বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
সোশ্যাল মিডিয়া
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
আড্ডা
মননরেখা: প্রান্তবাসী এক বড় কাগজের কথা
ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে মননরেখা পুরোপুরি বিশেষ সংখ্যা হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে। তাই রংপুর থেকে প্রকাশিত মননরেখাকে আমরা আপাতত ‘সংকলন’ই বলি। বলতে চাইছি, কোনো বিশেষ ব্র্যাকেটে মননরেখা নামের সংকলনটিকে না বেঁধেও সেটি নিয়ে আলোচনা করা চলে, পড়া চলে, সংগ্রহে রাখা চলে।
নিজের হাতে খোঁড়া নিজের কবর
পড়াশোনা করা এবং করানোর প্রতি শেখ আবদুস সালামের আগ্রহ ছিল। নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বিলবাওচ গ্রামে তিনি জন্মেছিলেন। তুখোড় বক্তা ছিলেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে মানুষ ভিড় করত সভায়।
মাহেন্দ্রক্ষণ
একাত্তর যে শুধু অস্ত্রে অস্ত্রে ঠোকাঠুকি ছিল না, ছিল জনযুদ্ধ, সে কথা এখন সবাই বুঝতে পারে। সামরিক ফ্রন্টের বাইরেও ছিল আরও অনেক ফ্রন্ট। তেমনি একটি ফ্রন্ট ছিল সাংস্কৃতিক ফ্রন্ট। তারেক মাসুদ আর ক্যাথরিন মাসুদের ‘মুক্তির গান’ ছবিতে সেই ফ্রন্টটিকে ভালো করে চেনা যায়।
মাওলানার ফাঁদ
ডা. আলীম চৌধুরী বিশ্বাস করেছিলেন মাওলানা মান্নানকে। একাত্তরের জুলাই মাসে মাওলানা মান্নান এসে ঠাঁই নিয়েছিলেন ডা. আলীম চৌধুরীর বাড়ির নিচতলায়। পিডিএমের মতিন সাহেব এই মাওলানাকে নিয়ে এসেছিলেন।
একজন চিকিৎসক
জন্ম তাঁর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটে। গ্রামের নাম চণ্ডীপুর। বাবা আবদুল মান্নান আল আজহারীকে কলকাতার ক্যাম্পবেল স্কুলের ক্লাস ফোরের ছাত্র থাকাকালে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
চলে যাওয়া
ভাষা আন্দোলনের সময়ই, ২৬ ফেব্রুয়ারি জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মুনীর চৌধুরী। এক বছর পর জেলখানাতেই রণেশ দাশগুপ্তের কাছ থেকে পেয়েছিলেন একটা চিরকুট। তাতে
‘হ্যাঁ, আমি লিখেছি’
রাজনীতি করতেন না তিনি। ছিলেন না বাকপটু। তবে পড়াশোনা করেছিলেন অগাধ। ভেতর থেকে জানতেন সংস্কৃতির গভীরতা। যুক্তি দিয়ে বলতে পারতেন কথা। রবীন্দ্রনাথ যে আমাদের সংস্কৃতির
‘টিংকুর মা, আমাকে নিতে এসেছে’
১১ ডিসেম্বর থমথমে হয়ে গেল ঢাকা শহর। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ফজলে রাব্বী ছিলেন তাঁর কাজের জায়গায়।
একটু সময় হবে?
সকাল থেকে রাত; ছুটছি, কেবল ছুটছি। ব্যস্ততা। কাল কী হবে, সেই চিন্তায় পালস বেড়ে যায়। কত শত নোটস! ডায়েরি ভরে থাকে পরিকল্পনার কাটাকুটিতে। জীবন যেন এক বুলেট ট্রেন। এক সেকেন্ড এদিক-ওদিক হওয়ার নেই।
‘ভালো থেকো’
রাজনীতি আর সাংবাদিকতা দুটোই তিনি করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। আর করেছেন সাহিত্য রচনা। তাঁর ‘সারেং বৌ’ কিংবা ‘সংশপ্তক’ উপন্যাসই তো প্রমাণ করে দেয়, কত বড় মাপের লেখক ছিলেন তিনি।
প্রিয় ফাহির, তীব্র তুমিহীনতায় ভুগছি
চোখের জলের ফাহির, শো মাস্ট গো অন রীতিতে সবই চলছে; অবশ্য চালাতে হচ্ছে। তবে আগের মতো চলছে না। যখন ছিলে তখন যেমন চলত, তেমন চলছে না; থমকে থমকে চলছে। এসবের মাঝেই কোনো এক পাশে হুটহাট কেউ না কেউ হুহু করে কেঁদে উঠছেন-অশ্রু ঝরছে; তোমাকে নিয়ে লিখছেন। কী-বোর্ড থমকে গেলেও চালিয়ে নিতে হচ্ছে। তোমার হাসিমুখের অভাব
ফাহিরের কাছে শেষ আবদার
জীবন ফুরিয়ে যাওয়ার আগে যেতে নেই। অন্তত আমাদের দায় মেটানোর সুযোগটা তো দেওয়া উচিত! তা না হলে যে আমাদের নাছোড়বান্দা বিবেক সারা জীবন ঘুমাতে দেবে না। ফাহির, ভাই আমার, কেন অকস্মাৎ এমন করলেন! আপনার উচিত ছিল অনেক দিন সময় দেওয়া। তাতে দিনে দিনে সবার সয়ে যেত।
‘আরে পাগলা…’
ফাহিরকে কত নামে যে ডাকতাম আমরা, তার ইয়ত্তা নেই। একটুও মন খারাপ করতেন না। স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে মেনে নিতেন সব। সেই হাসি কি শেষ বেলাতেও ছিল? বিদায় দেওয়ার মুহূর্তেও যে মনে হচ্ছিল, এই বুঝি বলে উঠবেন, ‘আরে পাগলা... কাঁদেন কেন?’
সুমনের ১৩ ডিসেম্বর
সুমনের বয়স তখন আট। ছোট্ট ছেলে। ছোট্ট হলে কী হবে, সে বয়সেই ওকে শুনতে হচ্ছে গুলির শব্দ, কামানের হুংকার।
‘ইলিয়টগঞ্জ দিয়ে ঢুকবেন, ৩০ কিলো রাস্তা কমে যাবে’
যে ছেলে নিজে ঘুমালে দিন-রাতের হুঁশ থাকে না, বাইক কোথাও রেখে গেলে চাবি নিতে মনে থাকে না, রাস্তার ওপর বাইক পার্ক করে বাসায় চলে আসার পরও মনে পড়ে না যে, বাইক তো আনিনি; সেই ছেলেকে যদি স্নো-পাউডার দিয়ে সাজিয়ে পাত্র হিসেবে উপস্থিত করা হয়, তাহলে কার না হাসি আসে!
‘ভাই, আমি একটু যাই?’
এই লেখাটি যখন লিখছি, তখনো ভাবছি—ফাহির কি সত্যিই চলে গেছে? এখনো একটা ঘোর চারপাশে বর্তমান। বোধ হচ্ছে, এই হয়তো কেউ বলবে—‘ফাহির কাল সকালে ডিউটিতে আছে।’ এই কথাটা শোনার আকাঙ্ক্ষা মন থেকে যাচ্ছেই না। কারণ, ফাহির ডিউটিতে থাকলেই যে কাল সকালে অফিসে আসার সময় আমার মোবাইল ফোন বেজে ওঠার একটা ক্ষীণ আশা থেকে যায়। ফ
চলে গেলে ‘চিল ডুড’!
গতকাল অফিস থেকে ফেরার পথে সবাই আমরা নীরব ছিলাম। ভীষণ নীরব। অফিসের সামনে মাইক্রোবাসে উঠে নিঃশব্দে নেমে গিয়েছিলাম যে যার গন্তব্যে। সম্ভবত সবাই আমরা ফাহিরের কথা ভাবছিলাম। ২৪ বছর বয়সী সাংবাদিক মো. ফখরুল ইসলাম ভূঞা, যে আমাদের কাছে পরিচিত ছিল ফাহির ফখরুল নামে। তাকে আরও সংক্ষেপে ফাহির নামে ডাকতাম আমরা।