টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে এক মাসও নেই। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই বিশ্বকাপের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করতে বাংলাদেশ দল চলে যাবে ওমানে। বিশ্বকাপের মঞ্চে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা এখন আছেন ছুটিতে। এ অবসরে মাহমুদউল্লাহ সময় দিলেন আজকের পত্রিকাকে। দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বললেন নিজের অধিনায়কত্ব, ব্যাটিং, সর্বশেষ সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস
প্রশ্ন: বাংলাদেশের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচ খেলেছেন। একই সঙ্গে এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক আপনি। দুটি অর্জন কীভাবে দেখেন?
মাহমুদউল্লাহ: আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, বাংলাদেশের হয়ে ১০০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। আর অধিনায়ক হিসেবে যে কটা ম্যাচ জিতেছি, পুরোটাই দলের কৃতিত্ব। দল ভালো করেছে, আমরা ম্যাচ জিতেছি। সেটা আমার অধিনায়কত্বে এসেছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, দল হিসেবে এই সংস্করণে আমাদের আরও ভালো কিছু করার বাকি। আশা করি, দল হিসেবে আরও ভালো কিছু অর্জন করব আমরা। আমাদের সব সময় এই সংস্করণে সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিটি ম্যাচই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অবহেলা কিংবা নির্ভার হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। এটা আমরা সবাই জানি। দল হিসেবে আমরা খুব ভালো অবস্থায় আছি। এটা ভাবতে আমার ভালো লাগে।
প্রশ্ন: ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রথম বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর শুধু আপৎকালীন দায়িত্বই পেয়েছেন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারত সফরের আগে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন এমনই এক পরিস্থিতিতে (সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায়)। গত দুই বছরে অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে সবচেয়ে বেশি কী ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়েছে?
মাহমুদউল্লাহ: সব সময়ই এই চ্যালেঞ্জ উপভোগ করি। বিশ্বাস করি, এই চ্যালেঞ্জ বা এই দায়িত্বটা আমার খেলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। দায়িত্ব আমি নিতেও পছন্দ করি। এটা একেকজন একেকভাবে চিন্তা করে। এটা ইতিবাচকভাবে নিই। এবং সেভাবেই দায়িত্ব পালন করতে ভালোবাসি।
প্রশ্ন: ওয়ানডেতে ওপরে খেলে অনেক সফল হয়েছেন। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ফিনিশিং ভূমিকাটাই কি আপনার জন্য যথার্থ হিসেবে ধরে নিয়েছেন? আরেকভাবে বললে, চাপ নিয়ে খেলাই কি বেশি উপভোগ করেন?
মাহমুদউল্লাহ: ওয়ানডেতে এর আগে চার-পাঁচে ব্যাটিং করেছি। তার আগে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সাত-আটে ব্যাটিং করতাম। সব সময়ই দলের জন্য খেলার চিন্তা করি। দলে অবদান রাখার চেষ্টা করি। প্রায়ই বলি, যেকোনো পরিস্থিতিতে দলের জয়ে অবদান রাখতে পারলেই খুশি। আর যেকোনো খেলায় চাপ থাকবে। চাপ নিয়েই খেলতে হবে। সেভাবে আপনার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে, যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো পারফরমার হতে চান। বাইরের বিষয়গুলো না ভেবে যদি নিজের খেলা বা প্রক্রিয়ার প্রতি মনোযোগী থাকেন বাকিগুলো এমনি ঠিক হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: তীব্র চাপের মুহূর্তে আপনার সঙ্গে যখন একজন তরুণ খেলোয়াড় যেমন আফিফ-সোহান-শামীমের জুটি হয়, তখন তাদের উদ্বুদ্ধ করেন কোন উপায়ে?
মাহমুদউল্লাহ: আফিফ (হোসেন) ও সোহান (নুরুল হাসান) ম্যাচ শেষ করে আসার সামর্থ্য রাখে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা অনেক ম্যাচে তাদের দেখেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কথা বললে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সোহান বেশ ভালোভাবে একটা ম্যাচ শেষ করেছে, যেখানে আমরা একটু সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলাম। আফিফেরও ফিনিশিং সামর্থ্য ভালো। শামীমেরও ম্যাচ শেষ করার ভালো সামর্থ্য আছে। চাপের মুখে আমরা স্নায়ুচাপ কীভাবে সামলাচ্ছি, সেটার ওপর এটা নির্ভর করছে। আমার মনে হয় ওরা ব্যাপারটা বোঝে। যখন আমরা একসঙ্গে ব্যাটিং করি ওদের সঙ্গে আমার বোঝাপড়াও খুব ভালো হয়। দায়িত্বটা আমরা বুঝি এবং সেটা আমরা ভাগাভাগি করে নিই। আর তখন ফিনিশিংয়ের কাজটা সহজ হয়ে যায়।
প্রশ্ন: গত দুটি সিরিজ প্রসঙ্গে আসি। ঘরের মাঠে দুটি জেতার পরও উইকেট-কন্ডিশন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, হচ্ছে। এসব কীভাবে দেখছেন?
মাহমুদউল্লাহ: আমরা এটা নিয়ে একবারেই বিচলিত নই। দলের পরিবেশ এখন খুব ভালো আছে। আমরা খুব ভালো মুডে আছি। আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলে জিতেছি। যারা বিষয়গুলো নেতিবাচকভাবে দেখছেন, তাঁদের ইতিবাচক বিষয়গুলোও দেখা উচিত। যে কন্ডিশনে আমরা খেলেছি, সেটা প্রতিপক্ষের জন্যও কঠিন ছিল। ওদের জন্য কঠিন, আমাদের জন্য ব্যাটিংস্বর্গ ছিল, বিষয়টা তা নয়। এখানে আমাদের বোলিং বিভাগকে কৃতিত্ব দিতে হবে। এই কঠিন কন্ডিশনে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করে ম্যাচ জিতেছি, সেটিরও কৃতিত্ব দিতে হবে।
প্রশ্ন: আপনাদের কি এ ধরনের পরিকল্পনা ছিল যে কোন কন্ডিশন-উইকেট খেলছি, সেটির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বড় দলকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে আগে উন্নতি করতে হবে। আপনাকেই কিন্তু এই দুইটা সিরিজের আগে অনেকবার বলতে হয়েছে, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ কতটা ভালো দল, সেটা র্যাঙ্কিং প্রমাণ করে না!
মাহমুদউল্লাহ: আসলে র্যাঙ্কিং নিয়ে আমরা খুব একটা মাথা ঘামাই না। আমরা আমাদের খেলা নিয়ে মনোযোগী। দল জিতলে আমরা খুশি। যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে থাকি, দল যদি জিততে থাকে, আমাদের উন্নতির গ্রাফ যদি ইতিবাচকভাবে ওপরের দিকে যেতে থাকে, র্যাঙ্কিংয়ের বাকি বিষয় এমনি ঠিক হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে সাধারণত হাই স্কোরিং উইকেটে খেলা হয়। এ ধরনের উইকেটে লিটন-সৌম্যর মতো টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত খেলবে, আপনি কতটা আশাবাদী? আর তামিম ইকবালের মতো অভিজ্ঞ ওপেনার টুর্নামেন্টে কতটা মিস করবেন?
মাহমুদউল্লাহ: আমাদের ওপেনিংয়ে যারা আছে, তাদের নিয়ে খুবই আশাবাদী। তারা ভালো করতে যথেষ্ট সক্ষম। আশা করি, তারা বড় মঞ্চ দুর্দান্ত খেলবে।
প্রশ্ন: ওমানে বাংলাদেশ আগে কখনো খেলেনি। যদিও সেখানে আপনারা টুর্নামেন্টের আগে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করবেন। তবু প্রথমবারের মতো ওমানের কন্ডিশনে বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে?
মাহমুদউল্লাহ: আমার মনে হয় ওমান ও আরব আমিরাতের কন্ডিশন প্রায় একই হবে। যদিও ওমানে আমরা খেলিনি। তবে আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির বড় অংশ যেহেতু সেখানে হবে, আমরা জানতে পারব কোন ধরনের উইকেটে সেখানে খেলতে হবে। এই বিষয়গুলো নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের সঙ্গে সেভাবে কথা বলবে। আশা করি, ভালো ধারণা পাব, এটা বড় কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের প্রস্তুতি যেন ভালোভাবে সারতে পারি, সেটার দিকে খেয়াল করতে হবে। প্রস্তুতি ম্যাচে যদি আমরা ভালো খেলে জয় দিয়ে শুরু করতে পারি, সেটা ভালো কাজে দেবে। আমরা ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে টুর্নামেন্টে যেতে পারব।
প্রশ্ন: গত পরশু তামিম এক ফেসবুক লাইভ আড্ডায় বলছিলেন, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি যদি অধিনায়ক থাকেন, তবে বিশ্বকাপে খেলতে যাবেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘোষণা দিয়ে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ কি ঘোষণা দিয়ে যেতে চান এই বিশ্বকাপে?
মাহমুদউল্লাহ: টি-টোয়েন্টিতে ওভাবে ঘোষণা দিয়ে কোনো কিছু অর্জন করা কঠিন। এই সংস্করণে নির্দিষ্ট দিনে যেকোনো দল যে কাউকে হারাতে পারে। একজন ব্যাটসম্যান যদি ৭০-৮০ রানের বড় স্কোর করে। একজন বোলার যদি কম রান দিয়ে ৪-৫ উইকেটের দুর্দান্ত একটা স্পেল করে, সঙ্গে দুই-একজন যদি ছোট অবদান রাখতে পারে, জয়ের জন্য এটাই যথেষ্ট। আমাদের একটা দল হয়ে খেলতে হবে। যার যেদিন সুযোগ আসে, সেটা বোলিং কিংবা ব্যাটিং হোক, নিশ্চিত করতে হবে সে যেন ওই দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে পারে। এই দায়িত্ববোধ সবার মধ্যেই থাকতে হবে।
প্রশ্ন: এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে ফেবারিট মনে হয় কোন দলকে?
মাহমুদউল্লাহ: আমার কাছে সবাইকেই ফেবারিট মনে হয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবাই ভালো খেলার চেষ্টা করবে। এটা সময়ই বলে দেবে।
প্রশ্ন: কখনো কখনো নানা ঘটনার ঘনঘটায় চারদিকে দলের অনেক বিষয় নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয় বাইরে। তখন ড্রেসিংরুমের পরিবেশ কোন উপায়ে স্বাভাবিক রাখেন?
মাহমুদউল্লাহ: আমরা বাইরের বিষয় নিয়ে খুব একটা আলোচনা করি না। নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত থাকি। নিজেদের কাজ নিয়ে চিন্তা করি। নিজেদের খেলা নিয়ে চিন্তা করি। বাইরের ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। বরং নিজেদের প্রক্রিয়াটা আমরা কীভাবে ধরে রাখতে পারি আর দল কী চাচ্ছে, সে ব্যাপারগুলো নিয়ে বেশি মনোযোগী। যাতে আমরা ম্যাচ জিততে পারি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচ খেলেছেন। একই সঙ্গে এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক আপনি। দুটি অর্জন কীভাবে দেখেন?
মাহমুদউল্লাহ: আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, বাংলাদেশের হয়ে ১০০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়েছে। আর অধিনায়ক হিসেবে যে কটা ম্যাচ জিতেছি, পুরোটাই দলের কৃতিত্ব। দল ভালো করেছে, আমরা ম্যাচ জিতেছি। সেটা আমার অধিনায়কত্বে এসেছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, দল হিসেবে এই সংস্করণে আমাদের আরও ভালো কিছু করার বাকি। আশা করি, দল হিসেবে আরও ভালো কিছু অর্জন করব আমরা। আমাদের সব সময় এই সংস্করণে সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিটি ম্যাচই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অবহেলা কিংবা নির্ভার হওয়ার কোনো অবকাশ নেই। এটা আমরা সবাই জানি। দল হিসেবে আমরা খুব ভালো অবস্থায় আছি। এটা ভাবতে আমার ভালো লাগে।
প্রশ্ন: ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রথম বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর শুধু আপৎকালীন দায়িত্বই পেয়েছেন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারত সফরের আগে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন এমনই এক পরিস্থিতিতে (সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায়)। গত দুই বছরে অধিনায়ক হিসেবে আপনাকে সবচেয়ে বেশি কী ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়েছে?
মাহমুদউল্লাহ: সব সময়ই এই চ্যালেঞ্জ উপভোগ করি। বিশ্বাস করি, এই চ্যালেঞ্জ বা এই দায়িত্বটা আমার খেলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। দায়িত্ব আমি নিতেও পছন্দ করি। এটা একেকজন একেকভাবে চিন্তা করে। এটা ইতিবাচকভাবে নিই। এবং সেভাবেই দায়িত্ব পালন করতে ভালোবাসি।
প্রশ্ন: ওয়ানডেতে ওপরে খেলে অনেক সফল হয়েছেন। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ফিনিশিং ভূমিকাটাই কি আপনার জন্য যথার্থ হিসেবে ধরে নিয়েছেন? আরেকভাবে বললে, চাপ নিয়ে খেলাই কি বেশি উপভোগ করেন?
মাহমুদউল্লাহ: ওয়ানডেতে এর আগে চার-পাঁচে ব্যাটিং করেছি। তার আগে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সাত-আটে ব্যাটিং করতাম। সব সময়ই দলের জন্য খেলার চিন্তা করি। দলে অবদান রাখার চেষ্টা করি। প্রায়ই বলি, যেকোনো পরিস্থিতিতে দলের জয়ে অবদান রাখতে পারলেই খুশি। আর যেকোনো খেলায় চাপ থাকবে। চাপ নিয়েই খেলতে হবে। সেভাবে আপনার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে, যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো পারফরমার হতে চান। বাইরের বিষয়গুলো না ভেবে যদি নিজের খেলা বা প্রক্রিয়ার প্রতি মনোযোগী থাকেন বাকিগুলো এমনি ঠিক হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: তীব্র চাপের মুহূর্তে আপনার সঙ্গে যখন একজন তরুণ খেলোয়াড় যেমন আফিফ-সোহান-শামীমের জুটি হয়, তখন তাদের উদ্বুদ্ধ করেন কোন উপায়ে?
মাহমুদউল্লাহ: আফিফ (হোসেন) ও সোহান (নুরুল হাসান) ম্যাচ শেষ করে আসার সামর্থ্য রাখে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা অনেক ম্যাচে তাদের দেখেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কথা বললে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সোহান বেশ ভালোভাবে একটা ম্যাচ শেষ করেছে, যেখানে আমরা একটু সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলাম। আফিফেরও ফিনিশিং সামর্থ্য ভালো। শামীমেরও ম্যাচ শেষ করার ভালো সামর্থ্য আছে। চাপের মুখে আমরা স্নায়ুচাপ কীভাবে সামলাচ্ছি, সেটার ওপর এটা নির্ভর করছে। আমার মনে হয় ওরা ব্যাপারটা বোঝে। যখন আমরা একসঙ্গে ব্যাটিং করি ওদের সঙ্গে আমার বোঝাপড়াও খুব ভালো হয়। দায়িত্বটা আমরা বুঝি এবং সেটা আমরা ভাগাভাগি করে নিই। আর তখন ফিনিশিংয়ের কাজটা সহজ হয়ে যায়।
প্রশ্ন: গত দুটি সিরিজ প্রসঙ্গে আসি। ঘরের মাঠে দুটি জেতার পরও উইকেট-কন্ডিশন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, হচ্ছে। এসব কীভাবে দেখছেন?
