ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলায় মাইক্রোসফটকেও জুড়লেন ইলন মাস্ক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ২০
ওপেনএআই ও মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলায় মাস্ক বিশেষ সুবিধা পাবে কিনা সেটা এখন একটি বড় প্রশ্ন। ছবি: ইউনিল্যাড

চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে করা মামলায় স্টার্টআপটির শীর্ষ বিনিয়োগকারী মাইক্রোসফটকে অন্তর্ভুক্ত করলেন ইলন মাস্ক। মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টিট্রাস্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও তুললেন। উল্লেখ্য, এর আগে গত আগস্টে মামলাটি দায়ের করেছিলেন মাস্ক।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে ফেডারেল আদালতে দায়ের করা হয়েছে মাস্কের সংশোধিত মামলাটি। এতে অভিযোগ করা হয়, মাইক্রোসফট এবং ওপেনএআই অবৈধভাবে জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল এবং এর মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিযোগিতায় বাধা দেয়া হয়।

গত আগস্টের মতো সাম্প্রতিক মামলাতেও ওপেনএআই ও স্টার্টআপটির প্রধান নির্বাহী স্যামুয়েল অল্টম্যানের বিরুদ্ধে চুক্তির বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে ইলন মাস্ক।

ইলন মাস্ক দাবি করেন, ওপেনএআই নিজেদের এআই প্রযুক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে জনকল্যাণকে প্রাধান্য না দিয়ে নিজেদের মুনাফা অর্জনকে প্রাধান্য দিয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এর আগে কোনো করপোরেশন মাত্র আট বছরের মধ্যে কর-মুক্ত দাতব্য প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫৭ বিলিয়ন ডলারের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়নি। ওপেনএআইকে বাজার পঙ্গু করে দেওয়া দেওয়া গরগন (গ্রিক পুরানের সর্প সদৃশ দানব যার চোখে চোখ পড়লে পাথর হয়ে যায়) বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মাইক্রোসফটকে দেওয়া ওপেনএআই-এর লাইসেন্সটি বাতিল করে বেআইনিভাবে অর্জিত অর্থ ফিরিয়ে দিতে বাধ্য করারও দাবি মামলায় জানানো হয়েছে।

মাইক্রোসফট মামলাটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এক বিবৃতিতে ওপেনএআই বলছে, এই মামলাটি আগেরটির চেয়ে আরও বেশি ভিত্তিহীন।

গত মাসে ওপেনএআই আদালতকে জানায় যে, মাস্ক নিজের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা আদায় করতে তাঁদের (ওপেনএআই) হয়রানি করার উদ্দেশ্য থেকেই এই ধরনের ‘আক্রমণাত্মক ক্যাম্পেইন’ পরিচালনা করছে এবং মাস্কের করা মামলাটি সেই অভিসন্ধির অংশ মাত্র।

এক বিবৃতিতে মাস্কের আইনজীবী মার্ক টোবেরফ বলেন, মাইক্রোসফটের অ্যান্টি-কম্পিটিটিভ বা প্রতিযোগিতাবিরোধী আচরণ বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওপেনএআইয়ের সঙ্গে মাস্কের বিরোধিতা রয়েছে। এই স্টার্টআপটি তিনি সহ–প্রতিষ্ঠা ছিলেন। পরে ইলন মাস্ক স্টার্টআপ থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে ওপেনএআইতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে মাইক্রোসফট।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসনে নতুন তৈরি বিভাগটির সহ-প্রধান হিসেবে মাস্ক দায়িত্ব পালন করবেন। সরকারের বিভিন্ন বিভাগে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় সংকোচন করবে এই বিভাগ। উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পের জন্য সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় মিলিয়ন ডলার খরচও করেছেন বলে জানা যায়। তাই এই মামলায় মাস্ক বিশেষ সুবিধা পাবে কিনা সেটা এখন একটি বড় প্রশ্ন।

মামলায় বলা হয়েছে, ওপেনএআই এবং মাইক্রোসফট অ্যান্টি-ট্রাস্ট আইন লঙ্ঘন করেছে। কারণ তারা বিনিয়োগকারীদের কাছে এমন চুক্তি চাপিয়েছে যাতে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ব্যবসা না করে। এতে আরও বলা হয়েছে যে, কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া লাইসেন্সিং চুক্তি নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে।

অপরদিকে মাস্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ওপেনএআই বলছে, তিনি এই মামলা চালিয়ে যাচ্ছেন একটি ‘বাড়াবাড়ি প্রচারণার অংশ হিসেবে, যাতে ওপেনএআইকে হয়রানির মাধ্যমে তার নিজের প্রতিযোগিতায় সুবিধা অর্জন করা যায়।’

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থেকে ট্রেনে হামলা, কয়েকজন জখম, ট্রেন চলাচল বন্ধ

স্বামীও জানতেন না স্ত্রী ঢাকা মেডিকেলের ছাত্রী নন

ঢাকার যানজট নিরসনে ৫ কোটির সিগন্যাল ব্যবস্থা, বাস্তবায়নে লাগবে ৬ মাস

১১ সদস্যের গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন, আছেন যারা

এস আলমের ঋণ জালিয়াতি: বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত