নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার আইনটি দীর্ঘদিন ধরে সংশোধনের প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক নীতিগুলো সুরক্ষায় গ্রহণ করা হচ্ছে না কোনো সমন্বিত পদক্ষেপ। এসব সংকটে প্রতিনিয়ত লম্বা হচ্ছে মানুষের মৃত্যুর মিছিল। পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-২০২৩ সংশোধন করে তামাকের মতো ক্ষতিকারক পণ্যকে পুনরায় লাল তালিকাভুক্ত করা জরুরি।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘তামাক কারখানায় পরিবেশ আইনের প্রায়োগিক সীমাবদ্ধতা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট, তামাকবিরোধী নারী জোট ও ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘তামাকজাত দ্রব্যের মতো স্বাস্থ্যহানিকর পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা লাল তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে মহাখালী ডিওএইচএসের মতো জনবহুল আবাসিক এলাকায় কারখানায় স্থাপন করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া প্রতিনিয়ত জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে।’
তিনি বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৭ সালে প্রণীত পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা অনুসারে লাল ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেটিকে কোনো বিবেচনায় ২০২৩ সালে থেকে লাল থেকে কমলা ক্যাটাগরিতে নিয়ে আসা হয়েছে তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।’
উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে একটা অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে আমরা তামাকমুক্ত হব। ইতিমধ্যে তিন ভাগের এক ভাগ সময় চলে গেছে। এর মধ্যে তামাক লাল থেকে কমলা শ্রেণিতে নেমেছে। মানে আমরা উল্টো পথে চলছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইনের মধ্যেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা সার্টিফিকেট নিলে জর্দার কারখানা করা যায়। তামাক পাতা তুলতে গিয়ে শ্রমিকদের নানা ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। তামাক বাগানগুলোতে বিকলাঙ্গ শিশু জন্মের পরিমাণ বেড়েছে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) নির্বাহী পরিচালক ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘তামাক–সংক্রান্ত আইন সংশোধন করতে হবে এবং তা প্রয়োগ করতে হবে। তবে এই আইন যারা প্রয়োগ করবেন তাদেরই অনেক সময় ধূমপান করতে দেখা যায়। ২০৪০–এর মধ্যে আমরা তামাকমুক্ত দেশ গর্ব তার কোনো লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’
এ সময় তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণের একটি সংশোধিত রোড ম্যাপ তৈরি এবং নিরপেক্ষ সেল গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘তামাক কারখানাগুলোকে লাল তালিকা ভক্ত করতে হবে; ফসলি জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করতে হবে; তামাক কারখানায় শিশু শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হলে শাস্তির বিধান দ্বিগুণ করতে হবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম আধা কিলোমিটারের মধ্যে সিগারেটের দোকান দেওয়া যাবে না।’
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সহসাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ রাসেলের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পবার সহসভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ, ওয়ার্ল্ড ক্যানসার সোসাইটির বাংলাদেশের সমন্বয়ক জীবন কুমার সরকার, সূচনা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা আক্তার প্রমুখ।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার আইনটি দীর্ঘদিন ধরে সংশোধনের প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক নীতিগুলো সুরক্ষায় গ্রহণ করা হচ্ছে না কোনো সমন্বিত পদক্ষেপ। এসব সংকটে প্রতিনিয়ত লম্বা হচ্ছে মানুষের মৃত্যুর মিছিল। পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-২০২৩ সংশোধন করে তামাকের মতো ক্ষতিকারক পণ্যকে পুনরায় লাল তালিকাভুক্ত করা জরুরি।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘তামাক কারখানায় পরিবেশ আইনের প্রায়োগিক সীমাবদ্ধতা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট, তামাকবিরোধী নারী জোট ও ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘তামাকজাত দ্রব্যের মতো স্বাস্থ্যহানিকর পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা লাল তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে মহাখালী ডিওএইচএসের মতো জনবহুল আবাসিক এলাকায় কারখানায় স্থাপন করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া প্রতিনিয়ত জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে।’
তিনি বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৭ সালে প্রণীত পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা অনুসারে লাল ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেটিকে কোনো বিবেচনায় ২০২৩ সালে থেকে লাল থেকে কমলা ক্যাটাগরিতে নিয়ে আসা হয়েছে তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।’
উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে একটা অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে আমরা তামাকমুক্ত হব। ইতিমধ্যে তিন ভাগের এক ভাগ সময় চলে গেছে। এর মধ্যে তামাক লাল থেকে কমলা শ্রেণিতে নেমেছে। মানে আমরা উল্টো পথে চলছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইনের মধ্যেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা সার্টিফিকেট নিলে জর্দার কারখানা করা যায়। তামাক পাতা তুলতে গিয়ে শ্রমিকদের নানা ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। তামাক বাগানগুলোতে বিকলাঙ্গ শিশু জন্মের পরিমাণ বেড়েছে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) নির্বাহী পরিচালক ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘তামাক–সংক্রান্ত আইন সংশোধন করতে হবে এবং তা প্রয়োগ করতে হবে। তবে এই আইন যারা প্রয়োগ করবেন তাদেরই অনেক সময় ধূমপান করতে দেখা যায়। ২০৪০–এর মধ্যে আমরা তামাকমুক্ত দেশ গর্ব তার কোনো লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’
এ সময় তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণের একটি সংশোধিত রোড ম্যাপ তৈরি এবং নিরপেক্ষ সেল গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘তামাক কারখানাগুলোকে লাল তালিকা ভক্ত করতে হবে; ফসলি জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করতে হবে; তামাক কারখানায় শিশু শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হলে শাস্তির বিধান দ্বিগুণ করতে হবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম আধা কিলোমিটারের মধ্যে সিগারেটের দোকান দেওয়া যাবে না।’
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সহসাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ রাসেলের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পবার সহসভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ, ওয়ার্ল্ড ক্যানসার সোসাইটির বাংলাদেশের সমন্বয়ক জীবন কুমার সরকার, সূচনা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা আক্তার প্রমুখ।
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
৩০ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
৩০ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
৩১ মিনিট আগেবাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে