বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
সোশ্যাল মিডিয়া
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
আড্ডা
‘স্মৃতির মিনার’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আলাউদ্দিন আল আজাদ। সারা দিন ক্লাস করে বিকেলে যেতেন পাঠাগারে। পড়াশোনা করতেন। বিকেলে অবশ্য তাঁর যেতেই হতো নির্দিষ্ট একটি জায়গায়। ছোট্ট কাঁচা একটি ঘর। প্রতিষ্ঠানও। নাম পুঁথিপত্র প্রকাশনী। নতুন-পুরোনো নানা রকম বই থাকত সেখানে। বিক্রির জন্য। আল
গাসসানের কবিতার বিষয়বস্তু
গাসসানের কবিতায় মাহমুদ দারবিশের ভাষাশৈলীর স্পষ্ট ছাপ আমরা দেখতে পাই। কবিতার ভিত, বাক্যশৈলী, ছন্দ ও অলংকার—সব দিক থেকেই। ফিলিস্তিনি মানসের উর্বরতা, মুক্তির আকাঙ্ক্ষা, আত্মোৎসর্গের প্রেরণা এবং বীরত্বের সংজ্ঞায় টইটম্বুর সেই পদ্যগুলো। দারবিশের মতো গীত-নাটকীয়তার সঙ্গে দুঃখগাথার অপূর্ব মিথস্ক্রিয়ায় নির্মি
একুশের গান
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী তখন ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের বিদায়ী ছাত্র। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের আউটডোরে দেখেছিলেন ভাষাশহীদ রফিকের খুলিহীন লাশ। সে রাতেই কবিতাটি লিখতে শুরু করেন তিনি। বেশ কয়েক দিন ধরে কবিতাটি লেখা হয়। পরে গান হিসেবে স্বীকৃত এই রচনাটির প্রথম চরণ লেখা হয়েছিল কবিতা হি
সেই সুর
আলতাফ মাহমুদ বরিশালে থাকতেই ঝুঁকে পড়েন গণসংগীতের দিকে। বরিশালের এক জনসভায় গেয়েছিলেন ‘ম্যায় ভুখা হু’। তাতে শ্রোতারা তন্ময় হয়ে গিয়েছিল। গাজীউল হকের ছোট ভাই নিজামুল হক আর আলতাফ মাহমুদ গণসংগীত নিয়ে কাজ করেছেন অনেক দিন। রাজনীতির পাশাপাশি সংস্কৃতিও যে গণজাগরণে ভূমিকা রাখতে পারে, সেটা বুঝতেন আলতাফ মাহমুদ।
শহীদ মিনারের সিমেন্ট
ঢাকায় স্মৃতির মিনার বানানো শুরু হয়েছিল ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে। বানানো শেষ হয়েছিল ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে। বদরুল আলম করেছিলেন তার মূল নকশা। সমস্যা হলো, চাইলেই তো আর শহীদ মিনার বানানো যায় না। তার জন্য প্রয়োজন ইট-বালু-সিমেন্ট। সেগুলো কোথায় পাওয়া যাবে? ইট-বালু হাতের কাছেই ছিল বলে সংগ্রহ করা হলো সহজে।
কাজী রোজী, কণ্ঠেই যিনি মুক্তিযোদ্ধা
সেদিন সকালে ভেজা প্রকৃতির রূপ দেখতে দেখতে উপস্থিত হয়েছিলাম কাজী রোজীর ধানমন্ডির বাসায়। দেখে চিনতে পারলেন না। না চেনারই কথা। আগে কোনো দিন পরিচয় হয়নি তো! পরিচয় দিতেই খুশি হয়ে বললেন, ‘জানো, তোমাদের বয়সী ছেলেমেয়েদের সঙ্গে গল্প করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মনে হয় আমিও সেই তরুণ বয়সে আছি।’
ফিলিস্তিনি কবি গাসসান জাকতানের কবিতাশৈলী
গাসসান তাঁর কবিতা রচনার ক্ষেত্রে মাহমুদ দারবিশ দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত। তবে তাঁর প্রভাব খুব একটা সাদাসিধে, সরল বা গল্প বলার ঢঙে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তার চেয়ে আরও গভীর ও জটিল। মাহমুদ দারবিশ ও আদোনিসের মতো খ্যাতিমান পূর্বসূরিদের সুষম নান্দনিকতাকেও ছাড়িয়ে যান গাসসান।
ভাষাপ্রীতি
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লার ছেলে মুহম্মদ তকীয়ূল্লাহ কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি একটা মিছিলের সঙ্গে তোপখানা রোডের গেট দিয়ে সেক্রেটারিয়েটে ঢোকার চেষ্টা করেন। পুলিশের নেতৃত্বে ছিলেন আইজি মি. গফুর। ছাত্ররা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়ে মারছিল। মুহম্মদ তকীয়ূল্লাহ ইটপাটক
ফিলিস্তিনি কবিতার আধুনিকতম বিজ্ঞাপন গাসসান জাকতান
কবির ঘরে যাঁর জন্ম, কবিতার মাঝে যাঁর বসবাস এবং পুরো জীবনটাই যাঁর কবিতার উপাদানে ঠাসা, তিনি কবিতা লিখবেন না, তা কী করে হয়? গাসসান বাবার উত্তরাধিকার-চিন্তা, পড়াশোনা ও লড়াই-সংগ্রামের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে পুরোদস্তুর কবি হয়ে ওঠেন। তা ছিল ফিলিস্তিনি কবিতার নবজাগরণের সময়। প্রতিরোধ সাহিত্যই তখন গাসসানদ
যেভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি যে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, তার পেছনে কানাডাপ্রবাসী দুজন মানুষের অনেক বড় ভূমিকা আছে। তাঁদের একজন হলেন রফিকুল ইসলাম, অন্যজন আব্দুস সালাম। কী আশ্চর্য, দুই ভাষাশহীদের নামেই তাঁদের নাম।
প্রতিবাদ ও স্বপ্ন
কিছুক্ষণের জন্য দ্বিধান্বিত হয়ে গেলেন সুফিয়া ইব্রাহিম। সামনে যমদূতের মতো খাড়া সিটি এসপি মাসুদ মাহমুদ। পারিবারিকভাবে তাঁর সঙ্গে পরিচিত তিনি। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার জন্য সুফিয়া ইব্রাহিম শামিল হয়েছেন, এ কথা সিটি এসপির মাধ্যমে বাড়ি পৌঁছে যেতে দেরি হবে না। কী করবেন এখন তিনি?
পতাকা দিবস
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের ধর্মঘটে পুলিশি নির্যাতন চলেছিল ছাত্রছাত্রীদের ওপর। ১৯৫০ সালে সেই দিবসটি পালন করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে আমতলায় ছাত্রসভা চলছিল। আব্দুল মতিন সভা শুনতে শুনতে সভাপতিকে বললেন, ‘আমি কিছু বলতে চাই।’
ভাষা নিয়ে ভাসা ভাসা কিছু কথা
একসময় বলা হতো, পশুর ডাকের অনুকরণ করতে করতেই মানুষ তার ভাষা রপ্ত করেছে। ‘বৌ-ঔ তত্ত্ব’ নামে তা বিজ্ঞানী মহলে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা বলেন, আগের কালে মানুষ কিছু আওয়াজ করতে শিখেছে পশুদের আদলে। নানা রকম আওয়াজ করে তারা পশুদের তাড়িয়ে দেওয়ার পথ খুঁজত। নানা রকম আওয়াজ করতে করতেই একসময় একেকটা আওয়াজের একেকটা মানে দা
পীরসাহেব
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের কথা বলতে গেলে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের প্রতিবাদের কথা শুরুতেই বলতে হবে। ঢাকায় সেই সাধারণ ধর্মঘট সফল হয়েছিল। শওকত আলী, শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহাদসহ অনেকেই সেদিন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
মোহাম্মদ সুলতান ও পুঁথিপত্র
গাজীউল হক যখন আমতলার সভা থেকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার কথা বললেন, তখন উত্তাল হয়ে উঠেছিল আমতলা। ১০ জন করে এক একটা মিছিল এগিয়ে যেতে থাকল বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের দিকে। এই ছাত্রদের নাম লিখে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল মোহাম্মদ সুলতানের।
ভালোবাসা ভালো
তখন ধূসর চোখের রুমানা উঠতি মডেল। অ্যারোমেটিক সাবানের একটা বিজ্ঞাপনে দেখা যেত তাঁকে। সমুদ্র তীরে আঙুল দিয়ে ‘ভালোবাসা’ লিখছেন তিনি—বিজ্ঞাপনে এমন একটা দৃশ্য আছে। আমি তত দিনে বানান করে পড়তে শিখে গেছি। চোখের সামনে যা পাই, তা-ই পড়ি। স্বভাবতই ওই বিজ্ঞাপন দেখে ‘ভালোবাসা’ শব্দটা পড়ে নিয়েছি। আমার শিশুমনে এতটু
বসন্ত নিয়ে কিছু কথা
বসন্ত নিয়ে আসলে কোনো কথা নেই। থাকা উচিত নয়। কারণ, এটা বসন্তকাল। এ কালে মানুষের মনে দোলা লাগে। দোলা লাগলেই অনুরণন তৈরি হয় মনে কিংবা দেহে। এ কালেই ‘বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ’ উড়ে উড়ে আসে, বিমোহিত করে অকারণে।