নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল মতিন (২৫)। এইচএসসি পাসের পর দীর্ঘদিন বাবার ছোট দোকান দেখাশোনা করতেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে উৎসাহ পেয়ে মাত্র তিন লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেন হোগলা পাতার পাইকারের ব্যবসা। বর্তমানে তাঁর পুঁজি আছে প্রায় ৫০ লাখ। এ ব্যবসায় নিজের বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হয়েছে অন্তত দুই হাজার লোকের।
শুধু মতিন নয় হোগলা পাতার সঙ্গে জড়িত আছে জেলার পশ্চিম অঞ্চলের অন্তত ২০ হাজার পরিবার। যাদের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে এ হোগলা পাতার ওপর। হোগলা পাতা দিয়ে চাটাই (বিছানা) ও রশি তৈরিতে কাজ করেন এ অঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিক নারী। এটি গ্রামীণ শিল্পের একটি ঐতিহ্য। নারীদের হাত দিয়ে তৈরি কোটি টাকার হোগলা পাতার চাটাই গুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুরসহ প্রতিদিন যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। দেশের গণ্ডি পার হয়ে হোগলা পাতার তৈরি উচ্চমানের হস্তশিল্প ও আসবাপত্র যাচ্ছে চীন, জাপান, ইতালি, সিঙ্গাপুর, কানাডাসহ বাইরের দেশে। যা দেশের গ্রামীণ শিল্পকে বিদেশে উপস্থাপন করছে। এ শিল্পটিকে ঘিরে রয়েছে এক উজ্জ্বল সম্ভাবনা। এ থেকে পরিবেশ সম্মত পণ্য উৎপাদন হয় বিধায় চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। ছোট বিছানা, নামাজের মাদুর, কুশন, ঝুড়ি, টুপি, ছোট ব্যাগ, টুকরী, ঘরের নানান ধরনের ওয়লম্যাট, হাত পাখা ইত্যাদি নানান পণ্য এ পাতা থেকে তৈরি হয়। চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এ শিল্পটি বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা ও সরকারি সহযোগিতা ফেলে শিল্পটিকে হাজার বছর ধরে টিকিয়ে রাখতে পারবে বলে আশা এ অঞ্চলের মানুষের। তবে প্রচারের অভাবে এটি তেমন বিকাশ লাভ করতে পারছে না, যার প্রমাণ মিলে জেলা কৃষি অধিদপ্তর ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দপ্তরে যোগাযোগ করে, তাদের কাছে নেই এর সঠিক কোন পরিসংখ্যান আবার কেউ জানেনই না হোগলার বিষয়ে।
জানা গেছে, প্রায় দেড় শ বছরের বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার পরিবার হোগলা পাতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। কালাদরাপ, দক্ষিণ কালাদরাপ, রামহরিতালুক, মুন্সিতালুক, ওদারহাট, বন্ধু মার্কেট, মনারখিল, খলিফারহাট, বিনোদপুর, রব মার্কেটসহ আশপাশের উপকূলীয় এলাকার প্রায় লক্ষাধিক নারী হোগলা শিল্পের সঙ্গে জড়িত। চাষিদের তথ্যমতে প্রতি মৌসুমে এ অঞ্চলে ৫০ কোটি টাকার হোগলা উৎপন্ন হয়ে থাকে। বর্তমানে হোগলা পাতা ও পাতার তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা বাড়ায় চাষে স্থানীয়দের আগ্রহ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি মৌসুমে বাড়ছে জমির সংখ্যা।
মো. আবদুল মতিন বলেন, আন্ডারচর ইউনিয়নসহ জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে হোগলা পাতা উৎপাদন হয়। এলাকার অনেকেই এ পেশার সঙ্গে জড়িত, নিজদেরও রয়েছে কয়েকটি খেত। প্রচুর পরিমাণে হোগলা উৎপাদন ও স্থানীয়দের এ কাজে আগ্রহ দেখে উৎসাহিত হয়ে ঢাকায় হোগলার কুটির শিল্প তৈরির প্রতিষ্ঠান ‘বিডি ক্রিয়েশন’ এ গিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে এলাকায় ফিরে আসেন। নিজেদের একটি জমি বিক্রি করে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে মাত্র ৩ লাখ টাকা ও ২০ জন শ্রমিক নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। প্রথম মাসে ২ লাখ টাকার কাঁচা হোগলা পাতা ক্রয় করে তা রোদে শুকিয়ে রশি তৈরি করে বিক্রি করেন। ওই খান থেকে ভালো লাভ হওয়ায় আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুঁজি বাড়াতে থাকেন মতিন।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প নোয়াখালীর উপমহা ব্যবস্থাপক মাহবুব উল্যাহ জানান, হোগলা পাতায় তৈরি ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িতরা সরকারি প্রনোদনাসহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ পেশার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে কারও ব্যাংক লোনের প্রয়োজন হলে আমাদের সঙ্গে যোগযোগ করলে আমরা সহযোগিতা করব।’
নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল মতিন (২৫)। এইচএসসি পাসের পর দীর্ঘদিন বাবার ছোট দোকান দেখাশোনা করতেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে উৎসাহ পেয়ে মাত্র তিন লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেন হোগলা পাতার পাইকারের ব্যবসা। বর্তমানে তাঁর পুঁজি আছে প্রায় ৫০ লাখ। এ ব্যবসায় নিজের বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হয়েছে অন্তত দুই হাজার লোকের।
শুধু মতিন নয় হোগলা পাতার সঙ্গে জড়িত আছে জেলার পশ্চিম অঞ্চলের অন্তত ২০ হাজার পরিবার। যাদের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে এ হোগলা পাতার ওপর। হোগলা পাতা দিয়ে চাটাই (বিছানা) ও রশি তৈরিতে কাজ করেন এ অঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিক নারী। এটি গ্রামীণ শিল্পের একটি ঐতিহ্য। নারীদের হাত দিয়ে তৈরি কোটি টাকার হোগলা পাতার চাটাই গুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুরসহ প্রতিদিন যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। দেশের গণ্ডি পার হয়ে হোগলা পাতার তৈরি উচ্চমানের হস্তশিল্প ও আসবাপত্র যাচ্ছে চীন, জাপান, ইতালি, সিঙ্গাপুর, কানাডাসহ বাইরের দেশে। যা দেশের গ্রামীণ শিল্পকে বিদেশে উপস্থাপন করছে। এ শিল্পটিকে ঘিরে রয়েছে এক উজ্জ্বল সম্ভাবনা। এ থেকে পরিবেশ সম্মত পণ্য উৎপাদন হয় বিধায় চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। ছোট বিছানা, নামাজের মাদুর, কুশন, ঝুড়ি, টুপি, ছোট ব্যাগ, টুকরী, ঘরের নানান ধরনের ওয়লম্যাট, হাত পাখা ইত্যাদি নানান পণ্য এ পাতা থেকে তৈরি হয়। চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এ শিল্পটি বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা ও সরকারি সহযোগিতা ফেলে শিল্পটিকে হাজার বছর ধরে টিকিয়ে রাখতে পারবে বলে আশা এ অঞ্চলের মানুষের। তবে প্রচারের অভাবে এটি তেমন বিকাশ লাভ করতে পারছে না, যার প্রমাণ মিলে জেলা কৃষি অধিদপ্তর ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দপ্তরে যোগাযোগ করে, তাদের কাছে নেই এর সঠিক কোন পরিসংখ্যান আবার কেউ জানেনই না হোগলার বিষয়ে।
জানা গেছে, প্রায় দেড় শ বছরের বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার পরিবার হোগলা পাতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। কালাদরাপ, দক্ষিণ কালাদরাপ, রামহরিতালুক, মুন্সিতালুক, ওদারহাট, বন্ধু মার্কেট, মনারখিল, খলিফারহাট, বিনোদপুর, রব মার্কেটসহ আশপাশের উপকূলীয় এলাকার প্রায় লক্ষাধিক নারী হোগলা শিল্পের সঙ্গে জড়িত। চাষিদের তথ্যমতে প্রতি মৌসুমে এ অঞ্চলে ৫০ কোটি টাকার হোগলা উৎপন্ন হয়ে থাকে। বর্তমানে হোগলা পাতা ও পাতার তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা বাড়ায় চাষে স্থানীয়দের আগ্রহ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি মৌসুমে বাড়ছে জমির সংখ্যা।
মো. আবদুল মতিন বলেন, আন্ডারচর ইউনিয়নসহ জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে হোগলা পাতা উৎপাদন হয়। এলাকার অনেকেই এ পেশার সঙ্গে জড়িত, নিজদেরও রয়েছে কয়েকটি খেত। প্রচুর পরিমাণে হোগলা উৎপাদন ও স্থানীয়দের এ কাজে আগ্রহ দেখে উৎসাহিত হয়ে ঢাকায় হোগলার কুটির শিল্প তৈরির প্রতিষ্ঠান ‘বিডি ক্রিয়েশন’ এ গিয়ে তাদের পরামর্শ নিয়ে এলাকায় ফিরে আসেন। নিজেদের একটি জমি বিক্রি করে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে মাত্র ৩ লাখ টাকা ও ২০ জন শ্রমিক নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। প্রথম মাসে ২ লাখ টাকার কাঁচা হোগলা পাতা ক্রয় করে তা রোদে শুকিয়ে রশি তৈরি করে বিক্রি করেন। ওই খান থেকে ভালো লাভ হওয়ায় আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুঁজি বাড়াতে থাকেন মতিন।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প নোয়াখালীর উপমহা ব্যবস্থাপক মাহবুব উল্যাহ জানান, হোগলা পাতায় তৈরি ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িতরা সরকারি প্রনোদনাসহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ পেশার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে কারও ব্যাংক লোনের প্রয়োজন হলে আমাদের সঙ্গে যোগযোগ করলে আমরা সহযোগিতা করব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে