রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
সোশ্যাল মিডিয়া
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
আড্ডা
একজন নির্জন একাকী মানুষ
আমাদের ভয়াবহ সব দোষ, বিচ্যুতি ও ব্যর্থতাকে তুলে ধরা এবং অন্ধকার ও বিপৎসংকুল সব স্বপ্নকে আলোর পথে নিয়ে আসা লেখকের দায়িত্ব। তা ছাড়া মানুষের মহানুভবতা, আত্মশক্তি, পরাজয়ের মধ্যেও বীরত্বটুকু ধরে রাখা, প্রেম, সহানুভূতি ও সাহস উদযাপন করার দায় বর্তায় লেখকের কাঁধে। দুর্বলতা ও হতাশার বিরুদ্ধে নিরন্তর যুদ্ধে ত
একজন কবি ও লেখকের দায়িত্ব
যতক্ষণ না এই ভালোবাসা, ত্যাগ, সম্মান, গর্ব ও সহমর্মিতার বিষয়গুলোয় অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারছেন একজন লেখক, ততক্ষণ তাঁকে হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে মানুষের শেষ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। আমি মানবের মৃত্যুকে মেনে নিতে চাই না। সব বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে
আকর্ষণের নানা মাত্রা
বহু বহু বছর আগে কবি ব্রডস্কির সঙ্গে তাঁদের মুখোমুখি দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিল। খেয়াল করেছিলাম, যতজন কবিকে আমি চিনি, তার মধ্যে একমাত্র তিনিই নিজেকে সগৌরবে এবং সানন্দে কবি বলে উল্লেখ করছেন।
বুদ্ধিমত্তা ও হৃদয়বেত্তার প্রতীক
অনেক বছর পর স্টকহোমের এই আন্তর্জাতিক পুরস্কারটি আরও একবার জার্মান মননকে দেওয়া হচ্ছে, বিশেষভাবে বললে বলা যায়, জার্মান গদ্যকে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের রক্তাক্ত এবং প্রায়ই ভুল বোঝা দেশটি যেভাবে বিশ্বের সমবেদনা কুড়িয়েছে, তাকে বুঝে ওঠা সহজ নয়।
যৌবনের উপহার
একজন সম্মানীয় বক্তা আমার লেখার একটা নিজস্ব ধরনের কথা বলেছেন। আমি নিজেও বোধ হয় এটুকুই দাবি করতে পারি, তার অধিক কিছু নয়। যদিও সবার কাছ থেকেই কিছু কিছু আমি শিখেছি আর এমনকি কেউ আছেন যাঁরা কিছু না কিছু অন্যের থেকে শেখেননি?
বেড়া টপকানোর উপায় কবিতা
ভাষা যদি বেড়া তৈরি করে, তাহলে সেই বেড়া টপকানোর পন্থাও আমাদের দেয় কবিতা। অন্য ভাষার কবিতার স্বাদ নেওয়ার অর্থ, সেই ভাষাভাষী মানুষের বোধবুদ্ধিরও সুবাস নেওয়া, যা আর অন্য কোনোভাবে পাওয়া সম্ভব নয়। ইউরোপের কবিতার ইতিহাসে যদি চোখ রাখি, দেখা যায় এক ভাষার কবিতা অন্য ভাষায় কী প্রবল প্রভাব ফেলেছে।
চীনা বিদ্বানদের নিয়ে হাস্যরস
চীনে সব সময়ই শিল্প আর উপন্যাস দুটি আলাদা বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সেখানে শিল্প হিসেবে সাহিত্যচর্চার ব্যাপারটি ছিল ক্ষমতাবান বিদ্বানদের একচ্ছত্র দখলে। তাঁরা একে অপরের জন্য শিল্প সৃষ্টি করতেন নিজস্ব নিয়মে এবং উপন্যাসের কোনো জায়গা সেখানে ছিল না। কিছু সনাতন স্বেচ্ছাচারী আইন দিয়ে তাঁরা দখল করে রেখেছিলে
আকাঙ্ক্ষা থেকেই মানুষ সবকিছু করে
মানুষের যাবতীয় কর্মচাঞ্চল্য উৎসারিত আকাঙ্ক্ষা থেকে। কিছু উৎসুক নীতিশাস্ত্রজ্ঞ এমন একটি ভুল তত্ত্বকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, নীতিবোধের স্বার্থে অভিলাষ বা আকাঙ্ক্ষা ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। আমি এটাকে মিথ্যা বলব কেবল এ কারণে নয় যে, কোনো মানুষ কখনোই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে কোনো কাজ করে না;
দিবাস্বপ্ন দেখা শুরু হলো
যাঁরা গভীর রাতের মধ্য দিয়ে ছুটে যাওয়া ট্রেনের সওয়ারি হয়েছেন, তাঁরাই জানেন, সেই যাত্রার মধ্যে কখনো কখনো এমন দীর্ঘ মুহূর্ত আসে, যখন ভীষণ মসৃণভাবে কামরাগুলো একে অন্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে থাকে, কোনো ঝাঁকুনিই আর লাগে না। ট্রেনের চলনটাই যেন হঠাৎ খুব স্নিগ্ধ, শান্ত হয়ে ওঠে, যেন সবটাই একটা গানের তালে চলছ
হৃদয়ের এক গভীর অনুভব
বাচ্চাদের আনন্দ, উদ্দীপনা আর তাদের গল্প ও গানে ভরে উঠত আকাশ-বাতাস, যা আমি প্রতিদিন প্রাণভরে উপভোগ করতাম। সূর্যাস্তের সময় একা বসে গাছের ছায়া লম্বা হতে দেখতাম। বিকেলের নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করে
বলা নয় লেখায় স্বাচ্ছন্দ্য
আমার আগের বক্তারা আমি যতটা পারব, তার চেয়ে অনেক ভালোভাবে তাঁদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে গেছেন। আমি তাঁদের কথা শুনছিলাম। আমি বলার চেয়ে বরং অনেক অনায়াসে লিখতে পারি, নিজের সম্পর্কে বলতে আমি পারি না এবং নিজের সম্পর্কে বলতে একেবারেই নারাজ।
অন্ধ হলেও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন
অনেক অনেক বছর আগে এক বুড়ি ছিলেন, অন্ধ কিন্তু জ্ঞানী। তিনি কি শুধুই বুড়ি ছিলেন? সম্ভবত একজন গুরু, কিংবা এক অশান্ত শিশু। আমি এই গল্পটি শুনেছিলাম বা অনেকটা এ রকম কিছু একটা অনেক লোকগাথাতেই উল্লেখ ছিল। অনেকটা এ রকম, ‘একদা এক ছিল বুড়ি। অন্ধ কিন্তু জ্ঞানী।’
বিশ্বজনীন ও যুক্তিশীল মতাদর্শ
আজ থেকে দুই সহস্রাব্দ আগে কবি হোরেস বলেছিলেন, ‘যথাসময়ে মূর্খামি প্রদর্শন বেশ জরুরি কাজ।’ কবির কথা শিরোধার্য করে এই ‘যথাসময়ে’ আমি ‘মূর্খামি’র সপক্ষে কিছু বলতে চাই।
অবজ্ঞার মাত্রাই বেশি থাকে
আদিম মানুষের মতো দ্বিধান্বিত কেউ একজন সেটাকে তুলে নিয়েছে—সেটা কি ভেসে আসা এক অদ্ভুত সামুদ্রিক প্রাণী?—সেটা কি এক অদ্ভুত কিছু, যা হয়তো বালুর মধ্যে লুকিয়ে ছিল?—অথবা এমন কিছু যা হঠাৎ করেই আকাশ থেকে পড়েছে?—বেশ অদম্য আর বক্র, আবার বোধহীনের মতো চকচকে, ভেতর থেকে উজ্জ্বল প্রভা বেরিয়ে
শুধু আমার সঙ্গেই কথা বলছেন
তখন আমার বছর ছয়েক বয়স, নেহাতই শিশু। মনে মনে একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতাম। প্রতিযোগিতাটি ছিল বিশ্বের সেরা কবিতা বাছাইয়ের। দুটি কবিতা ফাইনালে উঠত। ব্লেকের ‘দ্য লিট্ল ব্ল্যাক বয়’ আর স্টিফেন ফস্টারের ‘সোয়ান রিভার’। লং আইল্যান্ডের কাছে সিডাহার্স্ট নামের এক গ্রামে আমার দিদিমার বাড়ির একটা ঘরে পায়চারি করতে
স্মৃতি উসকে দেওয়া এক বস্তু
মৃত্যুর দুই বছর আগে আমার বাবা তাঁর পাণ্ডুলিপি ও নোটবুকভর্তি একটি ছোট স্যুটকেস দিয়েছিলেন আমাকে। বলেছিলেন, তিনি চলে যাওয়ার পর যেন আমি সেগুলো পড়ি, চলে যাওয়া বলতে তিনি মৃত্যুকেই বুঝিয়েছিলেন।
সাহিত্যের আসনে গান!
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছি, এটা জানার পর প্রথমেই যেটা মনে হয়, আমার গানগুলো কীভাবে সাহিত্যের আসনে বসতে পারে! এরপর এটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে দেখেছি যে কোথায় সংযোগ থাকতে পারে এই দুইয়ের মধ্যে, আমার গান ও শুদ্ধ সাহিত্যের মধ্যে?