বোরহান জাবেদ
ঢাকা: একজন ক্রিকেট অধিনায়কের অধিনায়কত্ব শুধু মাঠেই নয়, করতে হয় মাঠের বাইরেও। সংবাদমাধ্যমের চাপ সামলানো সেই অধিনায়কত্বেরই অংশ। মুমিনুল হক যেন এখানেও কিছুটা খাবি খাচ্ছেন!
এটা ঠিক, নিজের খেলা নিয়ে মুমিনুল যথেষ্ট গোছালো, কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে এলে কেমন আড়ষ্ট হয়ে যান। যদিও গত দুই বছর অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর বেশ ‘কথা বলা’ শিখেছেন। কিন্তু ২২ গজে যেমন ভালো খেলতে খেলতে হুট করে একটা ভুল শট খেলে ফেলেন, সাংবাদিকদের সামনেও হুট করেই ছুড়ে দেন হালকা মন্তব্য!
আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ মন্তব্যই মনে হবে। কিন্তু মন্তব্যগুলো তো যেনতেন মানুষের মুখ নিঃসৃত নয়—বলছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক। মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে যেমন আলোচনা হচ্ছে, মুমিনুল আলোচিত হচ্ছেন সংবাদ সম্মেলনে করা নানা মন্তব্য নিয়েও।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের হারের অর্ধেক কারণ নাকি টস—এ মন্তব্যে আরেকবার আলোচনার কেন্দ্রে মুমিনুল। বাংলাদেশ অধিনায়ক হারের ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘ম্যাচের প্রায় ৫০ শতাংশই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল টস করার সময়।’ স্বাভাবিকভাবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে, টস করার সময়ই যদি অর্ধেক নির্ধারণ হয়ে যায়, তাহলে আর মাঠে খেলার দরকার কী!
দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে ক্রিকেট কীভাবে খেলতে হয় সেই মৌলিক জ্ঞান যেন সাংবাদিকদের দিয়ে গেছেন মুমিনুল। সিরিজের প্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের দেওয়া বক্তব্যটা ‘অমৃত বচন’ হয়ে গেছে! মুমিনুল বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কায় মাঠে নামব। ওরা বল করবে। আমরা ব্যাটিং করব। আমরা বল করব, ওরা ব্যাটিং করবে।’
‘ওরা ব্যাট করবে, আমরা বল করব...’—যেন মুমিনুল না বললে বিষয়টা অজানাই থেকে যেত সবার! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ হারের ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ অধিনায়ক আবার বললেন, ‘সিরিজ হেরেছি মানে এই না যে সবকিছু হেরে গিয়েছি’ কিংবা ‘হারলে সমস্যা নেই!’ ২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে ইন্দোর টেস্টে মুমিনুলের ‘সাংবাদিকদের চাপে ব্যাটসম্যানরা রান করতেই ভুলে যায়’ মন্তব্যটাও কম আলোচিত হয়নি!
এটা ঠিক, হঠাৎ পাওয়া অধিনায়কত্ব মুমিনুলের কাছে বিশাল চাপ হয়ে এসেছে। স্বল্পভাষী মুমিনুলের কাছে সাংবাদিকদের একেকটা প্রশ্ন কঠিন বাউন্সারের মতোই। তিনি অবশ্য চেষ্টা করছেন মাঠের বাইরেও অধিনায়কত্ব ভালো করতে। তবু মাঝে মাঝে তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন! এ ক্ষেত্রে মুমিনুল চাইলে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ মহেন্দ্র সিং ধোনির সংবাদ সম্মেলনের ভিডিওগুলো চালিয়ে দেখতে পারেন। সংবাদ সম্মেলনে ধোনির রসবোধ কিংবা বুদ্ধিমত্তা বরাবরই প্রশংসনীয়।
ধোনির মতো অনেক অধিনায়ক বা খেলোয়াড় চাপ সরাতে সংবাদ সম্মেলনে হাস্যরসকে বেছে নেন। এ ক্ষেত্রে রোহিত শর্মার জুড়ি মেলা ভার! হাসিঠাট্টায় পুরো সংবাদ সম্মেলন মাতিয়ে রাখেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানস অধিনায়ক। সংবাদমাধ্যমের চাপ সামলানোর উপায় খুঁজতে অবশ্য খুব বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই। বাংলাদেশের সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছেই পরামর্শ নিতে পারেন মুমিনুল। যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে মাশরাফির চেয়ে ভালো চাপ সামলাতে পেরেছেন–এমন অধিনায়ক বাংলাদেশ কমই পেয়েছে। কঠিন, অস্বস্তিকর কিংবা বিব্রতকর সব প্রশ্নে এমন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন মাশরাফি, এককথায় দুর্দান্ত!
মুমিনুলের রসবোধও মন্দ নয়। কিন্তু রসবোধকে যেন কেউ ‘আবোলতাবোল’ মন্তব্য না করে, সে ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে তাঁকে। সংবাদমাধ্যমকে সাফল্যের সঙ্গে সামলানো আধুনিক ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের বড় গুণ হিসেবেই ধরা হয়। বর্তমান সময়ে টানা খেলার চাপে খেলোয়াড়েরা এমনিতে বিধ্বস্ত থাকেন। এর মধ্যে সংবাদমাধ্যমের চাপ অনেকের কাছে যেন উটকো ঝামেলা। তবু এ থেকে কি দূরে থাকা যায়?
দলের অধিনায়ক হলে তো কথাই নেই। দলের বাজে সময়ে অধিনায়ককেই সবার আগে কাঠগড়ায় তোলা হয়। চারদিক থেকে ধেয়ে আসা প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয় তাঁকেই। মুমিনুলও ব্যতিক্রম নন। ২২ গজে কঠিন বল সামলানোর উপায় যেভাবেই হোক তাঁকে বের করতেই হয়। মুমিনুল নিশ্চয় একই সূত্র মেনে মাইক্রোফোনের সামনে দুর্দান্ত ‘খেলা’র উপায়ও বের করতে পারবেন।
ঢাকা: একজন ক্রিকেট অধিনায়কের অধিনায়কত্ব শুধু মাঠেই নয়, করতে হয় মাঠের বাইরেও। সংবাদমাধ্যমের চাপ সামলানো সেই অধিনায়কত্বেরই অংশ। মুমিনুল হক যেন এখানেও কিছুটা খাবি খাচ্ছেন!
এটা ঠিক, নিজের খেলা নিয়ে মুমিনুল যথেষ্ট গোছালো, কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে এলে কেমন আড়ষ্ট হয়ে যান। যদিও গত দুই বছর অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর বেশ ‘কথা বলা’ শিখেছেন। কিন্তু ২২ গজে যেমন ভালো খেলতে খেলতে হুট করে একটা ভুল শট খেলে ফেলেন, সাংবাদিকদের সামনেও হুট করেই ছুড়ে দেন হালকা মন্তব্য!
আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ মন্তব্যই মনে হবে। কিন্তু মন্তব্যগুলো তো যেনতেন মানুষের মুখ নিঃসৃত নয়—বলছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক। মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে যেমন আলোচনা হচ্ছে, মুমিনুল আলোচিত হচ্ছেন সংবাদ সম্মেলনে করা নানা মন্তব্য নিয়েও।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের হারের অর্ধেক কারণ নাকি টস—এ মন্তব্যে আরেকবার আলোচনার কেন্দ্রে মুমিনুল। বাংলাদেশ অধিনায়ক হারের ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘ম্যাচের প্রায় ৫০ শতাংশই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল টস করার সময়।’ স্বাভাবিকভাবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে, টস করার সময়ই যদি অর্ধেক নির্ধারণ হয়ে যায়, তাহলে আর মাঠে খেলার দরকার কী!
দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে ক্রিকেট কীভাবে খেলতে হয় সেই মৌলিক জ্ঞান যেন সাংবাদিকদের দিয়ে গেছেন মুমিনুল। সিরিজের প্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের দেওয়া বক্তব্যটা ‘অমৃত বচন’ হয়ে গেছে! মুমিনুল বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কায় মাঠে নামব। ওরা বল করবে। আমরা ব্যাটিং করব। আমরা বল করব, ওরা ব্যাটিং করবে।’
‘ওরা ব্যাট করবে, আমরা বল করব...’—যেন মুমিনুল না বললে বিষয়টা অজানাই থেকে যেত সবার! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ হারের ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ অধিনায়ক আবার বললেন, ‘সিরিজ হেরেছি মানে এই না যে সবকিছু হেরে গিয়েছি’ কিংবা ‘হারলে সমস্যা নেই!’ ২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে ইন্দোর টেস্টে মুমিনুলের ‘সাংবাদিকদের চাপে ব্যাটসম্যানরা রান করতেই ভুলে যায়’ মন্তব্যটাও কম আলোচিত হয়নি!
এটা ঠিক, হঠাৎ পাওয়া অধিনায়কত্ব মুমিনুলের কাছে বিশাল চাপ হয়ে এসেছে। স্বল্পভাষী মুমিনুলের কাছে সাংবাদিকদের একেকটা প্রশ্ন কঠিন বাউন্সারের মতোই। তিনি অবশ্য চেষ্টা করছেন মাঠের বাইরেও অধিনায়কত্ব ভালো করতে। তবু মাঝে মাঝে তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন! এ ক্ষেত্রে মুমিনুল চাইলে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ মহেন্দ্র সিং ধোনির সংবাদ সম্মেলনের ভিডিওগুলো চালিয়ে দেখতে পারেন। সংবাদ সম্মেলনে ধোনির রসবোধ কিংবা বুদ্ধিমত্তা বরাবরই প্রশংসনীয়।
ধোনির মতো অনেক অধিনায়ক বা খেলোয়াড় চাপ সরাতে সংবাদ সম্মেলনে হাস্যরসকে বেছে নেন। এ ক্ষেত্রে রোহিত শর্মার জুড়ি মেলা ভার! হাসিঠাট্টায় পুরো সংবাদ সম্মেলন মাতিয়ে রাখেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানস অধিনায়ক। সংবাদমাধ্যমের চাপ সামলানোর উপায় খুঁজতে অবশ্য খুব বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই। বাংলাদেশের সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছেই পরামর্শ নিতে পারেন মুমিনুল। যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে মাশরাফির চেয়ে ভালো চাপ সামলাতে পেরেছেন–এমন অধিনায়ক বাংলাদেশ কমই পেয়েছে। কঠিন, অস্বস্তিকর কিংবা বিব্রতকর সব প্রশ্নে এমন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন মাশরাফি, এককথায় দুর্দান্ত!
মুমিনুলের রসবোধও মন্দ নয়। কিন্তু রসবোধকে যেন কেউ ‘আবোলতাবোল’ মন্তব্য না করে, সে ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে তাঁকে। সংবাদমাধ্যমকে সাফল্যের সঙ্গে সামলানো আধুনিক ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের বড় গুণ হিসেবেই ধরা হয়। বর্তমান সময়ে টানা খেলার চাপে খেলোয়াড়েরা এমনিতে বিধ্বস্ত থাকেন। এর মধ্যে সংবাদমাধ্যমের চাপ অনেকের কাছে যেন উটকো ঝামেলা। তবু এ থেকে কি দূরে থাকা যায়?
দলের অধিনায়ক হলে তো কথাই নেই। দলের বাজে সময়ে অধিনায়ককেই সবার আগে কাঠগড়ায় তোলা হয়। চারদিক থেকে ধেয়ে আসা প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয় তাঁকেই। মুমিনুলও ব্যতিক্রম নন। ২২ গজে কঠিন বল সামলানোর উপায় যেভাবেই হোক তাঁকে বের করতেই হয়। মুমিনুল নিশ্চয় একই সূত্র মেনে মাইক্রোফোনের সামনে দুর্দান্ত ‘খেলা’র উপায়ও বের করতে পারবেন।
এই শতাব্দির গোড়ার দিকের গল্প। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে গতিময় এক ফাস্ট বোলারকে চোখে পড়ল রাকিব হায়দার পাভেলের। সেই বোলার ব্যাটেও ঝড় তুলতে পারেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই পাভেল ওই অলরাউন্ডারকে নিয়ে এলেন তাঁদের প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের আজাদ স্পোর্টিংয়ে।
১০ ঘণ্টা আগেএবার সাফজয়ীদের পুরস্কৃত করল বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি আজ তাদের কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এই সম্মাননা জানায়। এ সময় ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
১২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে তাঁর পরিবার পড়েছে বিপাকে। সংকটময় এই মুহূর্তে জিয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল।
১৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল করেছিলেন ১৬ রান। দুইবার মেরেছিলেন ডাক। সেই ব্যর্থতার ঝাল ঝাড়লেন অন্য সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে। ব্রিসবেনের গ্যাবায় আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ওপর চালালেন তাণ্ডব। ম্যাক্সওয়েলের তাণ্ডবের পর অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে চোখে সর্ষেফ
১৪ ঘণ্টা আগে