আরব আমিরাতে ইহুদি নেতার লাশ উদ্ধার, আটক ৩

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ৪১
ইহুদি নেতা জভি কোগান। ছবি: লিংকডইন

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসরায়েলি ইহুদি ধর্মীয় নেতা জভি কোগানকে হত্যার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রোববার আমিরাতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। তবে অভিযুক্তদের কোনো পরিচয় বা হত্যার কারণ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

এর আগে আবু ধাবি থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে ওমান সীমান্তের কাছে আল–আইন শহর থেকে কোগানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

২৮ বছর বয়সী জভি কোগান সস্ত্রীক দুবাইয়ের বাসিন্দা ছিলেন। সেখানে একটি সুপারমার্কেট পরিচালনা করতেন। ইসরায়েল–মলডোভার দ্বৈত নাগরিক কোগান ইহুদি ধর্মের কট্টরপন্থী চাবাদ সম্প্রদায়ের নেতা ছিলেন।

চাবাদ একটি ধর্মীয় সংগঠন, যা ইহুদি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই সংগঠনের শাখা হাজার হাজার ইহুদি বাসিন্দা ও পর্যটক নিয়ে কাজ করে।

ওয়াইনেট নিউজ সাইটের বরাতে টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, কোগানের গাড়িটি আল–আইন শহরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গাড়িতে ধস্তাধস্তির আলামত পাওয়া গেছে।

তদন্ত কর্মকর্তাদের দাবি, কোগানের ওপর হামলা চালাতে কিছু উজবেক নাগরিককে নিয়োগ দিয়েছিল ইরান। তাঁরা এ হামলার পর তুরস্কে পালিয়ে গেছেন।

এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী এবং ইহুদিবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, জভি কোগানের হত্যাকাণ্ড একটি ইহুদিবিদ্বেষী ও সন্ত্রাসী ঘটনা। ইসরায়েল সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনবে।

কোগান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ইসরায়েল সরকার সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফরের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। ইহুদি নাগরিকদের দেশটিতে অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ থেকে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা রয়েছে, যা দেশটিতে অবস্থানরত বা সফররত ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

২০২০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। দক্ষিণ লেবানন ও গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার বিষয়ে আরব আমিরাত বরাবর নীরব।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত