অনলাইন ডেস্ক
রূপসজ্জার অনুষঙ্গ হিসেবে আইলাইনারকে বিখ্যাত করার কৃতিত্ব প্রাচীন মিসরীয়দের। তেমনি প্রাচীন পারস্যে আধুনিক মানের লিপস্টিক ব্যবহারের প্রচলন শুরু হয় বলে দাবি করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। সম্প্রতি ইরানে অক্ষত এক শিশি গাঢ় লাল রঙের গুঁড়োর সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা।
বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্টিফিকে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রোঞ্জ যুগের প্রাক–হাখমানেশি (আকিমিনীয়) ইরানি সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ খননের সময় পাওয়া গাঢ় লাল গুঁড়ো ভর্তি একটি শিশিতে আধুনিক মেকআপের সমস্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, আকিমিনীয় রাজবংশের কাল ধরা হয় রাজা প্রথম সাইরাস থেকে তৃতীয় দারিয়ুস পর্যন্ত— ৫৫৩–৩৩০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ।
সবুজ রঙের ক্লোরাইট দিয়ে তৈরি শিশিটি ইরানের একটি জাদুঘরে পাওয়া গেছে। কেরমান প্রদেশের হিলাল নদীর কারণে বেশ কয়েকটি সমাধিস্থল প্লাবিত হওয়ার পরে এর মধ্যে চাপা পড়ে থাকা বিভিন্ন নিদর্শন বেরিয়ে আসে। তখনই এই শিশিটি উদ্ধার করা হয়।
সমাধিগুলো খনন করেছিল পারস্যের আগের প্রাগৈতিহাসিক এক সমৃদ্ধ সভ্যতা। সুমেরীয় লিপিতে মারহাসি এবং আক্কাদিয়ান লিপিতে পারাসুম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইতালির পাদোভা ও তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল প্রাপ্ত নিদর্শন সম্পর্কে জানতে এর ওপর ক্রোমাটোগ্রাফি, ইলেকট্রন মাইক্রোস্কপি ও এক্স–রে মতো বিভিন্ন ইমেজিং পদ্ধতি ব্যবহার করেন। হেমাটাইট (লাল রঞ্জক), ম্যাঙ্গানাইট, ব্রাউনাইট, গালেনা, অ্যাঙ্গেলসাইট ও উদ্ভিজ্জ মোম জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ওই গাঢ় লাল রং, যা অধররঞ্জনী হিসেবে ব্যবহার করা হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে। আধুনিক লিপস্টিকের উপাদানের সঙ্গে আশ্চর্যজনক মিল রয়েছে।
মিশ্রণটির রেডিও কার্বন বিশ্লেষণে জানা গেছে, এটি ব্রোঞ্জ যুগের সময়কার প্রাচ্যের প্রসাধনী। খ্রিষ্টের জন্মের ১৯৩৬ থেকে ১৬৮৭ বছর আগে এ মিশ্রণটি তৈরি উদ্ভাবন করা হয়েছিল।
প্রাচীন সভ্যতা থেকে যত ধরনের প্রসাধন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে এর বেশির ভাগই ছিল সাদা গুঁড়ো, যা ফাউন্ডেশন বা আইশ্যাডো হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এর মধ্যে মিসরীয়দের আইলাইনার ও পারস্যদের চোখের কাজলও রয়েছে।
প্রতিবেদনে গবেষকদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসা উঠে এসেছে, মানুষ কবে থেকে ঠোঁট রাঙাতে শুরু করেছে? মানুষের ঠোঁট রাঙানোর জন্য প্রথম কোন রঙ ব্যবহার করা হয়েছিল? মানুষ কি মুখে সরাসরি সীসা ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে জানত?
গবেষকেরা বলেন, প্রাচীন পারস্যের বিভিন্ন ফাউন্ডেশন, আইশ্যাডো ও লালচে প্রসাধনীগুলো মূলত লেড কার্বোনেট দিয়ে তৈরি হলেও, নতুন আবিষ্কৃত এ লাল গুঁড়ো প্রসাধনীতে সীসা খনিজের পরিমাণ নিতান্তই কম। আগের প্রসাধনীগুলোতে সীসার নির্বিচার ব্যবহারের তুলনায় নতুন প্রাপ্ত এ প্রসাধনীতে সীসার কম ব্যবহার দেখে মনে হচ্ছে, তাঁরা সরাসরি মুখে সীসা ব্যবহারের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।
গবেষকদের ধারণা, মনোরম সুগন্ধি তৈরি করার জন্য মিশ্রণে উদ্ভিজ্জ উপাদানগুলো যুক্ত করা হয়ে থাকতে পারে।
গবেষকেরা আরও অনুমান করছেন, আধুনিক মেকআপ ব্র্যান্ড ম্যাক বা ল’রিয়েল যেভাবে তাদের লিপস্টিক টিউবে প্যাকেজিং করে থাকে তা প্রাচীন মারহাসি থেকেই এসেছে। প্রাপ্ত ক্লোরাইট শিশিটির গড়নও ওই একই ধাঁচে গড়া। সমসাময়িক কালে অন্য প্রসাধনী থেকে এটি ভিন্ন।
গবেষকেরা বলছেন, এ ধরনের প্যাকেজিং থেকে ধারণা করা যেতে পারে, এটি সমাজের অভিজাত মহলের ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। কারণ এ ধরনের শৈল্পিক খোদাইযুক্ত শিশি তৈরির জন্য বিশেষ শিল্পীর প্রয়োজন হতো।
রূপসজ্জার অনুষঙ্গ হিসেবে আইলাইনারকে বিখ্যাত করার কৃতিত্ব প্রাচীন মিসরীয়দের। তেমনি প্রাচীন পারস্যে আধুনিক মানের লিপস্টিক ব্যবহারের প্রচলন শুরু হয় বলে দাবি করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। সম্প্রতি ইরানে অক্ষত এক শিশি গাঢ় লাল রঙের গুঁড়োর সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা।
বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্টিফিকে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রোঞ্জ যুগের প্রাক–হাখমানেশি (আকিমিনীয়) ইরানি সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ খননের সময় পাওয়া গাঢ় লাল গুঁড়ো ভর্তি একটি শিশিতে আধুনিক মেকআপের সমস্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, আকিমিনীয় রাজবংশের কাল ধরা হয় রাজা প্রথম সাইরাস থেকে তৃতীয় দারিয়ুস পর্যন্ত— ৫৫৩–৩৩০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ।
সবুজ রঙের ক্লোরাইট দিয়ে তৈরি শিশিটি ইরানের একটি জাদুঘরে পাওয়া গেছে। কেরমান প্রদেশের হিলাল নদীর কারণে বেশ কয়েকটি সমাধিস্থল প্লাবিত হওয়ার পরে এর মধ্যে চাপা পড়ে থাকা বিভিন্ন নিদর্শন বেরিয়ে আসে। তখনই এই শিশিটি উদ্ধার করা হয়।
সমাধিগুলো খনন করেছিল পারস্যের আগের প্রাগৈতিহাসিক এক সমৃদ্ধ সভ্যতা। সুমেরীয় লিপিতে মারহাসি এবং আক্কাদিয়ান লিপিতে পারাসুম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইতালির পাদোভা ও তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল প্রাপ্ত নিদর্শন সম্পর্কে জানতে এর ওপর ক্রোমাটোগ্রাফি, ইলেকট্রন মাইক্রোস্কপি ও এক্স–রে মতো বিভিন্ন ইমেজিং পদ্ধতি ব্যবহার করেন। হেমাটাইট (লাল রঞ্জক), ম্যাঙ্গানাইট, ব্রাউনাইট, গালেনা, অ্যাঙ্গেলসাইট ও উদ্ভিজ্জ মোম জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ওই গাঢ় লাল রং, যা অধররঞ্জনী হিসেবে ব্যবহার করা হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে। আধুনিক লিপস্টিকের উপাদানের সঙ্গে আশ্চর্যজনক মিল রয়েছে।
মিশ্রণটির রেডিও কার্বন বিশ্লেষণে জানা গেছে, এটি ব্রোঞ্জ যুগের সময়কার প্রাচ্যের প্রসাধনী। খ্রিষ্টের জন্মের ১৯৩৬ থেকে ১৬৮৭ বছর আগে এ মিশ্রণটি তৈরি উদ্ভাবন করা হয়েছিল।
প্রাচীন সভ্যতা থেকে যত ধরনের প্রসাধন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে এর বেশির ভাগই ছিল সাদা গুঁড়ো, যা ফাউন্ডেশন বা আইশ্যাডো হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এর মধ্যে মিসরীয়দের আইলাইনার ও পারস্যদের চোখের কাজলও রয়েছে।
প্রতিবেদনে গবেষকদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসা উঠে এসেছে, মানুষ কবে থেকে ঠোঁট রাঙাতে শুরু করেছে? মানুষের ঠোঁট রাঙানোর জন্য প্রথম কোন রঙ ব্যবহার করা হয়েছিল? মানুষ কি মুখে সরাসরি সীসা ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে জানত?
গবেষকেরা বলেন, প্রাচীন পারস্যের বিভিন্ন ফাউন্ডেশন, আইশ্যাডো ও লালচে প্রসাধনীগুলো মূলত লেড কার্বোনেট দিয়ে তৈরি হলেও, নতুন আবিষ্কৃত এ লাল গুঁড়ো প্রসাধনীতে সীসা খনিজের পরিমাণ নিতান্তই কম। আগের প্রসাধনীগুলোতে সীসার নির্বিচার ব্যবহারের তুলনায় নতুন প্রাপ্ত এ প্রসাধনীতে সীসার কম ব্যবহার দেখে মনে হচ্ছে, তাঁরা সরাসরি মুখে সীসা ব্যবহারের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন।
গবেষকদের ধারণা, মনোরম সুগন্ধি তৈরি করার জন্য মিশ্রণে উদ্ভিজ্জ উপাদানগুলো যুক্ত করা হয়ে থাকতে পারে।
গবেষকেরা আরও অনুমান করছেন, আধুনিক মেকআপ ব্র্যান্ড ম্যাক বা ল’রিয়েল যেভাবে তাদের লিপস্টিক টিউবে প্যাকেজিং করে থাকে তা প্রাচীন মারহাসি থেকেই এসেছে। প্রাপ্ত ক্লোরাইট শিশিটির গড়নও ওই একই ধাঁচে গড়া। সমসাময়িক কালে অন্য প্রসাধনী থেকে এটি ভিন্ন।
গবেষকেরা বলছেন, এ ধরনের প্যাকেজিং থেকে ধারণা করা যেতে পারে, এটি সমাজের অভিজাত মহলের ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। কারণ এ ধরনের শৈল্পিক খোদাইযুক্ত শিশি তৈরির জন্য বিশেষ শিল্পীর প্রয়োজন হতো।
দিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
১ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
১ দিন আগেভ্রমণকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী না হলে ভ্রমণের আনন্দ মাঠে মারা যেতে পারে। ভ্রমণের সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন কিছু উপায়।
১ দিন আগে