মাহমুদউল্লাহ: আমরা এটা নিয়ে একবারেই বিচলিত নই। দলের পরিবেশ এখন খুব ভালো আছে। আমরা খুব ভালো মুডে আছি। আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলে জিতেছি। যারা বিষয়গুলো নেতিবাচকভাবে দেখছেন, তাঁদের ইতিবাচক বিষয়গুলোও দেখা উচিত। যে কন্ডিশনে আমরা খেলেছি, সেটা প্রতিপক্ষের জন্যও কঠিন ছিল। ওদের জন্য কঠিন, আমাদের জন্য ব্যাটিংস্বর্গ ছিল, বিষয়টা তা নয়। এখানে আমাদের বোলিং বিভাগকে কৃতিত্ব দিতে হবে। এই কঠিন কন্ডিশনে আমরা যেভাবে ব্যাটিং করে ম্যাচ জিতেছি, সেটিরও কৃতিত্ব দিতে হবে।
প্রশ্ন: আপনাদের কি এ ধরনের পরিকল্পনা ছিল যে কোন কন্ডিশন-উইকেট খেলছি, সেটির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বড় দলকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে আগে উন্নতি করতে হবে। আপনাকেই কিন্তু এই দুইটা সিরিজের আগে অনেকবার বলতে হয়েছে, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ কতটা ভালো দল, সেটা র্যাঙ্কিং প্রমাণ করে না!
মাহমুদউল্লাহ: আসলে র্যাঙ্কিং নিয়ে আমরা খুব একটা মাথা ঘামাই না। আমরা আমাদের খেলা নিয়ে মনোযোগী। দল জিতলে আমরা খুশি। যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে থাকি, দল যদি জিততে থাকে, আমাদের উন্নতির গ্রাফ যদি ইতিবাচকভাবে ওপরের দিকে যেতে থাকে, র্যাঙ্কিংয়ের বাকি বিষয় এমনি ঠিক হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে সাধারণত হাই স্কোরিং উইকেটে খেলা হয়। এ ধরনের উইকেটে লিটন-সৌম্যর মতো টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত খেলবে, আপনি কতটা আশাবাদী? আর তামিম ইকবালের মতো অভিজ্ঞ ওপেনার টুর্নামেন্টে কতটা মিস করবেন?
মাহমুদউল্লাহ: আমাদের ওপেনিংয়ে যারা আছে, তাদের নিয়ে খুবই আশাবাদী। তারা ভালো করতে যথেষ্ট সক্ষম। আশা করি, তারা বড় মঞ্চ দুর্দান্ত খেলবে।
প্রশ্ন: ওমানে বাংলাদেশ আগে কখনো খেলেনি। যদিও সেখানে আপনারা টুর্নামেন্টের আগে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করবেন। তবু প্রথমবারের মতো ওমানের কন্ডিশনে বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে?
মাহমুদউল্লাহ: আমার মনে হয় ওমান ও আরব আমিরাতের কন্ডিশন প্রায় একই হবে। যদিও ওমানে আমরা খেলিনি। তবে আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির বড় অংশ যেহেতু সেখানে হবে, আমরা জানতে পারব কোন ধরনের উইকেটে সেখানে খেলতে হবে। এই বিষয়গুলো নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের সঙ্গে সেভাবে কথা বলবে। আশা করি, ভালো ধারণা পাব, এটা বড় কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের প্রস্তুতি যেন ভালোভাবে সারতে পারি, সেটার দিকে খেয়াল করতে হবে। প্রস্তুতি ম্যাচে যদি আমরা ভালো খেলে জয় দিয়ে শুরু করতে পারি, সেটা ভালো কাজে দেবে। আমরা ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে টুর্নামেন্টে যেতে পারব।
প্রশ্ন: গত পরশু তামিম এক ফেসবুক লাইভ আড্ডায় বলছিলেন, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনি যদি অধিনায়ক থাকেন, তবে বিশ্বকাপে খেলতে যাবেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘোষণা দিয়ে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ কি ঘোষণা দিয়ে যেতে চান এই বিশ্বকাপে?
মাহমুদউল্লাহ: টি-টোয়েন্টিতে ওভাবে ঘোষণা দিয়ে কোনো কিছু অর্জন করা কঠিন। এই সংস্করণে নির্দিষ্ট দিনে যেকোনো দল যে কাউকে হারাতে পারে। একজন ব্যাটসম্যান যদি ৭০-৮০ রানের বড় স্কোর করে। একজন বোলার যদি কম রান দিয়ে ৪-৫ উইকেটের দুর্দান্ত একটা স্পেল করে, সঙ্গে দুই-একজন যদি ছোট অবদান রাখতে পারে, জয়ের জন্য এটাই যথেষ্ট। আমাদের একটা দল হয়ে খেলতে হবে। যার যেদিন সুযোগ আসে, সেটা বোলিং কিংবা ব্যাটিং হোক, নিশ্চিত করতে হবে সে যেন ওই দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করতে পারে। এই দায়িত্ববোধ সবার মধ্যেই থাকতে হবে।
প্রশ্ন: এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে ফেবারিট মনে হয় কোন দলকে?
মাহমুদউল্লাহ: আমার কাছে সবাইকেই ফেবারিট মনে হয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবাই ভালো খেলার চেষ্টা করবে। এটা সময়ই বলে দেবে।
প্রশ্ন: কখনো কখনো নানা ঘটনার ঘনঘটায় চারদিকে দলের অনেক বিষয় নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয় বাইরে। তখন ড্রেসিংরুমের পরিবেশ কোন উপায়ে স্বাভাবিক রাখেন?
মাহমুদউল্লাহ: আমরা বাইরের বিষয় নিয়ে খুব একটা আলোচনা করি না। নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত থাকি। নিজেদের কাজ নিয়ে চিন্তা করি। নিজেদের খেলা নিয়ে চিন্তা করি। বাইরের ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। বরং নিজেদের প্রক্রিয়াটা আমরা কীভাবে ধরে রাখতে পারি আর দল কী চাচ্ছে, সে ব্যাপারগুলো নিয়ে বেশি মনোযোগী। যাতে আমরা ম্যাচ জিততে পারি।
এটাও কি সম্ভব? মাত্র ৭ রানেই গল্প শেষ আইভোরি কোস্টের! ম্যাচ দেখা তো দূরে থাক, এই স্কোরকার্ড সামাজিক মাধ্যমে কারও নজরে পড়লে তাঁর চোখ রীতিমতো কপালে ওঠার মতো অবস্থা হবে।
২২ মিনিট আগেসাবলীলভাবে খেলতে খেলতে হঠাৎই খেই হারানোর ঘটনা বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান প্রথম টেস্টে দেখা গেছে একই ঘটনা। কোনোমতে ফলোঅন এড়ালেও স্বাগতিকেরা কতক্ষণ টিকবে প্রথম ইনিংসে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
১ ঘণ্টা আগেবুলাওয়েতে পাকিস্তান ২১ ওভার ব্যাটিং করলেই শুরু হয় বৃষ্টি। তারপর আর ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়নি তারা। ফলে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া পাকিস্তান শেষ লড়াইয়ের সুযোগ পায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৮০ রানে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে তারা। তিন ওয়ানডের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগ
১৪ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম দিন ছিল সুমন খানের তোপ, গতকাল দ্বিতীয় দিন দাগলেন সতীর্থ এনামুল হক। দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দেড় দিনেই ঢাকার কাছে ষষ্ঠ রাউন্ডে ইনিংস ও ১১ রানে হেরেছে রাজশাহী। ইনিংস ব্যবধানে জিতে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলল ঢাকা। এ ম্যাচে বোনাসসহ ৯ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। ছয় ম্যা
১৪ ঘণ্টা আগে