মোয়াজ্জেম হোসেন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
শুধু কলাপাড়া বললে অনেকে হয়তো জায়গাটা চিনবেন না। কিন্তু কুয়াকাটার কথা বললে চিনবেন প্রায় সবাই। কুয়াকাটা সৈকতের জন্য কলাপাড়া এখন সুপরিচিত। এখানে আছে এক বিখ্যাত খাবার। জগার মিষ্টি।
কলাপাড়া পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায় ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জগবন্ধু মিষ্টান্ন ভান্ডার। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ছিলেন জগবন্ধু হাওলাদার। স্থানীয়ভাবে এটি পরিচিতি পায় ‘জগার মিষ্টি’ নামে। এ দোকানের অন্যতম মিষ্টি রসগোল্লা। ১৯৯১ সালে জগবন্ধু হাওলাদারের মৃত্যুর পর তিন ছেলের মধ্যে দোকানের হাল ধরেন বড় ছেলে নিখিল চন্দ্র হাওলাদার ও ছোট ছেলে চঞ্চল হাওলাদার। জগবন্ধু মিষ্টান্ন ভান্ডারে কাজ করেন ১৫ জন কর্মচারী। এখানে দুই ধরনের রসগোল্লা পাওয়া যায়। রসগোল্লার পাশাপাশি রসমালাই, ছানা, সন্দেশ, বেবি সুইট, কালোজাম, শুকনা মিষ্টি, দই ও নিমকি পাওয়া যায় এখানে। এ ছাড়া সকালে পরোটা, বিকেলে পুরি, মোগলাই, সবজি ও মিষ্টি দিয়ে নাশতার ব্যবস্থা আছে।
টিনের চৌচালা ঘরে কয়েকটি টেবিল-চেয়ার দিয়ে শুরু হয়েছিল দোকানটি। উঁচু চৌকির ওপর বড় পাত্রে মিষ্টি সাজানো থাকত। মানুষজন দোকানে এসে মিষ্টি খেতেন এবং নিয়ে যেতেন। এভাবে ধীরে ধীরে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। দোকানের সেই পুরোনো অবকাঠামো এখন আর নেই।
জগার মিষ্টির মূল কারিগর ৬৬ বছর বয়সী শ্রীবাস কীর্তনীয়া। প্রাচীন এই দোকানের মতো এ দোকানের প্রাচীন কারিগর তিনি। ৩১ বছর ধরে এখানে মিষ্টি বানিয়ে চলেছেন শ্রীবাস! ৩৫ বছর বয়সে এখানে কারিগর হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন। চঞ্চল হাওলাদার জানান, এখানে আকারভেদে প্রতিটি রসগোল্লার দাম ২০, ৩০ ও ৫০ টাকা। তবে রসগোল্লা ছাড়াও এখানে পাওয়া যায় রসমালাই ও শুকনা মিষ্টি।
নিখিল হাওলাদার জানিয়েছেন, শুধু ব্যবসা হিসেবে তাঁরা মিষ্টির দোকানটি চালাচ্ছেন না এখন। এলাকার মর্যাদা ও ঐতিহ্য লালন করে চলেছেন তাঁরা। ‘এই অঞ্চলের ইতিহাসের সঙ্গে আমরা মিশে গেছি। আমরা জগার মিষ্টি দিয়ে কলাপাড়াকে ব্র্যান্ডিং করেছি।’ এমন কথাই জানালেন নিখিল।
কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে জগাখিচুড়ি না খেলেও আপনার চলবে, কিন্তু জগার মিষ্টি খাওয়ার কথা কোনোভাবেই ভোলা যাবে না।
শুধু কলাপাড়া বললে অনেকে হয়তো জায়গাটা চিনবেন না। কিন্তু কুয়াকাটার কথা বললে চিনবেন প্রায় সবাই। কুয়াকাটা সৈকতের জন্য কলাপাড়া এখন সুপরিচিত। এখানে আছে এক বিখ্যাত খাবার। জগার মিষ্টি।
কলাপাড়া পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায় ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জগবন্ধু মিষ্টান্ন ভান্ডার। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ছিলেন জগবন্ধু হাওলাদার। স্থানীয়ভাবে এটি পরিচিতি পায় ‘জগার মিষ্টি’ নামে। এ দোকানের অন্যতম মিষ্টি রসগোল্লা। ১৯৯১ সালে জগবন্ধু হাওলাদারের মৃত্যুর পর তিন ছেলের মধ্যে দোকানের হাল ধরেন বড় ছেলে নিখিল চন্দ্র হাওলাদার ও ছোট ছেলে চঞ্চল হাওলাদার। জগবন্ধু মিষ্টান্ন ভান্ডারে কাজ করেন ১৫ জন কর্মচারী। এখানে দুই ধরনের রসগোল্লা পাওয়া যায়। রসগোল্লার পাশাপাশি রসমালাই, ছানা, সন্দেশ, বেবি সুইট, কালোজাম, শুকনা মিষ্টি, দই ও নিমকি পাওয়া যায় এখানে। এ ছাড়া সকালে পরোটা, বিকেলে পুরি, মোগলাই, সবজি ও মিষ্টি দিয়ে নাশতার ব্যবস্থা আছে।
টিনের চৌচালা ঘরে কয়েকটি টেবিল-চেয়ার দিয়ে শুরু হয়েছিল দোকানটি। উঁচু চৌকির ওপর বড় পাত্রে মিষ্টি সাজানো থাকত। মানুষজন দোকানে এসে মিষ্টি খেতেন এবং নিয়ে যেতেন। এভাবে ধীরে ধীরে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। দোকানের সেই পুরোনো অবকাঠামো এখন আর নেই।
জগার মিষ্টির মূল কারিগর ৬৬ বছর বয়সী শ্রীবাস কীর্তনীয়া। প্রাচীন এই দোকানের মতো এ দোকানের প্রাচীন কারিগর তিনি। ৩১ বছর ধরে এখানে মিষ্টি বানিয়ে চলেছেন শ্রীবাস! ৩৫ বছর বয়সে এখানে কারিগর হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন। চঞ্চল হাওলাদার জানান, এখানে আকারভেদে প্রতিটি রসগোল্লার দাম ২০, ৩০ ও ৫০ টাকা। তবে রসগোল্লা ছাড়াও এখানে পাওয়া যায় রসমালাই ও শুকনা মিষ্টি।
নিখিল হাওলাদার জানিয়েছেন, শুধু ব্যবসা হিসেবে তাঁরা মিষ্টির দোকানটি চালাচ্ছেন না এখন। এলাকার মর্যাদা ও ঐতিহ্য লালন করে চলেছেন তাঁরা। ‘এই অঞ্চলের ইতিহাসের সঙ্গে আমরা মিশে গেছি। আমরা জগার মিষ্টি দিয়ে কলাপাড়াকে ব্র্যান্ডিং করেছি।’ এমন কথাই জানালেন নিখিল।
কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে জগাখিচুড়ি না খেলেও আপনার চলবে, কিন্তু জগার মিষ্টি খাওয়ার কথা কোনোভাবেই ভোলা যাবে না।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে