ভারতে পাচার নারীর অভিযোগে বাংলাদেশ সীমান্তে ইডির ব্যাপক তল্লাশি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ০২
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ০৫
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ছবি: এক্স

কাজের সন্ধানে ভারতে পাচার এক বাংলাদেশির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তল্লাশি চলাকালে জাল পাসপোর্ট ও আধার কার্ড, অবৈধ অস্ত্র, সম্পত্তির দলিল, নগদ অর্থ, গহনা, ছাপার কাগজ, ছাপার মেশিন ও জাল আধার কার্ড তৈরিতে ব্যবহৃত খালি প্রফর্মাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে বলে ইডি জানিয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান থেকে শুরু করে মানুষ পাচারের অনেকটাই টাকার লেনদেন অর্থাৎ হাওয়ালার মাধ্যমে হয়। আগেও একাধিক তল্লাশি অভিযান হয়েছে। তবে এবার বড়সড় চক্রের সন্ধান পেয়েছে ইডি। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় এবং ঝাড়খণ্ডে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডির কর্মকর্তারা। পশ্চিমবঙ্গে সীমান্ত অঞ্চল মধ্যমগ্রাম, বনগাঁ এবং ব্যারাকপুরে একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

ইডির বরাতে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছেন, কীভাবে এই টাকার লেনদেন হয়, কীভাবে এই চক্র চলে তার নির্দিষ্ট সূত্র তাদের হাতে এসেছে। তারই ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

মধ্যমগ্রামে এক নারীর বাড়িতে পৌঁছেছে ইডি। এই নারীর কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ছবি: এক্স
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ছবি: এক্স

কর্মকর্তারা বলছেন, এই নারী বাংলাদেশ থেকে একাধিক নারীকে কাজের টোপ দিয়ে বেআইনি পথে ভারতে নিয়ে এসেছিলেন। বাংলাদেশ থেকে তাদের ভারতে নিয়ে আসার যাবতীয় লেনদেন হাওয়ালার মাধ্যমে হয়েছে। বাংলাদেশের নারীরা ভারতে আসার পর বুঝতে পারেন, তাদের অন্যায় এবং অবৈধ কাজের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। একটি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। উপায়ান্তর না থাকায় তারা ওই কাজে যোগ দিতে বাধ্য হন।

তবে কয়েকদিনের মধ্যে কয়েকজন নারী পালিয়ে যান। পশ্চিমবঙ্গের পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে পৌঁছে যান তারা। সেখানে গিয়ে ঝাড়খণ্ড পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলার ভিত্তিতে বিষয়টি ইডি পর্যন্ত গড়ায়। ইডি মনে করছে, হাওয়ালার একটি বিরাট চক্র এই গোটা ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারই ভিত্তিতে তদন্ত এবং তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। রাজ্যের মোট ১৭টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ছবি: এক্স
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ছবি: এক্স

ইডির এক্স হ্যান্ডলের এক পোস্টে বলা হয়, ‘অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের জড়িত সন্দেহে ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের ১৭টি জায়গায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে তল্লাশি চালাচ্ছেন রাঁচির ইডি কর্মকর্তারা। এখন পর্যন্ত ভুয়া আধার কার্ড, জাল পাসপোর্ট, অবৈধ অস্ত্র, স্থাবর সম্পত্তির দলিল, নগদ অর্থ, গহনা, ছাপার কাগজ, ছাপার মেশিন, জাল আধার কার্ড তৈরিতে ব্যবহৃত খালি প্রফর্মাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। তল্লাশি চলমান আছে।’

ইডি জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা ঢোকার পর তা ভারতে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে। যে চক্রটি এর সঙ্গে যুক্ত, তারা কালো টাকা বাজারে খাটিয়ে সাদা করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সন্ধান পেয়েছে ইডি, যেখানে এই টাকা খাটানো হচ্ছে। তবে এবিষয়ে এখনই নির্দিষ্ট তথ্য জানাতে চায়নি ইডি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময় বাড়ল

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

ব্যাংক খাতে নতুন নীতিমালা: আটকে গেল ২৫৮ কর্মকর্তার জিএম পদে পদোন্নতি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত