আব্দুল মতিন
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের ধর্মঘটে পুলিশি নির্যাতন চলেছিল ছাত্রছাত্রীদের ওপর। ১৯৫০ সালে সেই দিবসটি পালন করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে আমতলায় ছাত্রসভা চলছিল। আব্দুল মতিন সভা শুনতে শুনতে সভাপতিকে বললেন, ‘আমি কিছু বলতে চাই।’
সম্মতি পেয়ে তিনি বললেন, ‘এভাবে সভা করে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা যাবে না। আপনারা আজ যা কিছু করছেন, আর বলছেন, তা সবই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এতে কোনো কাজ হবে না। যদি বাংলা ভাষার দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তবে রাস্তায় আন্দোলনে নামুন। আন্দোলন করতে হলে চাই সংগঠন। আপনারা সংগঠন গড়ে তুলুন।’
শ্রোতাদের চাপে সভার উদ্যোক্তারা তখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি গঠন করলেন। সেখানে আব্দুল মতিনের নাম নেই। শ্রোতাদের চাপে উদ্যোক্তারা আব্দুল মতিনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক করেন।
আব্দুল মতিন তখন কোনো ছাত্র বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ছাত্রদের মধ্যেও তাঁর কোনো প্রভাব ছিল না। তিনি সংগ্রাম কমিটির সভা ডাকলেও কেউ সেই সভায় যোগদান করতেন না। কমিটির কোনো ফান্ড নেই। এ অবস্থায় সংগ্রাম কমিটির নামে আব্দুল মতিন নিজে নিজেই একটি প্রস্তাব গ্রহণ করলেন। প্রস্তাবটি হলো, ‘বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঢাকায় পতাকা দিবস উদ্যাপনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।’ প্রস্তাবটি নিয়ে তিনি অবজারভার অফিসে পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব জামাল জাহেদীকে দিলেন। জাহেদী জিজ্ঞেস করলেন, ‘মিটিং হয়েছে তো?’ আব্দুল মতিন চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে বললেন, ‘জি হ্যাঁ।’ পরদিন প্রস্তাবটি বক্স করে অবজারভারের প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হলো।
এরপর প্রেস থেকে ব্যাজ ছাপিয়ে, টিনের কৌটা তৈরি করে সচিবালয়ের সামনে আর্থিক সাহায্যের জন্য দাঁড়ালেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাহায্য করলেন। নয় শ টাকা উঠল। তা দিয়ে পালন করা হলো পতাকা দিবস। আব্দুল মতিন সংগ্রামে শরিক থেকে হয়ে উঠলেন ভাষা মতিন।
সূত্র: আব্দুল মতিন, একুশের স্মারকগ্রন্থ সাতাশি, পৃষ্ঠা ১১-১২
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের ধর্মঘটে পুলিশি নির্যাতন চলেছিল ছাত্রছাত্রীদের ওপর। ১৯৫০ সালে সেই দিবসটি পালন করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে আমতলায় ছাত্রসভা চলছিল। আব্দুল মতিন সভা শুনতে শুনতে সভাপতিকে বললেন, ‘আমি কিছু বলতে চাই।’
সম্মতি পেয়ে তিনি বললেন, ‘এভাবে সভা করে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা যাবে না। আপনারা আজ যা কিছু করছেন, আর বলছেন, তা সবই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এতে কোনো কাজ হবে না। যদি বাংলা ভাষার দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তবে রাস্তায় আন্দোলনে নামুন। আন্দোলন করতে হলে চাই সংগঠন। আপনারা সংগঠন গড়ে তুলুন।’
শ্রোতাদের চাপে সভার উদ্যোক্তারা তখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি গঠন করলেন। সেখানে আব্দুল মতিনের নাম নেই। শ্রোতাদের চাপে উদ্যোক্তারা আব্দুল মতিনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক করেন।
আব্দুল মতিন তখন কোনো ছাত্র বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ছাত্রদের মধ্যেও তাঁর কোনো প্রভাব ছিল না। তিনি সংগ্রাম কমিটির সভা ডাকলেও কেউ সেই সভায় যোগদান করতেন না। কমিটির কোনো ফান্ড নেই। এ অবস্থায় সংগ্রাম কমিটির নামে আব্দুল মতিন নিজে নিজেই একটি প্রস্তাব গ্রহণ করলেন। প্রস্তাবটি হলো, ‘বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঢাকায় পতাকা দিবস উদ্যাপনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।’ প্রস্তাবটি নিয়ে তিনি অবজারভার অফিসে পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব জামাল জাহেদীকে দিলেন। জাহেদী জিজ্ঞেস করলেন, ‘মিটিং হয়েছে তো?’ আব্দুল মতিন চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে বললেন, ‘জি হ্যাঁ।’ পরদিন প্রস্তাবটি বক্স করে অবজারভারের প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হলো।
এরপর প্রেস থেকে ব্যাজ ছাপিয়ে, টিনের কৌটা তৈরি করে সচিবালয়ের সামনে আর্থিক সাহায্যের জন্য দাঁড়ালেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাহায্য করলেন। নয় শ টাকা উঠল। তা দিয়ে পালন করা হলো পতাকা দিবস। আব্দুল মতিন সংগ্রামে শরিক থেকে হয়ে উঠলেন ভাষা মতিন।
সূত্র: আব্দুল মতিন, একুশের স্মারকগ্রন্থ সাতাশি, পৃষ্ঠা ১১-১২
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৬ ঘণ্টা আগে