রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
সোশ্যাল মিডিয়া
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
আড্ডা
একই সঙ্গে সত্য এবং মিথ্যা
১৯৫৮ সালে আমি লিখেছিলাম—বাস্তব এবং অবাস্তবতার মধ্যে, সত্য এবং মিথ্যার মধ্যে চোখে পড়ার মতো বিরাট কোনো ফারাক নেই। কোনো বিষয়কেই হয় সত্যি, নয় মিথ্যা হতেই হবে—এমনটাও নয়। এমনও হতে পারে, বিষয়টি একই সঙ্গে সত্য এবং মিথ্যা।
জানা ও অজানার মধ্যে মধ্যস্থতা
শব্দ ছিল ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, শব্দটি ছিল সৃষ্টি। কিন্তু মানব সংস্কৃতির শতাব্দীর পর শতাব্দী যেতে ধ্বনি অর্থে রূপ পায়, পার্থিব কিংবা ধর্মীয় সব অর্থে। শব্দ বিশ্বজুড়ে ধ্বনিত হয়, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে হাতে ধরা দেয়। কিন্তু আমার জন্য, আমার ধরনের জন্য একটি বিশেষ রূপান্তরও ঘটে।
ত্রাস-শ্রদ্ধা-বিহ্বলতার অপার মিশ্রণ
সভ্যতার আদি থেকেই মানুষ যা বারবার বলে এসেছে, সে কথাই আজ শুরুতে বলি। ধন্যবাদ আপনাদের! প্রতিটি ভাষাতেই কৃতজ্ঞতার প্রকাশ রয়েছে, নিজের মতো করে। প্রকাশভঙ্গি পৃথক, অর্থের পরিধিও তার বিভিন্ন। রোমান ভাষায় কৃতজ্ঞতাসূচক বাক্য শরীর এবং আত্মাকে ছুঁয়ে থাকে। কখনো তা স্বর্গীয় সৌরভে ভরপুর, আবার কখনো-বা তা মানুষকে ম
আমার বলার কিছু নেই
আমি লিখেছি-পড়েছি, কিন্তু ভাষণ দেওয়া আমার পক্ষে খুবই অস্বস্তিকর। কারণ আমি এতে অভ্যস্ত নই। আমাকে বক্তৃতা দিতে অনুরোধকারীদের সাফ জানিয়ে দিয়েছি, আমার বলার কিছুই নেই। এটাই সত্যি। শুনতে হয়তো খাপছাড়া লাগবে যে, কম-বেশি ৫০ বছর
মানুষ চিরকালই গল্প বলে এসেছে
উনিশ শতকে যেসব উপন্যাস লেখার কাজ শুরু হয়েছিল তা ক্রমেই এগিয়ে যেতে থাকবে। খবরের কাগজ এবং পত্রপত্রিকাগুলো তাকে প্রয়োজনীয় জায়গা দিয়েছে, উপন্যাসকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশও করে গেছে যখন সেসবের খ্যাতি তুঙ্গে ছিল। সেই উপন্যাসের প্রথম দিককার কাজগুলো দ্রুত হয়ে গেছে। পরবর্তী লেখার কাজটি হচ্ছে এখন, উপসংহার কোথায়
আমি দুই সভ্যতার সন্তান
এমন একটি ভাষা থেকে এই বক্তৃতা উঠে আসছে, যা আপনাদের অনেকের কাছেই অজানা। সেই ভাষাটিই হয়তো নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত হলো। এই ভাষার ধ্বনিমাধুর্য এই প্রথম আপনাদের সংস্কৃতি এবং সভ্যতার মরূদ্যানের দিকে বয়ে যাচ্ছে।
এগারো হাজার খচ্চরের গপ্পো
ফ্লোরেন্সের নাবিক আন্তোনিও পিগাফেত্তা বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছিলেন ম্যাগেলানকে সঙ্গে নিয়ে। আমেরিকার দক্ষিণ ভাগের যাত্রার সেই বিবরণ তিনি লিখে রেখে গিয়েছেন। সেই ভ্রমণকথা একদিকে যেমন খুঁটিনাটি তথ্যে ভরা, অন্য দিকে কল্প-অভিযানের মতোই মুচমুচে তার স্বাদ। ওই বিবরণে তিনি লিখেছেন এক বিচিত্রদর্শন বরাহের কাহিনি!
পথ ক্রমেই চওড়া হয়েছে
আজকের এই বক্তৃতা আসলে দীর্ঘ এক যাত্রা; যা সুদূর প্রদেশ এবং পরস্পর বিপরীত মেরুতে অবস্থিত বহু স্থান-কাল-পাত্রকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে এগিয়েছে। ফলে পথ ক্রমেই চওড়া হয়েছে।
আফ্রিকাকে সাহায্য করতে এসেছে
ধুলার মেঘে ঢাকা পথ দেখতে দেখতে অজান্তেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল—এখানে এখনো কিছু বনাঞ্চল অক্ষত রয়ে গেছে। গতকাল আমি কেটে ফেলা গাছের গুঁড়ি এবং আগুনে পোড়া বনের মধ্য দিয়ে মাইলের পর মাইল গাড়ি চালিয়ে এসেছি। ১৯৫৬ সালেও আমার দেখা সবচেয়ে বিস্ময়কর বনভূমি এখানেই ছিল, যার সবই এখন ধ্বংস হয়ে গেছে। মানুষকে তো খেয়ে বাঁচত
এই পুরস্কার গৌরবের
আমার কাজকে শীর্ষতম সম্মানে ভূষিত করার জন্য সুইডিশ একাডেমিকে ধন্যবাদ। এটা ঠিকই যে, অন্য কৃতী লেখকদের টপকে আমাকে এই সম্মান দেওয়া নিয়ে আমার নিজের মনেই এখনো সংশয় রয়েছে। সেই সব লেখককে টপকে, যাঁদের আমি অত্যন্ত সম্মান ও সম্ভ্রম করি। কিন্তু এটাও তো বলতেই হবে, এই পুরস্কার আমার কাছেও গৌরবের এবং আনন্দের।
স্বেদ-যন্ত্রণা সুসাহিত্যের জন্ম দেয়
আমি মনে করি, ব্যক্তি আমিকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না, দেওয়া হচ্ছে আমার কাজকে। গোটা জীবন ধরে করা কাজ, মানবাত্মার স্বেদ ও যন্ত্রণার মধ্য থেকে উঠে আসা কাজ, যার উদ্দেশ্য কোনো লাভ বা গৌরব অর্জন নয়। যার লক্ষ্য মানবাত্মার টুকরো-টাকরো কুড়িয়ে এমন কিছু সৃষ্টি করা, যা আগে ছিল না। ফলে এই পুরস্কার সম্পর্কে আমার
কবি পরিচয় দিতে লজ্জা!
বলা হয়ে থাকে বক্তৃতার প্রথম বাক্যটি বলা সবচেয়ে কঠিন। সে ক্ষেত্রে এটাই বলার যে প্রথম বাক্যটি ইতিমধ্যেই আমি পেছনে ফেলে এলাম। কিন্তু আমার ধারণা, এর পরে যেসব বাক্য আমায় বলতে হবে, তৃতীয়, ষষ্ঠ, দশম এবং তারপর আরও একদম শেষ লাইন পর্যন্ত—সেগুলো তৈরি করাও খুব সহজ কাজ নয়। কারণ, আমি কবিতা নিয়ে কথা বলব। এ ব্যাপার
লেখক ও বাগ্মী আলাদা
...আমি যে কতটা উন্মুখ ছিলাম আজকের দিনটির জন্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সমস্যা হলো, পরম সত্যবহ এই মুহূর্তটিকে ব্যাখ্যা করে বলার মতো ভাষা আমার নেই। জন্মসূত্রে বাকপটু নয়, এমন একজন মানুষের যেমনটা হওয়ার কথা আর কি!
আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে
আপনারা অনেকেই জানেন যে সাধারণত আমি কোনো সম্মান বা পুরস্কার গ্রহণ করি না। অন্তত একজন ফরাসি হিসেবে যেগুলো আমি ফ্রান্স থেকে পাব বলে জানি, সেগুলো তো নয়ই। কিন্তু আজ এ কথা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই
‘তুমি এখন কী কর’ প্রশ্নে বিব্রত বিশ্ববিদ্যালয় পাস বেকারেরা
‘খুব বাড়ি যেতে ইচ্ছা করলেও যাই না। বাড়ি গেলে এলাকার লোকজন, আত্মীয়-স্বজনেরা জিজ্ঞেস করে, কী করি এখন? উত্তর দিতে পারি না। এলাকার দু-একজনের চাকরি হলে, সেটা আবার বাড়ির লোকজনই শোনায়। পরিবারটাকে অপরিচিত লাগে তখন, হতাশ লাগে!’
আমার মাথায় মুকুট পরানো হয়েছে
এই অপূর্ব মর্যাদার সামনে দাঁড়িয়ে কী করতে পারি আজ আমি? আমার পা যেন আর মাটিতে গাঁথা নেই। আকাশে উড়ছে আর মাথা ঘুরছে বনবন করে। নিজেকে নিজের মধ্যে ধরে রাখা সহজ নয় এখন।
উদ্বুদ্ধ করার মতো উদাহরণ
আজ সুইডেন সুদূর লাতিন আমেরিকার দিকে ফিরেছে, দেশটির সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্বকারী একজনকে সম্মান দেখানোর উদ্দেশ্যে। চিলির গণতন্ত্রে লালিত একজন হিসেবে আমার সামনে সুইডিশ গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধি দেখতে পাই, যার মৌলিকতা সমাজের অত্যন্ত মূল্যবান সৃষ্টি কাঠামোর মধ্যে বিরতিহীনভাবে নিজেকে নবায়ন করে চলেছে।