রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
দেশে সরকারি পর্যায়ে গর্ভনিরোধক সেবা দেওয়ার হার অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠাননির্ভর হয়ে পড়েছে এই সেবা। এতে দেশের সামগ্রিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি পিছিয়ে পড়ছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন।
সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতে, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের শতভাগ বরাদ্দ আছে এই প্রতিষ্ঠানের। এমনকি সেই অনুসারে কেনাকাটাও হয়। কিন্তু বছর শেষে তার কোনো ফল বা প্রভাব লক্ষ করা যায় না। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং গর্ভনিরোধক কার্যক্রম যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কাজ কী, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অংশীজনেরা।
বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০২২-এর তথ্যমতে, ২০১৭-১৮ সালে ৪৪ শতাংশ মানুষকে সরকারিভাবে এই সেবা দেওয়া হতো, ২০২১ সালে সেটি ৩৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যদিকে ২০১৭-১৮ সালে ৫০ শতাংশ গর্ভনিরোধক সেবা দিতে যুক্ত ছিল বেসরকারি খাত। ২০২১ সালে সেটি বেড়ে ৬০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ইতিপূর্বে এনজিওগুলো এই খাতে ৬ শতাংশ সেবা প্রদান দিলেও ২০২১ সালে সেটি ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। এই সময়ে দেশে গর্ভনিরোধক ব্যবহারের হার বেড়েছে মাত্র ৩ শতাংশ।
প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনো কাজে আগ্রহ নেই
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ছাড়া কোনো কাজে আগ্রহ নেই অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। ফলে দিনে দিনে অধিদপ্তরের অবস্থান হারাচ্ছে। এতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হচ্ছে। এর কারণ, মাঠপর্যায়ের কর্মীদের দায়িত্ব পালনে অনীহা এবং উচ্চপর্যায়ের নজরদারি না থাকা। ফলে দেশের মানুষ সরকারি সেবা বঞ্চিত হয়ে বেসরকারি সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছে। তাই দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকার পরও সরকারি সেবা ৩৭ শতাংশে নেমেছে।
এ প্রসঙ্গে জনসংখ্যা ও প্রজননস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং মেরী স্টোপসের লিড অ্যাডভোকেসি মঞ্জুন নাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি সবচেয়ে অবহেলিত অবস্থায় আছে। এখানে নজরদারি ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। ফলে মাতৃমৃত্যু শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া টোটাল ফার্টিলিটি রেট (সার্বিক প্রজনন বা জন্মহার) ২ শতাংশে নামিয়ে আনার টোয়েন্টি-২০ লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন হয়নি। তিনি বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা–তাদের বাস্তবভিত্তিক কোনো পরিকল্পনাই নেই।
বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০২২-এর ফলে দেখা গেছে, দেশে বর্তমানে সার্বিক প্রজনন হার ২ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে শহর এলাকায় এই হার ২ দশমিক ১ শতাংশ এবং গ্রামে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১১ সালের পর থেকে দেশে প্রজনন হার একই স্থানে আছে। ২০০০ সাল দেশের প্রজনন হার ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১১ সালে এই হার ২ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হয়। এর পর থেকে দেশে প্রজনন হার একই অবস্থানে। যদিও এই সময়ে দেশের কাঙ্ক্ষিত প্রজনন হার ২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
এসব বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (ফিল্ড সার্ভিস) নিয়াজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উর্বরতার (প্রজনন) হার ভালো অবস্থায় আছে। এই রিপোর্টটিতে করোনাকাল অন্তর্ভুক্ত, তাই বেশি দেখাচ্ছে। তা ছাড়া, আমাদের মাঠপর্যায়ে কর্মীর সংকট রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের কর্মীরা সপ্তাহে দুই দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে যান, দুই দিন স্যাটেলাইট ক্লিনিকে যান; তাই তাঁরা বাড়ি বাড়ি যেত পারেন না। আমাদের মূল কাজ মানুষের সচেতনতা বাড়ানো। আমরা সেই চেষ্টা করছি। তা ছাড়া, কেউ যদি সরকারি সেবা না নিয়ে বেসরকারি সেবা কিনে নিতে চান, তাহলে কিছু করার নেই।’
প্রজনন হার সবচেয়ে বেশি ময়মনসিংহে
জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপে দেখা যায়, দেশের বিভাগগুলোর মধ্যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি অবস্থানে আছে রাজশাহী। এই বিভাগে প্রজনন হার ২ দশমিক ১ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা ও খুলনা বিভাগ, এই দুই বিভাগে প্রজনন হার ২ দশমিক ২ শতাংশ।এরপরই আছে সিলেট বিভাগ, সেখানে প্রজনন হার ২ দশমিক ৩ শতাংশ। বরিশাল ও রংপুরে এই হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশের সবচেয়ে বেশি প্রজনন হার ময়মনসিংহ বিভাগে, ২ দশমিক ৭ শতাংশ। তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৭-১৮ সালের তুলনায় ২০২১ সালে আট বিভাগের মধ্যে ছয় বিভাগেই প্রজনন হার বেড়েছে। রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে এই হার আগের তুলনায় কমেছে।
গর্ভনিরোধক ব্যবহারের হার বেড়েছে
জরিপে দেখা যায়, বিগত ১২ বছরে দেশে গর্ভনিরোধক ব্যবহারের হার বেড়েছে মাত্র ৩ শতাংশ। ২০১১ সালে দেশে গর্ভনিরোধক ব্যবহারের হার ছিল ৬১ শতাংশ, ২০২১ সালে সেটি ৬৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। গর্ভনিরোধক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ অনির্ধারিতভাবে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন। ২৭ শতাংশ পিল ব্যবহার করেন, ইনজেকশন ব্যবহার করেন ১১ শতাংশ, কনডম ব্যবহারকারীর হার ৮ শতাংশ, জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন ৫ শতাংশ নারী এবং ১ শতাংশ পুরুষ, ইমপ্লান্ট পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন মাত্র ২ শতাংশ, অন্তঃসত্ত্বানিরোধক ডিভাইস (আইইউডি) ব্যবহার করেন মাত্র ১ শতাংশ। এ ছাড়া ৯ শতাংশ নারী-পুরুষ প্রাচীন পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। অর্থাৎ দেশে গর্ভনিরোধক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ অস্থায়ী এবং ৮ শতাংশ স্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ ৬১ শতাংশ প্রজননক্ষম নর-নারী গর্ভনিরোধক ব্যবহার করে থাকেন, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর পরই আছে ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগ। এসব বিভাগে ব্যবহারকারীর হার যথাক্রমে ৫৯, ৫৬, ৫৪ এবং ৫৩ শতাংশ। গর্ভনিরোধক ব্যবহারে সবচেয়ে পিছিয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ। এই দুই বিভাগে ব্যবহারকারীর হার মাত্র ৫০ শতাংশ।
দেশে সরকারি পর্যায়ে গর্ভনিরোধক সেবা দেওয়ার হার অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠাননির্ভর হয়ে পড়েছে এই সেবা। এতে দেশের সামগ্রিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি পিছিয়ে পড়ছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন।
সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতে, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের শতভাগ বরাদ্দ আছে এই প্রতিষ্ঠানের। এমনকি সেই অনুসারে কেনাকাটাও হয়। কিন্তু বছর শেষে তার কোনো ফল বা প্রভাব লক্ষ করা যায় না। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং গর্ভনিরোধক কার্যক্রম যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কাজ কী, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অংশীজনেরা।
বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০২২-এর তথ্যমতে, ২০১৭-১৮ সালে ৪৪ শতাংশ মানুষকে সরকারিভাবে এই সেবা দেওয়া হতো, ২০২১ সালে সেটি ৩৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যদিকে ২০১৭-১৮ সালে ৫০ শতাংশ গর্ভনিরোধক সেবা দিতে যুক্ত ছিল বেসরকারি খাত। ২০২১ সালে সেটি বেড়ে ৬০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ইতিপূর্বে এনজিওগুলো এই খাতে ৬ শতাংশ সেবা প্রদান দিলেও ২০২১ সালে সেটি ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। এই সময়ে দেশে গর্ভনিরোধক ব্যবহারের হার বেড়েছে মাত্র ৩ শতাংশ।
প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনো কাজে আগ্রহ নেই
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ছাড়া কোনো কাজে আগ্রহ নেই অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। ফলে দিনে দিনে অধিদপ্তরের অবস্থান হারাচ্ছে। এতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হচ্ছে। এর কারণ, মাঠপর্যায়ের কর্মীদের দায়িত্ব পালনে অনীহা এবং উচ্চপর্যায়ের নজরদারি না থাকা। ফলে দেশের মানুষ সরকারি সেবা বঞ্চিত হয়ে বেসরকারি সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছে। তাই দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকার পরও সরকারি সেবা ৩৭ শতাংশে নেমেছে।
এ প্রসঙ্গে জনসংখ্যা ও প্রজননস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং মেরী স্টোপসের লিড অ্যাডভোকেসি মঞ্জুন নাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি সবচেয়ে অবহেলিত অবস্থায় আছে। এখানে নজরদারি ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। ফলে মাতৃমৃত্যু শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া টোটাল ফার্টিলিটি রেট (সার্বিক প্রজনন বা জন্মহার) ২ শতাংশে নামিয়ে আনার টোয়েন্টি-২০ লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন হয়নি। তিনি বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা–তাদের বাস্তবভিত্তিক কোনো পরিকল্পনাই নেই।
বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০২২-এর ফলে দেখা গেছে, দেশে বর্তমানে সার্বিক প্রজনন হার ২ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে শহর এলাকায় এই হার ২ দশমিক ১ শতাংশ এবং গ্রামে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১১ সালের পর থেকে দেশে প্রজনন হার একই স্থানে আছে। ২০০০ সাল দেশের প্রজনন হার ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১১ সালে এই হার ২ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হয়। এর পর থেকে দেশে প্রজনন হার একই অবস্থানে। যদিও এই সময়ে দেশের কাঙ্ক্ষিত প্রজনন হার ২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
এসব বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (ফিল্ড সার্ভিস) নিয়াজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উর্বরতার (প্রজনন) হার ভালো অবস্থায় আছে। এই রিপোর্টটিতে করোনাকাল অন্তর্ভুক্ত, তাই বেশি দেখাচ্ছে। তা ছাড়া, আমাদের মাঠপর্যায়ে কর্মীর সংকট রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের কর্মীরা সপ্তাহে দুই দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে যান, দুই দিন স্যাটেলাইট ক্লিনিকে যান; তাই তাঁরা বাড়ি বাড়ি যেত পারেন না। আমাদের মূল কাজ মানুষের সচেতনতা বাড়ানো। আমরা সেই চেষ্টা করছি। তা ছাড়া, কেউ যদি সরকারি সেবা না নিয়ে বেসরকারি সেবা কিনে নিতে চান, তাহলে কিছু করার নেই।’
প্রজনন হার সবচেয়ে বেশি ময়মনসিংহে
জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপে দেখা যায়, দেশের বিভাগগুলোর মধ্যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি অবস্থানে আছে রাজশাহী। এই বিভাগে প্রজনন হার ২ দশমিক ১ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা ও খুলনা বিভাগ, এই দুই বিভাগে প্রজনন হার ২ দশমিক ২ শতাংশ।এরপরই আছে সিলেট বিভাগ, সেখানে প্রজনন হার ২ দশমিক ৩ শতাংশ। বরিশাল ও রংপুরে এই হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং চট্টগ্রামে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। দেশের সবচেয়ে বেশি প্রজনন হার ময়মনসিংহ বিভাগে, ২ দশমিক ৭ শতাংশ। তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৭-১৮ সালের তুলনায় ২০২১ সালে আট বিভাগের মধ্যে ছয় বিভাগেই প্রজনন হার বেড়েছে। রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে এই হার আগের তুলনায় কমেছে।
গর্ভনিরোধক ব্যবহারের হার বেড়েছে
জরিপে দেখা যায়, বিগত ১২ বছরে দেশে গর্ভনিরোধক ব্যবহারের হার বেড়েছে মাত্র ৩ শতাংশ। ২০১১ সালে দেশে গর্ভনিরোধক ব্যবহারের হার ছিল ৬১ শতাংশ, ২০২১ সালে সেটি ৬৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। গর্ভনিরোধক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ অনির্ধারিতভাবে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন। ২৭ শতাংশ পিল ব্যবহার করেন, ইনজেকশন ব্যবহার করেন ১১ শতাংশ, কনডম ব্যবহারকারীর হার ৮ শতাংশ, জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন ৫ শতাংশ নারী এবং ১ শতাংশ পুরুষ, ইমপ্লান্ট পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন মাত্র ২ শতাংশ, অন্তঃসত্ত্বানিরোধক ডিভাইস (আইইউডি) ব্যবহার করেন মাত্র ১ শতাংশ। এ ছাড়া ৯ শতাংশ নারী-পুরুষ প্রাচীন পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। অর্থাৎ দেশে গর্ভনিরোধক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ অস্থায়ী এবং ৮ শতাংশ স্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ ৬১ শতাংশ প্রজননক্ষম নর-নারী গর্ভনিরোধক ব্যবহার করে থাকেন, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর পরই আছে ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগ। এসব বিভাগে ব্যবহারকারীর হার যথাক্রমে ৫৯, ৫৬, ৫৪ এবং ৫৩ শতাংশ। গর্ভনিরোধক ব্যবহারে সবচেয়ে পিছিয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ। এই দুই বিভাগে ব্যবহারকারীর হার মাত্র ৫০ শতাংশ।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে