টি এইচ মাহির
অসতর্কতা, অব্যবস্থাপনা, প্রতিরোধব্যবস্থা না থাকা ইত্যাদি কারণে অগ্নিকাণ্ড এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে গেছে। ফলে প্রাণহানিসহ সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু একটু সতর্ক এবং আগে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এই দুর্যোগ প্রতিরোধ করা যায় অনেকাংশেই। এখন পুরো পৃথিবীতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ঘটে গেছে। প্রযুক্তিগত এসব ব্যবস্থা সহজেই স্থাপন করা যায় বাসাবাড়ি, কলকারখানা কিংবা অফিস-আদালতে।
স্মোক ডিটেক্টর
ধোঁয়া শনাক্ত করে সতর্ক করে স্মোক ডিটেক্টর। সাধারণত ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি গোলাকার যন্ত্র ব্যবহৃত হয় স্মোক ডিটেক্টর হিসেবে। অফিস কিংবা বাড়ি সব জায়গায় স্মোক ডিটেক্টর স্থাপন করা যায়। তা ছাড়া শিল্পকারখানা এলাকায় স্মোক ডিটেক্টর ফায়ার অ্যালার্মের কাজ করে। ফটোইলেকট্রিক পদ্ধতিতে আগুনের ধোঁয়া শনাক্ত করে এই যন্ত্র।
ওয়াটার মিস্ট ফায়ার সিস্টেম
ফায়ার স্প্রিংকলার সিস্টেমের মতোই আরেকটি প্রযুক্তি ওয়াটার মিস্ট ফায়ার সিস্টেম। তবে এখানে সরাসরি পানি নয়, বাষ্প ছিটিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করা হয়। পানির চাপ কাজে লাগিয়ে কুয়াশার মতো অবস্থা তৈরি করা হয়। এই সিস্টেমটিও স্প্রিংকলারের মতো স্থাপন করা হয় কলকারখানায়। স্প্রিংকলার থেকে এখানে পানির পরিমাণ কম লাগে।
কার্বন মনো-অক্সাইড ডিটেক্টর
আগুন ছড়ালে যে গ্যাসের উপস্থিতি বাড়ে, তা হলো কার্বন মনো-অক্সাইড। বর্ণ ও স্বাদহীন এই গ্যাস শনাক্ত করে কার্বন মনো-অক্সাইড ডিটেক্টর। স্মোক ডিটেক্টরের মতোই ছোট এই যন্ত্র সেন্সরের সহায়তায় শনাক্ত করে বিষাক্ত কার্বন মনো-অক্সাইড গ্যাস। গ্যারেজ, অফিস, কারখানায় ব্যবহার করা হয় এই প্রযুক্তি।
ফায়ার স্প্রিংকলার সিস্টেম
এই প্রযুক্তি বাসাবাড়িতে স্থাপন করা হয়। এটি হলো স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা। এতে পানি এসে আগুন প্রশমিত করে। একটি বাল্বের মতো স্প্রিংকলার হেড স্থাপন করা হয় বাসায়। হেডটি খুলে দিলে জোরে পানি প্রবাহিত হয়। তবে এই সিস্টেম বেশ ব্যয়বহুল হওয়ায় অধিকাংশ বিল্ডিংয়ে থাকে না।
বিল্ডিং ইনফরমেশন মডেলিং
বিল্ডিং বানানোর সময় এর নকশা আর নির্মাণসংক্রান্ত সব ডেটা ঠিকমতো তদারকি করা গেলে আগুন লাগার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। কোনো স্থাপনা নির্মাণের সময় পুরো প্রকল্প পরিকল্পনার একটি ডিজিটাল সংস্করণ তৈরি করা হলো বিল্ডিং ইনফরমেশন মডেলিং (বিআইএম)। এই মডেলিং প্রক্রিয়ায় নির্মাণাধীন স্থাপনার প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয়। তবে এটি শুধু ভার্চুয়াল নকশায় সীমাবদ্ধ, এমনটা নয়। একটি বিআইএম নকশায় ভবনের সব অগ্নিনির্বাপণ সিস্টেমকে একত্র করা হয় এবং সব তথ্য আপডেট করা থাকে। ভবনের প্রতিটি অংশের এই মুহূর্তের ডেটা থাকার কারণে আগে থেকে জানা যায় কোন কোন অংশ অগ্নিকাণ্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
ভিডিও স্মোক ডিটেকশন
ভিডিওতে ধোঁয়া ও আগুন শনাক্ত করাই ভিআইএসডি বা ভিডিও ইমেজ স্মোক অ্যান্ড ফায়ার ডিটেকশনের কাজ। এই প্রযুক্তি ভিডিও অ্যানালিটিক সফটওয়্যার দিয়ে ধোঁয়া এবং আগুন শনাক্ত করতে পারে। বিভিন্ন শিল্প স্থাপনা, তেল-গ্যাস শোধনাগার, বিদ্যুৎকেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপনায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এখানে প্রসেসরটাইপ ব্যবস্থা ব্যবহার করে একটি গ্রুপে একসঙ্গে নেটওয়ার্কযুক্ত স্ট্যান্ডার্ড ডিজিটাল ভিডিও ক্যামেরা ব্যবহার করে এবং ভিডিও বিশ্লেষণাত্মক সফটওয়্যারসহ তাদের ছবিগুলো একটি কম্পিউটারে নিয়ে আসে। ক্যামেরা থেকে ডিজিটাল ছবি কম্পিউটারে এলে সেগুলো যাচাই করে দেখা হয় ছবিতে আগুনের উপস্থিতি আছে কি না। যদি কম্পিউটারে ধোঁয়া বা আগুনের ভিজ্যুয়াল সিগনেচার থাকে, তাহলে ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেমে অ্যালার্ম পাঠানো হয়।
অসতর্কতা, অব্যবস্থাপনা, প্রতিরোধব্যবস্থা না থাকা ইত্যাদি কারণে অগ্নিকাণ্ড এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে গেছে। ফলে প্রাণহানিসহ সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু একটু সতর্ক এবং আগে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এই দুর্যোগ প্রতিরোধ করা যায় অনেকাংশেই। এখন পুরো পৃথিবীতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ঘটে গেছে। প্রযুক্তিগত এসব ব্যবস্থা সহজেই স্থাপন করা যায় বাসাবাড়ি, কলকারখানা কিংবা অফিস-আদালতে।
স্মোক ডিটেক্টর
ধোঁয়া শনাক্ত করে সতর্ক করে স্মোক ডিটেক্টর। সাধারণত ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি গোলাকার যন্ত্র ব্যবহৃত হয় স্মোক ডিটেক্টর হিসেবে। অফিস কিংবা বাড়ি সব জায়গায় স্মোক ডিটেক্টর স্থাপন করা যায়। তা ছাড়া শিল্পকারখানা এলাকায় স্মোক ডিটেক্টর ফায়ার অ্যালার্মের কাজ করে। ফটোইলেকট্রিক পদ্ধতিতে আগুনের ধোঁয়া শনাক্ত করে এই যন্ত্র।
ওয়াটার মিস্ট ফায়ার সিস্টেম
ফায়ার স্প্রিংকলার সিস্টেমের মতোই আরেকটি প্রযুক্তি ওয়াটার মিস্ট ফায়ার সিস্টেম। তবে এখানে সরাসরি পানি নয়, বাষ্প ছিটিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করা হয়। পানির চাপ কাজে লাগিয়ে কুয়াশার মতো অবস্থা তৈরি করা হয়। এই সিস্টেমটিও স্প্রিংকলারের মতো স্থাপন করা হয় কলকারখানায়। স্প্রিংকলার থেকে এখানে পানির পরিমাণ কম লাগে।
কার্বন মনো-অক্সাইড ডিটেক্টর
আগুন ছড়ালে যে গ্যাসের উপস্থিতি বাড়ে, তা হলো কার্বন মনো-অক্সাইড। বর্ণ ও স্বাদহীন এই গ্যাস শনাক্ত করে কার্বন মনো-অক্সাইড ডিটেক্টর। স্মোক ডিটেক্টরের মতোই ছোট এই যন্ত্র সেন্সরের সহায়তায় শনাক্ত করে বিষাক্ত কার্বন মনো-অক্সাইড গ্যাস। গ্যারেজ, অফিস, কারখানায় ব্যবহার করা হয় এই প্রযুক্তি।
ফায়ার স্প্রিংকলার সিস্টেম
এই প্রযুক্তি বাসাবাড়িতে স্থাপন করা হয়। এটি হলো স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা। এতে পানি এসে আগুন প্রশমিত করে। একটি বাল্বের মতো স্প্রিংকলার হেড স্থাপন করা হয় বাসায়। হেডটি খুলে দিলে জোরে পানি প্রবাহিত হয়। তবে এই সিস্টেম বেশ ব্যয়বহুল হওয়ায় অধিকাংশ বিল্ডিংয়ে থাকে না।
বিল্ডিং ইনফরমেশন মডেলিং
