সম্পাদকীয়
পল এঙ্গেলের আমন্ত্রণে সোজা আইওয়ায় উড়ে এসেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। দেড় দিনে পাড়ি দিয়েছেন পথটা। আইওয়া তখন একটা বর্ধিষ্ণু গ্রামের মতো। কপর্দকহীন সুনীলকে প্লেন থেকে নামিয়ে ভরপেট খাইয়ে একটা অ্যাপার্টমেন্ট ঠিক করে দিয়ে তবেই সাঙ্গ হলো পল এঙ্গেলের কাজ।
সুনীল যুক্তরাষ্ট্রকে দেখেছেন সিনেমার চোখে—মদ খেয়ে মাতলামি, কথায় কথায় ছুরি-বন্দুক বের করা কিংবা এক নারীকে নিয়ে দুই পুরুষের টানাহ্যাঁচড়া! এখানে মূলত সেই চাষারা বসবাস করে, যারা বড়লোক, যাদের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ আছে। কোথাও যেতে হলে তারা গাড়িতে নয়, উঠে পড়ে উড়োজাহাজে।
আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক শহর। একদিন সুনীলের বাড়িতে চার-পাঁচজন যুবক-যুবতী আড্ডা দিতে এলেন। সন্ধ্যার পর যখন তাঁরা চলে গেলেন, তখন সুনীল দেখলেন, একজন একটা বই ফেলে গেছেন। বইটি লাইব্রেরি থেকে নেওয়া, মলিয়েরের নাট্য-সংগ্রহ। মূল ফরাসিতে।
দুদিন পর এক নারীকণ্ঠ। ‘গত পরশু আমার বন্ধু ডোরির সঙ্গে তোমার বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমি কি তোমার বাড়িতে কোনো বই ফেলে এসেছি? বইটা আমার খুব দরকার। এক্ষুনি তোমার বাড়ি এসে বইটা কি নিতে পারি?’
সুনীল বললেন, ‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই।’
দীর্ঘাঙ্গী তরুণীটি এলেন। হাতে শিশিরভেজা সাদালিলি ফুল।
‘সুনীল, আমার নাম মার্গারিটা ম্যাতিউ। সেদিন তোমার ঘরে কোনো ফুল দেখিনি। আর্ট ডিপার্টমেন্টের বাগান থেকে চুরি করে নিয়ে এলাম।’
বই নিয়েই চলে গেল মেয়েটা। একদিন প্রশস্ত নদীর পাড় দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সুনীল দেখতে পেলেন মেয়েটাকে। মার্গারিটা তাঁকে দেখলেন না। মেয়েটাকে দেখবেন বলে সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে গিয়ে বসে থাকলেন কয়েক দিন। একদিন দেখা পেয়ে গেলেন।
অনেক কথার পর একদিন মার্গারিটা বললেন, ‘তোমায় একটা সত্য বলি। প্রথম দিন আমি বইটা ইচ্ছে করেই ফেলে গিয়েছিলাম, আবার যেন এখানে আসতে পারি ভেবে।’
সুনীল বললেন, ‘আমিও একটা সত্য কথা বলি। গত চার-পাঁচ দিন আমি শুধু লাইব্রেরির সামনে ঘোরাঘুরি করেছি তোমার দেখা পাওয়ার জন্য।’
সূত্র: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, ছবির দেশে কবিতার দেশে, পৃষ্ঠা ২৪-৩০
পল এঙ্গেলের আমন্ত্রণে সোজা আইওয়ায় উড়ে এসেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। দেড় দিনে পাড়ি দিয়েছেন পথটা। আইওয়া তখন একটা বর্ধিষ্ণু গ্রামের মতো। কপর্দকহীন সুনীলকে প্লেন থেকে নামিয়ে ভরপেট খাইয়ে একটা অ্যাপার্টমেন্ট ঠিক করে দিয়ে তবেই সাঙ্গ হলো পল এঙ্গেলের কাজ।
সুনীল যুক্তরাষ্ট্রকে দেখেছেন সিনেমার চোখে—মদ খেয়ে মাতলামি, কথায় কথায় ছুরি-বন্দুক বের করা কিংবা এক নারীকে নিয়ে দুই পুরুষের টানাহ্যাঁচড়া! এখানে মূলত সেই চাষারা বসবাস করে, যারা বড়লোক, যাদের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ আছে। কোথাও যেতে হলে তারা গাড়িতে নয়, উঠে পড়ে উড়োজাহাজে।
আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক শহর। একদিন সুনীলের বাড়িতে চার-পাঁচজন যুবক-যুবতী আড্ডা দিতে এলেন। সন্ধ্যার পর যখন তাঁরা চলে গেলেন, তখন সুনীল দেখলেন, একজন একটা বই ফেলে গেছেন। বইটি লাইব্রেরি থেকে নেওয়া, মলিয়েরের নাট্য-সংগ্রহ। মূল ফরাসিতে।
দুদিন পর এক নারীকণ্ঠ। ‘গত পরশু আমার বন্ধু ডোরির সঙ্গে তোমার বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমি কি তোমার বাড়িতে কোনো বই ফেলে এসেছি? বইটা আমার খুব দরকার। এক্ষুনি তোমার বাড়ি এসে বইটা কি নিতে পারি?’
সুনীল বললেন, ‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই।’
দীর্ঘাঙ্গী তরুণীটি এলেন। হাতে শিশিরভেজা সাদালিলি ফুল।
‘সুনীল, আমার নাম মার্গারিটা ম্যাতিউ। সেদিন তোমার ঘরে কোনো ফুল দেখিনি। আর্ট ডিপার্টমেন্টের বাগান থেকে চুরি করে নিয়ে এলাম।’
বই নিয়েই চলে গেল মেয়েটা। একদিন প্রশস্ত নদীর পাড় দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সুনীল দেখতে পেলেন মেয়েটাকে। মার্গারিটা তাঁকে দেখলেন না। মেয়েটাকে দেখবেন বলে সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে গিয়ে বসে থাকলেন কয়েক দিন। একদিন দেখা পেয়ে গেলেন।
অনেক কথার পর একদিন মার্গারিটা বললেন, ‘তোমায় একটা সত্য বলি। প্রথম দিন আমি বইটা ইচ্ছে করেই ফেলে গিয়েছিলাম, আবার যেন এখানে আসতে পারি ভেবে।’
সুনীল বললেন, ‘আমিও একটা সত্য কথা বলি। গত চার-পাঁচ দিন আমি শুধু লাইব্রেরির সামনে ঘোরাঘুরি করেছি তোমার দেখা পাওয়ার জন্য।’
সূত্র: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, ছবির দেশে কবিতার দেশে, পৃষ্ঠা ২৪-৩০
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৪ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৭ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে