নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। এই রোগটি ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। অথচ তা নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে রোগটির বিস্তার আরও ভয়াবহ হতে পারে।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ ভবনে ‘ডিমেনশিয়া যত্ন ও নাগরিক মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ’ বিষয়ক সেমিনারে এসব তথ্য জানান সংশ্লিষ্টরা। ওই সেমিনারটির আয়োজন করেছিল আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
সেমিনারে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. হালিদা হানুম আখতার। তারা বক্তব্যে উঠে এসেছে, বাংলাদেশে ২০২০ সালে ১১ লাখ ডিমেনশিয়া রোগী পাওয়া গেছে। রোগীদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৮০ হাজার। শতকরা হিসাবে তা ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আর নারী ডিমেনশিয়া রোগী ৮ লাখ ৩০ হাজার বা মোট রোগীর ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৫ সালে রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
সেমিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৫ সালের তথ্য বলছে, অন্তত ৭২ শতাংশ নারী স্বামীর নির্যাতনের শিকার হন। নির্যাতনের শিকার হন ৪২ শতাংশ কিশোরী স্ত্রী। দৈহিক ও মানসিকভাবে তারা নির্যাতনের শিকার হন। ডিমেনশিয়া রোগের জন্য এই নির্যাতন প্রভাব হিসাবে কাজ করছে।
এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর একটি অংশ ডিমেনশিয়া নামক ভয়াবহ মস্তিষ্ক রোগে আক্রান্ত। আমাদের দেশের খুব অল্পসংখ্যক মানুষ এ রোগটি সম্পর্কে জানেন। ডিমেনশিয়া সম্পর্কে মানুষের জানাশোনা সীমিত থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের লক্ষণগুলো ও সঠিক পরিচর্যা হচ্ছে না।
সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ডিমেনশিয়ার ব্যাপারে আমাদের আরও গবেষণা করা উচিত, তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। আমরা সঠিক চিত্রটি পেলে ডিমেনশিয়া নিয়ে ঠিকমতো আগানো যাবে। কী করণীয় সেটা নিয়ে কথা বলা যাবে। আমি মনে করি, ডিমেনশিয়া নিয়ে দেশে আরও গবেষণা হওয়া উচিত। চিকিৎসা খাতে আমরা নানা বিষয় গবেষণা করি। এ ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে গবেষণার দরকার আছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিমেনশিয়া রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার আন্তরিকতা প্রয়োজন। সেবাদানকারীরা যেন রোগীকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় সেবা দিতে পারেন তার জন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।’
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান নাসরিন আফরোজ এতে সভাপতিত্ব করে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হাসান। সেমিনারে বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, গবেষক ও চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। এই রোগটি ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। অথচ তা নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে রোগটির বিস্তার আরও ভয়াবহ হতে পারে।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ ভবনে ‘ডিমেনশিয়া যত্ন ও নাগরিক মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ’ বিষয়ক সেমিনারে এসব তথ্য জানান সংশ্লিষ্টরা। ওই সেমিনারটির আয়োজন করেছিল আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
সেমিনারে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. হালিদা হানুম আখতার। তারা বক্তব্যে উঠে এসেছে, বাংলাদেশে ২০২০ সালে ১১ লাখ ডিমেনশিয়া রোগী পাওয়া গেছে। রোগীদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৮০ হাজার। শতকরা হিসাবে তা ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আর নারী ডিমেনশিয়া রোগী ৮ লাখ ৩০ হাজার বা মোট রোগীর ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৫ সালে রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
সেমিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৫ সালের তথ্য বলছে, অন্তত ৭২ শতাংশ নারী স্বামীর নির্যাতনের শিকার হন। নির্যাতনের শিকার হন ৪২ শতাংশ কিশোরী স্ত্রী। দৈহিক ও মানসিকভাবে তারা নির্যাতনের শিকার হন। ডিমেনশিয়া রোগের জন্য এই নির্যাতন প্রভাব হিসাবে কাজ করছে।
এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর একটি অংশ ডিমেনশিয়া নামক ভয়াবহ মস্তিষ্ক রোগে আক্রান্ত। আমাদের দেশের খুব অল্পসংখ্যক মানুষ এ রোগটি সম্পর্কে জানেন। ডিমেনশিয়া সম্পর্কে মানুষের জানাশোনা সীমিত থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের লক্ষণগুলো ও সঠিক পরিচর্যা হচ্ছে না।
সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ডিমেনশিয়ার ব্যাপারে আমাদের আরও গবেষণা করা উচিত, তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। আমরা সঠিক চিত্রটি পেলে ডিমেনশিয়া নিয়ে ঠিকমতো আগানো যাবে। কী করণীয় সেটা নিয়ে কথা বলা যাবে। আমি মনে করি, ডিমেনশিয়া নিয়ে দেশে আরও গবেষণা হওয়া উচিত। চিকিৎসা খাতে আমরা নানা বিষয় গবেষণা করি। এ ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে গবেষণার দরকার আছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিমেনশিয়া রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার আন্তরিকতা প্রয়োজন। সেবাদানকারীরা যেন রোগীকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় সেবা দিতে পারেন তার জন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।’
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান নাসরিন আফরোজ এতে সভাপতিত্ব করে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হাসান। সেমিনারে বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, গবেষক ও চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
লবণ ব্যবহারে সঠিক পরিমাণ বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতিরিক্ত লবণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নিচে ১৫টি ক্ষতির দিক তুলে ধরা হলো, যা অতিরিক্ত লবণ ব্যবহারের ফলে হতে পারে। কীভাবে এর নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে তা আলোচনা করা হলো:
১৭ ঘণ্টা আগেদূষণের মাত্রা বাড়লে বাতাসে থাকা বিষাক্ত গ্যাসগুলো যেমন—নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, নাইট্রিক অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইডও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
১ দিন আগেরাজধানীর নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যেই মানসিক ব্যাধির প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। তবে আর্থসামাজিক অবস্থার কারণে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি উপেক্ষিত। ঢাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের মানুষের ২৪ শতাংশই কোনো না কোনো মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
১ দিন আগেরোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
৫ দিন আগে