প্রায় এক বছর যাবৎ একটি ষাঁড় লালন-পালন করছেন কৃষক মিজানুর রহমান। কোরবানির ঈদে ষাঁড় গরুটি বিক্রি করে স্ত্রী, দুই ছেলে-এক মেয়ের জন্য নতুন কাপড় চোপড়সহ বাজার সদাই করবেন। বাকি টাকা দিয়ে গ্রামে কৃষি জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করবেন। গত শুক্রবার ষাঁড়টি হাটে উঠিয়েছিলেন। ৮৫ হাজার টাকা দাম ওঠে। বেশি টাকায় বিক্রির আশ
আড়াই বছর আগে গোয়াল ঘরের খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়েছে ওদের। এখনো বের করা হয়নি। এখন ওদের যে শারীরিক গঠন আর যে পরিমাণ ওজন হয়েছে, তাতে গোয়াল ঘরের দরজা দিয়ে আর বের করা সম্ভব নয়। গোয়াল ঘরের দেয়াল ভেঙেই বের করতে হবে...
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য এ বছর চাহিদার তুলনায় কম পশু রয়েছে। গো–খাদ্যের অতিরিক্ত দামের কারণে খামার ও প্রান্তিক পর্যায়ে গরু কম পালন করায় এ ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও খামারিরা।
ষাঁড় গরুটির গায়ের রং কালচে-খয়েরি। তবে শরীরজুড়ে একটু লালচে ভাবও আছে। আদর করে নাম রাখা হয়েছে ‘বাহাদুর’। গরুটি বয়স এখন দুই বছর দুই মাস। কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে একে। ষাঁড়টিকে দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছে ঝিকরগাছা উপজেলার নায়ড়া গ্রামের পূর্বপাড়ায় আমিনুর রহমানের বাড়িতে।
ষাঁড় লাল রং দেখলে খেপে যায়, তাড়া করে লাল রংধারী ব্যক্তিকে—এই ভয়ে অনেকেই ছোটবেলায় লাল কাপড় পরে ষাঁড়ের সামনে যেতে ভয় পেতেন। বড় হয়ে অনেক সিনেমা-গল্পেও দেখেছেন এমন দৃশ্য। আসলেই কি ষাঁড় লাল রং দেখে রেগে যায়? এই ধারণার পেছনের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কি?
এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত চাঁদপুরের ‘রাজাবাবু’। ষাঁড়টির ওজন করা হয়েছে ১ হাজার ১০০ কেজি। বিক্রির জন্য খামারের মালিক দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা। তবে ক্রেতাদের দর-দাম করার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন খামার মালিক।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ষাঁড়ের শিংয়ের গুঁতোয় মশিয়ার রহমান (৬০) নামের এক খামারির মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বিখ্যাত আমবাড়ি পশুহাটে এ ঘটনা ঘটেছে। মশিয়ার রহমান ফুলবাড়ী উপজেলার ৭ নম্বর শিবনগর ইউনিয়নের দাদপুর পুরোনো বন্দর গ্রামের বাসিন্দা।
তিন বছর ধরে বিক্রি না হওয়ায় চরম অর্থকষ্টে পড়েন ‘শান্তবাবু’র মালিক আলিম উদ্দীন। তাই ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়ায় একরকম বাধ্য হয়েই ৩৩ মণ ওজনের ষাঁড়টি অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হয়েছে তাঁকে।
আগৈলঝাড়া উপজেলায় কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৫৫ মণ ওজনের ষাঁড় টাইগারকে। বিশাল আকৃতির এই গরুটির দাম হাঁকাচ্ছেন মালিক ৩৫ লাখ টাকা।
ব্রাহামা জাতের ষাঁড় ‘টিয়া’। তিন বছরেই ওজন হয়েছে ২৫ মণ। কালো ও বাদামি রঙের বিশাল আকৃতির এই ষাঁড়ের দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। ৯ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট উচ্চতার এই গরু দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের সিদ্দিকুর রহমান শখ করেই ৪ বছর ধরে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড় লালন-পালন করছেন। আদর করে নাম দিয়েছেন রং বাহাদুর।
ঘরের ভেতর বিদ্যুতের আলোয় ঝিলিক দিচ্ছে গায়ের রং। ওজন তার ১ হাজার ৪৮০ কেজি বা ৩৭ মণ। উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট। বেঁধে রাখা হয়েছে চারটি দড়ি দিয়ে। তারপরও একটু নড়ে উঠলে বুকে কাঁপন ধরে।
খাবার ও বাসস্থান ভিন্ন হলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের মতোই অতি যত্নে লালন-পালন করা হয়েছে ষাঁড়টিকে। কোনো এক শুক্রবারে জন্ম, তাই আদর করে নাম রাখা হয়েছে শুকরে। ৩ বছর বয়সের প্রায় ২২ মণ ওজনের গরুটি বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক মো. হেলাল শেখ।
ফেনীতে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুত বিশাল কালো রঙের গরু ‘বস’ ও ‘বাদশা’। ষাঁড় দুটি দেখতে ও কেনার ইচ্ছা নিয়ে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছে উৎসুক লোকজন। কিন্তু উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় এখনো বিক্রি হচ্ছে না গরু দুটি।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের পৌর শহরের আসনবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা আব্দুল আহাদ। পেশায় কৃষক। সংসারে সচ্ছলতা আনার পাশাপাশি বাড়তি উপার্জনের আশায় তিনি দুই বছর সিন্ধি জাতের ষাঁড় লালন-পালন করেছেন। ষাঁড়টির নাম রেখেছেন নবাব বাহাদুর।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম। আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে হাটে তোলার জন্য প্রস্তুত করেছেন হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়।
সাদা-কালো ডোরাকাটা ফিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘স্বপ্নরাজ’। পাবনার চাটমোহরের হান্ডিয়ালের বাঘইলবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক বাবুর খামারে রয়েছে এটি। মোজাম্মেলের দাবি, ছয় দাঁতওয়ালা গরুটির ওজন হবে অন্তত ৩৬ মণ। বিক্রির জন্য তিনি দাম হাঁকছেন ২০ লাখ টাকা।