অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় প্রযুক্তির জগতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তবে এই পরিবর্তন সবার জন্য সুখকর নাও হতে পারে। বিশেষ করে টেক জায়ান্ট মেটা ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের বেলায়। অন্যদিকে আশার আলো দেখছে সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠান টেসলা ও এনভিডিয়া। এদিকে নির্বাচনের প্রভাবে ২১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রভাব শুল্ক থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত সবকিছুতেই দেখা মিলছে। নির্বাচনে জয়ের আগেই যার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে টেক জায়ান্টদের মাঝে কেউ পাচ্ছেন আশ্বাস, আর কেউ আছেন শঙ্কায়।
নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের হয়ে সরব ছিলেন টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। তার ফলও মিলেছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারে। ফলাফলের পর বেড়েছে চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার শেয়ারও। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে মেটার জাকারবার্গ ও গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের। জাকারবার্গের সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের কারণে আগেই কারাগারে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য ছড়ানোর দায়ে গুগলের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের।
ট্রাম্পের হুমকি ছাড়াও এরই মাঝে আইনি প্যাঁচে জড়িয়েছে অ্যাপল, গুগল, মেটা ও আমাজন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের নেওয়া কর বৃদ্ধিও ভোগাবে প্রযুক্তি শিল্পকে। বিদেশি পণ্যের ওপর প্রস্তাবিত শুল্ক হার বাস্তবায়ন হলে কমবে টেক জায়ান্টদের করপোরেট আয়ের পরিমাণও। ট্রাম্পের প্রভাবে রদবদল এসেছে ক্রিপ্টোর জগতেও। কয়েনবেজ, মাইক্রো স্ট্র্যাটেজি ও রিওট প্ল্যাটফর্মের ডিজিটাল বিনিয়োগে ১১ থেকে ২১ শতাংশ পর্যন্ত স্টক বেড়েছে।
মেটা ও গুগল
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে) ও ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) বড় প্রযুক্তি কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষত এফটিসি চেয়ার লিনা খানের নেতৃত্বে মেটা, গুগল, আমাজন ও অ্যাপলের বিরুদ্ধে ব্যাপক মামলা করেছে।
অপরদিকে রিপাবলিকান প্রশাসনগুলো ঐতিহাসিকভাবে বড় কোম্পানির প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব দেখিয়েছে। ট্রাম্প নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ করবেন এবং লিনাকে সরিয়ে নরম মনোভাব দেখাবেন।
তবে এর মানে এই নয় যে, ট্রাম্প প্রশাসন মেটা ও গুগলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে সম্পূর্ণভাবে পিছিয়ে আসবে। মেটা ও গুগলের সঙ্গে ট্রাম্প ও রিপাবলিকানদের পুরোনো দ্বন্দ্ব রয়েছে। মেটা ও গুগল প্রায়ই রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে রক্ষণশীল মতামতের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে। এ ছাড়া ক্যাপিটাল হিলের দাঙ্গার পর ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছিল মেটা। এ কারণে মেটার প্রতি ট্রাম্পের বিশেষ অসন্তোষ রয়েছে।
ডিওজে প্রথমবার গুগলের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-ট্রাস্ট বা আস্থাহীনতার মামলা দায়ের করেছিল ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে। মামলায় কোম্পানিটি গত আগস্টে একটি রায়ে হেরে গেছে এবং সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় মামলা দায়ের হয়েছে। বাইডেন আমলেও মেটার বিরুদ্ধে এফটিসির মামলা এবং গুগলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা ট্রাম্পের পূর্ব অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে ট্রাম্প প্রশাসন সম্ভবত কঠোর পদক্ষেপ না নিয়ে সমঝোতার দিকে যেতে পারে।
এদিকে, মার্ক জাকারবার্গ ও সুন্দর পিচাই ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করতে পারেন, বিশেষ করে জাকারবার্গ। তিনি অতীতে ট্রাম্পের সাহসের প্রশংসা করেছিলেন। এটি অহং নির্ভর ট্রাম্পের মনোভাবকে প্রভাবিত করতে পারে।
আমাজন
আমাজনের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল। বাইডেন প্রশাসন আমাজনের বিরুদ্ধে একটি অ্যান্টি ট্রাস্ট মামলা দায়ের করেছে। তবে ট্রাম্প ও আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে বেজোসের মালিকানাধীন ওয়াশিংটন পোস্ট এবারের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয়নি, যা ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে সহায়ক হতে পারে।
অ্যাপল
অ্যাপলের ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন সহায়ক হতে পারে। টিম কুক ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন এবং অ্যাপলের বিভিন্ন লক্ষ্য ট্রাম্পের অবস্থানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। অ্যাপল চীন নির্ভরতা কমিয়ে নতুন উৎপাদন কেন্দ্র করছে ভারতকে, যা ট্রাম্পের পছন্দের।
চিপ খাত ও ইন্টেল
বাইডেন প্রশাসন চিপ শিল্পের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। উন্নত চিপ চীনে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং দেশীয় চিপ উৎপাদনকে উৎসাহিত করছে। এটি ট্রাম্পের পূর্বের অর্থনৈতিক কৌশলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ট্রাম্প বরাবরই চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেন এবং দেশীয় উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেন।
বাইডেনের প্রণোদনার ফলে আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন চিপ কারখানা চালু হচ্ছে। এতে ইন্টেল বিশেষভাবে উপকৃত হবে কারণ প্রতিষ্ঠানটি প্রচুর ফেডারেল সহায়তা পেয়েছে। যদিও সম্প্রতি জো রোগানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বাইডেনের প্রণোদনার সমালোচনা করেছিলেন। তবে তাঁর বিরোধিতা এখন আর বাস্তবসম্মত হবে না। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে ইন্টেল প্রতিযোগিতামূলক মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে কাজ করবে যা ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
টিকটক
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প টিকটকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেন। চীনা মালিক বাইটডান্স মার্কিন শাখাটি বিক্রি করতে অনিচ্ছুক হলে প্ল্যাটফর্মটি নিষিদ্ধ করতে যান ট্রাম্প। বাইডেন প্রশাসনও এই নীতি অনুসরণ করেছে এবং সম্প্রতি বাইটডান্সকে টিকটকের মার্কিন শাখাটি বিক্রির জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। না হলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করা হবে।
টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা উদ্বেগ থাকলেও ট্রাম্প সম্প্রতি প্ল্যাটফর্মটি বিক্রির বিরোধিতা করেছেন। তার মতে, এতে মেটার প্রভাব আরও বাড়বে। এমন পরিস্থিতিতে, ট্রাম্প নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করতে পারেন, ফলে টিকটকের জন্য কিছুটা সুযোগ তৈরি হতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্রিপ্টো
বাইডেন প্রশাসন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্রিপ্টোকারেন্সির ওপর কঠোর নজরদারি আরোপ করেছে। কোম্পানিগুলোকে এআই প্রশিক্ষণের পদ্ধতি প্রকাশ ও এআই নিরাপত্তা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে বলেছে। ট্রাম্প সম্ভবত এর বিপরীত অবস্থান নেবেন। কারণ তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার মূল পৃষ্ঠপোষক ইলন মাস্ক, মার্ক আন্দ্রিসেন ও বেন হোরোভিটজ এই ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার পক্ষে।
ট্রাম্প ক্রিপ্টোকারেন্সির একজন প্রকাশ্য সমর্থক হয়ে উঠেছেন এবং বিটকয়েনের জন্য একটি ফেডারেল রেপোজিটরি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর প্রশাসন সম্ভবত এআই ও ক্রিপ্টোর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে দেবে। ফলে এই খাতগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে বিকাশের সুযোগ পাবে। ট্রাম্পের ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি আগ্রহের কারণেই সম্প্রতি বিটকয়েনের দাম রেকর্ড ৯০ হাজার ডলারে পৌঁছেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় প্রযুক্তির জগতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তবে এই পরিবর্তন সবার জন্য সুখকর নাও হতে পারে। বিশেষ করে টেক জায়ান্ট মেটা ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের বেলায়। অন্যদিকে আশার আলো দেখছে সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠান টেসলা ও এনভিডিয়া। এদিকে নির্বাচনের প্রভাবে ২১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রভাব শুল্ক থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত সবকিছুতেই দেখা মিলছে। নির্বাচনে জয়ের আগেই যার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে টেক জায়ান্টদের মাঝে কেউ পাচ্ছেন আশ্বাস, আর কেউ আছেন শঙ্কায়।
নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের হয়ে সরব ছিলেন টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। তার ফলও মিলেছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারে। ফলাফলের পর বেড়েছে চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার শেয়ারও। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে মেটার জাকারবার্গ ও গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের। জাকারবার্গের সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের কারণে আগেই কারাগারে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য ছড়ানোর দায়ে গুগলের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের।
ট্রাম্পের হুমকি ছাড়াও এরই মাঝে আইনি প্যাঁচে জড়িয়েছে অ্যাপল, গুগল, মেটা ও আমাজন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের নেওয়া কর বৃদ্ধিও ভোগাবে প্রযুক্তি শিল্পকে। বিদেশি পণ্যের ওপর প্রস্তাবিত শুল্ক হার বাস্তবায়ন হলে কমবে টেক জায়ান্টদের করপোরেট আয়ের পরিমাণও। ট্রাম্পের প্রভাবে রদবদল এসেছে ক্রিপ্টোর জগতেও। কয়েনবেজ, মাইক্রো স্ট্র্যাটেজি ও রিওট প্ল্যাটফর্মের ডিজিটাল বিনিয়োগে ১১ থেকে ২১ শতাংশ পর্যন্ত স্টক বেড়েছে।
মেটা ও গুগল
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে) ও ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) বড় প্রযুক্তি কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষত এফটিসি চেয়ার লিনা খানের নেতৃত্বে মেটা, গুগল, আমাজন ও অ্যাপলের বিরুদ্ধে ব্যাপক মামলা করেছে।
অপরদিকে রিপাবলিকান প্রশাসনগুলো ঐতিহাসিকভাবে বড় কোম্পানির প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব দেখিয়েছে। ট্রাম্প নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ করবেন এবং লিনাকে সরিয়ে নরম মনোভাব দেখাবেন।
তবে এর মানে এই নয় যে, ট্রাম্প প্রশাসন মেটা ও গুগলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে সম্পূর্ণভাবে পিছিয়ে আসবে। মেটা ও গুগলের সঙ্গে ট্রাম্প ও রিপাবলিকানদের পুরোনো দ্বন্দ্ব রয়েছে। মেটা ও গুগল প্রায়ই রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে রক্ষণশীল মতামতের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে। এ ছাড়া ক্যাপিটাল হিলের দাঙ্গার পর ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছিল মেটা। এ কারণে মেটার প্রতি ট্রাম্পের বিশেষ অসন্তোষ রয়েছে।
ডিওজে প্রথমবার গুগলের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-ট্রাস্ট বা আস্থাহীনতার মামলা দায়ের করেছিল ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে। মামলায় কোম্পানিটি গত আগস্টে একটি রায়ে হেরে গেছে এবং সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় মামলা দায়ের হয়েছে। বাইডেন আমলেও মেটার বিরুদ্ধে এফটিসির মামলা এবং গুগলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা ট্রাম্পের পূর্ব অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে ট্রাম্প প্রশাসন সম্ভবত কঠোর পদক্ষেপ না নিয়ে সমঝোতার দিকে যেতে পারে।
এদিকে, মার্ক জাকারবার্গ ও সুন্দর পিচাই ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করতে পারেন, বিশেষ করে জাকারবার্গ। তিনি অতীতে ট্রাম্পের সাহসের প্রশংসা করেছিলেন। এটি অহং নির্ভর ট্রাম্পের মনোভাবকে প্রভাবিত করতে পারে।
আমাজন
আমাজনের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল। বাইডেন প্রশাসন আমাজনের বিরুদ্ধে একটি অ্যান্টি ট্রাস্ট মামলা দায়ের করেছে। তবে ট্রাম্প ও আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে বেজোসের মালিকানাধীন ওয়াশিংটন পোস্ট এবারের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয়নি, যা ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে সহায়ক হতে পারে।
অ্যাপল
অ্যাপলের ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন সহায়ক হতে পারে। টিম কুক ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন এবং অ্যাপলের বিভিন্ন লক্ষ্য ট্রাম্পের অবস্থানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। অ্যাপল চীন নির্ভরতা কমিয়ে নতুন উৎপাদন কেন্দ্র করছে ভারতকে, যা ট্রাম্পের পছন্দের।
চিপ খাত ও ইন্টেল
বাইডেন প্রশাসন চিপ শিল্পের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। উন্নত চিপ চীনে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং দেশীয় চিপ উৎপাদনকে উৎসাহিত করছে। এটি ট্রাম্পের পূর্বের অর্থনৈতিক কৌশলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ট্রাম্প বরাবরই চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেন এবং দেশীয় উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেন।
বাইডেনের প্রণোদনার ফলে আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন চিপ কারখানা চালু হচ্ছে। এতে ইন্টেল বিশেষভাবে উপকৃত হবে কারণ প্রতিষ্ঠানটি প্রচুর ফেডারেল সহায়তা পেয়েছে। যদিও সম্প্রতি জো রোগানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বাইডেনের প্রণোদনার সমালোচনা করেছিলেন। তবে তাঁর বিরোধিতা এখন আর বাস্তবসম্মত হবে না। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে ইন্টেল প্রতিযোগিতামূলক মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে কাজ করবে যা ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
টিকটক
প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প টিকটকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেন। চীনা মালিক বাইটডান্স মার্কিন শাখাটি বিক্রি করতে অনিচ্ছুক হলে প্ল্যাটফর্মটি নিষিদ্ধ করতে যান ট্রাম্প। বাইডেন প্রশাসনও এই নীতি অনুসরণ করেছে এবং সম্প্রতি বাইটডান্সকে টিকটকের মার্কিন শাখাটি বিক্রির জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। না হলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করা হবে।
টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা উদ্বেগ থাকলেও ট্রাম্প সম্প্রতি প্ল্যাটফর্মটি বিক্রির বিরোধিতা করেছেন। তার মতে, এতে মেটার প্রভাব আরও বাড়বে। এমন পরিস্থিতিতে, ট্রাম্প নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করতে পারেন, ফলে টিকটকের জন্য কিছুটা সুযোগ তৈরি হতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্রিপ্টো
বাইডেন প্রশাসন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্রিপ্টোকারেন্সির ওপর কঠোর নজরদারি আরোপ করেছে। কোম্পানিগুলোকে এআই প্রশিক্ষণের পদ্ধতি প্রকাশ ও এআই নিরাপত্তা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে বলেছে। ট্রাম্প সম্ভবত এর বিপরীত অবস্থান নেবেন। কারণ তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার মূল পৃষ্ঠপোষক ইলন মাস্ক, মার্ক আন্দ্রিসেন ও বেন হোরোভিটজ এই ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার পক্ষে।
ট্রাম্প ক্রিপ্টোকারেন্সির একজন প্রকাশ্য সমর্থক হয়ে উঠেছেন এবং বিটকয়েনের জন্য একটি ফেডারেল রেপোজিটরি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর প্রশাসন সম্ভবত এআই ও ক্রিপ্টোর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে দেবে। ফলে এই খাতগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে বিকাশের সুযোগ পাবে। ট্রাম্পের ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি আগ্রহের কারণেই সম্প্রতি বিটকয়েনের দাম রেকর্ড ৯০ হাজার ডলারে পৌঁছেছে।
দেশের বাজারে মিডরেঞ্জের সেরা পারফর্মিং স্মার্টফোন অনার এক্স৭সি নিয়ে এসেছে অনার বাংলাদেশ। সর্বাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ এই স্মার্টফোনের দাম মাত্র ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা। গত ১২ নভেম্বর থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে, যা ডিভাইসটি অনারের ব্র্যান্ড বা যেকোনো রিটেইল শপে কেনা যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগেসুরক্ষা টুলগুলো কীভাবে কাজ করে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে গুগল। টুল দুটি এখন গুগল পিক্সেল ৬ ও নতুন মডেলগুলোতে চালু হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের গুগল বেটা প্রোগ্রামের ব্যবহারকারীরা স্ক্যাম ডিটেকশন ইন ফোন টুলটি ব্যবহার করতে পারবেন।
১২ ঘণ্টা আগেস্যুট পরে সার্ফিং করা থেকে শুরু করে স্ত্রীর জন্য ভাস্কর্য তৈরির মতো কিছু অদ্ভুত কাজের জন্য এই বছর ইন্টারনেটের আলোচনায় এসেছেন মার্ক জাকারবার্গ। এবার গানও গেয়ে শুনালেন মেটার সিইও। তাঁর স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গত বুধবার গানটি প্রকাশ করেন তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেনতুন মাইলফলক অর্জন করেছে এক্সের (সাবেক টুইটার) বিকল্প মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ব্লুস্কাই। প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ১৫ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৫০ লাখ। মাত্র এক মাস আগেই ব্লুস্কাইয়ের ব্যবহারকারী ছিল ১৩ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৩০ লাখ। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়াটিতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। কারণ আর
১৭ ঘণ্টা আগে