মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
সোশ্যাল মিডিয়া
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
আড্ডা
বাবা
দারুণ একরোখা মানুষ ছিলেন সলিল চৌধুরীর বাবা। করতেন ডাক্তারি। সাহেবদের সঙ্গে যুদ্ধ করতেন গরিবের জন্য ভালো ওষুধ আনানোর জন্য। জীবনসংগ্রামে অতিষ্ঠ হয়ে মাঝে মাঝে ছেলেমেয়েদের ডেকে বলতেন, ‘কবে তোরা বড় হবি, মানুষ হবি
লালনের মতো এক শ ষোলো বছর
২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ছিল সৈয়দ শামসুল হকের ৮০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান। জাতীয় জাদুঘরের খোলা চত্বরে তা উদ্যাপন করল কবিতা পরিষদ। সৈয়দ হক সেখানে পড়লেন ‘দৃষ্টিভূমিতে দীর্ঘছায়া’। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তিনি পড়লেন। সে লেখায় উঠে এল দেশ, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য, আশা, স্বপ্ন। কবি রফিক আজাদ ব
লিলির প্রতি প্রেম
লিলি ল্যাংট্রি ছিলেন বিখ্যাত অভিনয়শিল্পী। তাঁর রূপের খ্যাতি ছিল। একদিন অস্কার ওয়াইল্ড এসেছেন বিখ্যাত শিল্পী ফ্রাংক মাইলসের স্টুডিওতে। সেখানেই তিনি দেখলেন অনন্যসাধারণ সুন্দরী লিলিকে। সালিসবাড়ি স্ট্রিটের যে বাড়িটায় থাকতেন ওয়াইল্ড, সেই বাড়ির ওপরতলায় থাকতেন বন্ধু ফ্রাংক। অসাধারণ পেনসিল স্কেচ করতেন তিনি।
সাহিত্যের পথে
লেখালেখি ও রাজনীতি একসঙ্গে চলছিল। এ সময় একদিন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় গেলেন সিউড়ীতে। কংগ্রেসের কাজে। সেখানে এক উকিলবাড়িতে পেলেন মলাট ছেঁড়া ‘কালি ও কলম’। আলোটা বাড়িয়ে অদ্ভুত নামের অদ্ভুত এক লেখা পড়ল তাঁর চোখে। লেখকের নাম ‘শ্রীপ্রেমেন্দ্র মিত্র’। লেখার নাম ‘পোনাঘাট পেরিয়ে’। অপূর্ব লাগল গল্পটা। এরপর আ
নভেরার শর্ত
ক্যাম্বারওয়েল স্কুলে পড়ছিলেন যখন, তখন ফ্লোরেন্সে গিয়েছিলেন নভেরা। সেটা ১৯৫৪ সালের ৩ জানুয়ারি। গিয়েছিলেন হামিদুর রহমানের সঙ্গে। হামিদুর রহমান ছিলেন শিল্পী আমিনুল ইসলামের সহপাঠী।
একই সমতলে
পল এঙ্গেলের আমন্ত্রণে সোজা আইওয়ায় উড়ে এসেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। দেড় দিনে পাড়ি দিয়েছেন পথটা। আইওয়া তখন একটা বর্ধিষ্ণু গ্রামের মতো। কপর্দকহীন সুনীলকে প্লেন থেকে নামিয়ে ভরপেট খাইয়ে একটা অ্যাপার্টমেন্ট ঠিক করে দিয়ে তবেই সাঙ্গ হলো পল এঙ্গেলের কাজ।
বাঁচা
আলী যাকের সীমান্তের দিকে রওনা হয়েছিলেন ১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল। সীমান্তের পার্শ্ববর্তী এলাকা ‘বেজোড়া’র উদ্দেশ্যে তাঁদের এই যাত্রা। গ্রামের কাঁচা রাস্তা, খেতের আল দিয়ে হেঁটে তাঁরা পৌঁছে যান কোম্পানীগঞ্জ বাজারে।
শঙ্খ ঘোষের ভুবন
যখন কৃত্তিবাস পত্রিকা প্রকাশিত হলো, তখন দেখা গেল প্রথম সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায় যে মানুষটির কবিতা ছাপা হয়েছে, তাঁর নাম শঙ্খ ঘোষ। শঙ্খ ঘোষ ঠিক কৃত্তিবাসের তরুণ কবিদের মতো ছিলেন না।
ঘাম দিয়ে সারল জ্বর
কৃষ্ণনগর ছিল খুব স্বাস্থ্যকর জায়গা। ছেলেবেলায় সেই অঞ্চলে প্রমথ চৌধুরী সপরিবারে ছিলেন প্রায় পাঁচ বছর। ১৮৮০ সালে কৃষ্ণনগরে হলো ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। বাড়ির সবাইকে ধরল সেই অসুখ। শুধু মা আর প্রমথ ছাড়া পরিবারের সবাই জ্বরে ভুগলেন। ১৮৮১ সালে ম্যালেরিয়া হয়ে উঠল ভয়াবহ। প্রতিদিন সেখানে ২০-৩০ জন মানুষ মারা যেতে ল
ঘরই যাঁর নিজের জগৎ
নাগিব মাহফুজের বাঁচার ধরনটা তিনি নিজেই তৈরি করেছিলেন। সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত অফিস করতেন। এরপর চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত লিখতেন। সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত পড়াশোনা করতেন। এই রুটিনের কোনো হেরফের হতো না। সপ্তাহে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিনই এই ছিল তাঁর জীবনধারা।
ক্যারল আর এলিস
শিশুসাহিত্যের অনুরাগী অথচ ‘আজব দেশে এলিস’ পড়েনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ইদানীং হয়তো নতুন নতুন লেখার ভিড়ে নতুন দিনের শিশুরা অন্য ধরনের বইয়ে আকৃষ্ট হয়, কিন্তু যুগের পর যুগ ধরে লুইস ক্যারলের অনবদ্য সৃষ্টি ‘এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ পাঠকের মনের খিদে মিটিয়েছে।
একটি ছাতা ও প্রতিশ্রুতি
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ আর ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার ছিলেন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের পুরোনো সহপাঠী। দুজনের মধ্যে মিল ছিল খুব। কোনো এক শনিবারে ড. কাজী মোতাহার হোসেন (তখন তিনি অর্ধেক ছাত্র, অর্ধেক শিক্ষক) গিয়েছিলেন মুন্সিগঞ্জে নিমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা করতে...
‘সত্যজিৎকে কথা দিয়েছি’
রমা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। বিভূতির সঙ্গে রমার বয়সের পার্থক্য ছিল উনত্রিশ বছর। রমাই দিয়েছিলেন বিয়ের প্রস্তাব। বয়সের ব্যবধানের কারণে বিভূতি ইতস্তত করছিলেন, সময় চাইছিলেন এবং রমাকে বোঝাতে চাইছিলেন বয়সের তফাতটা।
মৃত্যুর পর শোকসভায় যা বলা হবে...
অসুস্থ হওয়ার আগে আনিসুজ্জামান প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো সভায় সভাপতিত্ব করতেন। কারও অনুরোধ তিনি ফেলতে পারতেন না। কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয় যে তিনি সবখানে গিয়ে শুধু একই কথার পুনরাবৃত্তি করতেন
আতার বিচি
১৯৪১ সালে জাপানি বোমার কয়েকটি পড়েছিল কলকাতায়। কলকাতা শহর খালি করে বাবু আর মিয়ারা সবাই নিজ নিজ গ্রামে চলে যাচ্ছিল তখন। একটি অফিসে তখন যোগ দিলেন যুবক কামরুল হাসান।
মনের রাগ আর সংগীতের রাগ
ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর বড় ভাই ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ যখন মাইহারে ছিলেন, তখন তিনি চিঠি পাঠিয়ে ছোট ভাইকে নিজের কাছে নিয়ে যান। সেখানে কয়েক বছর তালিম দেন। এরপর তিনি ছোট ভাইকে বলেন, ‘গুরু ওয়াজির খাঁর কাছে যাও, সেখানে হবে তোমার পরবর্তী তালিম।’
মুক্তপুরুষ
সৈয়দ মুজতবা আলী দুজন মানুষকে মুক্তপুরুষ ভাবতেন। তাঁদের একজন হলেন রবীন্দ্রনাথের সবচেয়ে বড় ভাই দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। কেন তা মনে করতেন? তার বড় একটা কারণ হলো, তাঁর জীবনে কিছুই ঘটেনি। কিন্তু এটাও তো সত্য, যখন কেউ একজন বলেছিল, বাংলায় মন্দাক্রান্তা ছন্দে লেখা যায় না, তখন তিনিই তো কোনো কিছু চিন্তা না করে লি