অনলাইন ডেস্ক
ডিসেম্বরের শুরুতে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের এই কূটনৈতিক আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা বিষয় স্থান পাবে। এর মধ্যে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি বৈঠকের অন্যতম মূল আলোচ্য বিষয় হতে পারে। ভারতের গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলার কার্যক্রম শুরু করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হাসিনাকে দেশে ফেরাতে প্রত্যর্পণ চুক্তি কার্যকর করার প্রস্তুতি দেখা গেলেও ভারতের আনুষ্ঠানিক অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়।
ঢাকায় অনুষ্ঠেয় এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন ও ভারতের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি নেতৃত্ব দেবেন। আলোচনায় বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং আঞ্চলিক সংযোগ বাড়ানোর মতো বিষয় স্থান পাবে। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন কূটনৈতিক শাখার মহাপরিচালক (ডিজি) তৌফিক হাসান টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমরা এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা পাইনি। তবে বৈঠকের কাঠামো এমন যে, এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট ঢাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার মধ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। নজিরবিহীন সেই সহিংসতায় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে হাসিনা ভারতে যান। সেখানে নয়াদিল্লির একটি সুরক্ষিত বিশাল বাড়িতে তিনি থাকছেন বলে ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি গুরুতর এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরদিকে, ভারত শেখ হাসিনাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে এবং বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও কূটনৈতিক বিশ্লেষক ড. সি আর আবরার বলেন, ‘ভারতের জন্য এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত। শেখ হাসিনা ভারতের দীর্ঘদিনের মিত্র ছিলেন। তাঁর সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিশেষত সীমান্ত নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত ইতিবাচক ছিল। কিন্তু এখন তাঁকে ফিরিয়ে দিলে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীক সম্পর্কে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বৈঠকের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন একটি অধ্যায়ে প্রবেশ করতে পারে। হাসিনার প্রত্যার্পণের সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং মানবাধিকার ইস্যুগুলোর ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে এটিকে ভারতের সামনে ‘গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ’ হিসেবে দেখছেন ভারতীয় কূটনৈতিক বিশ্লেষক পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী। ঢাকায় ভারতের সাবেক এই হাই কমিশনার বলেন, হাসিনাকে ফিরিয়ে দিলে তা বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি ভারতের সমর্থনের ইঙ্গিত দেবে। তবে চুক্তির ‘রাজনৈতিক অপরাধ’ শর্ত অনুযায়ী, ভারত এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যানও করতে পারে।
ভারতের জন্য এটি একধরনের কূটনৈতিক পরীক্ষা। হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া হলে ভারতের নিরপেক্ষতা এবং ন্যায়ের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রদর্শিত হবে। তবে এতে ভারতকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ও শেখ হাসিনার সমর্থকদের উভয়ের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল মনে করেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রকৃত তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। যদি প্রমাণ মেলে, তবে তাঁর বিচার হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘তবে যদি এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়, তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী বিষয়টি ভারতীয় আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে।’
ডিসেম্বরের শুরুতে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের এই কূটনৈতিক আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা বিষয় স্থান পাবে। এর মধ্যে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি বৈঠকের অন্যতম মূল আলোচ্য বিষয় হতে পারে। ভারতের গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলার কার্যক্রম শুরু করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হাসিনাকে দেশে ফেরাতে প্রত্যর্পণ চুক্তি কার্যকর করার প্রস্তুতি দেখা গেলেও ভারতের আনুষ্ঠানিক অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়।
ঢাকায় অনুষ্ঠেয় এই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন ও ভারতের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি নেতৃত্ব দেবেন। আলোচনায় বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং আঞ্চলিক সংযোগ বাড়ানোর মতো বিষয় স্থান পাবে। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন কূটনৈতিক শাখার মহাপরিচালক (ডিজি) তৌফিক হাসান টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমরা এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা পাইনি। তবে বৈঠকের কাঠামো এমন যে, এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট ঢাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার মধ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। নজিরবিহীন সেই সহিংসতায় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে হাসিনা ভারতে যান। সেখানে নয়াদিল্লির একটি সুরক্ষিত বিশাল বাড়িতে তিনি থাকছেন বলে ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি গুরুতর এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরদিকে, ভারত শেখ হাসিনাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে এবং বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও কূটনৈতিক বিশ্লেষক ড. সি আর আবরার বলেন, ‘ভারতের জন্য এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত। শেখ হাসিনা ভারতের দীর্ঘদিনের মিত্র ছিলেন। তাঁর সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিশেষত সীমান্ত নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত ইতিবাচক ছিল। কিন্তু এখন তাঁকে ফিরিয়ে দিলে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীক সম্পর্কে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বৈঠকের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন একটি অধ্যায়ে প্রবেশ করতে পারে। হাসিনার প্রত্যার্পণের সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং মানবাধিকার ইস্যুগুলোর ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে এটিকে ভারতের সামনে ‘গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ’ হিসেবে দেখছেন ভারতীয় কূটনৈতিক বিশ্লেষক পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী। ঢাকায় ভারতের সাবেক এই হাই কমিশনার বলেন, হাসিনাকে ফিরিয়ে দিলে তা বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি ভারতের সমর্থনের ইঙ্গিত দেবে। তবে চুক্তির ‘রাজনৈতিক অপরাধ’ শর্ত অনুযায়ী, ভারত এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যানও করতে পারে।
ভারতের জন্য এটি একধরনের কূটনৈতিক পরীক্ষা। হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া হলে ভারতের নিরপেক্ষতা এবং ন্যায়ের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রদর্শিত হবে। তবে এতে ভারতকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ও শেখ হাসিনার সমর্থকদের উভয়ের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল মনে করেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রকৃত তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। যদি প্রমাণ মেলে, তবে তাঁর বিচার হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘তবে যদি এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়, তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী বিষয়টি ভারতীয় আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে।’
ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। গতকাল রোববার এই আবেদন করা হয়। আজ সোমবার চেম্বার বিচারপতির আদালতে এই বিষয়ে শুনানি হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মোহাম্মদ আজমি।
১৩ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়
৯ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৯ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শেষ করবে বলে জানিয়েছেন কমিশনটির প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘যদি কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশের খসড়া প্রকাশ করা সম্ভব হবে। সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে দে
১০ ঘণ্টা আগে