রশিদ খানের বল পিচ করে ঢুকে পড়েছিল। নিচু হয়ে আসা বল ঠেকাতে চেয়েও পারেননি সৌম্য সরকার। প্যাডে লাগার পর আবেদন করেন আফগানরা। আবেদনে আঙুল তোলেন আম্পায়ার। সৌম্য অন্য প্রান্তে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে কথা বলে হাঁটা ধরেন। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, রিভিউ নিলে হয়তো বেঁচে যেতে পারতেন তিনি।
জয়ের সমান ড্র যাকে বলে! রাজশাহীর ছুড়ে দেওয়া ৫১৬ রানের বিশাল লক্ষ্য। প্রথম ইনিংসে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যাওয়া খুলনার সামনে চোখ রাঙানি দিচ্ছিল হার। তবে সৌম্য সরকার ও অমিত মজুমদারের দৃঢ়তায় খাদের কিনারা থেকে জয়ের সমান ড্র পেল খুলনা। চতুর্থ দিন ৭ উইকেটে ৩১১ রান করলে ম্যাচ ড্র হয়ে যায়।...
শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানে আটকিয়ে দলের জয়ের কাজটা সহজ করে রেখেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। চার-ছক্কার এই যুগে লক্ষ্যটা এখন খুব বড় না। কিন্তু আজ ডালাসে এই রান তাড়া করতেই হাঁসফাঁস উঠে যায় বাংলাদেশের।
২০২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের তিন সংস্করণের অধিনায়ক হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে অধিনায়ক হওয়ার পর ধারাবাহিক হয়ে উঠতে পারছেন না তিনি। বাংলাদেশ দলও আশানুরূপ খেলতে পারছে না। যত কিছুই হোক, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শান্তর ওপর ভরসা রাখছেন সৌম্য সরকার।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দলের রুদ্ধদ্বার বিশেষ অনুশীলন ক্যাম্পের শেষ দিন আজ। নির্বাচক প্যানেলের সদস্যরা গতকাল পৌঁছেছেন বন্দরনগরীতে। খেলোয়াড়দের অনুশীলন দেখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণাই গাজী আশরাফ হোসেন লিপু-হান্নার সরকারদের উদ্দেশ্য। আজ ঘোষণা হয়ে যেতে পারে জিম্বাবুয়ে সির
শ্রীলঙ্কার ম্যাচ মানেই যেন একের পর এক আলোচিত ঘটনা। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের সঙ্গে তো বটেই, এমনকি আম্পায়ারদের সঙ্গেও বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে যাচ্ছেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। লঙ্কান ক্রিকেটাররা নিষেধাজ্ঞার মতো শাস্তিও পাচ্ছেন। তবু আম্পায়ারদের সঙ্গে তাঁরা তর্কে জড়াচ্ছেন হরহামেশাই। আইসিসি ইভেন্ট, দ্বিপক্ষীয় সিরিজ—বাদ
বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আঘাত পান সৌম্য সরকার। যার কারণে ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে ওপেনিংয়ে নামেন তানজিদ হাসান তামিম। সুযোগটা কাজেও লাগিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
বিপদ কখনো বলে কয়ে আসে না—বহুল প্রচলিত এই প্রবাদটির সঙ্গে যেন পরিচয় আজ হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটরদের। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে লঙ্কানদের ইনিংস যখন শেষের দিকে, তখন একে একে চোটে পড়েছেন হয়েছেন স্বাগতিক ক্রিকেটাররা। যার মধ্যে সৌম্য সরকারের অবস্থা একটু জটিলই।
বাজে পারফরম্যান্সের কারণে লিটন দাস দল থেকে বাদ পড়ায় একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি। পেসার লাহিরু কুমারার আউটসাইড অফ বলটি ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন বিজয়। কিন্তু উঠে যাওয়া বলটি লাফ দিয়ে মুঠোবন্দী করেন আভিষ্কার ফার্নান্দো।
দুই ইনিংসে কী দারুণ মিল! শুরুর ধাক্কা সামলে সৌম্য সরকার ও তাওহীদ হৃদয়ের হৃদয়ছোঁয়া ব্যাটিংয়ে বেশ ভালো সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। শরীফুল ইসলামের তোপে শ্রীলঙ্কাও শুরুতে হারিয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট। সেটিও মাত্র ৪৩ রানে। তবে চতুর্থ উইকেটে পাতুম নিশানকা ও চারিত আসালঙ্কার ১৮৩ বলে ১৮৫ রানের জুটি বাংলাদেশকে এক প্রক
সৌম্য সরকারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার অনেকটা হ্যালির ধূমকেতুর মতো। এক ম্যাচে রান পান তো এরপর তিনি নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম চার ম্যাচে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি সৌম্য। অবশেষে আজ বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটার করেছেন দুর্দান্ত এক ফিফটি।
তৃতীয় টি-টোয়েন্টির সেই দুঃস্বপ্ন যেন এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। সিলেটে হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছিলেন স্লিঙ্গা স্টাইলে বোলিং করা নুয়ান তুশারা।
নিক পোথাস বারবার আকাশের দিকে আঙুল তুলে কিছু একটা দেখাচ্ছিলেন তাওহীদ হৃদয়কে। হৃদয়ের ‘প্রিয়’ ফ্লিক শটে যেমন বড় ছক্কা হয়, তেমনি আউটও হচ্ছেন একই শট খেলতে গিয়ে। হৃদয়ের সমস্যাটা খুঁজে বের করেছেন বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ পোথাস।
এই ভালো, এই খারাপ—সৌম্য সরকারের অবস্থাটা যেন এমনই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার ৯ বছর পেরিয়ে গেছে। অথচ অফ ফর্মে তাঁকে ভুগতে দেখা যায় প্রায়ই। বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটারকে ফর্মে ফেরার টোটকাই দিয়ে রাখলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
সৌম্য সরকারের আলোচনায় আসা যেন খুব পরিচিত দৃশ্য। বিশেষ করে, গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন রেকর্ডে নাম লিখিয়ে পাদপ্রতীপের আলোয় চলে আসছেন তিনি। বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটার একটু ভিন্নরকম ঘটনার কারণে এবার আলোচনায় এসেছেন।
ফরচুন বরিশাল প্রথম ৩ উইকেট হারিয়েছিল ১৯ রানে। তাদের দেওয়া ১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত ঢাকা তিন টপ অর্ডারকে হারায় ৪১ রানে। শুরুটা বরিশালের চেয়ে ভালো হলেও জয় পায়নি ঢাকা। হেরেছে ৪০ রানে। এক ম্যাচ পর জয়ে ফেরা বরিশাল ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ওঠে এলো তালিকার চারে।
স্কোরবোর্ডে ১৯ জমা পড়তেই নেই ৩ উইকেট। সেই খাদের কিনার থেকে ফরচুন বরিশালকে টেনে তুললেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ৮৫ বলে ১৩৯ রানের জুটি। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে বরিশালও পেয়েছে ৪ উইকেটে ১৮৯ রানের সংগ্রহ।