সানজিদা সামরিন, ঢাকা
এসো গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্র মেঘের রথে,
এসো নির্মল নীলপথে,
এসো ধৌত শ্যামল আলো-ঝলমল-বনগিরিপর্বতে—
এসো মুকুটে পরিয়া শ্বেতশতদল শীতল-শিশির-ঢালা। […]
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঝকঝকে রৌদ্রোজ্জ্বল দিন। সূর্যের সোনালি আভা ঠিকরে পড়ছে সকালের আকাশে। কী স্বচ্ছ নীল! আকাশটাই যদি গায়ে জড়িয়ে নেওয়া যেত, শাড়ির মতো। থাকে থাকে নীলের বুকে সাদা মেঘের পাহাড়। বাতাসে ভেসে বেড়ায় কাশফুলের রেণু। এমন দিনে কি ঘরে থাকা যায়? প্রকৃতির রং গায়ে তুলে নদীর ধার দিয়ে হেঁটে এলে মন্দ হয় না! এমন এক ভাবনা এখন বলতে গেলে প্রায় সবার মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। কেউ রয়েছেন আশ্বিনের কাশফুলের অপেক্ষায়। প্রিয়জনকে নিয়ে বাতাসে শাড়ির আঁচল ভাসিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য।
জাঁকজমকের সঙ্গে উৎসবে মেতে না উঠলেও একটা স্নিগ্ধতার মধ্য দিয়ে শরৎ যাপন করি আমরা। আর আনন্দ ভ্রমণে জুতসই পোশাক একটা বড় ব্যাপার সেলফির এ যুগে। প্রতিটি ঋতুর রয়েছে নিজস্ব আবহাওয়া। ফলে পোশাকের ক্ষেত্রে ঋতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্ষা চলে গেলেও বৃষ্টি পড়ছে মাঝে মাঝেই। আকাশ নীলের বদলে গাঢ় ছাই। তারপরেও ঋতুটাতো শরৎ। তাই বর্ষা আর শরতের পোশাক এক করলে চলবে কেন? চাই আলাদা আবহ, আলাদা রং আর সময়োপযোগী কাপড়।
দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড আড়ংয়ের সিনিয়র ফ্যাশন ডিজাইনার নাজনীন আহমেদ আনতু বলেন, এখন মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ঋতু উদ্যাপন করার প্রবণতা তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। আবার শহরের মানুষ একটু ফুরসত পেলেই ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে। ঋতুভিত্তিক ঘুরে বেড়ানোর চলের সঙ্গে পোশাক, এর রং, মোটিফ এসব বিষয়ে এখন সবাই সচেতন।
শরৎ বলতেই কাশফুল, শিউলি ফুল, আকাশে সাদা মেঘ- এগুলোই চোখে ভাসে। পোশাকের নকশার ক্ষেত্রেও চিন্তাটা এভাবেই করেন নকশাকারেরা। বর্ষার রং যেমন সবুজ, তেমনি শরতের রং নীল-সাদা। সেই সাদাকে ধরেই পোশাকে শরতের আমেজ আনার চেষ্টা করা হয় বলে জানান নাজনীন আহমেদ। কাপড় নকশার সময় শিউলি ফুলের চাপা সাদা, কচি ঘাসের হালকা সবুজ, শিউলির বোঁটায় যে কমলা রং থাকে—সেসব রং নিয়েই চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এসব নকশা স্ক্রিনপ্রিন্ট ও হ্যান্ড পেইন্টে অনেক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এখন।
শরতে পোশাকের রং নিয়ে পটের বিবির কর্ণধার ফোয়ারা ফেরদৌস বলেন, শরতে প্রকৃতিতে সাদার আধিক্য থাকে। ফলে পোশাকের নকশা বা কাপড়ে সাদার প্রাধান্য তাকে স্বাভাবিকভাবে।
এখন চাই কাপড়ে আরাম
শরতে কোন ধরনের কাপড় আরামদায়ক, সে প্রসঙ্গে নাজনীন আহমেদ আনতু বলেন, এ সময়টাতে একটু গরম থাকে। ফলে আবহাওয়ার কথা ভেবে কাপড়গুলো যাতে মানুষকে আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্য দেয়, সেভাবেই আমরা কাজ করি। আর এ কথা ভেবেই সুতি কাপড়কে আমরা বেশি প্রাধান্য দিই। সুতি হচ্ছে এমন একটা কাপড়, যেটাকে সাধারণভাবেও পরা যায় আবার উপকরণ যোগ করে পার্টি ওয়্যারও করা যেতে পারে।
অন্যদিকে ফোয়ারা ফেরদৌস বলেন, এখন মানুষ সবসময় বা বিশেষ দিনে পরার জন্য সুতির শাড়িই পছন্দ করছে। এবার আমাদের কোটার ওপর শাড়ি এসেছে যা অন্যান্য তাঁতের শাড়ির চেয়ে একটু বেশি নরম।
শরৎ এক অন্যরকম ঋতু। এই গরম তো এই বৃষ্টি। সঙ্গে সাদা তুলোর মতো মেঘ। ফলে এক অন্যরকম আবেশ থাকে প্রকৃতিতে। পোশাকেও সে আবেশ থাক।
