অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর বয়সীদের (১৫–১৯) মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমেছে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে ‘মর্নিং আফটার পিল’ ব্যবহারকারী কিশোর–কিশোরীর সংখ্যা দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। একই অবস্থা প্রজননক্ষম সব মানুষের মধ্যেই। এতে জন্মহার ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। এটি অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদেরা।
মর্নিং আফটার পিল হলো জরুরি জন্মনিরোধক বড়ি। শারীরিক সম্পর্কের সময় কোনো জন্মনিরোধক ব্যবহার না করলে বা সেটি কোনো কারণে অকার্যকর হলে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এই বড়ি সেবন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নতুন উপাত্তে এ চিত্র দেখা গেছে।
এই উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোর–কিশোরীরা শারীরিক সম্পর্কে আগের মতো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কিন্তু অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ প্রতিরোধে তারা জরুরি গর্ভনিরোধক বেশি ব্যবহার করছে।
২০০২ সালে মর্নিং আফটার পিল ব্যবহার করা কিশোর বয়সীদের অনুপাত ছিল ৮ শতাংশ। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে এই অনুপাতটি ২২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কিন্তু শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চিত্রটা উল্টো। আগের তুলনায় অল্পসংখ্যক কিশোর–কিশোরীই শারীরিক সম্পর্ক করছে। এই বয়সী মেয়েদের মধ্যে অন্তত একবার শারীরিক সম্পর্ক করার অনুপাত ২০০২ সালে ছিল ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত নেমে এসেছে ৪০ দশমিক ৫ শতাংশে।
এই প্রবণতাটি কিশোরদের মধ্যেই বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অন্তত একবার শারীরিক সম্পর্কে করেছে এমন কিশোরের হার ২০০২ সালে ছিল ৪৬ শতাংশ, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত নেমে এসেছে ৩৯ শতাংশে।
কিশোর–কিশোরীদের শারীরিক সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া সত্ত্বেও মর্নিং আফটার পিল ব্যবহারের হার বেড়ে যাওয়ার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, কনডম এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির ব্যবহার কমে যাওয়ার কারণেই জরুরি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ব্যবহার বাড়ছে।
যদিও ২০১৫ থেকে ২০১৯–এই চার বছরে সামগ্রিকভাবে কনডমের ব্যবহার কমেছে। ২০০২ সালে ৫২ দশমিক ৫ কিশোরী কনডম ব্যবহারের কথা জানিয়েছে, যেখানে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত ৫০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। পুরুষদের মধ্যে এই অনুপাতটি ৭০ শতাংশ থেকে কমে ৬৮ শতাংশ হয়েছে।
এ ছাড়া কিশোরীদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ব্যবহার কমেছে—২০০২ সালে ছিল ৩৫ শতাংশ, ২০১৫–১৯ সালে সেটি ৩০ শতাংশে নেমেছে।
উভয় লিঙ্গের মধ্যে সামগ্রিক গর্ভনিরোধক ব্যবহার বেড়েছে। এর মধ্যে জরুরি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল অন্যতম। ২০০২ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ৮৩ শতাংশ কিশোরী বিকল্প জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা জানায়। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে এই অনুপাত ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কিশোরদের এই হার ২০০২ সালে ছিল ৯০ শতাংশ, ২০১৫–১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৯৪ শতাংশ।
তবে কিশোরীদের মধ্যে বড়ির বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হরমোনজনিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। এর মধ্যে একটি আইইউডি ডিভাইস। আইইউডি হলো একটি ছোট প্লাস্টিকের ডিভাইস যা জরায়ুতে স্থাপন করা হয়। এটি তিন থেকে ১০ বছরের জন্য গর্ভধারণ ঠেকিয়ে রাখে। এটি শুক্রাণুকে ডিম্বাণু নিষিক্ত করতে বাধা দিতে জরায়ুতে অল্প পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করে। এ পদ্ধতি ৯৯ শতাংশেরও বেশি কার্যকর।