বিল্ডিং বানানোর সময় এর নকশা আর নির্মাণসংক্রান্ত সব ডেটা ঠিকমতো তদারকি করা গেলে আগুন লাগার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। কোনো স্থাপনা নির্মাণের সময় পুরো প্রকল্প পরিকল্পনার একটি ডিজিটাল সংস্করণ তৈরি করা হলো বিল্ডিং ইনফরমেশন মডেলিং (বিআইএম)। এই মডেলিং প্রক্রিয়ায় নির্মাণাধীন স্থাপনার প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয়। তবে এটি শুধু ভার্চুয়াল নকশায় সীমাবদ্ধ, এমনটা নয়। একটি বিআইএম নকশায় ভবনের সব অগ্নিনির্বাপণ সিস্টেমকে একত্র করা হয় এবং সব তথ্য আপডেট করা থাকে। ভবনের প্রতিটি অংশের এই মুহূর্তের ডেটা থাকার কারণে আগে থেকে জানা যায় কোন কোন অংশ অগ্নিকাণ্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
ভিডিও স্মোক ডিটেকশন
ভিডিওতে ধোঁয়া ও আগুন শনাক্ত করাই ভিআইএসডি বা ভিডিও ইমেজ স্মোক অ্যান্ড ফায়ার ডিটেকশনের কাজ। এই প্রযুক্তি ভিডিও অ্যানালিটিক সফটওয়্যার দিয়ে ধোঁয়া এবং আগুন শনাক্ত করতে পারে। বিভিন্ন শিল্প স্থাপনা, তেল-গ্যাস শোধনাগার, বিদ্যুৎকেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপনায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এখানে প্রসেসরটাইপ ব্যবস্থা ব্যবহার করে একটি গ্রুপে একসঙ্গে নেটওয়ার্কযুক্ত স্ট্যান্ডার্ড ডিজিটাল ভিডিও ক্যামেরা ব্যবহার করে এবং ভিডিও বিশ্লেষণাত্মক সফটওয়্যারসহ তাদের ছবিগুলো একটি কম্পিউটারে নিয়ে আসে। ক্যামেরা থেকে ডিজিটাল ছবি কম্পিউটারে এলে সেগুলো যাচাই করে দেখা হয় ছবিতে আগুনের উপস্থিতি আছে কি না। যদি কম্পিউটারে ধোঁয়া বা আগুনের ভিজ্যুয়াল সিগনেচার থাকে, তাহলে ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেমে অ্যালার্ম পাঠানো হয়।
ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদ প্রচারক অ্যালেক্স জোন্সের প্ল্যাটফর্ম ইনফোওয়ার্স কিনতে যাচ্ছে প্যারোডি নিউজ ওয়েবসাইট দ্য অনিয়ন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দ্য অনিয়ন জানিয়েছে, তারা ‘তুলনামূলক কম বিদ্বেষপূর্ণ বিভ্রান্তিকর তথ্যের’ মাধ্যমে ইনফোওয়ার্সের ‘বিভ্রান্তিকর তথ্যের লাগাতার স্রোত’ প্রতিস্থাপন করতে চায়।
১ ঘণ্টা আগেদেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর লক্ষ্যে খসড়া নির্দেশিকা চূড়ান্ত করতে জনগণের মতামত চেয়েছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর এ পদক্ষেপ ব্যাকহোলিং, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও গ্রাহকের ডেটা ব্যবহারের পাশাপাশি ডিজিটাল বিভাজন দূর করে স
৫ ঘণ্টা আগেহোয়াটসঅ্যাপের চ্যাটকে আরও আকর্ষণীয় করতে কাস্টম স্টিকার তৈরি করে পাঠান অনেকেই। এই ধরনের স্টিকার খুব সহজেই তৈরি করা যায়। এই ফিচারটি মাধ্যমের ব্যক্তির চেহারা বা বস্তুকে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আলাদা করে কাস্টম স্টিকার তৈরি করা যায়। প্ল্যাটফর্মটির কাস্টম স্টিকার অপশন তৈরি করার জন্য নিজের ছবি বা পছন্দমতো অন্য
৬ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখন থেকে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার)-এর অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে আর কনটেন্ট পোস্ট বা শেয়ার করবে না। তবে সংবাদমাধ্যমটির কনটেন্ট আগের মতোই এক্স-এ শেয়ার করতে পারবেন পাঠকেরা।
৭ ঘণ্টা আগে