কুদরত-ই-গুল
বিজয় সরকার (১৯০৩-১৯৮৫) যখন যশোর, ফরিদপুরসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় দাপটের সঙ্গে গেয়ে বেড়াচ্ছেন, তখন কবিরত্ন এম এ হক (১৯২৯-২০০৬) খুলনার বিএল কলেজ থেকে পাট চুকিয়ে উপজেলার হাইস্কুলে শিক্ষকতা শুরু করে লেখালেখিতে মনোযোগী হয়েছেন ব্যাপকভাবে। যদিও ইতিমধ্যে তিনি ‘যশোর সাহিত্য সংঘ’ থেকে ‘কবিরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন এবং বিভিন্ন কবিগানের সভায় থাকেন বিচারক হিসেবে। এরই মধ্যে তিনি রচনা করে ফেলেছেন পল্লিগীতির বই ‘এপার-ওপার’। বইটি পল্লিকবি জসীমউদ্দীন ও প্রখ্যাত সনেটকার সুফি মোতাহার হোসেনের মুগ্ধতাও অর্জন করেছে।
জসীমউদ্দীনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই ওঠে বিজয় সরকারের কথা। তিনি বিজয় সরকারের কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘তোমরা তো একই এলাকার মানুষ। তার সাথে কি আলাপ-পরিচয় আছে?’ এম এ হক বললেন, ‘বিজয় সরকার, নড়াইলের মোসলেম উদ্দীন বয়াতি এরা আমার ভাবজগতের বন্ধু। কবিগানের আসরে আমরা কত যে একসাথে বসেছি তার ঠিক নাই।’
শুনে জসীমউদ্দীন খুশি হলেন।
বললেন, ‘নইলে কি আর “এপার-ওপার’’ লিখতে পারছ!’
এখনকার লোকসাহিত্যের অনেক গবেষক হয়তো ভাবতেই পারবেন না কোন পরিবেশে, কাদের সামনে, কোথায় গান করতেন বিজয় সরকার। অজপাড়াগাঁয়ের বাঁশবাগানের মধ্যে হ্যাজাকলাইটের নিচে বিচারগানের মঞ্চ থেকে উঠে এসেছিলেন বিজয় সরকার। মধুমতী নদীর তীরে শিয়ারবর গ্রামে সেবার লোকগানের এক আসর বসানো হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাধক কবিয়াল বিজয় সরকারসহ আরও স্থানীয় নামকরা লোকসংগীতশিল্পী। এম এ হককেও আমন্ত্রণ জানানো হয় বিচারক হিসেবে। যথারীতি এম এ হক সেখানে গেলেন। আলাপ হলো বিজয় সরকারের সঙ্গে। ঘনিষ্ঠ হতে এতটুকু সময় লাগল না। কারণ, তাঁরা তো একই ভাবের ঘরের মানুষ। প্রাথমিক পরিচয় উষ্ণ আলাপচারিতায় ও ভাবের কথায় গড়াতে থাকল। এম এ হক আলাপের একপর্যায়ে বিজয় সরকারকে বললেন, ‘আজ আপনাকে পেয়েছি। ছাড়াছাড়ি নাই। কিছু ভাববাদী, মারফতি, অধ্যাত্মবাদী গান গেয়ে শোনাবেন কবিয়াল সাহেব।’ বিজয় সরকার এম এ হকের কথা ও আচরণের মধ্যে শিক্ষার গন্ধ পেয়ে একটু যেন ঠেস দিয়ে বললেন, ‘এ ধরনের গান কি পাড়াগাঁয়ের এই সব মূর্খ-সুর্খ লোকজন বুঝবে?’ এম এ হক বললেন, ‘আপনি লোককবি। আপনার কাজই হলো এই সব মানুষের ভেতরের না-বলা কথাগুলো বাইরে এনে ঢেলে দেওয়া। এরা সত্যিকার অর্থে ভাববাদটা বেশি বোঝে। নাগরিক জীবনের জটিল বস্তুবাদ এদের টানে না। তাই তো লোককবিরাই এদের কবি। শহরের নাগরিক কবিদের ভাষা এরা বোঝে না।’
বিজয় সরকার বুঝলেন, এ ভাবের মানুষ। এবার ঝেড়ে কাশলেন। বললেন, ‘এটা ঠিক বলছেন। আমি শহরে খালি পণ্ডিতদের মধ্যেই সমাদৃত হয়েছি। আর খাতির পেয়েছি গ্রামের বিশাল গণমানুষের মধ্যে। আর মাঝখানে শিক্ষিত এলাকা তো খালি, ফাঁকা।’ নানান রকম মারফতি, আধ্যাত্মবাদ, একেশ্বরবাদ, উপনিষদ, গৌতম বুদ্ধ, মরমি সাধক কবির, রামানন্দ, লালন নিয়ে আলাপ জমে ওঠার এক ফাঁকে এম এ হক বললেন, ‘ওপারে কয়বার গেছেন?’ বিজয় সরকার মনে করেছেন ভারতের কথা বলছেন। তিনি উত্তরে বললেন, ‘বহুবার গিয়েছি।’ এম এ হক একটু ধরিয়ে দিতেই বিজয় শরমিন্দা হলেন। বললেন, ‘তা কি এত সহজ!’
