আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের কারণ হিসেবে বিনিয়োগকারীরা দুষছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি)। অন্যদিকে পুঞ্জীভূত অনেক সমস্যার মধ্যে বিএসইসির দৃষ্টিতে তারল্যসংকটই হলো এ মুহূর্তের পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এ পরিস্থিতিতে তারল্য প্রবাহ বাড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর দিকে নজর কমিশনের। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শিগগির সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার অপেক্ষায় বিএসইসি।
এ বিষয়ে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ওই বৈঠকে পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) আর্থিক বরাদ্দ পাইয়ে দিতে জোর চেষ্টা চালাবে কমিশন। বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হবে। একই সঙ্গে সরকারি ও ভালো কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র বলছে, এসব উদ্যোগের প্রাথমিক কাজ গুছিয়ে নিয়েছে কমিশন। এখন সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী স্তরের সঙ্গে বসার প্রস্তুতি চলছে। কেবল অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ নন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকেরও পরিকল্পনা রয়েছে বিএসইসির। সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পেলেই চিঠি চালাচালি ও অন্য সম্পূরক কাজগুলো সম্পন্ন করবে বিএসইসি।
এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘পুঁজিবাজারের উন্নয়নে খুব শিগগির অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বিএসইসি। বাজারে তারল্য বাড়াতে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব। আইসিবি সরকার থেকে ফান্ড নিয়ে কাজ করবে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলব।’
রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইসের কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অনেকটা সরে গেছে। আমরা তাদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি। নিরাপদ বাজার গড়ে তুলতে কমিশন কাজ করছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কীভাবে প্রণোদনা দেওয়া যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।’
এর আগে বাংলাদেশ বাংক থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ আবেদন করেছিল আইসিবি। যদিও এর বিপরীতে সরকারের ‘সভরেন গ্যারান্টি’ চেয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই মধ্যে সভরেন গ্যারান্টি দিতে রাজিও হয়েছে সরকার। তবে সেই টাকা আইসিবি পাবে ঋণ হিসেবে এবং এর জন্য সুদ দিতে হবে। ফলে সরকারের কাছে আলাদা ফান্ড বা বরাদ্দ পেলে আইসিবি পুঁজিবাজারকে ভালো সহায়তা দিতে পারবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সভরেন গ্যারান্টির জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি। সরকারও সম্মতি দিয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা দেশে এলে হয়তো এর কাজ এগোবে। বর্তমানে আইসিবির বিনিয়োগ ১৩ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ১২ হাজার কোটি টাকার।
তথ্যমতে, অন্যান্য বিনিয়োগ মিলিয়ে আইসিবির হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই। আর পুঁজিবাজারে দরপতনের কারণে বিনিয়োগও কমে গেছে। এই অবস্থায় নতুন ফান্ড না পেলে বাজারে সহায়তা দিতে পারবে না আইসিবি।
আইসিবির চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বলেন, বিএসইসি যদি চেষ্টা করে এবং সরকার যদি আইসিবিকে আলাদা ফান্ড দেয়, তাহলে খুব ভালো হয়।
এসব বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারের তারল্য বৃদ্ধি ও আস্থার সংকট দূর করতে কাজ করছে কমিশন। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। তাঁদের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করে পুঁজিবাজারের সংস্কারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে আইসিবিকে আর্থিক সহায়তা পেতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে কমিশন। তা ছাড়া ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে সরকারি কোম্পানিকে ডিরেক্ট লিস্টিং ও আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি খাতের ভালো কোম্পানিও আনার চেষ্টা চলছে।
তবে বিএসইসির এসব উদ্যোগের সুফল নিয়ে সন্দিহান সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোন পদ্ধতিতে, কী জন্য আইসিবিকে ফান্ড দেওয়া হবে, সেগুলো না জেনে এর সুফল নিরূপণ করা সম্ভব নয়।
পুঁজিবাজারে সরকারি কোম্পানি তালিকাভুক্তির বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, সরকারি কোম্পানি তালিকাভুক্তির কাজ বিএসইসির নয়। তাদের কাজ পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
বিএসইসির চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘আমরা কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেব না।
পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের কারণ হিসেবে বিনিয়োগকারীরা দুষছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি)। অন্যদিকে পুঞ্জীভূত অনেক সমস্যার মধ্যে বিএসইসির দৃষ্টিতে তারল্যসংকটই হলো এ মুহূর্তের পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এ পরিস্থিতিতে তারল্য প্রবাহ বাড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর দিকে নজর কমিশনের। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শিগগির সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার অপেক্ষায় বিএসইসি।
এ বিষয়ে দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ওই বৈঠকে পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) আর্থিক বরাদ্দ পাইয়ে দিতে জোর চেষ্টা চালাবে কমিশন। বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হবে। একই সঙ্গে সরকারি ও ভালো কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র বলছে, এসব উদ্যোগের প্রাথমিক কাজ গুছিয়ে নিয়েছে কমিশন। এখন সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী স্তরের সঙ্গে বসার প্রস্তুতি চলছে। কেবল অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ নন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকেরও পরিকল্পনা রয়েছে বিএসইসির। সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পেলেই চিঠি চালাচালি ও অন্য সম্পূরক কাজগুলো সম্পন্ন করবে বিএসইসি।
এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘পুঁজিবাজারের উন্নয়নে খুব শিগগির অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বিএসইসি। বাজারে তারল্য বাড়াতে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব। আইসিবি সরকার থেকে ফান্ড নিয়ে কাজ করবে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলব।’
রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইসের কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অনেকটা সরে গেছে। আমরা তাদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি। নিরাপদ বাজার গড়ে তুলতে কমিশন কাজ করছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কীভাবে প্রণোদনা দেওয়া যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।’
এর আগে বাংলাদেশ বাংক থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ আবেদন করেছিল আইসিবি। যদিও এর বিপরীতে সরকারের ‘সভরেন গ্যারান্টি’ চেয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই মধ্যে সভরেন গ্যারান্টি দিতে রাজিও হয়েছে সরকার। তবে সেই টাকা আইসিবি পাবে ঋণ হিসেবে এবং এর জন্য সুদ দিতে হবে। ফলে সরকারের কাছে আলাদা ফান্ড বা বরাদ্দ পেলে আইসিবি পুঁজিবাজারকে ভালো সহায়তা দিতে পারবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সভরেন গ্যারান্টির জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি। সরকারও সম্মতি দিয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা দেশে এলে হয়তো এর কাজ এগোবে। বর্তমানে আইসিবির বিনিয়োগ ১৩ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ১২ হাজার কোটি টাকার।
তথ্যমতে, অন্যান্য বিনিয়োগ মিলিয়ে আইসিবির হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই। আর পুঁজিবাজারে দরপতনের কারণে বিনিয়োগও কমে গেছে। এই অবস্থায় নতুন ফান্ড না পেলে বাজারে সহায়তা দিতে পারবে না আইসিবি।
আইসিবির চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বলেন, বিএসইসি যদি চেষ্টা করে এবং সরকার যদি আইসিবিকে আলাদা ফান্ড দেয়, তাহলে খুব ভালো হয়।
এসব বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারের তারল্য বৃদ্ধি ও আস্থার সংকট দূর করতে কাজ করছে কমিশন। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। তাঁদের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করে পুঁজিবাজারের সংস্কারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে আইসিবিকে আর্থিক সহায়তা পেতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে কমিশন। তা ছাড়া ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে সরকারি কোম্পানিকে ডিরেক্ট লিস্টিং ও আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি খাতের ভালো কোম্পানিও আনার চেষ্টা চলছে।
তবে বিএসইসির এসব উদ্যোগের সুফল নিয়ে সন্দিহান সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোন পদ্ধতিতে, কী জন্য আইসিবিকে ফান্ড দেওয়া হবে, সেগুলো না জেনে এর সুফল নিরূপণ করা সম্ভব নয়।
পুঁজিবাজারে সরকারি কোম্পানি তালিকাভুক্তির বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, সরকারি কোম্পানি তালিকাভুক্তির কাজ বিএসইসির নয়। তাদের কাজ পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
বিএসইসির চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘আমরা কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেব না।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি ও যৌথ অংশীদারত্ব মিলিয়ে ৮৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রের সঙ্গে করা বেশির ভাগ চুক্তিই নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন
১৩ মিনিট আগেইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি নেতিবাচক ধারাতেই আছে। চলতি বছরের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে পোশাক রপ্তানি কমেছে ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ইউরোস্টেটের তথ্যমতে, এ সময় ইউরোপের বাজারগুলোতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর একই সময় ছি
১৫ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। এর প্রভাবও পড়েছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতেও (এডিপি)। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবরে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে১৪৭ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করে চতুর্থ দফায় ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে দুই বছর। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ৩১ মার্চ।
১ ঘণ্টা আগে