সম্পাদকীয়
চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার নাছিয়াঘোনা এলাকায় যাওয়া-আসা করতে গেলে বোঝা যায় সেটি দুর্গম এলাকা। এ কারণেই সেখানে বসানো হয়েছিল ফাঁড়ি। কিন্তু ৫ আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পুলিশের থানা ও ফাঁড়িগুলোয় যখন আক্রমণ করা হচ্ছিল, তখন নুরু আলম নুরু নামের এক সন্ত্রাসীও সে সুযোগ নেন। তিনি পুলিশের ফাঁড়ি দখল করে তা নিজের অফিস বানিয়ে দিব্যি দাপটের সঙ্গে সেখানে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
নুরু বহুরূপী। একসময় বেড়ে উঠেছিলেন আওয়ামী লীগের ছত্রচ্ছায়ায়। এখন তিনি নিজের পরিচয় দেন যুবদল কর্মী হিসেবে। যুবদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছেন তিনি। পুলিশের তালিকাভুক্ত এই আসামির নামে ২৫টি মামলা আছে। অথচ তাঁকে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
এ কথা অস্বীকার করা যাবে না, ৫ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে পুলিশের অনেকগুলো থানা ও ফাঁড়ি আক্রমণ করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হয়। তাতে পুলিশ বাহিনীর অনেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। অনেক পুলিশ সদস্য কর্মস্থল ছেড়ে চলে যান। এ ঘটনার পর পুলিশের হারানো মনোবল এখনো ফিরে আসেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ এখনো তেমন তৎপর নয়। মনোবল হারানো একটি বাহিনীকে আবার মানসিকভাবে সবল করে তোলা খুব সহজ কথা নয়। তাই নুরুর দখল থেকে ফাঁড়ি উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
কোন কোন অপরাধে নুরু সিদ্ধহস্ত, সে বিষয়ে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকেই জেনে নেওয়া যাবে। আমরা শঙ্কিত
বোধ করছি এই কারণে যে বাংলাদেশেরই একটি জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ফাঁড়ি দখল করে নিয়েছে এক দুর্বৃত্ত এবং তা থেকে রেহাই পাওয়ার কথা এখনো ভাবতে পারছে না সংশ্লিষ্ট মহল।
আইনশৃঙ্খলার তোয়াক্কা না করে মব জাস্টিস দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছে জাতির। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের জীবনে সরাসরি আঘাত করে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই দুটি বিষয় এখন পর্যন্ত অস্থির হয়ে আছে। তাতে এই দুই বিষয়ে সরকারের কাছে প্রত্যাশা ও বাস্তবে প্রাপ্তির হিসাব-নিকাশ সহজে মেলানো যাচ্ছে না। এখনো যার যখন ইচ্ছা রাস্তাঘাট বন্ধ করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে। গায়ের জোরেই যদি সবকিছু আদায় করা যাবে, তাহলে মাস্তানি আর আইনের শাসনের মধ্যে পার্থক্য থাকল কোথায়?
নুরুর নেতৃত্বে পুলিশ ফাঁড়ি দখল সে রকমই মাস্তানির একটি ঘটনা। পুলিশের পাহাড়তলী জোনের সহকারী কমিশনার মো. মাঈনুর রহমান স্বীকার করেছেন নাছিয়াঘোনার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো কঠিন। এখন সময় খারাপ হওয়ার কারণে তাঁরা অভিযান চালাতে পারছেন না। পুলিশের এই সহকারী কমিশনারের কাছে আমাদের প্রশ্ন—এখন সময় খারাপ কেন? কেন সময় স্বাভাবিক হতে পারছে না? এটা কি শুধু পুলিশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, নাকি তা অন্যান্য অঞ্চলেও বিকাশ লাভ করছে?
আমরা আশা করব, নিশ্চয়ই পুলিশ বাহিনীর মনোবল ফিরে আসবে, সময় ভালো হবে এবং নুরুর মতো সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার নাছিয়াঘোনা এলাকায় যাওয়া-আসা করতে গেলে বোঝা যায় সেটি দুর্গম এলাকা। এ কারণেই সেখানে বসানো হয়েছিল ফাঁড়ি। কিন্তু ৫ আগস্টে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পুলিশের থানা ও ফাঁড়িগুলোয় যখন আক্রমণ করা হচ্ছিল, তখন নুরু আলম নুরু নামের এক সন্ত্রাসীও সে সুযোগ নেন। তিনি পুলিশের ফাঁড়ি দখল করে তা নিজের অফিস বানিয়ে দিব্যি দাপটের সঙ্গে সেখানে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
নুরু বহুরূপী। একসময় বেড়ে উঠেছিলেন আওয়ামী লীগের ছত্রচ্ছায়ায়। এখন তিনি নিজের পরিচয় দেন যুবদল কর্মী হিসেবে। যুবদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশ নিচ্ছেন তিনি। পুলিশের তালিকাভুক্ত এই আসামির নামে ২৫টি মামলা আছে। অথচ তাঁকে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
এ কথা অস্বীকার করা যাবে না, ৫ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে পুলিশের অনেকগুলো থানা ও ফাঁড়ি আক্রমণ করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হয়। তাতে পুলিশ বাহিনীর অনেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। অনেক পুলিশ সদস্য কর্মস্থল ছেড়ে চলে যান। এ ঘটনার পর পুলিশের হারানো মনোবল এখনো ফিরে আসেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ এখনো তেমন তৎপর নয়। মনোবল হারানো একটি বাহিনীকে আবার মানসিকভাবে সবল করে তোলা খুব সহজ কথা নয়। তাই নুরুর দখল থেকে ফাঁড়ি উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
কোন কোন অপরাধে নুরু সিদ্ধহস্ত, সে বিষয়ে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকেই জেনে নেওয়া যাবে। আমরা শঙ্কিত
বোধ করছি এই কারণে যে বাংলাদেশেরই একটি জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ফাঁড়ি দখল করে নিয়েছে এক দুর্বৃত্ত এবং তা থেকে রেহাই পাওয়ার কথা এখনো ভাবতে পারছে না সংশ্লিষ্ট মহল।
আইনশৃঙ্খলার তোয়াক্কা না করে মব জাস্টিস দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছে জাতির। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের জীবনে সরাসরি আঘাত করে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই দুটি বিষয় এখন পর্যন্ত অস্থির হয়ে আছে। তাতে এই দুই বিষয়ে সরকারের কাছে প্রত্যাশা ও বাস্তবে প্রাপ্তির হিসাব-নিকাশ সহজে মেলানো যাচ্ছে না। এখনো যার যখন ইচ্ছা রাস্তাঘাট বন্ধ করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে। গায়ের জোরেই যদি সবকিছু আদায় করা যাবে, তাহলে মাস্তানি আর আইনের শাসনের মধ্যে পার্থক্য থাকল কোথায়?
নুরুর নেতৃত্বে পুলিশ ফাঁড়ি দখল সে রকমই মাস্তানির একটি ঘটনা। পুলিশের পাহাড়তলী জোনের সহকারী কমিশনার মো. মাঈনুর রহমান স্বীকার করেছেন নাছিয়াঘোনার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো কঠিন। এখন সময় খারাপ হওয়ার কারণে তাঁরা অভিযান চালাতে পারছেন না। পুলিশের এই সহকারী কমিশনারের কাছে আমাদের প্রশ্ন—এখন সময় খারাপ কেন? কেন সময় স্বাভাবিক হতে পারছে না? এটা কি শুধু পুলিশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, নাকি তা অন্যান্য অঞ্চলেও বিকাশ লাভ করছে?
আমরা আশা করব, নিশ্চয়ই পুলিশ বাহিনীর মনোবল ফিরে আসবে, সময় ভালো হবে এবং নুরুর মতো সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে নীতিনির্ধারণী একটি বিষয় অগ্রাধিকার বিবেচনার জন্য অপেক্ষমাণ আছে, আর তা হলো, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন করা, নাকি যথাশিগগির নির্বাচন আয়োজন করা? অনেক ধরনের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য জাতীয় সংসদের বিকল্প কিছু আছে বলে মনে হয় না।
৬ মিনিট আগেকিছু কিছু বিতর্ক তৈরি করা হয় সমসাময়িক বিষয় থেকে দৃষ্টি দূরে সরিয়ে রাখার জন্য। পুরো পাকিস্তান আমলেই রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে বিতর্ক জারি রাখা হয়েছিল। আমলাতন্ত্র আর সামরিক আমলাতন্ত্র মিলে পাকিস্তান নামক দেশটায় যে স্বৈরশাসন কায়েম করে রেখেছিল, সেদিকে যেন সচেতন মানুষের চোখ না যায়, সে অভিসন্ধি থেকেই রবীন্দ্রনাথ
১১ মিনিট আগেএকটি কলা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। একটি সাধারণ কলা, যা নিলামে বিক্রি হলো ৭৪ কোটি টাকায়। এটি শিল্প, না কৌতুক, না সামাজিক শ্লেষ—নাকি তিনটির মিশেল? ইতালীয় শিল্পী মরিজিও ক্যাটালানের এই ‘কমেডিয়ান’ আমাদের শিল্পের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আর বাজারজাত সৃজনশীলতার প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।
২০ মিনিট আগে‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতা ছিলেন। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এখন পর্যন্ত ২০টি বই লিখেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে...
১ দিন আগে