ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিডিওটি বাংলাদেশের। খেয়াল করে দেখো...এই নারীর বাংলাদেশে ভালো ব্যবসা ছিল, তার বাসায় মুসলিম ভাড়াটিয়ারা থাকত। গতকাল সেই মুসলিম ভাড়াটিয়ারা আরও কিছু মুসলিমকে ডেকে আনে এবং তার বাড়ি দখল করে নেয়, এরপর প্রায় ৩৫ জন মুসলিম মিলে তাকে ধর্ষণ করে।’
তার টুইটটি পাঁচ হাজারের বেশি রিপোস্ট হয়েছে, দেখা হয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজারের বেশি।
ভিডিওটি সম্পর্কে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চে ‘সামিউল বাসির বিন হোসেন’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পাওয়া যায়। গত সোমবার (১১ নভেম্বর) অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘আমার বোন কোহিনূর। কেন্দ্রীয় জাতীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ কৃষক লীগ। যদি বেঁচে থাকি, তোর শরীর থেকে ঝরে পড়া প্রতিটা রক্তের বিন্দুর হিসাব নেওয়া হবে, তোরে ভাই হিসেবে কথা দিলাম।’
রুহুল ফারুক নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই নারী সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যায়। অ্যাকাউন্টটির প্রোফাইলে থাকা তথ্যানুযায়ী, রুহুল ফারুক নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা শাখার কৃষক লীগ সভাপতি।
গত মঙ্গলবার ভাইরাল ভিডিওটিতে থাকা একই নারীর ছবিসহ আহত আরেকজন পুরুষের ছবি পোস্ট করে রুহুল ফারুক লিখেন, ‘আমরা শুরুটা করতে পেরেছি, ইনশা আল্লাহ শেষটা ভালো হবে। ১০-১১-২০২৪ তারিখের প্রোগ্রামে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশেদুল ভাই ও কোহিনূর আপা গুরুতর আহত এবং দুজনেই গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
এই দুই পোস্টের সূত্রে আরও খুঁজে দৈনিক প্রথম আলোয়
গত সোমবার ‘গুলিস্তান থেকে গ্রেপ্তার ৮ নারীসহ ৫৫ জন কারাগার’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, তিন মাস আগে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ডাকে নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গত রোববার দুপুরে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে অনেকে সমবেত হয়েছিল। এ সময় অনেককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে ৫৫ জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের মধ্যে অন্তত আটজন নারী রয়েছেন।
এ নারীদের মধ্যে কোহিনূর (৩৬) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তারের তথ্য রয়েছে। কোহিনূরের পরিচয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি রাজধানীর হাজারীবাগের বাসিন্দা। গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ওই সমাবেশে আসা অনেককে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের পরিচয় দিয়ে একদল লোক বেদম মারধর করে। তাঁদের মারধরে বেশ আহত হন কোহিনূর, তাঁর মুখমণ্ডল দিয়ে রক্ত ঝরছিল।
অনুসন্ধানে এ নারীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিও খুঁজে পায় আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। ‘Kahinur Akther’ নামের অ্যাকাউন্টটিতে থাকা ছবির সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওর নারীর ছবির মিল রয়েছে।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিম ভাড়াটিয়াদের হিন্দু নারীর বাড়ি দখল করে তাঁকে গণধর্ষণের কোনো ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে বলেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সুতরাং, বাংলাদেশে মুসলিম ভাড়াটিয়াদের হিন্দু নারীর বাড়ি দখল করে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে দাবিটি মিথ্যা।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিডিওটি বাংলাদেশের। খেয়াল করে দেখো...এই নারীর বাংলাদেশে ভালো ব্যবসা ছিল, তার বাসায় মুসলিম ভাড়াটিয়ারা থাকত। গতকাল সেই মুসলিম ভাড়াটিয়ারা আরও কিছু মুসলিমকে ডেকে আনে এবং তার বাড়ি দখল করে নেয়, এরপর প্রায় ৩৫ জন মুসলিম মিলে তাকে ধর্ষণ করে।’
তার টুইটটি পাঁচ হাজারের বেশি রিপোস্ট হয়েছে, দেখা হয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজারের বেশি।
ভিডিওটি সম্পর্কে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চে ‘সামিউল বাসির বিন হোসেন’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পাওয়া যায়। গত সোমবার (১১ নভেম্বর) অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘আমার বোন কোহিনূর। কেন্দ্রীয় জাতীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ কৃষক লীগ। যদি বেঁচে থাকি, তোর শরীর থেকে ঝরে পড়া প্রতিটা রক্তের বিন্দুর হিসাব নেওয়া হবে, তোরে ভাই হিসেবে কথা দিলাম।’
রুহুল ফারুক নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই নারী সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যায়। অ্যাকাউন্টটির প্রোফাইলে থাকা তথ্যানুযায়ী, রুহুল ফারুক নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা শাখার কৃষক লীগ সভাপতি।
গত মঙ্গলবার ভাইরাল ভিডিওটিতে থাকা একই নারীর ছবিসহ আহত আরেকজন পুরুষের ছবি পোস্ট করে রুহুল ফারুক লিখেন, ‘আমরা শুরুটা করতে পেরেছি, ইনশা আল্লাহ শেষটা ভালো হবে। ১০-১১-২০২৪ তারিখের প্রোগ্রামে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশেদুল ভাই ও কোহিনূর আপা গুরুতর আহত এবং দুজনেই গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
এই দুই পোস্টের সূত্রে আরও খুঁজে দৈনিক প্রথম আলোয়
গত সোমবার ‘গুলিস্তান থেকে গ্রেপ্তার ৮ নারীসহ ৫৫ জন কারাগার’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, তিন মাস আগে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ডাকে নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গত রোববার দুপুরে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে অনেকে সমবেত হয়েছিল। এ সময় অনেককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে ৫৫ জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের মধ্যে অন্তত আটজন নারী রয়েছেন।
এ নারীদের মধ্যে কোহিনূর (৩৬) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তারের তথ্য রয়েছে। কোহিনূরের পরিচয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি রাজধানীর হাজারীবাগের বাসিন্দা। গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ওই সমাবেশে আসা অনেককে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের পরিচয় দিয়ে একদল লোক বেদম মারধর করে। তাঁদের মারধরে বেশ আহত হন কোহিনূর, তাঁর মুখমণ্ডল দিয়ে রক্ত ঝরছিল।
অনুসন্ধানে এ নারীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিও খুঁজে পায় আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। ‘Kahinur Akther’ নামের অ্যাকাউন্টটিতে থাকা ছবির সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওর নারীর ছবির মিল রয়েছে।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিম ভাড়াটিয়াদের হিন্দু নারীর বাড়ি দখল করে তাঁকে গণধর্ষণের কোনো ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে বলেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সুতরাং, বাংলাদেশে মুসলিম ভাড়াটিয়াদের হিন্দু নারীর বাড়ি দখল করে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে দাবিটি মিথ্যা।
ফ্যাক্টচেক, সোশ্যাল মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাইরাল, ভুয়া পোস্ট, সংঘর্ষ, রাজধানী, সেনাবাহিনী, বিক্ষোভ, রিকশা
১০ ঘণ্টা আগেদীপ্তির বক্তব্য দাবিতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার নানীর ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।’
১৪ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২ দিন আগে