এরপর বিজয় সরকার আর কবিরত্নের দেখা হয়েছে অনেকবার। বিজয় সরকার এম এ হকের এলাকায় এলেই খবর দিতেন। ছুটে যেতেন হক। আলাপ জমত রাত থেকে দিন অবধি। একবার আলাপ হলো একেশ্বরবাদ আর বহুত্ববাদ নিয়ে। এম এ হক বললেন, ‘কবিয়াল ভাই! একটা বিষয় বুঝতে চাই। মুসলমানরা গানে, কবিতায়, চিন্তায়, কথা বলার সময় একজন স্রষ্টার কথা বলে। কিন্তু দেখেন কিছু কিছু ধর্মে বহুত্ববাদিতার রমরমা অবস্থা। বহুমুখী আরাধনা। এ-সম্পর্কে কিছু বলেন শুনি।’
বিজয় সরকার বললেন, ‘দেখেন, এটা মানুষ সনাতনী ধারায় পালন করে। তাই এর বাইরে যাওয়া সম্ভবও না।’ এম এ হক বললেন, ‘তা ঠিক আছে। কিন্তু দেখেন, এই মধুমতী নদীতে যদি একখানা নৌকা ভাসায়ে দেন, তাহলে দেখবেন অনায়াসে পঞ্চাশ জন মানুষ পার হতে পারে। কিন্তু পঞ্চাশ খণ্ড করে দেন, দেখবেন একজনও পার হতে পারবে না। এটা উপনিষদেও আছে। ব্রাহ্মসমাজ তো সে জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।’
বিজয় সরকার এই আলাপে যেন ভিড়তে চাইলেন না। বললেন, ‘এ বিরাট তত্ত্বের কথা। আমরা আবার বসলে আলাপ করব।’ এম এ হক বললেন, ‘আমার বাড়িতে একবার নিমন্ত্রণ নেন, জমিয়ে আলাপ হবে।’ পরে তাঁরা বহুবার মিলেছেন; নিজের বাড়িতে, বিচারগানের আসরের বাইরে। আলাপ থেকে অসম বয়সী ভাবের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন এই দুজন মানুষ।
বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদগুলোর চিন্তা ও ভাবের সাধনা এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। সেখানেও কবি সম্মিলন হয়। তাঁদেরও ভাববিনিময় হয়। কিন্তু তার ধরন ভিন্ন, পরিবেশ ভিন্ন। এই ভাবচর্চার ইতিহাস রচনা করা জরুরি। আজ কবি, গীতিকার, ছড়াকার ফরিদপুরের কৃতী ব্যক্তিত্ব কবিরত্ন এম এ হকের মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৬ সালের ১৩ আগস্ট তিনি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।
লেখক: প্রভাষক, ইতিহাস বিভাগ, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ, রাজবাড়ী।
বিজয় সরকার (১৯০৩-১৯৮৫) যখন যশোর, ফরিদপুরসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় দাপটের সঙ্গে গেয়ে বেড়াচ্ছেন, তখন কবিরত্ন এম এ হক (১৯২৯-২০০৬) খুলনার বিএল কলেজ থেকে পাট চুকিয়ে উপজেলার হাইস্কুলে শিক্ষকতা শুরু করে লেখালেখিতে মনোযোগী হয়েছেন ব্যাপকভাবে। যদিও ইতিমধ্যে তিনি ‘যশোর সাহিত্য সংঘ’ থেকে ‘কবিরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন এবং বিভিন্ন কবিগানের সভায় থাকেন বিচারক হিসেবে। এরই মধ্যে তিনি রচনা করে ফেলেছেন পল্লিগীতির বই ‘এপার-ওপার’। বইটি পল্লিকবি জসীমউদ্দীন ও প্রখ্যাত সনেটকার সুফি মোতাহার হোসেনের মুগ্ধতাও অর্জন করেছে।
জসীমউদ্দীনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই ওঠে বিজয় সরকারের কথা। তিনি বিজয় সরকারের কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘তোমরা তো একই এলাকার মানুষ। তার সাথে কি আলাপ-পরিচয় আছে?’ এম এ হক বললেন, ‘বিজয় সরকার, নড়াইলের মোসলেম উদ্দীন বয়াতি এরা আমার ভাবজগতের বন্ধু। কবিগানের আসরে আমরা কত যে একসাথে বসেছি তার ঠিক নাই।’
শুনে জসীমউদ্দীন খুশি হলেন।
বললেন, ‘নইলে কি আর “এপার-ওপার’’ লিখতে পারছ!’
এখনকার লোকসাহিত্যের অনেক গবেষক হয়তো ভাবতেই পারবেন না কোন পরিবেশে, কাদের সামনে, কোথায় গান করতেন বিজয় সরকার। অজপাড়াগাঁয়ের বাঁশবাগানের মধ্যে হ্যাজাকলাইটের নিচে বিচারগানের মঞ্চ থেকে উঠে এসেছিলেন বিজয় সরকার। মধুমতী নদীর তীরে শিয়ারবর গ্রামে সেবার লোকগানের এক আসর বসানো হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাধক কবিয়াল বিজয় সরকারসহ আরও স্থানীয় নামকরা লোকসংগীতশিল্পী। এম এ হককেও আমন্ত্রণ জানানো হয় বিচারক হিসেবে। যথারীতি এম এ হক সেখানে গেলেন। আলাপ হলো বিজয় সরকারের সঙ্গে। ঘনিষ্ঠ হতে এতটুকু সময় লাগল না। কারণ, তাঁরা তো একই ভাবের ঘরের মানুষ। প্রাথমিক পরিচয় উষ্ণ আলাপচারিতায় ও ভাবের কথায় গড়াতে থাকল। এম এ হক আলাপের একপর্যায়ে বিজয় সরকারকে বললেন, ‘আজ আপনাকে পেয়েছি। ছাড়াছাড়ি নাই। কিছু ভাববাদী, মারফতি, অধ্যাত্মবাদী গান গেয়ে শোনাবেন কবিয়াল সাহেব।’ বিজয় সরকার এম এ হকের কথা ও আচরণের মধ্যে শিক্ষার গন্ধ পেয়ে একটু যেন ঠেস দিয়ে বললেন, ‘এ ধরনের গান কি পাড়াগাঁয়ের এই সব মূর্খ-সুর্খ লোকজন বুঝবে?’ এম এ হক বললেন, ‘আপনি লোককবি। আপনার কাজই হলো এই সব মানুষের ভেতরের না-বলা কথাগুলো বাইরে এনে ঢেলে দেওয়া। এরা সত্যিকার অর্থে ভাববাদটা বেশি বোঝে। নাগরিক জীবনের জটিল বস্তুবাদ এদের টানে না। তাই তো লোককবিরাই এদের কবি। শহরের নাগরিক কবিদের ভাষা এরা বোঝে না।’
বিজয় সরকার বুঝলেন, এ ভাবের মানুষ। এবার ঝেড়ে কাশলেন। বললেন, ‘এটা ঠিক বলছেন। আমি শহরে খালি পণ্ডিতদের মধ্যেই সমাদৃত হয়েছি। আর খাতির পেয়েছি গ্রামের বিশাল গণমানুষের মধ্যে। আর মাঝখানে শিক্ষিত এলাকা তো খালি, ফাঁকা।’ নানান রকম মারফতি, আধ্যাত্মবাদ, একেশ্বরবাদ, উপনিষদ, গৌতম বুদ্ধ, মরমি সাধক কবির, রামানন্দ, লালন নিয়ে আলাপ জমে ওঠার এক ফাঁকে এম এ হক বললেন, ‘ওপারে কয়বার গেছেন?’ বিজয় সরকার মনে করেছেন ভারতের কথা বলছেন। তিনি উত্তরে বললেন, ‘বহুবার গিয়েছি।’ এম এ হক একটু ধরিয়ে দিতেই বিজয় শরমিন্দা হলেন। বললেন, ‘তা কি এত সহজ!’
এরপর বিজয় সরকার আর কবিরত্নের দেখা হয়েছে অনেকবার। বিজয় সরকার এম এ হকের এলাকায় এলেই খবর দিতেন। ছুটে যেতেন হক। আলাপ জমত রাত থেকে দিন অবধি। একবার আলাপ হলো একেশ্বরবাদ আর বহুত্ববাদ নিয়ে। এম এ হক বললেন, ‘কবিয়াল ভাই! একটা বিষয় বুঝতে চাই। মুসলমানরা গানে, কবিতায়, চিন্তায়, কথা বলার সময় একজন স্রষ্টার কথা বলে। কিন্তু দেখেন কিছু কিছু ধর্মে বহুত্ববাদিতার রমরমা অবস্থা। বহুমুখী আরাধনা। এ-সম্পর্কে কিছু বলেন শুনি।’
বিজয় সরকার বললেন, ‘দেখেন, এটা মানুষ সনাতনী ধারায় পালন করে। তাই এর বাইরে যাওয়া সম্ভবও না।’ এম এ হক বললেন, ‘তা ঠিক আছে। কিন্তু দেখেন, এই মধুমতী নদীতে যদি একখানা নৌকা ভাসায়ে দেন, তাহলে দেখবেন অনায়াসে পঞ্চাশ জন মানুষ পার হতে পারে। কিন্তু পঞ্চাশ খণ্ড করে দেন, দেখবেন একজনও পার হতে পারবে না। এটা উপনিষদেও আছে। ব্রাহ্মসমাজ তো সে জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।’
বিজয় সরকার এই আলাপে যেন ভিড়তে চাইলেন না। বললেন, ‘এ বিরাট তত্ত্বের কথা। আমরা আবার বসলে আলাপ করব।’ এম এ হক বললেন, ‘আমার বাড়িতে একবার নিমন্ত্রণ নেন, জমিয়ে আলাপ হবে।’ পরে তাঁরা বহুবার মিলেছেন; নিজের বাড়িতে, বিচারগানের আসরের বাইরে। আলাপ থেকে অসম বয়সী ভাবের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন এই দুজন মানুষ।
বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদগুলোর চিন্তা ও ভাবের সাধনা এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। সেখানেও কবি সম্মিলন হয়। তাঁদেরও ভাববিনিময় হয়। কিন্তু তার ধরন ভিন্ন, পরিবেশ ভিন্ন। এই ভাবচর্চার ইতিহাস রচনা করা জরুরি। আজ কবি, গীতিকার, ছড়াকার ফরিদপুরের কৃতী ব্যক্তিত্ব কবিরত্ন এম এ হকের মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৬ সালের ১৩ আগস্ট তিনি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।
লেখক: প্রভাষক, ইতিহাস বিভাগ, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ, রাজবাড়ী।
এখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
১১ ঘণ্টা আগেবহু বছর আগে সেই ব্রিটিশ যুগে কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন।’ আসলে পেটের খিদে নিয়ম, আইন, বিবেক, বিচার কোনো কিছুই মানে না। তাই তো প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে, খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। এর থেকে বোধ হয় আর কোনো অসহায়তা নেই। খালি পেটে কেউ তত্ত্ব শুনতে চায় না। কাওয়ালিও ন
১১ ঘণ্টা আগেতিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগেদলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
১ দিন আগে