ক্ষমতায় থাকতেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চান বাইডেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০: ৪০
Thumbnail image
২০ জানুয়ারির আগে যুদ্ধবিরতি চান বাইডেন। ছবি: এএফপি

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি নিয়ে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। গতকাল রোববারের এই আলাপে নেতানিয়াহু চুক্তি আলোচনার অগ্রগতি তুলে ধরেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানা গেছে।

বাইডেনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট যত দ্রুত সম্ভব গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা এবং চুক্তির আওতায় জিম্মিদের মুক্তি ও মানবিক সহায়তা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে মানবিক সহায়তা পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অন্যদিকে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জিম্মি মুক্তি আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনার দায়িত্বে থাকা দলকে দেওয়া নির্দেশনা তুলে ধরেছেন।

এই ফোনালাপের এক দিন আগে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য ইসরায়েল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল কাতারে পাঠাচ্ছে। জেরুসালেমে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একজন প্রতিনিধি এবং ইসরায়েলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই ঘোষণা আসে।

গতকাল রোববার নেতানিয়াহুর কার্যালয় এএফপিকে নিশ্চিত করেছে, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের প্রধানদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দল দোহায় পৌঁছেছে।

বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে, যুক্তরাষ্ট্র কাতার এবং মিসরের সঙ্গে যৌথভাবে গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তির আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে। গত সপ্তাহে কাতারে পুনরায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি আলোচনা শুরু করেছে ইসরায়েল ও হামাস।

ট্রাম্প এর আগে হামাসকে সতর্ক করে বলেছিলেন, যদি ২০ জানুয়ারি তাঁর শপথ গ্রহণের আগ পর্যন্ত জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে এর জন্য ‘চরম মূল্য দিতে হবে’। বাইডেনও চান, তাঁর প্রশাসন ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ের মধ্যেই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়ে যাক।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের পর শুরু হয় গাজা যুদ্ধের। হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২১০ জনের মৃত্যু হয়। একই দিনে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার জনের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

চলমান এ অভিযানের কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বর মাসে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক নিরাপত্তামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত