সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ও জনমনে আস্থার সংকটের প্রেক্ষাপটে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের প্রতি জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা অনেক। তবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁদের মুখোমুখি হতে হবে একাধিক চ্যালেঞ্জের।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়াটি ইতিবাচক ছিল, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সদস্যদের নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর প্রস্তাব গুরুত্ব পেয়েছে। এটি কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা পুনর্গঠনের প্রথম ধাপ। তবে শুধু ব্যক্তি নির্বাচন নয়, কমিশনের কার্যক্রম ও সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে তাদের সফলতা।
শুক্রবার আজকের পত্রিকায় ‘নতুন ইসি কথায় নয়, কাজেই প্রমাণ দিক’ শিরোনামে ছাপা হওয়া খবরে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশার প্রকাশ ঘটেছে।
নির্বাচনী ব্যবস্থা পুনর্গঠনে নতুন ইসির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি চ্যালেঞ্জ হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা। কমিশনকে প্রমাণ করতে হবে তারা দলীয় আনুগত্য নয়, বরং সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা এবং জনগণের আস্থা অর্জনে সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা ফেরাতে প্রথমেই প্রয়োজন হবে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা তখনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়, যখন তা ক্ষমতাসীন দল বা প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত থাকতে ব্যর্থ হয়। এই প্রেক্ষাপটে কমিশনের সামনে
বড় চ্যালেঞ্জ হবে নির্বাচনের সময় প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সঠিকভাবে পরিচালিত করা।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং ভুয়া ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। এটি একটি কারিগরি এবং সময়সাপেক্ষ কাজ হলেও এর ওপর ভোটারদের আস্থা অনেকাংশে নির্ভরশীল। পাশাপাশি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়মনীতি মেনে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা অপরিহার্য।
নির্বাচন কমিশনের সফলতা নির্ভর করবে তাদের প্রজ্ঞা, দক্ষতা এবং নিরপেক্ষতার ওপর। কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে দৃঢ়তা ও সাহসিকতা থাকতে হবে। অতীতের ব্যর্থতাগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে সেগুলো অতিক্রম করার উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে কমিশন যদি জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারে, তবে তা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে। নতুন নির্বাচন কমিশনের সামনে সুযোগ এসেছে আস্থাহীনতা থেকে দেশকে বের করে আনার। এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ হতে হবে সুনির্দিষ্ট, সৎ এবং জাতির প্রতি দায়বদ্ধ।
নতুন কমিশনের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা—তারা অতীতের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেবে। এখন তাদের কাজই নির্ধারণ করবে তারা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনর্গঠনে কতটা সফল হয়। কথার চেয়ে কাজে প্রতিফলনই হবে তাদের আসল চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ও জনমনে আস্থার সংকটের প্রেক্ষাপটে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের প্রতি জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা অনেক। তবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁদের মুখোমুখি হতে হবে একাধিক চ্যালেঞ্জের।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়াটি ইতিবাচক ছিল, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সদস্যদের নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর প্রস্তাব গুরুত্ব পেয়েছে। এটি কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা পুনর্গঠনের প্রথম ধাপ। তবে শুধু ব্যক্তি নির্বাচন নয়, কমিশনের কার্যক্রম ও সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে তাদের সফলতা।
শুক্রবার আজকের পত্রিকায় ‘নতুন ইসি কথায় নয়, কাজেই প্রমাণ দিক’ শিরোনামে ছাপা হওয়া খবরে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশার প্রকাশ ঘটেছে।
নির্বাচনী ব্যবস্থা পুনর্গঠনে নতুন ইসির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি চ্যালেঞ্জ হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা। কমিশনকে প্রমাণ করতে হবে তারা দলীয় আনুগত্য নয়, বরং সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা এবং জনগণের আস্থা অর্জনে সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা ফেরাতে প্রথমেই প্রয়োজন হবে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা তখনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়, যখন তা ক্ষমতাসীন দল বা প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত থাকতে ব্যর্থ হয়। এই প্রেক্ষাপটে কমিশনের সামনে
বড় চ্যালেঞ্জ হবে নির্বাচনের সময় প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সঠিকভাবে পরিচালিত করা।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং ভুয়া ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। এটি একটি কারিগরি এবং সময়সাপেক্ষ কাজ হলেও এর ওপর ভোটারদের আস্থা অনেকাংশে নির্ভরশীল। পাশাপাশি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়মনীতি মেনে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা অপরিহার্য।
নির্বাচন কমিশনের সফলতা নির্ভর করবে তাদের প্রজ্ঞা, দক্ষতা এবং নিরপেক্ষতার ওপর। কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে দৃঢ়তা ও সাহসিকতা থাকতে হবে। অতীতের ব্যর্থতাগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে সেগুলো অতিক্রম করার উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একটি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে কমিশন যদি জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারে, তবে তা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে। নতুন নির্বাচন কমিশনের সামনে সুযোগ এসেছে আস্থাহীনতা থেকে দেশকে বের করে আনার। এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ হতে হবে সুনির্দিষ্ট, সৎ এবং জাতির প্রতি দায়বদ্ধ।
নতুন কমিশনের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা—তারা অতীতের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেবে। এখন তাদের কাজই নির্ধারণ করবে তারা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনর্গঠনে কতটা সফল হয়। কথার চেয়ে কাজে প্রতিফলনই হবে তাদের আসল চ্যালেঞ্জ।
একটি কলা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। একটি সাধারণ কলা, যা নিলামে বিক্রি হলো ৭৪ কোটি টাকায়। এটি শিল্প, না কৌতুক, না সামাজিক শ্লেষ—নাকি তিনটির মিশেল? ইতালীয় শিল্পী মরিজিও ক্যাটালানের এই ‘কমেডিয়ান’ আমাদের শিল্পের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আর বাজারজাত সৃজনশীলতার প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।
৫ মিনিট আগে‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতা ছিলেন। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এখন পর্যন্ত ২০টি বই লিখেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে...
১ দিন আগেসদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে নানা মাত্রিক আলোচনার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন: ‘গণহত্যার বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেব না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান হবে।’
১ দিন আগেতিন মাস পার হলো, আমরা একটি অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলের অধীনে আছি। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের অবসান ঘটেছে। অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে জনমনে আশার সঞ্চার হয়েছিল—সামাজিক সব বৈষম্যের অবসান ঘটবে, আমাদের সামগ্রিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হবে, প্রকৃত স্বাধীনতা..
১ দিন আগে