আরেকটি হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ ইমপ্লান্ট। এটি খুব ছোট আকারের একটি রড যা একজন নারীর বাহুর ত্বকের নিচে স্থাপন করা হয়। এটি চার বছর পর্যন্ত গর্ভধারণ রোধ করে। এটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণে বাধা দিতে অল্প পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করে এবং শুক্রাণুকে ডিম্বাণুতে পৌঁছাতে বাধা দেয়।
এই পরিসংখ্যানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে রো বনাম ওয়েড মামলার রায়ের আগের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেওয়ার রায় ছিল এটি। আদালতের এই রায় গর্ভনিরোধক ব্যবহারের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিডিসির পরিসংখ্যান বলছে, গর্ভধারণের শঙ্কা নিয়ে ২০১১ থেকে ২০১৫ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের মধ্যে ২৮ শতাংশ উদ্বেগে থাকত। ২০১৫–১৯ সালে সেই উদ্বেগ ৩০ শতাংশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। কিশোরদের মধ্যে এ উদ্বেগ বাড়ছে—৩৪ শতাংশ তা ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
মর্নিং আফটার পিল ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের দোকানে এবং ফার্মেসিতে এসব বড়ি পাওয়া যায়। কোনো প্রেসক্রিপশন লাগে না, যেকোনো বয়স বা লিঙ্গের কেউ কিনতে পারে। সাধারণত একটি বড়ি সেবন করতে হয়। খরচ হয় ৪০ থেকে ৫০ ডলার।
এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে—মাথাব্যথা, পেট খারাপ, মাথা ঘোরা এবং স্বাভাবিক মাসিক চক্র। জরুরি গর্ভনিরোধক অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের পর গর্ভধারণ প্রতিরোধ করতে পারলেও এটি গর্ভধারণের সক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র শুধু কিশোর–কিশোরীদের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্কে অনীহা বাড়ছে এমন নয়; ২০২১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গেছে–১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩৮ শতাংশ মানুষ সমীক্ষার আগের ১২ মাস কোনো শারীরিক সম্পর্ক করেননি। ২০১৯ সালে এ অনুপাত ছিল ২৯ শতাংশ।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, মহামারির পর জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় অল্পবয়সীদের তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকতে এবং অনলাইনে আরও বেশি সময় কাটাতে বাধ্য করছে। এতে শারীরিক সম্পর্কের সুযোগ কমে গেছে।
দীর্ঘ ভৌগোলিক দূরত্বে থেকে ডিজিটাল সম্পর্কের ধারণা প্রবল হওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের পক্ষে মনোভাব শক্তিশালী হওয়ায় শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমে যাওয়ার একটি ব্যাখ্যা হতে পারে।
কিন্তু আমেরিকানদের যৌন জীবনের এই মন্দা ক্রমহ্রাসমান জন্মহারের পেছনে অন্যতম চালিকা শক্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জন্মহার কয়েক বছর ধরে কমছে। ২০০৭ সালের পর দেশব্যাপী জন্মহার ২২ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে অর্থনৈতিক পতনের মুখে, সেখানে জন্মহার হ্রাসের প্রবণতা খুব ভালো লক্ষণ নয়।
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার ছিল প্রতি ১ হাজার জনে ১৪ দশমিক ৩। সাম্প্রতিকতম তথ্য বলছে, ২০২২ সালের মধ্যে সেই হার প্রতি ১ হাজার জনে ১১ দশমিক ১–এ নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহারের ক্রমহ্রাস এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কা করছেন, সামাজিক নিরাপত্তা এবং মেডিকেয়ারের মতো কর্মসূচিগুলোতে ব্যয় সংকুলান করতে সরকারকে জনগণের ওপর করে বোঝা বাড়াতে হবে। ফলে মানুষের হাতে খরচ করার মতো টাকা কম থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রে কিশোর বয়সীদের (১৫–১৯) মধ্যে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমেছে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে ‘মর্নিং আফটার পিল’ ব্যবহারকারী কিশোর–কিশোরীর সংখ্যা দুই দশকেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। একই অবস্থা প্রজননক্ষম সব মানুষের মধ্যেই। এতে জন্মহার ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। এটি অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে সতর্ক করছেন অর্থনীতিবিদেরা।
মর্নিং আফটার পিল হলো জরুরি জন্মনিরোধক বড়ি। শারীরিক সম্পর্কের সময় কোনো জন্মনিরোধক ব্যবহার না করলে বা সেটি কোনো কারণে অকার্যকর হলে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এই বড়ি সেবন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নতুন উপাত্তে এ চিত্র দেখা গেছে।
এই উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোর–কিশোরীরা শারীরিক সম্পর্কে আগের মতো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কিন্তু অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ প্রতিরোধে তারা জরুরি গর্ভনিরোধক বেশি ব্যবহার করছে।
২০০২ সালে মর্নিং আফটার পিল ব্যবহার করা কিশোর বয়সীদের অনুপাত ছিল ৮ শতাংশ। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে এই অনুপাতটি ২২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কিন্তু শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চিত্রটা উল্টো। আগের তুলনায় অল্পসংখ্যক কিশোর–কিশোরীই শারীরিক সম্পর্ক করছে। এই বয়সী মেয়েদের মধ্যে অন্তত একবার শারীরিক সম্পর্ক করার অনুপাত ২০০২ সালে ছিল ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত নেমে এসেছে ৪০ দশমিক ৫ শতাংশে।
এই প্রবণতাটি কিশোরদের মধ্যেই বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অন্তত একবার শারীরিক সম্পর্কে করেছে এমন কিশোরের হার ২০০২ সালে ছিল ৪৬ শতাংশ, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত নেমে এসেছে ৩৯ শতাংশে।
কিশোর–কিশোরীদের শারীরিক সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া সত্ত্বেও মর্নিং আফটার পিল ব্যবহারের হার বেড়ে যাওয়ার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, কনডম এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির ব্যবহার কমে যাওয়ার কারণেই জরুরি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ব্যবহার বাড়ছে।
যদিও ২০১৫ থেকে ২০১৯–এই চার বছরে সামগ্রিকভাবে কনডমের ব্যবহার কমেছে। ২০০২ সালে ৫২ দশমিক ৫ কিশোরী কনডম ব্যবহারের কথা জানিয়েছে, যেখানে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সেই অনুপাত ৫০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। পুরুষদের মধ্যে এই অনুপাতটি ৭০ শতাংশ থেকে কমে ৬৮ শতাংশ হয়েছে।
এ ছাড়া কিশোরীদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের ব্যবহার কমেছে—২০০২ সালে ছিল ৩৫ শতাংশ, ২০১৫–১৯ সালে সেটি ৩০ শতাংশে নেমেছে।
উভয় লিঙ্গের মধ্যে সামগ্রিক গর্ভনিরোধক ব্যবহার বেড়েছে। এর মধ্যে জরুরি জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল অন্যতম। ২০০২ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ৮৩ শতাংশ কিশোরী বিকল্প জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা জানায়। ২০১৫ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে এই অনুপাত ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কিশোরদের এই হার ২০০২ সালে ছিল ৯০ শতাংশ, ২০১৫–১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৯৪ শতাংশ।
তবে কিশোরীদের মধ্যে বড়ির বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হরমোনজনিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। এর মধ্যে একটি আইইউডি ডিভাইস। আইইউডি হলো একটি ছোট প্লাস্টিকের ডিভাইস যা জরায়ুতে স্থাপন করা হয়। এটি তিন থেকে ১০ বছরের জন্য গর্ভধারণ ঠেকিয়ে রাখে। এটি শুক্রাণুকে ডিম্বাণু নিষিক্ত করতে বাধা দিতে জরায়ুতে অল্প পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করে। এ পদ্ধতি ৯৯ শতাংশেরও বেশি কার্যকর।
আরেকটি হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ ইমপ্লান্ট। এটি খুব ছোট আকারের একটি রড যা একজন নারীর বাহুর ত্বকের নিচে স্থাপন করা হয়। এটি চার বছর পর্যন্ত গর্ভধারণ রোধ করে। এটি ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণে বাধা দিতে অল্প পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ করে এবং শুক্রাণুকে ডিম্বাণুতে পৌঁছাতে বাধা দেয়।
এই পরিসংখ্যানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে রো বনাম ওয়েড মামলার রায়ের আগের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেওয়ার রায় ছিল এটি। আদালতের এই রায় গর্ভনিরোধক ব্যবহারের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিডিসির পরিসংখ্যান বলছে, গর্ভধারণের শঙ্কা নিয়ে ২০১১ থেকে ২০১৫ সালে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের মধ্যে ২৮ শতাংশ উদ্বেগে থাকত। ২০১৫–১৯ সালে সেই উদ্বেগ ৩০ শতাংশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। কিশোরদের মধ্যে এ উদ্বেগ বাড়ছে—৩৪ শতাংশ তা ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
মর্নিং আফটার পিল ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের দোকানে এবং ফার্মেসিতে এসব বড়ি পাওয়া যায়। কোনো প্রেসক্রিপশন লাগে না, যেকোনো বয়স বা লিঙ্গের কেউ কিনতে পারে। সাধারণত একটি বড়ি সেবন করতে হয়। খরচ হয় ৪০ থেকে ৫০ ডলার।
এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে—মাথাব্যথা, পেট খারাপ, মাথা ঘোরা এবং স্বাভাবিক মাসিক চক্র। জরুরি গর্ভনিরোধক অরক্ষিত শারীরিক সম্পর্কের পর গর্ভধারণ প্রতিরোধ করতে পারলেও এটি গর্ভধারণের সক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র শুধু কিশোর–কিশোরীদের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্কে অনীহা বাড়ছে এমন নয়; ২০২১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি জাতীয় সমীক্ষায় দেখা গেছে–১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩৮ শতাংশ মানুষ সমীক্ষার আগের ১২ মাস কোনো শারীরিক সম্পর্ক করেননি। ২০১৯ সালে এ অনুপাত ছিল ২৯ শতাংশ।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, মহামারির পর জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় অল্পবয়সীদের তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকতে এবং অনলাইনে আরও বেশি সময় কাটাতে বাধ্য করছে। এতে শারীরিক সম্পর্কের সুযোগ কমে গেছে।
দীর্ঘ ভৌগোলিক দূরত্বে থেকে ডিজিটাল সম্পর্কের ধারণা প্রবল হওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের পক্ষে মনোভাব শক্তিশালী হওয়ায় শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ কমে যাওয়ার একটি ব্যাখ্যা হতে পারে।
কিন্তু আমেরিকানদের যৌন জীবনের এই মন্দা ক্রমহ্রাসমান জন্মহারের পেছনে অন্যতম চালিকা শক্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জন্মহার কয়েক বছর ধরে কমছে। ২০০৭ সালের পর দেশব্যাপী জন্মহার ২২ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে অর্থনৈতিক পতনের মুখে, সেখানে জন্মহার হ্রাসের প্রবণতা খুব ভালো লক্ষণ নয়।
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার ছিল প্রতি ১ হাজার জনে ১৪ দশমিক ৩। সাম্প্রতিকতম তথ্য বলছে, ২০২২ সালের মধ্যে সেই হার প্রতি ১ হাজার জনে ১১ দশমিক ১–এ নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহারের ক্রমহ্রাস এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কা করছেন, সামাজিক নিরাপত্তা এবং মেডিকেয়ারের মতো কর্মসূচিগুলোতে ব্যয় সংকুলান করতে সরকারকে জনগণের ওপর করে বোঝা বাড়াতে হবে। ফলে মানুষের হাতে খরচ করার মতো টাকা কম থাকবে।
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
৩ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
৪ ঘণ্টা আগে