ইউএস ওপেন জয় বলেই হয়তো বেলারুশের এই টেনিস তারকা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন।
কত দিন কোনো আমেরিকান পুরুষ প্রতিযোগী ইউএস ওপেনের ফাইনালে খেলেন না! ছেলেদের বিভাগে আমেরিকান হিসেবে সবশেষ ফাইনাল খেলেছিলেন অ্যান্ডি রডিক, ২০০৯ সালে। মাঝখানে পেরিয়ে গেছেন ১৫টি বছর। দীর্ঘ এই সময় পর মার্কিনদের আশা নিয়ে এবার ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠলেন টেলর ফ্রিটজ।
নিউইয়র্কের মেয়ে জেসিকা পেগুলা। স্বভাবতই ক্যারোলিন মুচোভার বিপক্ষে ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে দর্শক সমর্থন ছিল তাঁর দিকে। কিন্তু দর্শকদের হতাশ করে মাত্র ২৮ মিনিটেই প্রথম সেট জিতলেন মুচোভা। আধিপত্য ধরে রেখেই দ্বিতীয় সেটে একক পর্যায়ে চেক প্রজাতন্দ্রের মুচোভা এগিয়ে গেলেন ৩-০ গেমে। গ্যালারিতে তখন পিনপতন নীর
নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন ইয়ানিক সিনার। শীর্ষ ১০ বাছাইয়ের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে এখনও টিকে আছেন ইউএস ওপেনে। পরশু টুর্নামেন্টের সাবেক চ্যাম্পিয়ন দানিল মেদভেদেভকে ৬-২, ১-৬, ৬-১, ৬-৪ গেমে হারিয়ে ইতালিয়ান সিনার উঠেছেন সেমিফাইনালে। এর মাধ্যমে চারটি গ্র্যান্ড স্লামেরই সেমিফাইনালের ওঠার চক্র পূরণ করলে
ইউএস ওপেনে অব্যাহত রয়েছে তারকা পতন। কার্লোস আলকারাস ও নোভাক জোকোভিচের পর এবার হার্ড কোর্টের এই গ্র্যান্ড স্লাম থেকে বিদায় নিলেন মেয়েদের বিভাগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কোকো গফ। চতুর্থ রাউন্ডে তৃতীয় বাছাই আমেরিকান এই তারকাকে বিদায় করেছেন গফেরই স্বদেশি এমা নাভারো। পুরুষ বিভাগ থেকেও বিদায় নিয়েছেন আন্দ্রেই
রেকর্ড গড়ার কাছাকাছি গিয়ে ফিরে আসার গল্প নোভাক জোকোভিচের জন্য নতুন কিছু নয়। উইম্বলডনে স্বপ্নভঙের পর এবার ইউএস ওপেনও শেষ জোকোভিচ। ইউএস ওপেন থেকে তাড়াতাড়ি বিদায় ঘণ্টা বেজে যাওয়ার দায় স্বীকার করেছেন জোকোভিচ।
দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে যাবেন কার্লোস আলকারাস—এটা বোধ হয় কেউ ভাবতেই পারেননি। প্রতিপক্ষ ছিলেন অবাছাই নেদারল্যান্ডসের বোটিং ফন ডি জান্ডশুপ। র্যাঙ্কিংয়ের ৭৪ তম ডাচ এই প্রতিযোগীর কাছে ৬-১,৭-৫, ৬-৪ গেমে র্যাঙ্কিংয়ের তিনে থাকা আলকারাসের হারের পর টেনিস চ্যানেলের টুইট—এটাই কি টেনিস ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটন?
প্যারিস অলিম্পিকে সোনা জয়ের পর নোভাক জোকোভিচ প্রথম কোর্টে নেমেছিলেন গত পরশু ইউএস ওপেনে। জয়ে দিয়েই সার্বিয়ান তারকা শুরু করেছেন বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম। মলদোভার রাদু অ্যালবটকে হারিয়ে দিয়েছেন ৬-২,৬-২, ৬-৪ গেমে। তবে হার্ড কোর্টের এই ম্যাচে দেখা যায়নি চিরচেনা উচ্ছ্বসিত জোকোভিচকে।
টেনিস কোর্টে একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন নোভাক জোকোভিচ। ছেলে ও মেয়েদের টুর্নামেন্ট মিলে সর্বোচ্চ ২৫ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের লক্ষ্যে এবারের ইউএস ওপেন শুরু করেছেন দুর্দান্তভাবে। তবু তিনি মনে করছেন, অচেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়টা অত সহজ ছিল না।
অবশেষে এ বছর দ্বিতীয় শিরোপার দেখা পেলেন আরিনা সাবালেঙ্কা। গত রাতে সেন্টার কোর্টে জেসিকা পেগুলাকে হারিয়ে সিনসিনাটি ওপেন জিতেছেন তিনি। গত জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর এটি তাঁর প্রথম টাইটেল।