স্বামীও জানতেন না স্ত্রী ঢাকা মেডিকেলের ছাত্রী নন

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ৫১
ঢামেক হাসপাতালে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

নিজেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ছাত্রী পরিচয় দিয়ে ভর্তি এক রোগীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণীকে গতকাল রোববার আটক করা হয়েছে। দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের পুরোনে ভবনের তৃতীয় তলায় নাক-কান-গলা বিভাগ থেকে তাঁকে আটকের পর শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আটক তরুণীর নাম পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা (২২)। তাঁর স্বামীর দাবি, তিনিও জানতেন পাপিয়া ঢামেকের ছাত্রী।

ভুক্তভোগীর স্ত্রী কল্পনা বেগম জানান, তাঁদের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। মুখে টিউমারের সমস্যার চিকিৎসার জন্য গত বুধবার তাঁর স্বামী নুরুল আলমকে ঢামেকে ভর্তি করেন। সেদিন তাঁর দেবর জামালের সঙ্গে পাপিয়ার পরিচয় হয়। চিকিৎসকদের মতো অ্যাপ্রোন পরা পাপিয়া নিজেকে ঢামেকের ছাত্রী পরিচয় দেন এবং ৩০ হাজার টাকা দিলে দ্রুত অস্ত্রোপচার করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। জামালের মাধ্যমে সেদিনই তাঁকে ২৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়। গতকাল দুপুরে বাকি ২ হাজার টাকা নেওয়ার সময় চিকিৎসকেরা তাঁকে আটক করেন। তখন জানতে পারেন, তিনি ভুয়া।

চিকিৎসকেরা ওই তরুণীকে আনসার সদস্যদের কাছে সোপর্দ করেন। পরে তাঁকে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়।

পাপিয়া সাংবাদিকদের বলেন, তিনি নিজেকে কখনো জুনিয়র চিকিৎসক, কখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী পরিচয় দেন। তিনি আসলে টাকার বিনিময়ে রোগীর উপকার করতে চেয়েছিলেন। তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

পাপিয়ার তথ্য অনুযায়ী, তাঁর গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদীতে। বিয়ে হয়েছে এক বছর আগে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্বামী জসিম উদ্দিনকে নিয়ে হোসেনি দালান এলাকায় থাকেন।

জসিম উদ্দিন বলেন, তাঁদের দুজনের গ্রামের বাড়ি কাছাকাছি। সেখানকার কলেজ থেকে পাপিয়া এইচএসসি পাস করে ঢাকায় চলে আসেন। মোবাইলে প্রেম থেকে তাঁদের বিয়ে। বিয়ের পর থেকে জেনেছেন পাপিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়েন। এখানে এসে জানলেন, তিনি ঢামেকের ছাত্রী নন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত