একদা এক স্বৈরাচারীর এমন ছিল অত্যাচার,অর্থে কিনে করতে হত খাবার জলের ব্যবহার।কলসপ্রতি এক আনা দাম, ঝরত প্রজার চোখের জল,ব্যথার চোটে বলত সবাই, হয় যেন তার নরক ফল!মর্ম তখন বুঝল রাজা, পড়ল যখন অসুখে,মুখে বলে, যমযাতনা সইতে হবে এই বুকে।ছেলেকে বসায় সিংহাসনে, মরার সময় কয় ডেকে,স্বর্গ যেন তোর গুণে পাই, আমার যত পাপ
এক মগ কফি, কি! শুধুই কফি- নাকি? স্বাদ, ঘ্রাণ ও দৃষ্টি ইন্দ্রিয়ের মিশেল, আসলেই কৌতুহলজাগানিয়া অম্ল মিশ্রিত তিতকুটে পানীয়। চুমুকেই মুখের জ্যামিতির পরিবর্তন, সুঘ্রাণেই অর্ধভোজন, দর্শনেও নিগূঢ় তৃপ্তি এইতো কফি!
সেদিন ছিল অমাবস্যা, দেখা করার দিন, আমাদের গ্রাম ছিল পাশাপাশি,তবু অপেক্ষা অন্তহীন।
লুইজ এলিজাবেথ গ্ল্যিক ১৯৯৩ সালে পুলিৎজার পুরস্কার আর ২০০৩-২০০৪ সালে পোয়েট লোরিয়েট পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর কবিতার উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর মধ্যে কেবল বৌদ্ধিক দিকই নয়, বরং কিছু চিত্রাবলি, রূপকল্প কেমন করে যেন খুব নিভৃতেই জায়গা করে নেয় মনে। তিনি যখন মানুষের জীবন নিয়ে কবিতায় চিত্রকল্প ব্যবহার করছেন, আমি ভাবছ
প্রমা-ই জিজীবিষা যেন মনীষা কোন দুর্মতি নয়, অথচ চমকও প্রীতির ঘনিষ্ঠতা অব্যক্ত রাখে না
বরই ফুলের পাশে মখমল রোদ উঠেছিল কাল ,আমি আকাশ দেখার লোভে খুলতে চেয়েছিলাম, বৈচিত্র্যের পুঁজি আর মানুষের তৈরি মানববাদ- গাছের স্বত্ব নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছিলাম ঢের ,অথচ অনড় থেকেছিলাম পুঁজিবাদের পক্ষে!
দিব্যি, বেঁচে আছি! এমন অজুহাতে কিছুকাল আয়ুষ্মান হয়ে উঠবো; রঙচঙে জড়ানো মায়া-আবহ ৷ আমাদের এখন ভরা বসন্ত যদিও ৷ তথাপি—সংগ্রামী পথে শাদা শাদা কাশফুল—দুলছে!
বিকেলজুড়ে নাগিনডান্স, এমন মাতোয়ারা, হাঁটুগেড়ে বসে গেছে রোদ আর কোমর দুলিয়ে নামছে ঝরাপাতা। এমন আনন্দের অপেক্ষা করতে গিয়ে টেনে আনি ডিলিট প্রসঙ্গ। রিসাইকেল বিন থেকে কুড়াই স্মৃতি, বিদায় সংলাপ।
মানুষ কথা বলা শিখেছে কথা কিনে খাই। বাজারে আগুন--সে আঁচ বুকে করে আনি বাড়িতে ছানাপোনা, ঘরসংসার তাদের সেদ্ধ করে দেই কথার প্রলাপ
মেষপালক ও ও যিশু শোনো বলি, এই পৃথিবী ডালিম দানা রক্ত-ভূমি। তুমি’তো বলো যুদ্ধ ও শান্তি, শান্তি ও যুদ্ধ পরস্পর ভাই। আঙুরের খেত লকলক করে যেন গমফুল।
যেকোনো আদিম বিষয়ে উৎসাবলির মতো এখানেও কিছু পরিসীমা অঙ্কন করে ফেলা যায়। তবে অতীতের দোয়াত নিয়ে অপেক্ষাকৃত কম চোয়ালের দম পদ্ধতি আমাদের গাড়ন প্রকার সম্পর্কে অবগত করে ফেলতে পারে। তাতে কেটে যায় বেলা–সহমৃতের আকার যেন যাপিত অলংকার–পৌঁছে দেয় ভোর।
রক্তাক্ত হওয়ার এখনো অনেক বাকী দিনের আলোতেও পথ হাতড়ে চলা লক্ষ নিযুত ভুলের দেয়ালে মাথা কুটে স্বপ্ন বিসর্জন প্রকৃত পথ আরো দীর্ঘ দূর হোঁচট খেতে খেতে পার হওয়া লক্ষ যোজন
জীবন পালটে গেছে, ব্যর্থতার সাথে পরিচয় পড়ন্ত বেলায় চুপিসারে, আগুন বিদ্রোহ করে অন্তরের গভীরে, ছুটে যেতে চায় অরণ্যে দাবানল সহসা নিভে যায়, কথা ভেসে ওঠে–সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়।
কবি পরিচিতি: চার্লস বুকোস্কি একজন জার্মান আমেরিকান কবি, ঔপন্যাসিক ও গল্পকার। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অসংগতি যেমন উঠে এসেছে তার কবিতায় আর লেখনীতে, একইভাবে জীবনকে নিয়ে, নিজেকে নিয়ে তাঁর যে অদ্ভুত বিদ্রূপ, তাচ্ছিল্য রয়েছে তা সত্যিই আমাদের নিজের অস্তিত্ব, আর অবস্থান নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে
যুগের খচ্চর চড়ে—ব্রাত্য মানুষের পিঠ, কাঁধ, ঘাড়, বুক বেয়ে; এক চালাক রাখাল বহু ছদ্মনামে হেসে বেড়ায়, ভেসে বেড়ায়।
যাবার আগেই পৌঁছে যাচ্ছি। যাচ্ছি আজ তোমার কাছে। মেঘ যাচ্ছি। ট্রাম-ট্রেন পাখি যাচ্ছি। বাতাস-শিশির ফুল যাচ্ছি। ধানের পাতা দুল যাচ্ছি।
এমন নিদ্রা নিয়ে ফুটেছে হরিদ্রা যাই তাকে ছুঁয়ে দিয়ে বলি ঘুম কেন আসে চোখে নির্ঘুম পতঙ্গদের নিয়ে চলা এ ক্ষণ