সম্পাদকীয়
লিলি ল্যাংট্রি ছিলেন বিখ্যাত অভিনয়শিল্পী। তাঁর রূপের খ্যাতি ছিল। একদিন অস্কার ওয়াইল্ড এসেছেন বিখ্যাত শিল্পী ফ্রাংক মাইলসের স্টুডিওতে। সেখানেই তিনি দেখলেন অনন্যসাধারণ সুন্দরী লিলিকে। সালিসবাড়ি স্ট্রিটের যে বাড়িটায় থাকতেন ওয়াইল্ড, সেই বাড়ির ওপরতলায় থাকতেন বন্ধু ফ্রাংক। অসাধারণ পেনসিল স্কেচ করতেন তিনি।
বিভিন্ন ভঙ্গিতে লিলির স্কেচ এঁকে তিনি ছড়িয়ে দিতেন। তাঁর আঁকা লিলির স্কেচ সে সময় পাওয়া যেত সব মনিহারি দোকানে।
লিলিকে দেখে নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন অস্কার। তাঁর কাছে ভেনাস ডি মেলোর চেয়েও সুন্দরী মনে হলো লিলিকে। লিলি বিয়ে করেছিলেন বেলফাস্টের বয়স্ক বিপত্নীক মি. ল্যাংট্রিকে। কিন্তু যিনি ভেনাস ডি মেলোর চেয়ে রূপসী, তাঁর রূপের খ্যাতি কি পুরো লন্ডনে ছড়িয়ে দিতে হবে না? এ রকম এক উচ্ছ্বাস নিয়েই ফ্রাংক মাইলস একদিন বলে উঠলেন, ‘আমি আমার পেনসিলে, অস্কার তার কলমে লিলিকে জোকান্দা ও লরা বানিয়ে তুলব।’
অস্কারের তখন একটু একটু নাম হয়েছে। লিলির উদ্দেশে তিনি লিখলেন কবিতা। ‘নিউ হেলেন’ নামে কবিতা। আবার লিখলেন, ‘হেলেনের প্রতি, আগে যিনি ছিলেন ট্রয়ে,
বর্তমানে লন্ডনে।’
লিলি মজলেন অস্কারে। গভীর হয়ে উঠল তাঁদের প্রেম। সারা বসন্তকাল ঘুরে বেড়ালেন তাঁরা। কিন্তু অস্কারের সব চেষ্টা বৃথা গেল একটিমাত্র কারণে। শিল্প বিষয়ে লিলির একেবারেই আগ্রহ নেই। লিলি যে আত্মজীবনী লিখেছেন, তাতে তিনি বলছেন, ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমার বাড়ির পথে ঘুরে অস্কার কবিতা লিখতেন। একদিন ক্লান্ত হয়ে আমার বাড়ির দোরগোড়ায় কুণ্ডলী পাকিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। অনেক রাতে ফিরতেন মি. ল্যাংট্রি। তিনি ঘুমন্ত অস্কারকে ডিঙিয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন।’
শিল্পের সঙ্গে বোঝাপড়া নেই বলেই কি লিলি আর অস্কারের প্রেমের অবসান ঘটল? সেটা অবশ্য এখন কেউ আর ব্যাখ্যা করে বলতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, বলে রাখা ভালো, এই অনিন্দ্যসুন্দর রূপসীর প্রেমিক ছিলেন প্রিন্স অব ওয়েলসও, যিনি সপ্তম এডওয়ার্ড নামে আছেন ইতিহাস বইয়ে।
সূত্র: ভবানী মুখোপাধ্যায়, অস্কার ওয়াইল্ড জীবনী ও সাহিত্য, পৃষ্ঠা ২৬-২৭
লিলি ল্যাংট্রি ছিলেন বিখ্যাত অভিনয়শিল্পী। তাঁর রূপের খ্যাতি ছিল। একদিন অস্কার ওয়াইল্ড এসেছেন বিখ্যাত শিল্পী ফ্রাংক মাইলসের স্টুডিওতে। সেখানেই তিনি দেখলেন অনন্যসাধারণ সুন্দরী লিলিকে। সালিসবাড়ি স্ট্রিটের যে বাড়িটায় থাকতেন ওয়াইল্ড, সেই বাড়ির ওপরতলায় থাকতেন বন্ধু ফ্রাংক। অসাধারণ পেনসিল স্কেচ করতেন তিনি।
বিভিন্ন ভঙ্গিতে লিলির স্কেচ এঁকে তিনি ছড়িয়ে দিতেন। তাঁর আঁকা লিলির স্কেচ সে সময় পাওয়া যেত সব মনিহারি দোকানে।
লিলিকে দেখে নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন অস্কার। তাঁর কাছে ভেনাস ডি মেলোর চেয়েও সুন্দরী মনে হলো লিলিকে। লিলি বিয়ে করেছিলেন বেলফাস্টের বয়স্ক বিপত্নীক মি. ল্যাংট্রিকে। কিন্তু যিনি ভেনাস ডি মেলোর চেয়ে রূপসী, তাঁর রূপের খ্যাতি কি পুরো লন্ডনে ছড়িয়ে দিতে হবে না? এ রকম এক উচ্ছ্বাস নিয়েই ফ্রাংক মাইলস একদিন বলে উঠলেন, ‘আমি আমার পেনসিলে, অস্কার তার কলমে লিলিকে জোকান্দা ও লরা বানিয়ে তুলব।’
অস্কারের তখন একটু একটু নাম হয়েছে। লিলির উদ্দেশে তিনি লিখলেন কবিতা। ‘নিউ হেলেন’ নামে কবিতা। আবার লিখলেন, ‘হেলেনের প্রতি, আগে যিনি ছিলেন ট্রয়ে,
বর্তমানে লন্ডনে।’
লিলি মজলেন অস্কারে। গভীর হয়ে উঠল তাঁদের প্রেম। সারা বসন্তকাল ঘুরে বেড়ালেন তাঁরা। কিন্তু অস্কারের সব চেষ্টা বৃথা গেল একটিমাত্র কারণে। শিল্প বিষয়ে লিলির একেবারেই আগ্রহ নেই। লিলি যে আত্মজীবনী লিখেছেন, তাতে তিনি বলছেন, ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমার বাড়ির পথে ঘুরে অস্কার কবিতা লিখতেন। একদিন ক্লান্ত হয়ে আমার বাড়ির দোরগোড়ায় কুণ্ডলী পাকিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। অনেক রাতে ফিরতেন মি. ল্যাংট্রি। তিনি ঘুমন্ত অস্কারকে ডিঙিয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন।’
শিল্পের সঙ্গে বোঝাপড়া নেই বলেই কি লিলি আর অস্কারের প্রেমের অবসান ঘটল? সেটা অবশ্য এখন কেউ আর ব্যাখ্যা করে বলতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, বলে রাখা ভালো, এই অনিন্দ্যসুন্দর রূপসীর প্রেমিক ছিলেন প্রিন্স অব ওয়েলসও, যিনি সপ্তম এডওয়ার্ড নামে আছেন ইতিহাস বইয়ে।
সূত্র: ভবানী মুখোপাধ্যায়, অস্কার ওয়াইল্ড জীবনী ও সাহিত্য, পৃষ্ঠা ২৬-২৭
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৫ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৭ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে