মুদাসসর নজরকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। গুণী এই কোচ বাংলাদেশে এসেছিলেন আরব আমিরাত যুব দলের প্রধান কোচ হিসেবে। ৭৬ টেস্ট খেলা পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম হাই প্রোফাইল কোচ, যিনি খুব অল্প সময়ের জন্য কাজ করেছিলেন ১৯৯০ অস্ট্রেলেশিয়া কাপের আগে। দুদিন আগে মুদাসসরের সঙ্গে আলাপ হলো আজকের পত্রিকার। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ, ঢাকা
প্রশ্ন: নব্বই দশকের একেবারে শুরুর দিকে বাংলাদেশে আপনার কোচিং অভিজ্ঞতা শুনতে চাই।
মুদাসসর নজর: ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া আমার জন্য ছিল এক অনন্য অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশ তখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের জায়গা করে নিতে লড়াই করছিল। তরুণ এই দলকে এগিয়ে নিতে এবং আন্তর্জাতিক মানের জন্য প্রস্তুত করতে কাজ শুরু করেছিলাম। সেই সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা। আন্তর্জাতিক মানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়ানো এবং তাদের মানসিকভাবে দৃঢ় করা জরুরি ছিল। খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তা, বড় ম্যাচে চাপ সামলে আত্মবিশ্বাসী থাকা এবং ম্যাচে ধারাবাহিক ভালো করার সক্ষমতার দিকে কাজ করেছিলাম। আমার কোচিংয়ের সময়ে মূল লক্ষ্য ছিল দলের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা ও পেশাদারি ধারা তৈরি করা।
প্রশ্ন: সেই সময়ের কোন স্মৃতি আপনার বেশি মনে পড়ে?
মুদাসসর: সেই সময়ে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় ছিল বাংলাদেশে। এখন সবার নাম মনে নেই। আজহার হোসেন, লিপু (গাজী আশরাফ হোসেন), নান্নু (মিনহাজুল আবেদীন), এখনকার বোর্ড সভাপতি ফারুকও (আহমেদ) ছিল। অল্প সময় কাজ করেছি, দারুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা ছিল। ওদের সঙ্গে কাজ করে সে সময় দারুণ লেগেছিল। ধারাবাহিক ভালো করতে উৎসাহিত করতাম ওদের।
প্রশ্ন: বর্তমান বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
মুদাসসর: বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক তো বটেই; সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা যে দুর্দান্ত খেলেছে, সেটি সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। তবে এখনো ধারাবাহিকতার অভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যদি তারা ধারাবাহিক হতে পারে এবং নিজেদের খেলার মান উন্নত করতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশ সত্যিই একটি শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তাদের তরুণ প্রতিভা এবং নতুন পরিকল্পনা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বেশ সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
প্রশ্ন: প্রতিপক্ষের কোচ হিসেবে বাংলাদেশ যুব দলকে কেমন দেখলেন?
মুদাসসর: বাংলাদেশ যুব দলের ক্রিকেটারদের প্রতিভা আর উদ্যম আমাকে মুগ্ধ করেছে। তরুণদের মধ্যে আগ্রহ এবং শেখার মানসিকতা খুবই ভালো। তাদের শারীরিক ফিটনেস এবং খেলার কৌশল নিয়ে কাজ করতে পারলে আগামী দিনে তারা আরও উন্নতি করতে পারবে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে, যাদের সঠিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত করতে পারলে তারা দীর্ঘদিন বাংলাদেশকে ভালো সার্ভিস দিতে পারবে।
প্রশ্ন: আপনি আমিরাতে কাজ করেন, সেখানকার উইকেট-কন্ডিশন সম্পর্কে আপনার খুব ভালো জানা। কদিন পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজে বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ কী?
মুদাসসর: আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজটি বাংলাদেশ দলের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করি। আফগানিস্তান দল সাম্প্রতিক সময়ে সাদা বলে অনেক উন্নতি করেছে, বিশেষ করে তাদের স্পিন আক্রমণ নিয়ে কথা বলতেই হয়। রহস্য স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানের মতো বোলিং যেকোনো ব্যাটিং লাইনআপের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। বাংলাদেশ দলকে তাদের দক্ষতার বিপরীতে কৌশলগত প্রস্তুতিও নিতে হবে। আফগানিস্তান এখন বেশ শক্তিশালী দল হয়ে উঠেছে, বিশেষত সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। তবে বাংলাদেশ যদি নিজের শক্তিমত্তার ওপর আস্থা রাখে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলে, তাহলে ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
‘তাঁর ভয়ে উড়িয়ে মারার শট খেলতাম না’
নব্বই দশকের শুরুতে বাংলাদেশে যখন পাকিস্তানি কোচ মুদাসসর নজর আসেন, তখন জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। মুদাসসরের সঙ্গে এবার দেখা না হলেও লিপুর কাছে তাঁর সাবেক কোচ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি যেন ফিরে গেলেন ৩৪ বছর আগে—
মুদাসসর নজর যখন কাউকে নেটে পাঠাতেন, তখন ওপরের (লফটেড) শট না খেলার নির্দেশ দিতেন। ওপরের শট খেললেই ব্যাটিং শেষ! কোচের নির্দেশ মানলে দীর্ঘ সময় ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। সেই ভয়ে তখন বুলবুল, আজহার হাসান, ফারুক—কেউই লফটেড (উড়িয়ে মারার) শট খেলত না তাঁর ভয়ে। আমরা তেমন স্কোরিং শট খেলতে পারতাম না এবং ছক্কা মারার শক্তিও অনেকের মধ্যে সেভাবে ছিল না।
মুদাসসর নজর কোচ হিসেবে যদি আরও বেশি সময় পেতেন, আমাদের দল আরও ভালো করতে পারত। তার বিদায়ের পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশে এমন বড় মাপের কোচ আর আসেননি। তিনি মূলত আমাদের ফিটনেসের ওপর বেশি কাজ করেছিলেন তখন। মুদাসসর নজর দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশে এসেছেন। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি।
প্রশ্ন: নব্বই দশকের একেবারে শুরুর দিকে বাংলাদেশে আপনার কোচিং অভিজ্ঞতা শুনতে চাই।
মুদাসসর নজর: ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া আমার জন্য ছিল এক অনন্য অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশ তখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের জায়গা করে নিতে লড়াই করছিল। তরুণ এই দলকে এগিয়ে নিতে এবং আন্তর্জাতিক মানের জন্য প্রস্তুত করতে কাজ শুরু করেছিলাম। সেই সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা। আন্তর্জাতিক মানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়ানো এবং তাদের মানসিকভাবে দৃঢ় করা জরুরি ছিল। খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তা, বড় ম্যাচে চাপ সামলে আত্মবিশ্বাসী থাকা এবং ম্যাচে ধারাবাহিক ভালো করার সক্ষমতার দিকে কাজ করেছিলাম। আমার কোচিংয়ের সময়ে মূল লক্ষ্য ছিল দলের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা ও পেশাদারি ধারা তৈরি করা।
প্রশ্ন: সেই সময়ের কোন স্মৃতি আপনার বেশি মনে পড়ে?
মুদাসসর: সেই সময়ে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় ছিল বাংলাদেশে। এখন সবার নাম মনে নেই। আজহার হোসেন, লিপু (গাজী আশরাফ হোসেন), নান্নু (মিনহাজুল আবেদীন), এখনকার বোর্ড সভাপতি ফারুকও (আহমেদ) ছিল। অল্প সময় কাজ করেছি, দারুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা ছিল। ওদের সঙ্গে কাজ করে সে সময় দারুণ লেগেছিল। ধারাবাহিক ভালো করতে উৎসাহিত করতাম ওদের।
প্রশ্ন: বর্তমান বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
মুদাসসর: বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক তো বটেই; সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা যে দুর্দান্ত খেলেছে, সেটি সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। তবে এখনো ধারাবাহিকতার অভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যদি তারা ধারাবাহিক হতে পারে এবং নিজেদের খেলার মান উন্নত করতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশ সত্যিই একটি শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তাদের তরুণ প্রতিভা এবং নতুন পরিকল্পনা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বেশ সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
প্রশ্ন: প্রতিপক্ষের কোচ হিসেবে বাংলাদেশ যুব দলকে কেমন দেখলেন?
মুদাসসর: বাংলাদেশ যুব দলের ক্রিকেটারদের প্রতিভা আর উদ্যম আমাকে মুগ্ধ করেছে। তরুণদের মধ্যে আগ্রহ এবং শেখার মানসিকতা খুবই ভালো। তাদের শারীরিক ফিটনেস এবং খেলার কৌশল নিয়ে কাজ করতে পারলে আগামী দিনে তারা আরও উন্নতি করতে পারবে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে, যাদের সঠিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত করতে পারলে তারা দীর্ঘদিন বাংলাদেশকে ভালো সার্ভিস দিতে পারবে।
প্রশ্ন: আপনি আমিরাতে কাজ করেন, সেখানকার উইকেট-কন্ডিশন সম্পর্কে আপনার খুব ভালো জানা। কদিন পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজে বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ কী?
মুদাসসর: আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজটি বাংলাদেশ দলের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করি। আফগানিস্তান দল সাম্প্রতিক সময়ে সাদা বলে অনেক উন্নতি করেছে, বিশেষ করে তাদের স্পিন আক্রমণ নিয়ে কথা বলতেই হয়। রহস্য স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানের মতো বোলিং যেকোনো ব্যাটিং লাইনআপের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। বাংলাদেশ দলকে তাদের দক্ষতার বিপরীতে কৌশলগত প্রস্তুতিও নিতে হবে। আফগানিস্তান এখন বেশ শক্তিশালী দল হয়ে উঠেছে, বিশেষত সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। তবে বাংলাদেশ যদি নিজের শক্তিমত্তার ওপর আস্থা রাখে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলে, তাহলে ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
‘তাঁর ভয়ে উড়িয়ে মারার শট খেলতাম না’
নব্বই দশকের শুরুতে বাংলাদেশে যখন পাকিস্তানি কোচ মুদাসসর নজর আসেন, তখন জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। মুদাসসরের সঙ্গে এবার দেখা না হলেও লিপুর কাছে তাঁর সাবেক কোচ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি যেন ফিরে গেলেন ৩৪ বছর আগে—
মুদাসসর নজর যখন কাউকে নেটে পাঠাতেন, তখন ওপরের (লফটেড) শট না খেলার নির্দেশ দিতেন। ওপরের শট খেললেই ব্যাটিং শেষ! কোচের নির্দেশ মানলে দীর্ঘ সময় ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। সেই ভয়ে তখন বুলবুল, আজহার হাসান, ফারুক—কেউই লফটেড (উড়িয়ে মারার) শট খেলত না তাঁর ভয়ে। আমরা তেমন স্কোরিং শট খেলতে পারতাম না এবং ছক্কা মারার শক্তিও অনেকের মধ্যে সেভাবে ছিল না।
মুদাসসর নজর কোচ হিসেবে যদি আরও বেশি সময় পেতেন, আমাদের দল আরও ভালো করতে পারত। তার বিদায়ের পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশে এমন বড় মাপের কোচ আর আসেননি। তিনি মূলত আমাদের ফিটনেসের ওপর বেশি কাজ করেছিলেন তখন। মুদাসসর নজর দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশে এসেছেন। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি।
এই শতাব্দির গোড়ার দিকের গল্প। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে গতিময় এক ফাস্ট বোলারকে চোখে পড়ল রাকিব হায়দার পাভেলের। সেই বোলার ব্যাটেও ঝড় তুলতে পারেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই পাভেল ওই অলরাউন্ডারকে নিয়ে এলেন তাঁদের প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের আজাদ স্পোর্টিংয়ে।
১০ ঘণ্টা আগেএবার সাফজয়ীদের পুরস্কৃত করল বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি আজ তাদের কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে এই সম্মাননা জানায়। এ সময় ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে তাঁর পরিবার পড়েছে বিপাকে। সংকটময় এই মুহূর্তে জিয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল।
১৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল করেছিলেন ১৬ রান। দুইবার মেরেছিলেন ডাক। সেই ব্যর্থতার ঝাল ঝাড়লেন অন্য সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে। ব্রিসবেনের গ্যাবায় আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ওপর চালালেন তাণ্ডব। ম্যাক্সওয়েলের তাণ্ডবের পর অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে চোখে সর্ষেফ
১৩ ঘণ্টা আগে