এসো গো শারদলক্ষ্মী, তোমার শুভ্র মেঘের রথে,
এসো নির্মল নীলপথে,
এসো ধৌত শ্যামল আলো-ঝলমল-বনগিরিপর্বতে—
এসো মুকুটে পরিয়া শ্বেতশতদল শীতল-শিশির-ঢালা। […]
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঝকঝকে রৌদ্রোজ্জ্বল দিন। সূর্যের সোনালি আভা ঠিকরে পড়ছে সকালের আকাশে। কী স্বচ্ছ নীল! আকাশটাই যদি গায়ে জড়িয়ে নেওয়া যেত, শাড়ির মতো। থাকে থাকে নীলের বুকে সাদা মেঘের পাহাড়। বাতাসে ভেসে বেড়ায় কাশফুলের রেণু। এমন দিনে কি ঘরে থাকা যায়? প্রকৃতির রং গায়ে তুলে নদীর ধার দিয়ে হেঁটে এলে মন্দ হয় না! এমন এক ভাবনা এখন বলতে গেলে প্রায় সবার মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। কেউ রয়েছেন আশ্বিনের কাশফুলের অপেক্ষায়। প্রিয়জনকে নিয়ে বাতাসে শাড়ির আঁচল ভাসিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য।
জাঁকজমকের সঙ্গে উৎসবে মেতে না উঠলেও একটা স্নিগ্ধতার মধ্য দিয়ে শরৎ যাপন করি আমরা। আর আনন্দ ভ্রমণে জুতসই পোশাক একটা বড় ব্যাপার সেলফির এ যুগে। প্রতিটি ঋতুর রয়েছে নিজস্ব আবহাওয়া। ফলে পোশাকের ক্ষেত্রে ঋতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্ষা চলে গেলেও বৃষ্টি পড়ছে মাঝে মাঝেই। আকাশ নীলের বদলে গাঢ় ছাই। তারপরেও ঋতুটাতো শরৎ। তাই বর্ষা আর শরতের পোশাক এক করলে চলবে কেন? চাই আলাদা আবহ, আলাদা রং আর সময়োপযোগী কাপড়।
দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড আড়ংয়ের সিনিয়র ফ্যাশন ডিজাইনার নাজনীন আহমেদ আনতু বলেন, এখন মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ঋতু উদ্যাপন করার প্রবণতা তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। আবার শহরের মানুষ একটু ফুরসত পেলেই ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে। ঋতুভিত্তিক ঘুরে বেড়ানোর চলের সঙ্গে পোশাক, এর রং, মোটিফ এসব বিষয়ে এখন সবাই সচেতন।
শরৎ বলতেই কাশফুল, শিউলি ফুল, আকাশে সাদা মেঘ- এগুলোই চোখে ভাসে। পোশাকের নকশার ক্ষেত্রেও চিন্তাটা এভাবেই করেন নকশাকারেরা। বর্ষার রং যেমন সবুজ, তেমনি শরতের রং নীল-সাদা। সেই সাদাকে ধরেই পোশাকে শরতের আমেজ আনার চেষ্টা করা হয় বলে জানান নাজনীন আহমেদ। কাপড় নকশার সময় শিউলি ফুলের চাপা সাদা, কচি ঘাসের হালকা সবুজ, শিউলির বোঁটায় যে কমলা রং থাকে—সেসব রং নিয়েই চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এসব নকশা স্ক্রিনপ্রিন্ট ও হ্যান্ড পেইন্টে অনেক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এখন।
শরতে পোশাকের রং নিয়ে পটের বিবির কর্ণধার ফোয়ারা ফেরদৌস বলেন, শরতে প্রকৃতিতে সাদার আধিক্য থাকে। ফলে পোশাকের নকশা বা কাপড়ে সাদার প্রাধান্য তাকে স্বাভাবিকভাবে।
এখন চাই কাপড়ে আরাম
শরতে কোন ধরনের কাপড় আরামদায়ক, সে প্রসঙ্গে নাজনীন আহমেদ আনতু বলেন, এ সময়টাতে একটু গরম থাকে। ফলে আবহাওয়ার কথা ভেবে কাপড়গুলো যাতে মানুষকে আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্য দেয়, সেভাবেই আমরা কাজ করি। আর এ কথা ভেবেই সুতি কাপড়কে আমরা বেশি প্রাধান্য দিই। সুতি হচ্ছে এমন একটা কাপড়, যেটাকে সাধারণভাবেও পরা যায় আবার উপকরণ যোগ করে পার্টি ওয়্যারও করা যেতে পারে।
অন্যদিকে ফোয়ারা ফেরদৌস বলেন, এখন মানুষ সবসময় বা বিশেষ দিনে পরার জন্য সুতির শাড়িই পছন্দ করছে। এবার আমাদের কোটার ওপর শাড়ি এসেছে যা অন্যান্য তাঁতের শাড়ির চেয়ে একটু বেশি নরম।
শরৎ এক অন্যরকম ঋতু। এই গরম তো এই বৃষ্টি। সঙ্গে সাদা তুলোর মতো মেঘ। ফলে এক অন্যরকম আবেশ থাকে প্রকৃতিতে। পোশাকেও সে আবেশ থাক।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে