দেশে পরিবার পরিকল্পনা বা জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ওষুধ ও সুরক্ষাসামগ্রীর সংকট চলেছে। ২৮৭টি উপজেলায় খাওয়ার বড়ি বা পিলের মজুত শূন্য হয়ে পড়েছে। আট মাস ধরে মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রায় প্রতিটি জায়গায় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর মজুত ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ ১১ট
২০২২ সালের তুলনায় দেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়েনি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মানুষের গড় আয়ু স্থিতিশীল রয়েছে। ২০২২ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২ দশমিক ৩ বছর। যা ২০২৩ সালেও একই অবস্থায় আছে। এ ছাড়া দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমলেও জন্মহার ধারাবাহিকভাবে কমছে। পাশাপাশি দেশে নারীপ্রধান পরিবার বাড়ছে।
এবার ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক। সিটি অব লাভ খ্যাত শহরটিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টের প্রস্তুতি পর্ব। গত বারের মতো করোনা বিধিনিষেধ না থাকায় নিরাপদ যৌনতার জন্য অলিম্পিক ভিলেজে অবস্থান করা খেলোয়াড়দের মধ্যে এবার পর্যাপ্ত জন্মনিরোধক (
নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিরোধক পণ্যের বিক্রি ১০ শতাংশ বেড়ে যাবে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রবণতার চেয়ে এ বৃদ্ধি বেশ কম। গবেষণা বলছে, দেশটিতে অন্য যেকোনো ছুটির তুলনায় নতুন বছরের সময়টাতে অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের হার বেড়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর বয়সীদের (১৫–১৯) মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমেছে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে ‘মর্নিং আফটার পিল’ ব্যবহারকারী কিশোর–কিশোরীর সংখ্যা দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। একই অবস্থা প্রজননক্ষম সব মানুষের মধ্যেই। এতে জন্মহার ব্যাপকভাবে কম
‘নিয়মিত জন্মবিরতিকরণ পিল খাওয়া কিছুটা ঝামেলার বিষয়। তাই ইমার্জেন্সি পিলের ওপর নির্ভর করেছিলাম। কিন্তু তাতে কাজ তো হলোই না, উল্টো লম্বা সময়ের জন্য অসুস্থতার মধ্যে পড়লাম।’ কথাগুলো বলছিলেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাদিয়া আফরিন। তিনি জানান, অযাচিত গর্ভধারণ এড়াতে ২০২১ সালে পাঁচ মাসের ব্যবধানে দুব
এক সময় জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে নীতি নির্ধারকেরা চরম উদ্বেগে ছিলেন। ১৯৬০–এর দশকে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ৩ বিলিয়নের কিছু বেশি। ওই সময় জন্মহার ছিল বছরে প্রায় দুই শতাংশ। মানুষের ইতিহাসে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছিল জনসংখ্যা। অবশ্য এর আগের দুই বা তিন শতাব্দীতে জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারেই বাড়ছিল
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রভাব বাড়া স্বাভাবিক। কারণ, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের কাজের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে না। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লোকজনকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করতে হয়।
দেশে সরকারি পর্যায়ে গর্ভনিরোধক সেবা দেওয়ার হার অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠাননির্ভর হয়ে পড়েছে এই সেবা। এতে দেশের সামগ্রিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি পিছিয়ে পড়ছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রভাব বাড়াটাই স্বাভাবিক। কারণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের কাজের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে না। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনের ওপর নির্ভর করে তাঁদের বেতন বৃদ্ধি, প
১৮০৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা প্রথমবারের মতো ১০০ কোটিতে পৌঁছেছিল। এরপর ১২৩ বছর অর্থাৎ ১৯২৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০০ কোটির ঘরে পৌঁছাতে। তারপর মাত্র ৩৩ বছরের মাথায় ১৯৬০ সালে মানুষের সংখ্যা হয় ৩০০ কোটি! সেই থেকে খুব দ্রুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
ভারতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো পরিচালিত পরিবার পরিকল্পনা ক্যাম্পেইনগুলো শুধু নারীদের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। আমি বিশ্বাস করি, এটি পুরুষ ও নারী উভয়েরই দায়িত্ব হওয়া উচিত। তাদের উভয়ের এই সিদ্ধান্তের অংশীদার হওয়া উচিত। কিন্তু দেখা যায়, দায় থাকে সব সময় নারীদের।
ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে একটি ট্রাকে করে বিপুল পরিমাণ জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে—এমন খবরের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান চালানো হয়।
আমরা দেখেছি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় জন্মহার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই জায়গায় আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগকে বলব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে বলব, তারা যাতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে। সে জন্য আমরা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে বাল্যবিবাহ বেড়েছে। এটা কাম্য নয়। করোনাকালে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। করোনার মধ্যে পারিবারিক কলহ বেড়েছে, বিশেষ করে নারী নির্যাতন ও শিশুদের অবহেলা। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, গোটা বিশ্বেই বেড়েছে।