ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা নিম্নআয়ের মানুষেরা। দামের ঊর্ধ্বগতিতে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটানোই যেন হয়ে উঠেছে কষ্টসাধ্য। কারওয়ান বাজারে টুকরিতে করে কখনো ফল, কখনো শাকসবজি বিক্রি করেন ৬৩ বছর বয়সী দেলোয়ার হোসেন। দিনে যে কয় টাকা আয় করেন তা দিয়ে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটানোই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে তাঁর।
রুমা থেকে কেওক্রাডংয়ে যাওয়ার পথে এক অভিযানে বাবুল বড়ুয়া ছিলেন আমাদের গাইড। বলা চলে, এই ভালো মানুষটি না থাকলে আমাদের সেই ভ্রমণ শেষ না করেই হয়তো ফিরে আসতে হতো। কিংবা কষ্টটা অনেক বেশি হতো। গল্পটা প্রিয় বাবুল ভাইকে নিয়েই।
২০১৮ সালে টিয়া পাখির প্রাণ বাঁচাতে পারলেও নিজের প্রাণ যেতে বসেছিলো লিয়নের। গাছ থেকে পড়ে গিয়ে মস্তিষ্কে আঘাত লাগায় অজ্ঞান ছিলো তিন সপ্তাহ। সহায়–সম্পত্তি না থাকায় অসহায় মা তার চিকিৎসা চালিয়ে নিচ্ছেন অন্যদের দেয়া আর্থিক সহায়তায়। এ পর্যন্ত ব্রেইন সার্জারি হয়েছে মোট ৩ বার। সম্প্রতি আবার অসুস্থ হয়ে নিউরো
রাজধানীর আদাবার থানার তুরাগ হাউজিং এলাকার বাসিন্দা সাজেদা বেগম (৪১)। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। তাঁর একমাত্র মেয়ে মুক্তা আক্তারের (২২) দুটি কিডনিই বিকল। এক সময় প্রবাসী গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করলেও এখন মেয়ের চিকিৎসায় দেশে ফিরে বেছে নিয়েছেন অটোরিকশা চালকের কাজ। মোহাম্মদপুর এলাকায় অটোরিকশা চাল
পঁচাত্তর বছর বয়সী আবুল হাসেম কাঁধে কাঠের বাক্সে ধুপধাপ আওয়াজ করতেই ছুটে এল দুই শিশু। একজনের হাতে দুই টাকার একটি কয়েন। অপর শিশুটি হাফপ্যান্টের ভাঁজ থেকে বের করে দিল অল্প চাল। তারা জানে ওই বাক্সে আছে আইসক্রিম। দাম পাঁচ টাকা হলেও শিশুদের আনা ওই সম্বলেই দুজনকে দুটি আইসক্রিম দিয়ে দিলেন আবুল হাসেম।
‘মন বলে চল ফিরে আবার, স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার।’ জনপ্রিয় গান থেকে মোবাইল অপারেটরের জিঙ্গেল। প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঈদে বাড়ি ফেরার উচ্ছ্বাস প্রকাশের সমার্থক হয়ে উঠেছে এই গান। তাই বলে সবার স্বপ্ন কি বাড়ি ফেরে। স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে ঘরের কোণে মুখ গুঁজে গোটা উৎসব পার করে—এমন মানুষ তো থাকেন
রাজধানীতে দেশের নানা প্রান্তের মানুষের বাস। এই শহরের অলিগলিতে চলতে কানে পড়ে একেক অঞ্চলের ভাষার স্বর। ভাষার মাস, তাই ভাষা নিয়ে ভাবনাটা চলছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। মনে পড়ছিল গ্রামে ফেলে আসা মায়ের মুখের ভাষা। শৈশব, কৈশোরের সব স্মৃতি যে ভাষায় গাঁথা, হাজার কাজের মাঝে ফুরসত মিললেই সে ভাষায় একটু কথা বলার জন্য
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, চট্টগ্রাম শহরের বুকে এখনো প্রতিদিন একটি মাধ্যমিক স্কুলের প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী খোলা আকাশের নিচে টয়লেট করছে। দীর্ঘদিন পর আমেরিকা থেকে প্রিয় শহর চট্টগ্রামে গিয়ে কংক্রিটের উন্নয়নের ফাঁকে এই নির্মম বাস্তবতা দেখে কিছুটা থমকে দাঁড়ালাম।
আব্দুর রহিমের সঙ্গে দেখা হয় গতকাল শনিবার রাতে। দুই হাতে ভরা বিভিন্ন ডিজাইনের ক্যালেন্ডার। রাত পার হলেই নতুন বছর। মৌসুমি ক্যালেন্ডার বিক্রেতাদের মোক্ষম সময় এটি। নতুন বছরের কড়কড়ে ক্যালেন্ডার উঠবে ঘরে, অফিসে। শহরের সড়কে, অলিগলিতে ঘুরে ক্যালেন্ডার বিক্রি করছেন আব্দুর রহিম।
করোনার পর থেকে কোনো ভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না নিম্ন আয়ের মানুষ। দৈনন্দিন আয় দিয়ে টেনেটুনে সংসার চালাতে পারলেও যথেষ্ট আমিষ খাওয়া প্রায় অসাধ্য হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ বলছেন, ওএমএস এবং টিসিবির পণ্য যথেষ্ট না হওয়ায় মানুষের কষ্ট লাঘব হচ্ছে না।
গত বছর এই দিনেও আব্দুর রহিম ছিলেন সুস্থ–সবল এক দিনমজুর। রাস্তায় কিছু খেতে ইচ্ছে করলে যেন খেয়ে নেয়, সে জন্য স্কুলপড়ুয়া নাতনিটার হাতে গুঁজে দিয়েছিলেন ৬০ টাকা। আর একটা বছর ঘুরে আজকের বিজয় দিবসে তিনি নিজেই হাত পাতছেন রাস্তায়–রাস্তায়...
বাল্যবিবাহ হয়েছিল কুমিল্লার দেবীদ্বারের রেহানা বেগমের। ওই বয়সেই একে একে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। একমাত্র মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন নিজের বয়সেই। এর মধ্যে স্বামী পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হলে আকাশ ভেঙে পড়ার মতো করে পুরো সংসার ও স্বামীর চিকিৎসার ভার ওঠে তাঁর কাঁধে। তাতে দমে যাননি ৩৬ বছর বয়সী রেহানা, জীবনের ল
আমি সব সময় আর্জেন্টিনার সমর্থক। এই দল আমার খুবই প্রিয়। যেদিন আর্জেন্টিনার খেলা হয় সেদিন আমি সব কাজ বাদ দিয়ে প্রিয় দলের খেলা দেখি। আর কদিন পর বিশ্বকাপ