শৈশবে রূপালী রানী সরকারের স্বপ্ন ছিল, পড়াশোনা করে একদিন স্বাবলম্বী হবেন, পরিবারের ব্যয় মেটাতে মা-বাবার পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু কৈশোর পেরোতে না পেরোতেই সেই স্বপ্ন ভেঙে দেয় বাল্যবিবাহ।
পণ্যের সরবরাহ শক্তিশালী করে বাজার ব্যবস্থাপনা করতে চাচ্ছি। বাজার ব্যবস্থাপনা পরিবর্তন করতে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে শিগগিরই বাজার ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিবর্তন আসবে। আমি ভোক্তা অধিকার দিয়ে বাজার ব্যবস্থাপনা করতে চাই না
বনজঙ্গল থেকে গাদিলাপাতা সংগ্রহের পর তা প্রক্রিয়াজাত করেন নারীরা। এরপর পাইকারদের কাছে তা বিক্রি করে সংসারে বাড়তি উপার্জন করছেন তাঁরা। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পরিবারের এখন প্রধান আয়ের উৎস হস্তশিল্পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত এই গাদিলাপাতা।
সম্প্রতি সাজেদা ফাউন্ডেশন রাজধানীর তেজগাঁওয়ের আলোকিতে ‘সুদিন সত্তা ২.০’ নামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে তুলে ধরা হয় রাজধানীর বেরাইদ অঞ্চলের অধিবাসী দলিত সম্প্রদায়ের কারুকলা ও হস্তশিল্প।
গত ২০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস সস্ত্রীক তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ফ্রান্সে এসেছিলেন। রাজমুকুট মাথায় নেওয়ার পর সেটাই ছিল তাঁর প্রথম ফ্রান্স সফর। প্রথা অনুসারে ফরাসি প্রজাতন্ত্রের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এবং ব্রিজিত মাখোঁ তাঁর সম্মানে চোখধাঁধানো ভার্সাই প্রাসাদে এক রাজকী
পাপিয়া খাতুনের বয়স এখন ৪০। এ বয়সেই তিনি হারিয়েছেন স্বামী। ফলে দুই মেয়েকে নিয়ে নামতে হয়েছিল বেঁচে থাকার সংগ্রামে। সেই যুদ্ধে তিনি সফল তো হয়েছেনই, পাশাপাশি এলাকার প্রায় ৫০ জন নারীকে অর্থনৈতিকভাবে করেছেন সচ্ছল।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কাঠ ও বেতের আসবাবের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে বাঁশের আসবাবের। বাজারে বিভিন্ন নকশার বাঁশের আসবাব পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় টিলা থেকে সংগৃহীত বাঁশ দিয়ে তৈরি এসব আসবাবের চাহিদা রয়েছে স্থানীয় ও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে।
রংপুরের সানি, শশী কিংবা সুবর্ণা— তাঁরা সবাই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। তাঁরা একসময় জীবিকা নির্বাহের জন্য হাট-বাজার-বাসস্ট্যান্ডে কিংবা বিয়েবাড়িতে হাততালি দিয়ে চাঁদা তুলতেন। কেউ কেউ সাহায্যের হাত বাড়াতেন। অনেকে গালমন্দ, এমনকি মারধরও করতেন। ঠাট্টা-টিটকারি, তিরস্কার এসব তো নিত্যসঙ্গী ছিল তাঁদের। তবে এখন আর আ
নওগাঁর ধামইরহাটে বাঁশ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন পণ্যসামগ্রী তৈরি করে এলাকায় রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা হিরণ আহমেদ। হোটেল, রিসোর্টসহ বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে ঘর সাজাতে শৌখিন ব্যক্তিদের মধ্যে হিরণের হস্তশিল্পের কদর রয়েছে। তাঁর এই উদ্যোগ অনেক যুবকদের অনুপ্রেরণা জোগায়।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে তাঁর কাছে কলাগাছ থেকে তৈরি সুতা (তন্তু) দিয়ে বোনা তিনটি শাড়ি ও দুটি গয়নার বাক্স হস্তান্তর করেন।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের শ্রীবাড়ী ঋষিপাড়া গ্রাম। বংশপরম্পরায় ২০০ বছর ধরে এই গ্রামের ১৫০ পরিবারের অন্তত সাড়ে ৬০০ নারী-পুরুষ বাঁশ ও বেতের পণ্য তৈরি করছেন। তাঁদের তৈরি এসব পণ্য এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। এখানকার সামগ্রী স্থানীয় বাজার ছাড়াও ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন, সাভার, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর সোবহানবাগের ড্যাফোডিল প্লাজায় সম্প্রতি পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে হস্তশিল্প মেলা। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিসিকের চেয়ারম্যান মুহম্মদ মাহবুবর
গ্রামাঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিলে প্রায়ই চোখে পড়ে কচুরিপানা। কচুরিপানার ফুল দেখতে সুন্দর হলেও, কচুরিপানা তেমন কোনো কাজে আসে না। তবে এবার সেই ফেলনা কচুরিপানা থেকে পাবনায় তৈরি হচ্ছে হস্তশিল্পের নজরকাড়া নানারকম পণ্য।
বগুড়া শহরের ধরমপুরে ঢুকলেই টুংটাং শব্দ কানে বাজবে। দেখবেন, এখানে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই চলছে গয়না তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরা কেউ ঘরের ভেতরে, আবার কেউ বারান্দা ও উঠোনে বসে তামা ও ব্রোঞ্জের গয়না গড়ছেন। কেউ লাগাচ্ছেন পুঁতি।
ধানমন্ডির পুরোনো ২৭ নম্বর সড়ক। এর মাঝামাঝি বেঙ্গল শিল্পালয়ের সাজানো কম্পাউন্ড খানিকটা অন্য রকম আজ। মধ্য ডিসেম্বরের হালকা শীত এখানে যেন উপভোগের বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে। গতকাল সোমবার শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘ফেয়ার ট্রেড হ্যান্ডিক্রাফট এক্সিবিশন–২০২২ ’।
শেষ প্রান্তিক পর্যায়ের দরিদ্র কারুশিল্পীদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিটি শিল্পনীতিতেই এরূপ একটি অনুচ্ছেদ যুক্ত থাকছে যে হস্তশিল্প রপ্তানি থেকে আহরিত সমুদয় আয় আয়করমুক্ত সুবিধা পাবে। বর্তমান শিল্পনীতিতেও
নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল মতিন (২৫)। এইচএসসি পাসের পর দীর্ঘদিন বাবার ছোট দোকান দেখাশোনা করতেন।