বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে নীতিনির্ধারণী একটি বিষয় অগ্রাধিকার বিবেচনার জন্য অপেক্ষমাণ আছে, আর তা হলো, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন করা, নাকি যথাশিগগির নির্বাচন আয়োজন করা? অনেক ধরনের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য জাতীয় সংসদের বিকল্প কিছু আছে বলে মনে হয় না। যদি তা-ই হয়, তাহলে নির্বাচন পরিচালনাকেই অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। নির্বাচিত সংসদ প্রয়োজনীয় সব পরিবর্তন সংসদীয় রীতিনীতির নিয়ম মেনে সেগুলোকে কার্যকর করতে পারবেন।
ড. মো. গোলাম রহমান
দেশের সাম্প্রতিক বিষয়াবলি নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা আলোচনা চলছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতির সবকিছু নিয়ে সন্তোষ-অসন্তোষের দানাবাঁধা স্ফটিক কিছুতেই যেন আর গলছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে, কেউ কেউ এক রকমের হিসাব দাঁড়া করাচ্ছেন, দেশ কোন গন্তব্যে ধাবিত হয়েছে আর কতটুকু এগোল? আমরা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। আর সেই স্বপ্ন নিজের পক্ষে গেলে বা সুবিধামূলক হলে স্বস্তি বোধ করি। নইলে দুশ্চিন্তা ঘাড়ের ওপর ভর করে সিন্দাবাদের ভূতের মতো।
পত্রিকার পাতায় যেসব সংবাদ বড় শিরোনাম পায় তার অধিকাংশই হচ্ছে দুঃসংবাদ। দেশ-বিদেশের নেতিবাচক সংবাদই গণমাধ্যমের প্রধান উপজীব্য বললে বাড়িয়ে বলা হবে না। গুটিকয়েক সুসংবাদ ব্যতীত বাকি সব খবরই হচ্ছে মানুষের জীবন-জীবিকার সংগ্রামের সংবাদ। রাজা-প্রজাদের শাসন আর টিকে থাকার সংবাদ। সমাজ রাজনীতিবিহীন কোনো অলৌকিক মানুষের সমাবেশ নয়। যৌক্তিকভাবে মানুষ সুখ সম্পদে বেঁচে থাকবে, এটাই কাম্য। দেশ-কাল-পাত্রভেদে মানুষ সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে যুগ যুগ ধরে। ৫৩ বছর বয়সে দেশ নতুন আন্দোলনে নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে, আজ তাই মানুষের প্রত্যাশা ব্যাপক। এই প্রত্যাশায় আমরা দ্বিগুণ প্রত্যয়ে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারতাম। কিন্তু সাধারণভাবে মানুষ কি সেই প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে? সেই প্রত্যয়ে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পেরেছে?
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সম্প্রতি বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। এ ট্রেন যেতে যেতে সরকারকে অনেকগুলো কাজ সারতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা সুযোগ দিলে প্রয়োজনীয় কিছু অত্যাবশ্যকীয় কাজ করেই আপনাদের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের আয়োজন করব। তত দিন পর্যন্ত আপনাদের ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কবে হবে, এ প্রশ্ন আপনাদের সবার মনেই আছে। আমাদের মনেও সারাক্ষণ আছে। আপনারা লক্ষ করেছেন, নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছি।’
নির্বাচন ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করার ব্যাপারে ঐকমত্য গঠনের জন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।
দেশের মানুষ নানা অভাব-অভিযোগের মধ্যেও সব ভুলে গিয়ে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ জানার ব্যাপারে উৎসুক হয়ে আছে বলে আমার ধারণা। রাজনৈতিক সচেতনতা কম-বেশি যা-ই থাকুক না কেন, দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের বিষয়ে সবাই একমত। যদিও সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁদের কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সড়ক অবরোধ করে ইটপাটকেল ছুড়ে যাত্রীদের আহত করেছেন। এ রকম নানা ধরনের আন্দোলন কখনো পোশাকশ্রমিকদের বকেয়া বেতন দাবি আদায়ের কিংবা টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের জমায়েতকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দখলদারত্বের সংগ্রাম নির্বাচনের ট্রেনের গতি কমিয়ে দিতে পারে।
সমাজের গতিশীলতা এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যেকোনো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজেরই অংশবিশেষ বললে ভুল হবে না। এই কাজগুলোর অজুহাতে নির্বাচন কার্যক্রমকে থামিয়ে রাখা কিংবা তাঁর গতি শ্লথ করা সমীচীন নয়। শত শত শহীদের রক্তের ত্যাগে দেশের মানুষের প্রত্যাশা আজ যেভাবে জেগে উঠেছে, তার প্রকৃত মূল্যায়ন করা অনস্বীকার্য।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন হয়ে গেল। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উপস্থিত হলেন ১২ বছর পর। বিএনপির ২৬ জন নেতা আমন্ত্রিত হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ড. ইউনূসসহ তিন বাহিনীর প্রধানদের ধন্যবাদ জানান। তিনি খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে উপস্থিত হওয়া থেকে দূরে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন। গত বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত বাতাসের যে স্বপ্ন নিয়ে রাষ্ট্রকে স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাঁদের সেই স্বপ্নপূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা এখন থেকে বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, যেখানে সত্যিকার অর্থে জনগণই হবে সকল ক্ষমতার মালিক।’ যে স্বপ্ন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেখিয়েছেন তা উল্লেখ করে ড. ইউনূস তাঁদের প্রতি সম্মান জানান।
দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে নতুন এক অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারও ওপরে না, আবার কেউ কারও নিচেও না; এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’ সকল মানুষের সামাজিক অধিকার এবং মূল্যবোধের মহৎ শিক্ষার কথা স্মরণ করে ড. ইউনূস প্রত্যয় ব্যক্ত করে সঠিক মানসিকতার পরিচয় দিলেন। এখন দেশের মানুষ দেখতে চায় তাঁর এই অভিব্যক্তির প্রকাশ কতটা কাজে রূপায়িত হয় এবং তা কত দ্রুত কার্যকর হয়। নাগরিকেরা রাজনীতিবিদদের কথা ও কাজের মিল দেখতে চান। ড. ইউনূস পুরো রাজনীতিবিদ নন। তিনি একসময় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েও শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর করতে পারেননি। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে তাঁর চিন্তা-চেতনা এবং কাজকর্ম মিলবে না। মানুষের প্রত্যাশার পারদ যে দিনে দিনে উত্তপ্ত হয়ে তা হতাশায় নিমজ্জিত না হয়, সেদিকে এই অন্তর্বর্তী সরকারের দায় অনেক। আশা করব, তিনি জনগণের মনের কথা পড়তে পারেন, মানুষের আশা-প্রত্যাশার মূল্যায়ন তিনি সঠিকভাবে করবেন।
উপদেষ্টামণ্ডলীর মধ্যে কারও কারও অতি-উৎসাহের কারণে কোনো কোনো কর্মসূচি কিংবা ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় অতিরিক্ত আশাবাদ ব্যক্ত করার একধরনের প্রবণতা দেখা যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকাল কত মাস বা কত বছর হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন রকম কথাবার্তা হচ্ছে, তাতে করে জনগণের পরিষ্কার কোনো ধারণা তৈরি না হয়ে বেড়ে যাচ্ছে সংশয়।
এখন দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থায় কবে নাগাদ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, তা নিশ্চিত নয়। প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনী ট্রেন আসলে কবে নাগাদ তার প্রকৃত গন্তব্যে যাত্রা করবে, তা-ও জানা নেই কারও। আসলে গন্তব্যই নির্ধারণ করা গেছে কি না, তা নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করার প্রস্তুতির জন্যও যথেষ্ট সময় প্রয়োজন হবে। নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট কৌতূহল আছে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারেননি। ভোট নিয়ে মানুষ আশাহত এবং নিরুৎসাহিত ছিল দীর্ঘকাল। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের মানুষের মধ্যে ভোট উৎসবে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে বলে মনে হয়। এদিকে স্থানীয় সরকারের কমিশনার ও চেয়ারম্যানদের মধ্যে অনেকে আত্মগোপন করে নিজেদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাতে করে স্থানীয় সরকারের সেবাদান বিঘ্নিত হচ্ছে। জনগণ তাদের নাগরিক অধিকার এবং প্রয়োজনীয় স্থানীয় সেবা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার অনলাইনে একটি জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। (আজকের পত্রিকা, ২৪ নভেম্বর ২০২৪)। জরিপের তথ্যমতে, ‘জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যা যা সংস্কার করা প্রয়োজন মনে করবে, তার সবগুলো করার পরই নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। তবে অপর একটি প্রশ্নে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ এক বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলে মতামত দিয়েছেন। আর ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন, শুধু নির্বাচনসংক্রান্ত জরুরি সংস্কারগুলো শেষ করে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।’ তার মানে দাঁড়াচ্ছে যে ৯৩ শতাংশ মানুষ এক বছরের মধ্যে কিংবা জরুরি সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে মতামত প্রকাশ করেছেন।
অনেকে মনে করছেন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন আগে পরিচালনা করে তারপর জাতীয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। আবার কেউ কেউ স্থানীয় এবং জাতীয় উভয় নির্বাচন একই সঙ্গে করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবছেন। এ ক্ষেত্রে সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা কতখানি কার্যকর আলোচনা করতে পারছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। শুধু আনুষ্ঠানিকতার জন্য তুলনামূলকভাবে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে সময় কাটিয়ে দেওয়া বড় কোনো কাজ না। আলোচনার পাশাপাশি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়াই মূল কাজ বলে বিবেচনা করি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইনের সংশোধন এবং পরিমার্জনও প্রয়োজন হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠান কার্যকর করার জন্য আনুষঙ্গিক যে কাজকর্ম, তা নির্বাহ করতেও যৌক্তিকভাবে কয়েক মাস সময়ের প্রয়োজন হবে। সংসদে নারী কোটা ১০০-তে উন্নীত করা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদানের কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই সরকার উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে পারে। নির্বাচনে এইসব কাঠামোগত পরিবর্তন করার বিরাট এক সুযোগ এই সরকারের সামনে আছে। নির্বাচনে কালোটাকার দৌরাত্ম্য এবং পেশিশক্তির প্রভাব হ্রাস করার উদ্দেশে প্রচলিত আইন যথেষ্ট কার্যকর বলে কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে। নির্বাচনী ট্রেন যেন নির্বিঘ্নে এবং গতিশীলভাবে চলতে পারে তার জন্য যথাযথভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে নীতিনির্ধারণী একটি বিষয় অগ্রাধিকার বিবেচনার জন্য অপেক্ষমাণ আছে, আর তা হলো, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন করা, নাকি যথাশিগগির নির্বাচন আয়োজন করা? অনেক ধরনের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য জাতীয় সংসদের বিকল্প কিছু আছে বলে মনে হয় না। যদি তা-ই হয়, তাহলে নির্বাচন পরিচালনাকেই অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। নির্বাচিত সংসদ প্রয়োজনীয় সব পরিবর্তন সংসদীয় রীতিনীতির নিয়ম মেনে সেগুলোকে কার্যকর করতে পারবে। এমনিতেই মেঘে মেঘে যে বেলা হয়েছে তাতে করে জট বেঁধে আছে রাষ্ট্রের অনেক ইস্যু, সেসব জট খুলতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে।
লেখক: সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
দেশের সাম্প্রতিক বিষয়াবলি নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা আলোচনা চলছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতির সবকিছু নিয়ে সন্তোষ-অসন্তোষের দানাবাঁধা স্ফটিক কিছুতেই যেন আর গলছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে, কেউ কেউ এক রকমের হিসাব দাঁড়া করাচ্ছেন, দেশ কোন গন্তব্যে ধাবিত হয়েছে আর কতটুকু এগোল? আমরা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। আর সেই স্বপ্ন নিজের পক্ষে গেলে বা সুবিধামূলক হলে স্বস্তি বোধ করি। নইলে দুশ্চিন্তা ঘাড়ের ওপর ভর করে সিন্দাবাদের ভূতের মতো।
পত্রিকার পাতায় যেসব সংবাদ বড় শিরোনাম পায় তার অধিকাংশই হচ্ছে দুঃসংবাদ। দেশ-বিদেশের নেতিবাচক সংবাদই গণমাধ্যমের প্রধান উপজীব্য বললে বাড়িয়ে বলা হবে না। গুটিকয়েক সুসংবাদ ব্যতীত বাকি সব খবরই হচ্ছে মানুষের জীবন-জীবিকার সংগ্রামের সংবাদ। রাজা-প্রজাদের শাসন আর টিকে থাকার সংবাদ। সমাজ রাজনীতিবিহীন কোনো অলৌকিক মানুষের সমাবেশ নয়। যৌক্তিকভাবে মানুষ সুখ সম্পদে বেঁচে থাকবে, এটাই কাম্য। দেশ-কাল-পাত্রভেদে মানুষ সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে যুগ যুগ ধরে। ৫৩ বছর বয়সে দেশ নতুন আন্দোলনে নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে, আজ তাই মানুষের প্রত্যাশা ব্যাপক। এই প্রত্যাশায় আমরা দ্বিগুণ প্রত্যয়ে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারতাম। কিন্তু সাধারণভাবে মানুষ কি সেই প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে? সেই প্রত্যয়ে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পেরেছে?
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সম্প্রতি বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। এ ট্রেন যেতে যেতে সরকারকে অনেকগুলো কাজ সারতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা সুযোগ দিলে প্রয়োজনীয় কিছু অত্যাবশ্যকীয় কাজ করেই আপনাদের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের আয়োজন করব। তত দিন পর্যন্ত আপনাদের ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কবে হবে, এ প্রশ্ন আপনাদের সবার মনেই আছে। আমাদের মনেও সারাক্ষণ আছে। আপনারা লক্ষ করেছেন, নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছি।’
নির্বাচন ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করার ব্যাপারে ঐকমত্য গঠনের জন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।
দেশের মানুষ নানা অভাব-অভিযোগের মধ্যেও সব ভুলে গিয়ে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ জানার ব্যাপারে উৎসুক হয়ে আছে বলে আমার ধারণা। রাজনৈতিক সচেতনতা কম-বেশি যা-ই থাকুক না কেন, দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের বিষয়ে সবাই একমত। যদিও সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁদের কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সড়ক অবরোধ করে ইটপাটকেল ছুড়ে যাত্রীদের আহত করেছেন। এ রকম নানা ধরনের আন্দোলন কখনো পোশাকশ্রমিকদের বকেয়া বেতন দাবি আদায়ের কিংবা টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের জমায়েতকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দখলদারত্বের সংগ্রাম নির্বাচনের ট্রেনের গতি কমিয়ে দিতে পারে।
সমাজের গতিশীলতা এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যেকোনো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজেরই অংশবিশেষ বললে ভুল হবে না। এই কাজগুলোর অজুহাতে নির্বাচন কার্যক্রমকে থামিয়ে রাখা কিংবা তাঁর গতি শ্লথ করা সমীচীন নয়। শত শত শহীদের রক্তের ত্যাগে দেশের মানুষের প্রত্যাশা আজ যেভাবে জেগে উঠেছে, তার প্রকৃত মূল্যায়ন করা অনস্বীকার্য।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন হয়ে গেল। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উপস্থিত হলেন ১২ বছর পর। বিএনপির ২৬ জন নেতা আমন্ত্রিত হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ড. ইউনূসসহ তিন বাহিনীর প্রধানদের ধন্যবাদ জানান। তিনি খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে উপস্থিত হওয়া থেকে দূরে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন। গত বৃহস্পতিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত বাতাসের যে স্বপ্ন নিয়ে রাষ্ট্রকে স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাঁদের সেই স্বপ্নপূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা এখন থেকে বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, যেখানে সত্যিকার অর্থে জনগণই হবে সকল ক্ষমতার মালিক।’ যে স্বপ্ন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেখিয়েছেন তা উল্লেখ করে ড. ইউনূস তাঁদের প্রতি সম্মান জানান।
দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে নতুন এক অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারও ওপরে না, আবার কেউ কারও নিচেও না; এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’ সকল মানুষের সামাজিক অধিকার এবং মূল্যবোধের মহৎ শিক্ষার কথা স্মরণ করে ড. ইউনূস প্রত্যয় ব্যক্ত করে সঠিক মানসিকতার পরিচয় দিলেন। এখন দেশের মানুষ দেখতে চায় তাঁর এই অভিব্যক্তির প্রকাশ কতটা কাজে রূপায়িত হয় এবং তা কত দ্রুত কার্যকর হয়। নাগরিকেরা রাজনীতিবিদদের কথা ও কাজের মিল দেখতে চান। ড. ইউনূস পুরো রাজনীতিবিদ নন। তিনি একসময় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েও শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর করতে পারেননি। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে তাঁর চিন্তা-চেতনা এবং কাজকর্ম মিলবে না। মানুষের প্রত্যাশার পারদ যে দিনে দিনে উত্তপ্ত হয়ে তা হতাশায় নিমজ্জিত না হয়, সেদিকে এই অন্তর্বর্তী সরকারের দায় অনেক। আশা করব, তিনি জনগণের মনের কথা পড়তে পারেন, মানুষের আশা-প্রত্যাশার মূল্যায়ন তিনি সঠিকভাবে করবেন।
উপদেষ্টামণ্ডলীর মধ্যে কারও কারও অতি-উৎসাহের কারণে কোনো কোনো কর্মসূচি কিংবা ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় অতিরিক্ত আশাবাদ ব্যক্ত করার একধরনের প্রবণতা দেখা যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকাল কত মাস বা কত বছর হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন রকম কথাবার্তা হচ্ছে, তাতে করে জনগণের পরিষ্কার কোনো ধারণা তৈরি না হয়ে বেড়ে যাচ্ছে সংশয়।
এখন দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থায় কবে নাগাদ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, তা নিশ্চিত নয়। প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনী ট্রেন আসলে কবে নাগাদ তার প্রকৃত গন্তব্যে যাত্রা করবে, তা-ও জানা নেই কারও। আসলে গন্তব্যই নির্ধারণ করা গেছে কি না, তা নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করার প্রস্তুতির জন্যও যথেষ্ট সময় প্রয়োজন হবে। নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট কৌতূহল আছে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারেননি। ভোট নিয়ে মানুষ আশাহত এবং নিরুৎসাহিত ছিল দীর্ঘকাল। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের মানুষের মধ্যে ভোট উৎসবে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে বলে মনে হয়। এদিকে স্থানীয় সরকারের কমিশনার ও চেয়ারম্যানদের মধ্যে অনেকে আত্মগোপন করে নিজেদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাতে করে স্থানীয় সরকারের সেবাদান বিঘ্নিত হচ্ছে। জনগণ তাদের নাগরিক অধিকার এবং প্রয়োজনীয় স্থানীয় সেবা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার অনলাইনে একটি জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। (আজকের পত্রিকা, ২৪ নভেম্বর ২০২৪)। জরিপের তথ্যমতে, ‘জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যা যা সংস্কার করা প্রয়োজন মনে করবে, তার সবগুলো করার পরই নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। তবে অপর একটি প্রশ্নে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ এক বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলে মতামত দিয়েছেন। আর ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন, শুধু নির্বাচনসংক্রান্ত জরুরি সংস্কারগুলো শেষ করে নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।’ তার মানে দাঁড়াচ্ছে যে ৯৩ শতাংশ মানুষ এক বছরের মধ্যে কিংবা জরুরি সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে মতামত প্রকাশ করেছেন।
অনেকে মনে করছেন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন আগে পরিচালনা করে তারপর জাতীয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। আবার কেউ কেউ স্থানীয় এবং জাতীয় উভয় নির্বাচন একই সঙ্গে করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবছেন। এ ক্ষেত্রে সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা কতখানি কার্যকর আলোচনা করতে পারছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। শুধু আনুষ্ঠানিকতার জন্য তুলনামূলকভাবে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে সময় কাটিয়ে দেওয়া বড় কোনো কাজ না। আলোচনার পাশাপাশি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়াই মূল কাজ বলে বিবেচনা করি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইনের সংশোধন এবং পরিমার্জনও প্রয়োজন হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠান কার্যকর করার জন্য আনুষঙ্গিক যে কাজকর্ম, তা নির্বাহ করতেও যৌক্তিকভাবে কয়েক মাস সময়ের প্রয়োজন হবে। সংসদে নারী কোটা ১০০-তে উন্নীত করা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদানের কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই সরকার উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে পারে। নির্বাচনে এইসব কাঠামোগত পরিবর্তন করার বিরাট এক সুযোগ এই সরকারের সামনে আছে। নির্বাচনে কালোটাকার দৌরাত্ম্য এবং পেশিশক্তির প্রভাব হ্রাস করার উদ্দেশে প্রচলিত আইন যথেষ্ট কার্যকর বলে কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে। নির্বাচনী ট্রেন যেন নির্বিঘ্নে এবং গতিশীলভাবে চলতে পারে তার জন্য যথাযথভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে নীতিনির্ধারণী একটি বিষয় অগ্রাধিকার বিবেচনার জন্য অপেক্ষমাণ আছে, আর তা হলো, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন করা, নাকি যথাশিগগির নির্বাচন আয়োজন করা? অনেক ধরনের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য জাতীয় সংসদের বিকল্প কিছু আছে বলে মনে হয় না। যদি তা-ই হয়, তাহলে নির্বাচন পরিচালনাকেই অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। নির্বাচিত সংসদ প্রয়োজনীয় সব পরিবর্তন সংসদীয় রীতিনীতির নিয়ম মেনে সেগুলোকে কার্যকর করতে পারবে। এমনিতেই মেঘে মেঘে যে বেলা হয়েছে তাতে করে জট বেঁধে আছে রাষ্ট্রের অনেক ইস্যু, সেসব জট খুলতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে।
লেখক: সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
কিছু কিছু বিতর্ক তৈরি করা হয় সমসাময়িক বিষয় থেকে দৃষ্টি দূরে সরিয়ে রাখার জন্য। পুরো পাকিস্তান আমলেই রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে বিতর্ক জারি রাখা হয়েছিল। আমলাতন্ত্র আর সামরিক আমলাতন্ত্র মিলে পাকিস্তান নামক দেশটায় যে স্বৈরশাসন কায়েম করে রেখেছিল, সেদিকে যেন সচেতন মানুষের চোখ না যায়, সে অভিসন্ধি থেকেই রবীন্দ্রনাথ
৩ ঘণ্টা আগেএকটি কলা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। একটি সাধারণ কলা, যা নিলামে বিক্রি হলো ৭৪ কোটি টাকায়। এটি শিল্প, না কৌতুক, না সামাজিক শ্লেষ—নাকি তিনটির মিশেল? ইতালীয় শিল্পী মরিজিও ক্যাটালানের এই ‘কমেডিয়ান’ আমাদের শিল্পের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আর বাজারজাত সৃজনশীলতার প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।
৩ ঘণ্টা আগে‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতা ছিলেন। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এখন পর্যন্ত ২০টি বই লিখেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে...
১ দিন আগেসদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে নানা মাত্রিক আলোচনার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন: ‘গণহত্যার বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেব না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান হবে।’
১ দিন আগে