রজত কান্তি রায়, ঢাকা
বসন্ত নিয়ে আসলে কোনো কথা নেই। থাকা উচিত নয়। কারণ, এটা বসন্তকাল। এ কালে মানুষের মনে দোলা লাগে। দোলা লাগলেই অনুরণন তৈরি হয় মনে কিংবা দেহে। এ কালেই ‘বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ’ উড়ে উড়ে আসে, বিমোহিত করে অকারণে।
বসন্ত এলেই মনে পড়ে যায় কিশোর বয়সে শোনা সেই সব ছড়া। সেই যে—
‘গাছের পাতা নড়েচড়ে
তোমার কথা মনে পড়ে।’
কিংবা—
‘তেঁতুল গাছে তেঁতুল ধরে
তেঁতুল বড় টক
তোমার সঙ্গে প্রেম করিতে
আমার বড় শখ।’
অথবা মনে পড়ে—
‘কোথায় পাব কলসি কন্যা
কোথায় পাব দড়ি
তুমি হও গহিন গাঙ
আমি ডুইব্যা মরি।’
কিন্তু বসন্তেই কেন এই অদ্ভুত মানসিক অবস্থা তৈরি হয়, সেটা একটা প্রশ্ন বটে। খুব সম্ভবত দীর্ঘ শীতের পর প্রকৃতি একটু উষ্ণতা নিয়ে আসে। সে উষ্ণতার প্রথম দিনটিতেই বসন্তের শুরু। ফলে এ দিন মানুষ উদ্দীপ্ত থাকে, একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানায়, একটু পানভোজন করে, উৎসব করে। এ উৎসবের কারণেই হয়তো মানুষ বসন্তের মাতাল সমীরণে বনে যায়। মূল কথা হলো, শীতের স্যাডিস্ট আবহাওয়া থেকে মানুষ বসন্তেই মুক্তি পায়। তাই তার আনন্দ। কিন্তু বসন্ত শব্দটির অর্থ কী?
কোথাও তার কোনো উত্তর নেই। বসন্ত শব্দটি নিয়ে অনেক কেজি কাগজ ব্যয় করা হলেও তার অর্থ পাওয়া যায় না। প্রায় সবাই তার বৈশিষ্ট্যগত তথ্য দিয়ে গেছেন। এমনকি হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বৈশিষ্ট্যগত তথ্য দিয়েছেন। তবে তিনি একটু এগিয়ে বলেছেন অন্যদের চেয়ে। ‘বঙ্গীয় শব্দকোষে’ বসন্তের অর্থ হিসেবে বলেছেন, ‘যাহাতে কামের বাস।’ আরও বলেছেন, এর অন্য অর্থ হচ্ছে ‘কামসখ’। ‘সুহৃদঃ পশ্য বসন্ত কিং স্থিতম্।’ এই সংস্কৃত বাক্যটি উল্লেখ করে হরিচরণ বোঝাতে চেয়েছেন, বসন্ত শব্দটির যোগাযোগ আছে হৃদয়ের সঙ্গে। তাই এটি ইন্দ্রিয়জাত বা ইন্দ্রিয়জ, কাম উদ্ভূত।
তাই বসন্তের একটি সমার্থক শব্দ কামদেব, যা এই উপমহাদেশে প্রেমের দেবতা। এই দেবতার কাজ মানুষসহ পৃথিবীর প্রাণিজগতে প্রমভাবের জন্ম দেওয়া। সম্মোহন, উন্মাদন, শোষণ, তাপন, স্তম্ভন—এই পাঁচটি শর দিয়ে শোভিত কামদেব। অরবিন্দ, অশোক, আম্র, নবমল্লিকা বা শিরীষ ও নীলোৎপল—এই পাঁচ ফুল পাঁচটি শরের প্রতীক। খেয়াল করলেই দেখবেন, এই ফুলগুলো সব বসন্তকালেই ফোটে।
বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে এবার? বসন্ত শব্দটির অর্থ যাই হোক, এটি প্রেমের ঋতু। ভালোবাসার ঋতু। অর্থ খোঁজার কাজ করুক যাদের দরকার, তারা। আমরা কেবল প্রেমে ভাসে যাই।
আরও পড়ুন:
বসন্ত নিয়ে আসলে কোনো কথা নেই। থাকা উচিত নয়। কারণ, এটা বসন্তকাল। এ কালে মানুষের মনে দোলা লাগে। দোলা লাগলেই অনুরণন তৈরি হয় মনে কিংবা দেহে। এ কালেই ‘বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ’ উড়ে উড়ে আসে, বিমোহিত করে অকারণে।
বসন্ত এলেই মনে পড়ে যায় কিশোর বয়সে শোনা সেই সব ছড়া। সেই যে—
‘গাছের পাতা নড়েচড়ে
তোমার কথা মনে পড়ে।’
কিংবা—
‘তেঁতুল গাছে তেঁতুল ধরে
তেঁতুল বড় টক
তোমার সঙ্গে প্রেম করিতে
আমার বড় শখ।’
অথবা মনে পড়ে—
‘কোথায় পাব কলসি কন্যা
কোথায় পাব দড়ি
তুমি হও গহিন গাঙ
আমি ডুইব্যা মরি।’
কিন্তু বসন্তেই কেন এই অদ্ভুত মানসিক অবস্থা তৈরি হয়, সেটা একটা প্রশ্ন বটে। খুব সম্ভবত দীর্ঘ শীতের পর প্রকৃতি একটু উষ্ণতা নিয়ে আসে। সে উষ্ণতার প্রথম দিনটিতেই বসন্তের শুরু। ফলে এ দিন মানুষ উদ্দীপ্ত থাকে, একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানায়, একটু পানভোজন করে, উৎসব করে। এ উৎসবের কারণেই হয়তো মানুষ বসন্তের মাতাল সমীরণে বনে যায়। মূল কথা হলো, শীতের স্যাডিস্ট আবহাওয়া থেকে মানুষ বসন্তেই মুক্তি পায়। তাই তার আনন্দ। কিন্তু বসন্ত শব্দটির অর্থ কী?
কোথাও তার কোনো উত্তর নেই। বসন্ত শব্দটি নিয়ে অনেক কেজি কাগজ ব্যয় করা হলেও তার অর্থ পাওয়া যায় না। প্রায় সবাই তার বৈশিষ্ট্যগত তথ্য দিয়ে গেছেন। এমনকি হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বৈশিষ্ট্যগত তথ্য দিয়েছেন। তবে তিনি একটু এগিয়ে বলেছেন অন্যদের চেয়ে। ‘বঙ্গীয় শব্দকোষে’ বসন্তের অর্থ হিসেবে বলেছেন, ‘যাহাতে কামের বাস।’ আরও বলেছেন, এর অন্য অর্থ হচ্ছে ‘কামসখ’। ‘সুহৃদঃ পশ্য বসন্ত কিং স্থিতম্।’ এই সংস্কৃত বাক্যটি উল্লেখ করে হরিচরণ বোঝাতে চেয়েছেন, বসন্ত শব্দটির যোগাযোগ আছে হৃদয়ের সঙ্গে। তাই এটি ইন্দ্রিয়জাত বা ইন্দ্রিয়জ, কাম উদ্ভূত।
তাই বসন্তের একটি সমার্থক শব্দ কামদেব, যা এই উপমহাদেশে প্রেমের দেবতা। এই দেবতার কাজ মানুষসহ পৃথিবীর প্রাণিজগতে প্রমভাবের জন্ম দেওয়া। সম্মোহন, উন্মাদন, শোষণ, তাপন, স্তম্ভন—এই পাঁচটি শর দিয়ে শোভিত কামদেব। অরবিন্দ, অশোক, আম্র, নবমল্লিকা বা শিরীষ ও নীলোৎপল—এই পাঁচ ফুল পাঁচটি শরের প্রতীক। খেয়াল করলেই দেখবেন, এই ফুলগুলো সব বসন্তকালেই ফোটে।
বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে এবার? বসন্ত শব্দটির অর্থ যাই হোক, এটি প্রেমের ঋতু। ভালোবাসার ঋতু। অর্থ খোঁজার কাজ করুক যাদের দরকার, তারা। আমরা কেবল প্রেমে ভাসে যাই।
আরও পড়ুন:
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৯ ঘণ্টা আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৩ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৪ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫ দিন আগে