দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট বা কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার সবচেয়ে ছোট। বাংলাদেশে মোড়কের ৫০ শতাংশজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা থাকে। নেপালে সেটি ৯০ শতাংশ, ভারতে ৮৫ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ৮০ শতাংশ। বিশ্বের ৮৯টি দেশ বাংলাদেশের চেয়ে অধিক জায়গাজুড
বিশ্বের তিনটি বৃহৎ তামাক কোম্পানির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত বিখ্যাত সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের মূল কোম্পানির। সম্প্রতি আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক তদন্তে বিষয়টি উঠে এসেছে। বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর বেশ চাপে পড়েছে বিশ্লেষণধর্মী প্রাচীন
তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহারে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। তামাক পণ্যের ওপর কর বাড়ানো ও আইনকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে এ রোগে মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। মঙ্গলবার রাজধানীর বিএমএ ভবনে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মার সভায় এই চিত্র তুলে ধরেন বক্তারা।
ধূমপান না করেও শিকার হচ্ছেন দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ। তামাকের কারণে দেশে বছরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৭ কোটি ৬২ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করে এবং ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হয়। আজ সোমবার রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের পূর্বেই তামাকমুক্ত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ বিনির্মাণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানান তামাকবিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের সদস্যরা। গতকাল বুধবার নারী মৈত্রী আয়োজিত রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে বিদ্যমান তামাক নি
রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক ঘেঁষা পোদ্দারপাড়া মাঠে আলু ও তামাক তুলে বর্গা নেওয়া ৯০ শতক জমিতে আউশ ধান চাষ করেছেন ফকিরপাড়া গ্রামের কৃষক মোলায়েম খাঁ। ধানের ফলনও দেখে ভেবেছিলেন বর্গা আর খরচের টাকা বাদ দিয়ে ধানেও মোটা লাভ থাকবে। কিন্তু সেই আশা ফিকে হয়ে গেছে তাঁর। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যাওয়া
আগামী প্রজন্মকে তামাকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে এবং নতুন তামাকসেবী সৃষ্টি কমাতে হলে অবশ্যই মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে, তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর।
বৈশ্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণে আজকের এ দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৭ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তামাকবিরোধী সংগঠনসমূহ এ দিবসটি পালন করে আসছে। তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি—এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও তামাকবিরোধী
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার আইনটি দীর্ঘদিন ধরে সংশোধনের প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক নীতিগুলো সুরক্ষায় গ্রহণ করা হচ্ছে না কোনো সমন্বিত পদক্ষেপ। এসব সংকটে প্রতিনিয়ত লম্বা হচ্ছে মানুষের মৃত্যুর মিছিল। পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-২০২৩ সংশোধন করে তামাকের মতো ক্ষতিকারক পণ্যকে পুনরায় লাল তালিকা
জর্দা, গুল, পানমসলা, খইনিসহ বিভিন্ন ধরনের তামাকজাত পণ্য ব্যবহার বন্ধ করলে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার খরচ কমবে। যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় বলা হয়, এখনই যদি এ ধরনের তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হয়, তবে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার বা ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার স্বাস্থ্য ব্যয় কমানো সম্ভব হবে।
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ এবং তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধির জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন দেশের প্রখ্যাত ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ আহ্ছানিয়া মিশন ক্যানসার ও জেনারেল হাসপাতালের ১৫০ জন চিকিৎসক।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানো এবং নিম্নমানের সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৬৩ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয়। এতে সরকারের অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা, যা আগের চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি...
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের তামাক পণ্যের দাম কার্যকরভাবে বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা)।
বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটি (বিএমএসএস) এবং স্ট্যান্ডিং কমিটি অন পাবলিক হেলথ (স্কফ) জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক চুক্তি এফসিটিসি এর আর্টিকেল-৫.৩ কে সমর্থন জানিয়ে তামাক কোম্পানিকে অসহযোগিতার নীতি গ্রহণ করেছে।
সিগারেট তথা তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর আরও বাড়ানো হলে তা ব্যবহারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করবে। তাই আসছে অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের ওপর করারোপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এই আহ্বান জানান।
মেহেরপুরের গাংনীতে বাড়ছে সর্বনাশা তামাক চাষ। তামাক কোম্পানির নানা প্রলোভনে পড়ে ধান, গম ও সবজি চাষ কমিয়ে দিয়েছেন কৃষকেরা। তাঁরা অনুরাগী হয়ে উঠছেন তামাক চাষে। এতে উপজেলায় প্রতিবছর নতুন এলাকায় তামাকের আবাদ সম্প্রসারিত হচ্ছে। ফলে একদিকে জমির উর্বরাশক্তি কমছে, অন্যদিকে তামাক পোড়ানোর ধোঁয়ায় শরীরের মারাত্ম
পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও মাটির গুণাগুণের মারাত্মক ক্ষতির বিষয়টি জেনেও তামাক চাষে ঝুঁকছেন উত্তরের কৃষক। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কৃষি বিভাগের উদাসীনতা, উৎপাদনের আগে কোম্পানির তামাকের দর নির্ধারণ, বিক্রয়ের নিশ্চয়তা, চাষের জন্য সুদমুক্ত ঋণ, কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন, পরামর্শ দানসহ সাত কারণে ফসল ছ