এএফপি, প্যারিস
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের জেরে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে পুতিনকে আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও রুশ সরকারের দপ্তর ক্রেমলিন এই দাবি অস্বীকার করেছে। এ ছাড়া যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ফ্রান্সও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে জয় অর্জনের পর গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। এ সময় ট্রাম্প ফ্লোরিডায় তাঁর মার-এ-লাগো রিসোর্টে ছিলেন।
টেলিফোনে আলাপকালে ইউরোপের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশাল সামরিক উপস্থিতির’ বিষয়টি পুতিনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের সমাধানের লক্ষ্যে শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে আবারও কথা বলার আগ্রহের কথাও ট্রাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
তবে ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তুকে ‘নিরেট গালগল্প’ বলে আখ্যা দিয়েছে ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ ধরনের টেলিফোন আলাপের বিষয়ে বলেন, ‘এটা সর্বৈব মিথ্যা। এটা নিরেট গালগল্প। এটি কেবলই মিথ্যা তথ্য।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘কোনো ধরনের ফোনালাপ হয়নি।’ পেসকভ যোগ করেন, বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার জন্য পুতিনের নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেই। এ ছাড়া ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে এখনো প্রস্তুত নয় পশ্চিমা বিশ্ব।
এর আগে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে পুতিন বলেন, ইউক্রেনের সংকট নিরসনে আলোচনা করতে মস্কো প্রস্তুত। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার এবং ইউক্রেন সংকট সমাধানে সহায়তা করতে ট্রাম্প যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তা নিয়ে তিনিও আগ্রহী।
এ ছাড়া গত বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলেন ট্রাম্প। এদিকে এই যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে ট্রাম্পকে ওভাল অফিসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন ইউক্রেনকে ত্যাগ না করে—ট্রাম্পকে এমন পরামর্শ দিতে পারেন বাইডেন। কেননা, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ত্যাগ করলে ইউরোপ আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
সতর্ক বার্তা ফ্রান্সের
এদিকে ট্রাম্পের ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্যের জেরে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারট। গতকাল সোমবার প্যারিস পিস ফোরামের সম্মেলনে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন ক্ষমতায় বসবে, তারা কী পদক্ষেপ নেবে, এখনো জল্পনাকল্পনা রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আগে থেকেই আমাদের কিছু অনুমান করা ঠিক হবে না।’
ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের প্রশাসন ইউক্রেন যুদ্ধে খরচ কমিয়ে আনতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তির ব্যাপারে আলোচনা শুরু করতে পারে। এই পরিস্থিতিতেই পুতিন-ট্রাম্পের ফোনালাপ ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের বিষয়টি সামনে এল। তবে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বলেন, ‘নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার জন্য সময় নিতে হবে আমাদের।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফ্রান্সও এটা চায়। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি, ইউক্রেনকে আমাদের এই সুবিধা দিতে হবে, যাতে তারা রুশ বাহিনীকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।’
ফরাসি এই মন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাশিয়া যদি “আমার শক্তি বেশি, তাই যা-ইচ্ছে তা-ই করব”— এই নীতিতে এগিয়ে যায়, তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই যুদ্ধ থেকে অনেক কিছু হারাতে হবে।’
এদিকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ফিনল্যান্ডও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিনা ভালতোনেন বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ইউক্রেন ইস্যুতে আরও সুখবর আসবে।’ একই সঙ্গে ইউক্রেনের জন্য ইউরোপকে আরও কিছু করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ইউক্রেনের জন্য অবশ্য সুখবর দিচ্ছে আপাতত জো বাইডেন প্রশাসনই। তারা বলছে, ইউক্রেনের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার আগেই সেই অর্থ ছাড় দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের জেরে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে পুতিনকে আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও রুশ সরকারের দপ্তর ক্রেমলিন এই দাবি অস্বীকার করেছে। এ ছাড়া যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ফ্রান্সও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে জয় অর্জনের পর গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। এ সময় ট্রাম্প ফ্লোরিডায় তাঁর মার-এ-লাগো রিসোর্টে ছিলেন।
টেলিফোনে আলাপকালে ইউরোপের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশাল সামরিক উপস্থিতির’ বিষয়টি পুতিনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের সমাধানের লক্ষ্যে শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে আবারও কথা বলার আগ্রহের কথাও ট্রাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
তবে ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তুকে ‘নিরেট গালগল্প’ বলে আখ্যা দিয়েছে ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ ধরনের টেলিফোন আলাপের বিষয়ে বলেন, ‘এটা সর্বৈব মিথ্যা। এটা নিরেট গালগল্প। এটি কেবলই মিথ্যা তথ্য।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘কোনো ধরনের ফোনালাপ হয়নি।’ পেসকভ যোগ করেন, বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার জন্য পুতিনের নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেই। এ ছাড়া ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারে এখনো প্রস্তুত নয় পশ্চিমা বিশ্ব।
এর আগে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে পুতিন বলেন, ইউক্রেনের সংকট নিরসনে আলোচনা করতে মস্কো প্রস্তুত। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার এবং ইউক্রেন সংকট সমাধানে সহায়তা করতে ট্রাম্প যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তা নিয়ে তিনিও আগ্রহী।
এ ছাড়া গত বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলেন ট্রাম্প। এদিকে এই যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে ট্রাম্পকে ওভাল অফিসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন ইউক্রেনকে ত্যাগ না করে—ট্রাম্পকে এমন পরামর্শ দিতে পারেন বাইডেন। কেননা, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ত্যাগ করলে ইউরোপ আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
সতর্ক বার্তা ফ্রান্সের
এদিকে ট্রাম্পের ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্যের জেরে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারট। গতকাল সোমবার প্যারিস পিস ফোরামের সম্মেলনে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন ক্ষমতায় বসবে, তারা কী পদক্ষেপ নেবে, এখনো জল্পনাকল্পনা রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আগে থেকেই আমাদের কিছু অনুমান করা ঠিক হবে না।’
ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের প্রশাসন ইউক্রেন যুদ্ধে খরচ কমিয়ে আনতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তির ব্যাপারে আলোচনা শুরু করতে পারে। এই পরিস্থিতিতেই পুতিন-ট্রাম্পের ফোনালাপ ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের বিষয়টি সামনে এল। তবে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বলেন, ‘নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার জন্য সময় নিতে হবে আমাদের।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফ্রান্সও এটা চায়। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি, ইউক্রেনকে আমাদের এই সুবিধা দিতে হবে, যাতে তারা রুশ বাহিনীকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।’
ফরাসি এই মন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাশিয়া যদি “আমার শক্তি বেশি, তাই যা-ইচ্ছে তা-ই করব”— এই নীতিতে এগিয়ে যায়, তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই যুদ্ধ থেকে অনেক কিছু হারাতে হবে।’
এদিকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ফিনল্যান্ডও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিনা ভালতোনেন বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ইউক্রেন ইস্যুতে আরও সুখবর আসবে।’ একই সঙ্গে ইউক্রেনের জন্য ইউরোপকে আরও কিছু করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ইউক্রেনের জন্য অবশ্য সুখবর দিচ্ছে আপাতত জো বাইডেন প্রশাসনই। তারা বলছে, ইউক্রেনের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার আগেই সেই অর্থ ছাড় দেওয়া হবে।
উত্তর প্রদেশের সাম্ভালে একটি মসজিদের সমীক্ষা নিয়ে সহিংসতায় চারজন নিহত হওয়ার পর ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম। গতকাল রোববার সকালে মুঘল যুগের শাহী জামা মসজিদে আদালতের নির্দেশে সমীক্ষা চালানো হলে স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মসজিদটি...
১ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যা আইসিসির ইতিহাসে একটি বিরল পদক্ষেপ।
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি সামরিক ঘাঁটির ওপর রহস্যজনক ড্রোন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের কর্মকর্তারা। কিছু কিছু মহল এমনটাও বলছেন, অজানা উড়ন্ত বস্তুগুলো (ইউএফও) বহির্জাগতিক বা এলিয়েন টাইপ কিছু হতে পারে। এই ঘাঁটিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি এমন
১০ ঘণ্টা আগেএকজনের বাড়ি ইউক্রেন, একজন যুক্তরাষ্ট্রের, জার্মানিরও আছেন একজন, অন্য দুজন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের। বাইকের হ্যান্ডেল ধরে শুধু রাস্তাই নয়, নিজেদের জীবনকেও নতুন করে আবিষ্কার করেছেন এই পাঁচ নারী।
১০ ঘণ্টা আগে