গোলাম সাজ্জাদ, টরন্টো (কানাডা)
ঈদ মানেই আনন্দ। প্রবাসের কর্মব্যস্ত জীবনে সেটা খুব অনুভূত হয়। কানাডা বিশাল এক দেশ। এর প্রায় সব জায়গাতেই বাঙালিরা রয়েছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে টরন্টোতে। আর টরন্টোতে বাংলাদেশিদের পাড়া হচ্ছে ড্যানফোর্থ এলাকা। ঈদ এলেই ড্যানফোর্থের প্রাণচাঞ্চল্য যেন আরও বেড়ে যায়।
দোকানে দোকানে মানুষের ভিড়। বাচ্চাদের পোশাক? অমুক দোকানে যাও। শাড়ি? আরে ওই দোকানে গেলেই হয়। দোকানে বসে ফোনেই চলছে সাজেশন। ইফতারও সেরে নেওয়া যায়
কোনো এক বাঙালি খাবারের দোকানে—বাহারি সব ইফতারির আইটেম সেখানে। ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় অনেক সময় অল্প কয়জন এক হয় কারও বাসায়। মেহেদি দিতে বসে মেয়েরা। কোনো এক আপু বা ভাবির তখন ভারি কদর, তাঁর মেহেদি লাগানোর দক্ষতার জন্য। ছেলেরা এখানে অনেকটাই ব্রাত্য। পাশের ঘরে চায়ের আড্ডায় তারা তখন হাতি-ঘোড়া মারতে ব্যস্ত। টরন্টোজুড়েই এখন অনেক মসজিদ। ঈদের জামাতে যোগ দেওয়া যায়, তা মোটামুটি যেকোনো জায়গাতেই বাসা হোক না কেন। অনেক মসজিদে একাধিক জামাতের ব্যবস্থা করা হয়। টরন্টোতে এমনকি বাইরে খোলা মাঠেও ঈদের জামাত হয়। অনেকটা আমাদের ঈদগাহের মতো। এখানকার ডেনটোনিয়া পার্কে ঈদের জামাত হয়, অবশ্য যদি না তাতে প্রকৃতি বাদ সাধে।
এখানে ঈদের জন্য কোনো আলাদা ছুটি নেই। কিন্তু এ জন্য ছুটি মিলবে চাইলেই। তা সেটা বাচ্চাদের স্কুলই হোক বা বড়দের কাজের জায়গা। কানাডা সমাজের ডাইভার্সিটি বা বৈচিত্র্যকে খুবই উৎসাহ দেয়। এখানকার মূলধারার স্টোরগুলোতেও (যেমন ওয়ালমার্ট) দেখা যায়, ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফ্লায়ার বের করেছে।
রসনাপ্রিয় বাঙালির দেখা মেলে এই ঈদের দাওয়াতেই। কী নেই সেখানে! চিনিগুড়া চালের পোলাও, চিকেন রোস্ট, মাটন রেজালা, গরুর মাংস, শামি কাবাব, ফিরনি-পায়েসের মতো অসংখ্য আইটেম তো রয়েছেই। তার সঙ্গে যোগ হয় কোয়েলের রোস্ট, শাহি টুকরা, বাটার চিকেন, তন্দুরি আরও কত-কী!
সবশেষে একটা ছোট্ট খারাপ লাগা আছে। এখনো এখানের মুসলিম সমাজ সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি একই দিনে ঈদ উৎসবের ব্যাপারে। দেখা যায়, কিছু বাঙালি আজ ঈদ করছে, কেউ বা তার পরদিন। দাওয়াত দিতে গেলে হয় সমস্যা। প্রবাসের শত ব্যস্ততার মাঝে পাওয়া এই ঈদ আনন্দটুকু পুরো হতো যদি সবাই মিলে একই দিনে তা পালন করা যেত!
ঈদ মানেই আনন্দ। প্রবাসের কর্মব্যস্ত জীবনে সেটা খুব অনুভূত হয়। কানাডা বিশাল এক দেশ। এর প্রায় সব জায়গাতেই বাঙালিরা রয়েছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে টরন্টোতে। আর টরন্টোতে বাংলাদেশিদের পাড়া হচ্ছে ড্যানফোর্থ এলাকা। ঈদ এলেই ড্যানফোর্থের প্রাণচাঞ্চল্য যেন আরও বেড়ে যায়।
দোকানে দোকানে মানুষের ভিড়। বাচ্চাদের পোশাক? অমুক দোকানে যাও। শাড়ি? আরে ওই দোকানে গেলেই হয়। দোকানে বসে ফোনেই চলছে সাজেশন। ইফতারও সেরে নেওয়া যায়
কোনো এক বাঙালি খাবারের দোকানে—বাহারি সব ইফতারির আইটেম সেখানে। ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় অনেক সময় অল্প কয়জন এক হয় কারও বাসায়। মেহেদি দিতে বসে মেয়েরা। কোনো এক আপু বা ভাবির তখন ভারি কদর, তাঁর মেহেদি লাগানোর দক্ষতার জন্য। ছেলেরা এখানে অনেকটাই ব্রাত্য। পাশের ঘরে চায়ের আড্ডায় তারা তখন হাতি-ঘোড়া মারতে ব্যস্ত। টরন্টোজুড়েই এখন অনেক মসজিদ। ঈদের জামাতে যোগ দেওয়া যায়, তা মোটামুটি যেকোনো জায়গাতেই বাসা হোক না কেন। অনেক মসজিদে একাধিক জামাতের ব্যবস্থা করা হয়। টরন্টোতে এমনকি বাইরে খোলা মাঠেও ঈদের জামাত হয়। অনেকটা আমাদের ঈদগাহের মতো। এখানকার ডেনটোনিয়া পার্কে ঈদের জামাত হয়, অবশ্য যদি না তাতে প্রকৃতি বাদ সাধে।
এখানে ঈদের জন্য কোনো আলাদা ছুটি নেই। কিন্তু এ জন্য ছুটি মিলবে চাইলেই। তা সেটা বাচ্চাদের স্কুলই হোক বা বড়দের কাজের জায়গা। কানাডা সমাজের ডাইভার্সিটি বা বৈচিত্র্যকে খুবই উৎসাহ দেয়। এখানকার মূলধারার স্টোরগুলোতেও (যেমন ওয়ালমার্ট) দেখা যায়, ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফ্লায়ার বের করেছে।
রসনাপ্রিয় বাঙালির দেখা মেলে এই ঈদের দাওয়াতেই। কী নেই সেখানে! চিনিগুড়া চালের পোলাও, চিকেন রোস্ট, মাটন রেজালা, গরুর মাংস, শামি কাবাব, ফিরনি-পায়েসের মতো অসংখ্য আইটেম তো রয়েছেই। তার সঙ্গে যোগ হয় কোয়েলের রোস্ট, শাহি টুকরা, বাটার চিকেন, তন্দুরি আরও কত-কী!
সবশেষে একটা ছোট্ট খারাপ লাগা আছে। এখনো এখানের মুসলিম সমাজ সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি একই দিনে ঈদ উৎসবের ব্যাপারে। দেখা যায়, কিছু বাঙালি আজ ঈদ করছে, কেউ বা তার পরদিন। দাওয়াত দিতে গেলে হয় সমস্যা। প্রবাসের শত ব্যস্ততার মাঝে পাওয়া এই ঈদ আনন্দটুকু পুরো হতো যদি সবাই মিলে একই দিনে তা পালন করা যেত!
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরলেন। সেদিন অপরাহ্ণে রেসকোর্সে অলিখিত স্বতঃস্ফূর্ত ভাষণ দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি আমি শুনেছিলাম—১৭ মিনিটের। ভাষণে একটি জায়গায় তিনি বলেছিলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে,
২৬ মার্চ ২০২৪১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তার একটি সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র মানে বৈষম্যের অবসান। সমাজতন্ত্র মানে ন্যায্যতা। সমাজতন্ত্র মানে সবার শিক্ষা, চিকিৎসা, মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজের সুযোগ। সমাজতন্ত্র মানে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজন অনুয
২৬ মার্চ ২০২৪স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার চালিকা শক্তি হিসেবে চারটি মৌলনীতি গ্রহণ করেছিলেন। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। আজ ৫২ বছর পর দেখছি, এই মৌলনীতিগুলোর প্রতিটির সূচক এত নিচে নেমে গেছে যে, বলা চলে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতি বলে এখন আর কিছু নেই। জাতীয়তা দুই ভাগে বি
২৬ মার্চ ২০২৪বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, রাষ্ট্র হিসেবে নবীন, কিন্তু এর সভ্যতা সুপ্রাচীন। নদীবেষ্টিত গাঙেয় উপত্যকায় পলিবাহিত উর্বর ভূমি যেমন উপচে পড়া শস্যসম্ভারে জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি নদীর ভাঙনের খেলায় রাতারাতি বিলুপ্ত হয়েছে বহু জনপদ। এরপরও সভ্যতার নানা চিহ্ন এখানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং বাঙালিত্বের বৈশিষ
২৬ মার্চ ২০২৪