রিমন রহমান, রাজশাহী
আমন্ত্রণ নয়, রাজশাহী আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ছাতিমের সুগন্ধ ছাড়িয়ে রাজশাহী এখন ম-ম করছে হাঁসের মাংস ভুনার সুগন্ধে। সাদা ভাত আর গরম-গরম মাংস ভুনা। বিকেলে বাটার মোড়ের জিলাপির সঙ্গে নিমকি দিয়ে হালকা নাশতা। আলোর শহর রাজশাহী ঘুরে দেখার পর সন্ধ্যায় সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গরম-গরম রসগোল্লার সঙ্গে পুরি। তারপর বর্ণালি মোড়ে এক কাপ দুধ-চায়ের সঙ্গে জম্পেশ আড্ডা। ঘুরতে-ফিরতে দেখা হয়ে যেতে পারে ভাপা পিঠার সঙ্গেও। রাতে উপশহরে কালাই রুটি আর হাঁসের মাংস। শীত মানেই ভোজনরসিকদের রাজশাহীতে আনাগোনার সময়।
নরম হলেও গরম মিষ্টি
সিঅ্যান্ডবি মোড় হয়ে সার্কিট হাউসের দিকে গেলে হাতের বাঁ পাশে দেখা মিলবে কড়াই ভর্তি নরম-গরম রসগোল্লা। গরম শিরা থেকে উঠছে ধোঁয়া। কেউ এমনিই খান, কেউ সঙ্গে নেন পুরি। ২০১০ সাল থেকে রানার দোকানের এই মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে। রোজ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ দোকান। ফুটপাতের ওপর বসতে দিয়ে মিষ্টি খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছিল না বলে পাশে মনিবাজারের ভেতর আরেকটি দোকান দিয়েছেন এর মালিক রায়হান আলী রানা। প্রতিদিন প্রায় ৪০ কেজি ছানার মিষ্টি বিক্রি হয় দোকানটিতে। শীতে ক্রেতাসমাগম বেড়ে যায়।
রানা ও তাঁর বাবা ওয়াহেদ আলী নব্বইয়ের দশকে খাবারের দোকান হিসেবে এটি চালু করেছিলেন। ২০১০ সালে ব্যতিক্রমী মিষ্টি তৈরি শুরুর পর ভাত বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। এখন শুধু মিষ্টি-পুরিই মেলে। এখানে ঠান্ডা মিষ্টি মিলবে না। প্রতি কেজি মিষ্টি ৩০০ টাকা এবং প্রতিটি ২০ টাকা।
বটতলায় চায়ের আড্ডা
বর্ণালি মোড়কে মাঝে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলে গেছে রেললাইন। মোড়ের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি বটগাছ। গাছের নিচে চেয়ার পাতা। দুধ-চায়ের কাপে চুমুকে চুমুকে এখানে আড্ডা চলে দিনভর। ‘শরীফ টি গার্ডেন’ নামের এই দোকানের চায়ের সুখ্যাতি শহরজুড়ে। তাই শহরের নানান প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে দুধ-চা পান করতে আসেন। আড্ডা দেন।
সকাল থেকে কড়াইয়ে দুধ জ্বাল দেওয়া শুরু হয়। সময় যত গড়ায়, দুধ ততই লালচে হয়ে ওঠে। এতে চায়ের স্বাদও বাড়ে। বিকেলে এখানে বসার জায়গা পাওয়া কঠিন। সাধারণ দুধ-চা ছাড়াও কয়েক পদের চা পাওয়া যায় এখানে। এ ছাড়া পিরিচে হালকা দুধ দিয়ে কেক পরিবেশন করা হয়। নাম দুধ কেক। কেকের ওপর থাকা দুধের সর এর স্বাদ বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ।
হোটেলে হোটেলে কালা ভুনা
গরুর কষা মাংস বেশি মসলায় তুলে দেওয়া হয় তাওয়ায়। তাপে একসময় মাংসের রং হয়ে যায় কালো। তাই এই মাংসের নাম কালা ভুনা। এর নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে বছর দশেক ধরে। পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজারের জমশেদের হোটেল থেকে এর নাম ছড়িয়ে পড়ে। তারপর কাটাখালীর ইব্রাহিম হোটেল। ক্রমে সিটি হাট ও নওহাটার কালা ভুনাও জনপ্রিয়তা পায়। ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের সঙ্গে কালা ভুনা এখন খুবই জনপ্রিয়। চার-পাঁচ টুকরা মাংসের একটি বাটির দাম পড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। কালা ভুনা এখন রাজশাহীর প্রায় সব হোটেলে পাওয়া যায়।
বাটার মোড়ের জিলাপি
‘রানীবাজার রেস্টুরেন্ট’ নামের রেস্তোরাঁটির সাইনবোর্ড নষ্ট হয়ে গেলে আর বসানো হয়নি। তাই দোকানটির কোনো পোশাকি নাম না থাকলেও এর জিলাপির কদর এখনো আছে। সেটি রাজশাহী শহরের বাটার মোড়ে বলে এখন ‘বাটার মোড়ের জিলাপি’র দোকান নামেই পরিচিত। শুধু শীত নয়, সারা বছর এ দোকানের জিলাপির কদর থাকে। দোকানটিতে মচমচে জিলাপির সঙ্গে পাওয়া যায় নিমকি।
তমিজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি এ দোকান চালু করেছিলেন, ১৯৫২ সালে। এখন তাঁর চার নাতি এটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। দোকানটিতে একই কারিগর বছরের পর বছর জিলাপিতে প্যাঁচ দিয়ে যাচ্ছেন। এ দোকানের প্রতি কেজি জিলাপি ২০০ টাকা।
পথের ধারের ভাপা পিঠা
রাজশাহীতে এখন শীত শীত ভাব হলেও শীত পড়েনি। তবে শহরের পথের ধারে মিলছে ভাপা পিঠা। উপশহর মোড়ের আলেয়া, বিনোদপুরের সুফিয়া কিংবা তালাইমারী মোড়ের তুহিনের হাতের গরম ভাপা পিঠা খাওয়া যাবে তৃপ্তি নিয়ে। ভ্যানের ওপর চুলা জ্বালিয়ে এটি তৈরি হয়। খেজুরের গুড় আর নারকেল দেওয়া প্রতিটি ভাপা পিঠা ১০ টাকা।
আমন্ত্রণ নয়, রাজশাহী আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ছাতিমের সুগন্ধ ছাড়িয়ে রাজশাহী এখন ম-ম করছে হাঁসের মাংস ভুনার সুগন্ধে। সাদা ভাত আর গরম-গরম মাংস ভুনা। বিকেলে বাটার মোড়ের জিলাপির সঙ্গে নিমকি দিয়ে হালকা নাশতা। আলোর শহর রাজশাহী ঘুরে দেখার পর সন্ধ্যায় সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গরম-গরম রসগোল্লার সঙ্গে পুরি। তারপর বর্ণালি মোড়ে এক কাপ দুধ-চায়ের সঙ্গে জম্পেশ আড্ডা। ঘুরতে-ফিরতে দেখা হয়ে যেতে পারে ভাপা পিঠার সঙ্গেও। রাতে উপশহরে কালাই রুটি আর হাঁসের মাংস। শীত মানেই ভোজনরসিকদের রাজশাহীতে আনাগোনার সময়।
নরম হলেও গরম মিষ্টি
সিঅ্যান্ডবি মোড় হয়ে সার্কিট হাউসের দিকে গেলে হাতের বাঁ পাশে দেখা মিলবে কড়াই ভর্তি নরম-গরম রসগোল্লা। গরম শিরা থেকে উঠছে ধোঁয়া। কেউ এমনিই খান, কেউ সঙ্গে নেন পুরি। ২০১০ সাল থেকে রানার দোকানের এই মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে। রোজ বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ দোকান। ফুটপাতের ওপর বসতে দিয়ে মিষ্টি খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছিল না বলে পাশে মনিবাজারের ভেতর আরেকটি দোকান দিয়েছেন এর মালিক রায়হান আলী রানা। প্রতিদিন প্রায় ৪০ কেজি ছানার মিষ্টি বিক্রি হয় দোকানটিতে। শীতে ক্রেতাসমাগম বেড়ে যায়।
রানা ও তাঁর বাবা ওয়াহেদ আলী নব্বইয়ের দশকে খাবারের দোকান হিসেবে এটি চালু করেছিলেন। ২০১০ সালে ব্যতিক্রমী মিষ্টি তৈরি শুরুর পর ভাত বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। এখন শুধু মিষ্টি-পুরিই মেলে। এখানে ঠান্ডা মিষ্টি মিলবে না। প্রতি কেজি মিষ্টি ৩০০ টাকা এবং প্রতিটি ২০ টাকা।
বটতলায় চায়ের আড্ডা
বর্ণালি মোড়কে মাঝে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলে গেছে রেললাইন। মোড়ের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি বটগাছ। গাছের নিচে চেয়ার পাতা। দুধ-চায়ের কাপে চুমুকে চুমুকে এখানে আড্ডা চলে দিনভর। ‘শরীফ টি গার্ডেন’ নামের এই দোকানের চায়ের সুখ্যাতি শহরজুড়ে। তাই শহরের নানান প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে দুধ-চা পান করতে আসেন। আড্ডা দেন।
সকাল থেকে কড়াইয়ে দুধ জ্বাল দেওয়া শুরু হয়। সময় যত গড়ায়, দুধ ততই লালচে হয়ে ওঠে। এতে চায়ের স্বাদও বাড়ে। বিকেলে এখানে বসার জায়গা পাওয়া কঠিন। সাধারণ দুধ-চা ছাড়াও কয়েক পদের চা পাওয়া যায় এখানে। এ ছাড়া পিরিচে হালকা দুধ দিয়ে কেক পরিবেশন করা হয়। নাম দুধ কেক। কেকের ওপর থাকা দুধের সর এর স্বাদ বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ।
হোটেলে হোটেলে কালা ভুনা
গরুর কষা মাংস বেশি মসলায় তুলে দেওয়া হয় তাওয়ায়। তাপে একসময় মাংসের রং হয়ে যায় কালো। তাই এই মাংসের নাম কালা ভুনা। এর নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে বছর দশেক ধরে। পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজারের জমশেদের হোটেল থেকে এর নাম ছড়িয়ে পড়ে। তারপর কাটাখালীর ইব্রাহিম হোটেল। ক্রমে সিটি হাট ও নওহাটার কালা ভুনাও জনপ্রিয়তা পায়। ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের সঙ্গে কালা ভুনা এখন খুবই জনপ্রিয়। চার-পাঁচ টুকরা মাংসের একটি বাটির দাম পড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। কালা ভুনা এখন রাজশাহীর প্রায় সব হোটেলে পাওয়া যায়।
বাটার মোড়ের জিলাপি
‘রানীবাজার রেস্টুরেন্ট’ নামের রেস্তোরাঁটির সাইনবোর্ড নষ্ট হয়ে গেলে আর বসানো হয়নি। তাই দোকানটির কোনো পোশাকি নাম না থাকলেও এর জিলাপির কদর এখনো আছে। সেটি রাজশাহী শহরের বাটার মোড়ে বলে এখন ‘বাটার মোড়ের জিলাপি’র দোকান নামেই পরিচিত। শুধু শীত নয়, সারা বছর এ দোকানের জিলাপির কদর থাকে। দোকানটিতে মচমচে জিলাপির সঙ্গে পাওয়া যায় নিমকি।
তমিজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি এ দোকান চালু করেছিলেন, ১৯৫২ সালে। এখন তাঁর চার নাতি এটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। দোকানটিতে একই কারিগর বছরের পর বছর জিলাপিতে প্যাঁচ দিয়ে যাচ্ছেন। এ দোকানের প্রতি কেজি জিলাপি ২০০ টাকা।
পথের ধারের ভাপা পিঠা
রাজশাহীতে এখন শীত শীত ভাব হলেও শীত পড়েনি। তবে শহরের পথের ধারে মিলছে ভাপা পিঠা। উপশহর মোড়ের আলেয়া, বিনোদপুরের সুফিয়া কিংবা তালাইমারী মোড়ের তুহিনের হাতের গরম ভাপা পিঠা খাওয়া যাবে তৃপ্তি নিয়ে। ভ্যানের ওপর চুলা জ্বালিয়ে এটি তৈরি হয়। খেজুরের গুড় আর নারকেল দেওয়া প্রতিটি ভাপা পিঠা ১০ টাকা।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে