আল-আমিন রাজু, ঢাকা
রাজধানীর আদাবার থানার তুরাগ হাউজিং এলাকার বাসিন্দা সাজেদা বেগম (৪১)। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। তাঁর একমাত্র মেয়ে মুক্তা আক্তারের (২২) দুটি কিডনিই বিকল। এক সময় প্রবাসী গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করলেও এখন মেয়ের চিকিৎসায় দেশে ফিরে বেছে নিয়েছেন অটোরিকশা চালকের কাজ। মোহাম্মাদপুর এলাকায় অটোরিকশা চালিয়ে মেয়ের চিকিৎসা চালাচ্ছেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে প্রবাসী গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন সাজেদা বেগম ও তাঁর মেয়ে মুক্তা আক্তার। তাঁদের দুজনের আয়ে ভালোই যাচ্ছিল সবকিছু। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন সাজেদা বেগম। এক সময় ভূমিহীন সাজেদা আয়ের টাকায় জমিও কেনেন। মেয়ের বিয়ের জন্য কেনেন স্বর্ণালংকার। কিন্তু মেয়ে মুক্তা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় জীবনের গল্পই পাল্টে যায় সাজেদা বেগমের। প্রবাসী কর্মী থেকে মেয়ের চিকিৎসা করাতে ফিরে আসেন দেশে। এখন তিনি অটোরিকশা চালকের কাজ করছেন।
নিজের জীবনের সংগ্রামের গল্প বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সাজেদা। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার নিজের কোনো ঠিকানা নেই। ভূমিহীন হিসেবে সরকারি আবাসনে থাকতাম। কিন্তু এই পরিচয়ে মেয়েকে ভালো পরিবারে বিয়ে দিতে পারব না। তাই মা-মেয়ে প্রবাসী গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করে বাড়ির জমি কিনেছি। মেয়ের বিয়ের জন্য কানের দুল, গলার চেইন, হাতের চুরিসহ স্বর্ণালংকার কিনেছিলাম। এবার একটা ঘর করে মেয়েকে দেব এমন আশায় ছিলাম। কিন্তু ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর আমার সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। মেয়েটা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বলে আমার মেয়ের দুটি কিডনিই নষ্ট। এরপর ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আমার মেয়ের ডায়ালাইসিস। প্রতি সপ্তাহে ডাক্তার ৩ বার ডায়ালাইসিস করতে বলেছে। কিন্তু আমি দুবার করে করাচ্ছি।’
সাজেদা বেগম বলেন, ‘মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে প্রথমে জমানো টাকা এরপর বিয়ের জন্য কেনা স্বর্ণালংকার বিক্রি করেছি। যেখানে যা ছিল সব খরচ করা শেষ। তাই এখন অটোরিকশা চালানো শুরু করেছি।’
নিজের একটি কিডনি মেয়েকে দিতে চান জানিয়ে সাজেদা বলেন, ‘মেয়ের সঙ্গে আমার রক্তের গ্রুপ মিল আছে। আমি নিজেই একটি কিডনি দিতে চাই। কিন্তু টাকার অভাবে সেটাও পারছি না। ডাক্তার বলেছে, কিডনি দিতে হলে কয়েক লাখ টাকা খরচ হবে।’
এর আগেও জীবনে বেশ কয়েকবার কঠিন সংগ্রামের মুখোমুখি হয়েছিলেন সাজেদা বেগম। কিন্তু কখনোই হার মানেননি। শৈশবেই মা-বাবাকে হারান। স্বজনদের কাছে বড় হন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হলেও স্বামী একটা সময় সংসার ছেড়ে চলে যান। তিন সন্তানের মধ্যে এক ছেলে (৪ মাস) ও এক মেয়ে (২.৫ বছর) ২০০৭ সালে সিডরের সময় মারা যায়। এখন সাজেদার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন মেয়ে মুক্তা আক্তার।
রাজধানীর আদাবার থানার তুরাগ হাউজিং এলাকার বাসিন্দা সাজেদা বেগম (৪১)। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। তাঁর একমাত্র মেয়ে মুক্তা আক্তারের (২২) দুটি কিডনিই বিকল। এক সময় প্রবাসী গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করলেও এখন মেয়ের চিকিৎসায় দেশে ফিরে বেছে নিয়েছেন অটোরিকশা চালকের কাজ। মোহাম্মাদপুর এলাকায় অটোরিকশা চালিয়ে মেয়ের চিকিৎসা চালাচ্ছেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে প্রবাসী গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন সাজেদা বেগম ও তাঁর মেয়ে মুক্তা আক্তার। তাঁদের দুজনের আয়ে ভালোই যাচ্ছিল সবকিছু। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন সাজেদা বেগম। এক সময় ভূমিহীন সাজেদা আয়ের টাকায় জমিও কেনেন। মেয়ের বিয়ের জন্য কেনেন স্বর্ণালংকার। কিন্তু মেয়ে মুক্তা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় জীবনের গল্পই পাল্টে যায় সাজেদা বেগমের। প্রবাসী কর্মী থেকে মেয়ের চিকিৎসা করাতে ফিরে আসেন দেশে। এখন তিনি অটোরিকশা চালকের কাজ করছেন।
নিজের জীবনের সংগ্রামের গল্প বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সাজেদা। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার নিজের কোনো ঠিকানা নেই। ভূমিহীন হিসেবে সরকারি আবাসনে থাকতাম। কিন্তু এই পরিচয়ে মেয়েকে ভালো পরিবারে বিয়ে দিতে পারব না। তাই মা-মেয়ে প্রবাসী গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করে বাড়ির জমি কিনেছি। মেয়ের বিয়ের জন্য কানের দুল, গলার চেইন, হাতের চুরিসহ স্বর্ণালংকার কিনেছিলাম। এবার একটা ঘর করে মেয়েকে দেব এমন আশায় ছিলাম। কিন্তু ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর আমার সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। মেয়েটা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বলে আমার মেয়ের দুটি কিডনিই নষ্ট। এরপর ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আমার মেয়ের ডায়ালাইসিস। প্রতি সপ্তাহে ডাক্তার ৩ বার ডায়ালাইসিস করতে বলেছে। কিন্তু আমি দুবার করে করাচ্ছি।’
সাজেদা বেগম বলেন, ‘মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে প্রথমে জমানো টাকা এরপর বিয়ের জন্য কেনা স্বর্ণালংকার বিক্রি করেছি। যেখানে যা ছিল সব খরচ করা শেষ। তাই এখন অটোরিকশা চালানো শুরু করেছি।’
নিজের একটি কিডনি মেয়েকে দিতে চান জানিয়ে সাজেদা বলেন, ‘মেয়ের সঙ্গে আমার রক্তের গ্রুপ মিল আছে। আমি নিজেই একটি কিডনি দিতে চাই। কিন্তু টাকার অভাবে সেটাও পারছি না। ডাক্তার বলেছে, কিডনি দিতে হলে কয়েক লাখ টাকা খরচ হবে।’
এর আগেও জীবনে বেশ কয়েকবার কঠিন সংগ্রামের মুখোমুখি হয়েছিলেন সাজেদা বেগম। কিন্তু কখনোই হার মানেননি। শৈশবেই মা-বাবাকে হারান। স্বজনদের কাছে বড় হন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হলেও স্বামী একটা সময় সংসার ছেড়ে চলে যান। তিন সন্তানের মধ্যে এক ছেলে (৪ মাস) ও এক মেয়ে (২.৫ বছর) ২০০৭ সালে সিডরের সময় মারা যায়। এখন সাজেদার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন মেয়ে মুক্তা আক্তার।
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২০ দিন আগেফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ দিন আগেকথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