ঘরের জন্য সোফা আনার কথা ভাবছেন? ভালো মানের সোফা কেনা খরচসাপেক্ষ। ঝোঁকের বশে কিনে ফেলার পর যাতে আফসোস করতে না হয়, তাই কেনার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
দিনের শুরুতে কর্মজীবী মানুষের প্রস্তুতি চলে কর্মস্থলকে ঘিরে। চটপট খেয়ে, ঝটপট তৈরি হয়েই পা বাড়াতে হয় অফিসের পথে। দিনের একটা বড় অংশ কাটে এখানেই। অনেক সময় নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টার বেশিও থাকতে হয় নিজ কর্মস্থলে। তাই কর্মস্থলের পরিবেশ ও অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা এমনকি দেয়াল ও আসবাবের রংও কর্মীদের মনের ওপর প্রভাব ফে
একটা সময় বাড়ির দরজা ও জানালায় পর্দা ব্যবহার করা হতো মূলত প্রয়োজন হিসেবে। মানে যেটুকু না রাখলেই নয়! মূলত একরঙা পর্দার ব্যবহারের প্রচলন ছিল বেশি। নব্বইয়ের দশকে ফ্লোরাল প্রিন্টের সিনথেটিক পর্দাও দেখা যেত অভিজাত বাড়িগুলোয়। কালের পরিবর্তনে পর্দার ব্যবহার প্রয়োজনকে ছাড়িয়ে অনেক বেশি আধুনিকতা ও নান্দনিকতায়
বন্যাদুর্গত এলাকায় স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি ছাড়াও মশা, বিষাক্ত পোকামাকড়, সাপ ইত্যাদির উপদ্রব দেখা দেয়। বন্যায় সাপের মতো প্রাণীরাও ঘর হারায়; ফলে তারা খাবার ও থাকার জায়গা নিশ্চিত করতে বাসাবাড়ির আশপাশে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আশ্রয় নেয়...
বসার ঘরের সঙ্গে এক টুকরো বারান্দা না থাকলে যেন জমে না। ব্যস্ততার ফাঁকে একটু হাঁপ ছাড়ার জন্য তো বটেই, অতিথি এলে আড্ডা ও চা-পর্বের জন্যও বারান্দায় টুল পেতে বসতে মন্দ লাগে না। বাড়িতে অতিথি এলে যেহেতু বসার ঘরেই তাদের আপ্যায়ন করা হয়, তাই লাগোয়া যদি একটা বারান্দাও থাকে, তবে সে বারান্দা সাজিয়ে তোলা যেতে পা
অন্দরসজ্জায় বাঁশের চিকে চাকচিক্য না থাকলেও নন্দন আছে ষোলোকলা। গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ আর গরম থেকে বাঁচতে আমাদের দেশে বাঁশের চিকের ব্যবহার বহুকালের। সময় বদলেছে। এখন চিকের ব্যবহার কেবল প্রয়োজনেই সীমাবদ্ধ নেই। ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতেও...
এখন বাসা, বাড়ি, ফ্ল্যাটে সবাই একধরনের ফিউশন আসবাব ব্যবহারের দিকে ঝুঁকেছে। অল্প জায়গায় অনেক কিছু আঁটিয়ে নেওয়াই এর মূল কারণ। সেদিকে লক্ষ রাখতেই বহুমুখী আসবাবের ব্যবহার।
সারা দিন পর ঘরে ফিরে যদি দেখেন ঘরটা অগোছালো ও এলোমেলো, তাহলে কি ভালো লাগবে, বলুন? কিংবা সারা দিন বাসায় আছেন অথচ ঘরের ভেতরটা ভাপসা হয়ে আছে—এই অবস্থাও আপনাকে প্রশান্তি দেবে না। তাই তো ঘরের ভেতরটা থাকা চাই গোছানো ও সুন্দর। ঘরের মাঝে প্রাণ ফেরাতে, অর্থাৎ ঘরকে প্রাণবন্ত রাখতে গাছের বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে
আর মাত্র এক দিন। তারপরেই নতুন বছরের প্রথম দিন—পয়লা বৈশাখ। নিজেদের এ দিনটিকে স্বাগত জানাতে চাই জাঁকালো আয়োজন। চাই সাজসজ্জা। আবার শুধু নিজে সাজলেও হবে না। নতুন করে সাজাতে হবে বাড়িঘর, মেঝে কিংবা দেয়াল। সে সজ্জায় থাকা চাই দেশীয় আমেজ।
একটা সময় ছিল যখন শুধু ব্লক বা হাতের কাজের কুশন কভারগুলোই চলত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন্ড কি আর থেমে থাকে? ঘরের সাজসজ্জায় আসছে নতুন নতুন ঢং। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুশন কভারের ডিজাইনেও এসেছে বাহারি রকমফের।
ঘর সাজাতে বিভিন্ন ধরনের লাইট লাগানো হয়। ঘরের লুক বদলে দিতে লাইটিংয়ের জুড়ি নেই। তবে ঘর বুঝে মানানসই লাইট লাগাতে হবে।
দিন শেষে বাড়ি ফিরে পরিবারের সবার সঙ্গে সান্ধ্যকালীন চা-পর্ব চলে বাড়ির বসার ঘরেই। পরিবারের বৈঠকখানা এই জায়গাটা। একসঙ্গে টিবি দেখা, অবসরে ম্যাগাজিনের পাতা ওলটানো আর গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক সিদ্ধান্তও কিন্তু নেওয়া হয় এ ঘরটাতেই।
বসার ঘরের দুই সোফার মধ্যবর্তী দূরত্বে কিংবা সোফা সেটের কর্নারে একটি প্ল্যানটার স্ট্যান্ড রাখা যেতে পারে। যদি গাছপ্রেমী হন তাহলে এটি আপনার জন্য জুতসই পরামর্শ। একটি প্ল্যানটার স্ট্যান্ডে তিন, চার, পাঁচটি টবসহ গাছ রাখা যাবে।
দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে দেয়ালের সিমেন্টের স্তর উঠে যায়। সুইচবোর্ডের চারপাশের অংশে বেশ ময়লা জমে। প্রায়ই দেয়াল স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়, ফাটল ধরে। স্যাঁতসেঁতে দেয়াল ঘরের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে। সে ক্ষেত্রে যদি অল্প কিছু টেকনিক জানা থাকে, তাহলে নিজেই বাড়াতে পারবেন ঘরের সৌন্দর্য।
রোজ নিয়ম করে ঘর ঝাড়ামোছা ও গোছগাছ তো করাই হয়। কিন্তু করি করি করেও যা করা হয় না তা হলো, জামাকাপড় রাখার আলমারি বা কাভার্ড গোছানো। রোজ কাপড় বের করার সময় বা কাপড় ভাঁজ করে রাখার সময় ভাবেন গোছাবেন, কিন্তু আর হচ্ছে না। এবার একটা বড় নিশ্বাস নিন। চলুন, পরিচ্ছন্নতার কাজে নেমে পড়া যাক।
ঘরের দেয়াল সাজাতে সুন্দর পেইন্টিং টাঙালেও মনে রাখতে হবে সব ধরনের পেইন্টিং সব ঘরে মানানসই নয়। কোন ঘরে কোন ধরনের পেইন্টিং রাখা উচিত তা জানাচ্ছেন চিত্রশিল্পী ও মীনা কার্টুন ইউনিসেফ বাংলাদেশের অ্যাপিসোড ডিরেক্টর সুশান্ত কুমার সাহা অনুপম।
ট্রেন্ডি কিংবা বাজারে যা পাওয়া যায় তাই কিনে ঘর ভরানোর নাম অন্দর সজ্জা নয়। ঘরের আকার, রং, আলোর উৎস ইত্যাদি সবকিছু ভেবে যে জিনিসটি মানানসই, তাই দিয়ে ঘর সাজাতে হবে।