ঋতম বন্দোপাধ্যায়
সেদিন ছিল অমাবস্যা,
দেখা করার দিন,
আমাদের গ্রাম ছিল পাশাপাশি,
তবু অপেক্ষা অন্তহীন।
মধ্যিখানে বয়ে যেত অশ্রু নদী হায়,
তাহার পাড়ে আমরা দুজন খুঁজতাম আশ্রয়।
একটি গ্রাম হিন্দুদের, আরেকটি মোসলমান,
প্রেম-প্রীতি-বিরহের ছিল নাকো স্থান।
দিবসেতে থাকতাম যে যার ঘরে,
অমাবস্যায় দেখা হতো, ফিরতাম ভোরে।
সেদিনও তুই এসেছিলি সুয্যি ডোবার শেষে,
চোখভরা মায়া নিয়ে, অশ্রু নদীর বেশে।
এমন সময় দুই গ্রামেতে উঠল জেগে রব,
জ্বলল কত মশাল, ওরা পুড়িয়ে দিল সব।
আমি তুই নদীর ধারে কাঁপছি তখন ভয়ে,
তোর হাত আমার হাতে, দুচোখে বিস্ময়।
আমি বললাম, পালাই চল ! পালিয়ে কোথায় যাই?
হিন্দুস্থান-পাকিস্তান কেউ দেবে না ঠাঁই।
ভোরবেলা আগুন নিভল, গ্রাম তখন ফাঁকা,
সেই যে তোকে বিদায় দিলাম, আর হলো না দেখা।
সারা দেশ ওলটপালট, খুঁজেছিলাম তোকে,
ঝোড়ো হাওয়ায় পথ হারিয়েছে, কেউ দেখেছ কি ওকে?
মানুষ তখন রক্তাক্ত, দিল না উত্তর,
সাতচল্লিশ চলে গেল, এল একাত্তর।
কারুর চারু আবার হারাল, কারুর বনলতা,
হলো না আর আমাদের একসঙ্গে থাকা।
অবশেষে শান্তি ফিরল, যুদ্ধ হল শেষ,
স্বাধীন আবার, স্বাধীন জয়ী, স্বাধীন বাংলাদেশ।
এখন আমার অনেক বয়েস, কমে আসছে দিন,
চোখে আর স্পষ্ট দেখি না, স্মৃতিও বিলীন।
আজ যদি দেখা হয়ে যায়, হয় আবার কথা,
ছোটবেলার নদীর পাড়ে ঘর বাঁধবি সখা?
যে গ্রাম দুটো পুড়ে গিয়েছিল, আবার গড়ব মোরা,
ফিরে আসবে প্রাণের ভয়ে পালিয়েছিল যারা।
রোজ তোকে ফুল এনে দেব, গোলাপ-পারুল-জুঁই,
রক্তকরবীর মালা গাঁথব, খোঁপায় বাঁধিস তুই।
অমাবস্যায় ঘুরতে যাবি? নেই বিদ্রোহীরা।
ছোটবেলার অপূর্ণ আশ মিটিয়ে নেব মোরা !
সেদিন ছিল অমাবস্যা,
দেখা করার দিন,
আমাদের গ্রাম ছিল পাশাপাশি,
তবু অপেক্ষা অন্তহীন।
মধ্যিখানে বয়ে যেত অশ্রু নদী হায়,
তাহার পাড়ে আমরা দুজন খুঁজতাম আশ্রয়।
একটি গ্রাম হিন্দুদের, আরেকটি মোসলমান,
প্রেম-প্রীতি-বিরহের ছিল নাকো স্থান।
দিবসেতে থাকতাম যে যার ঘরে,
অমাবস্যায় দেখা হতো, ফিরতাম ভোরে।
সেদিনও তুই এসেছিলি সুয্যি ডোবার শেষে,
চোখভরা মায়া নিয়ে, অশ্রু নদীর বেশে।
এমন সময় দুই গ্রামেতে উঠল জেগে রব,
জ্বলল কত মশাল, ওরা পুড়িয়ে দিল সব।
আমি তুই নদীর ধারে কাঁপছি তখন ভয়ে,
তোর হাত আমার হাতে, দুচোখে বিস্ময়।
আমি বললাম, পালাই চল ! পালিয়ে কোথায় যাই?
হিন্দুস্থান-পাকিস্তান কেউ দেবে না ঠাঁই।
ভোরবেলা আগুন নিভল, গ্রাম তখন ফাঁকা,
সেই যে তোকে বিদায় দিলাম, আর হলো না দেখা।
সারা দেশ ওলটপালট, খুঁজেছিলাম তোকে,
ঝোড়ো হাওয়ায় পথ হারিয়েছে, কেউ দেখেছ কি ওকে?
মানুষ তখন রক্তাক্ত, দিল না উত্তর,
সাতচল্লিশ চলে গেল, এল একাত্তর।
কারুর চারু আবার হারাল, কারুর বনলতা,
হলো না আর আমাদের একসঙ্গে থাকা।
অবশেষে শান্তি ফিরল, যুদ্ধ হল শেষ,
স্বাধীন আবার, স্বাধীন জয়ী, স্বাধীন বাংলাদেশ।
এখন আমার অনেক বয়েস, কমে আসছে দিন,
চোখে আর স্পষ্ট দেখি না, স্মৃতিও বিলীন।
আজ যদি দেখা হয়ে যায়, হয় আবার কথা,
ছোটবেলার নদীর পাড়ে ঘর বাঁধবি সখা?
যে গ্রাম দুটো পুড়ে গিয়েছিল, আবার গড়ব মোরা,
ফিরে আসবে প্রাণের ভয়ে পালিয়েছিল যারা।
রোজ তোকে ফুল এনে দেব, গোলাপ-পারুল-জুঁই,
রক্তকরবীর মালা গাঁথব, খোঁপায় বাঁধিস তুই।
অমাবস্যায় ঘুরতে যাবি? নেই বিদ্রোহীরা।
ছোটবেলার অপূর্ণ আশ মিটিয়ে নেব মোরা !
চারুশিল্প হচ্ছে মানুষের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। একটি ছবি একটি বিপ্লবের উন্মেষ ঘটাতে পারে। ছবি শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বিপ্লবের বার্তাও নিয়ে আসে।
৬ দিন আগেআপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এই বই পড়লে তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেওয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চার শ পৃষ্ঠার বইটির দাম
১৩ দিন আগেপ্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করেছে। আজ ২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় যৌথভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ এবং তরুণ
১৩ দিন আগেদ্য ভেজিটেরিয়ানের পর হান কাঙের পরের উপন্যাস ছিল ‘দ্য উইন্ড ব্লোজ, গো’। এই উপন্যাস লেখার সময়ই ঘটে বিপত্তি! হান অনুভব করেন তিনি আর লিখতে পারছেন না। গত বছর নিজের পঞ্চম উপন্যাস ‘গ্রিক লেসন’ ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হলে স্পেনের এল-পাইস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছিলেন তিনি।
১০ অক্টোবর ২০২৪