আবেদীন কাদের
এলিট শ্রেণি সমাজকে এগিয়ে নেয়। কথাটি বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী এমিল ডুরখেইমের। বছর দুই আগে এক আড্ডায় আমরা এলিটদের বিষয়ে আমাদের সমালোচনা বলার সময় অধ্যাপক ড. কায়সার হক নিউইয়র্কে হাসতে হাসতে আমাদের মনে করিয়ে দেন—এলিটরাই সমাজের ভ্যানগার্ড, তারাই এগিয়ে নেয় আমাদের!
আমার শ্রদ্ধেয় বন্ধু কথাসাহিত্যিক এবং চিত্রনির্মাতা আনোয়ার শাহাদাত ‘সুশীল সমাজ’ বা সিভিল সোসাইটি সম্পর্কে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন কদিন আগে। সেখানে আমি মন্তব্য লিখেছিলাম। আসলে সিভিল সোসাইটি সম্পর্কে বাংলাদেশের রাজনীতিক এবং শাসকেরা জনমনে এমন ঘৃণার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন যে আজকাল যাঁরা নিজেদের নৈতিক দায়িত্ব মনে করেন দানবীয় রাষ্ট্র বা দুর্নীতিপরায়ণ রাজনীতিক বা আমলাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে, তাঁরাও কিছুটা শঙ্কিত মুখ খুলতে—পাছে তাঁদের কেউ সিভিল সোসাইটির সদস্য ভেবে বসে। বিষয়টি দুঃখজনক! শাসক শ্রেণি নিজেদের স্বার্থে এমন গোষ্ঠী, শ্রেণি বা ব্যক্তিবিশেষকেও মিথ্যা অপপ্রচার দিয়ে কালিমালিপ্ত করছে বেশ কয়েক বছর ধরে। অথচ তাঁরা অপশাসনের প্রতিবাদ করেন, তাঁদের কেউ কেউ সত্যিই নৈতিক মানুষ এবং দেশের জন্য তাঁদের অবদানও প্রশ্নাতীত।
বহির্বিশ্বে যেসব বাঙালি বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের পণ্ডিত বা জ্ঞানী মানুষদের কাছে ভীষণ শ্রদ্ধেয়, তাঁদের কেউ কেউ শাসক শ্রেণির ঘৃণা এবং অপপ্রচারের শিকার। এতে সত্যিকার ক্ষতি হয় দেশের, দেশের নৈতিক মানুষের। আমাদের রাষ্ট্রটি সত্যিই ‘নৈতিক অভিভাবকহীন’ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এক বিশিষ্ট সাংবাদিক, আফসান ভাইয়ের ‘সাংবাদিক টু সাংবাদিক’ অনুষ্ঠানে। কথাটি মনে হয় ঠিকই। আনোয়ারের স্ট্যাটাসে আমার মন্তব্য ছিল এ রকম—
আমি ব্যক্তিগতভাবে সিভিল সোসাইটি শব্দটি ব্যবহারের পক্ষে। তবে বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি বা সুশীল সমাজ বলতে যা বোঝায়, তা পশ্চিমা সমাজবিজ্ঞানীদের দেওয়া সংজ্ঞা থেকে একটু আলাদা। গত ৪০ বছরে মার্কিন এবং ইউরোপীয় সমাজবিজ্ঞানীরা সিভিল সোসাইটি নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন, লিখেছেন। এখন পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়। আমার ধারণা, বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানীরা ছাড়া কেউ এ বিষয়ে খুব বেশি পড়াশোনা করেন না, সিভিল সোসাইটির ইতিহাস সম্পর্কে জানেনও না। প্রায় আড়াই দশক আগে কবি অধ্যাপক ড. কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় সিভিল সোসাইটি নিয়ে কাজ করছিলেন। সে সময় তিনি আমার সঙ্গে ই–মেইলে যোগাযোগ করেছিলেন, আমি তখন ছাত্র। আমার জানামতে, সিভিল সোসাইটি নিয়ে লেখা সবচেয়ে ভালো বই লিখেছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপক জিন কোহেন এবং অধ্যাপক অ্যাড্র এরাটো। প্রায় সাত–আট শত পাতার দীর্ঘ বইটি অনেক দিনের গভীর গবেষণার ফসল। এসব গবেষণা নিয়ে জানলে মনে হয়, বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি বা সুশীল সমাজ শব্দটির এমন ঘৃণাব্যঞ্জক ব্যবহার হতো না। জনগণ এবং দানবীয় রাষ্ট্র বা দুষ্ট রাজনীতিকদের মাঝে সমাজে একটি শ্রেণি আছে, যারা অটল প্রহরীর ভূমিকায় সমাজের কল্যাণে সংগ্রামরত। এটাই সিভিল সোসাইটি। কিন্তু এদের সততা এবং দৃঢ়তাকে কেনার জন্য দুর্নীতিপরায়ণ রাষ্ট্র উদগ্রীব থাকে, রাজনীতিকেরা বিভিন্ন কৌশলে কেনেও এদের কাউকে কাউকে। তখন বিপর্যয় দেখা দেয়। তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশে এই কেনাবেচা বেশি হয়!
এলিট শ্রেণি সমাজকে এগিয়ে নেয়। কথাটি বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী এমিল ডুরখেইমের। বছর দুই আগে এক আড্ডায় আমরা এলিটদের বিষয়ে আমাদের সমালোচনা বলার সময় অধ্যাপক ড. কায়সার হক নিউইয়র্কে হাসতে হাসতে আমাদের মনে করিয়ে দেন—এলিটরাই সমাজের ভ্যানগার্ড, তারাই এগিয়ে নেয় আমাদের!
আমার শ্রদ্ধেয় বন্ধু কথাসাহিত্যিক এবং চিত্রনির্মাতা আনোয়ার শাহাদাত ‘সুশীল সমাজ’ বা সিভিল সোসাইটি সম্পর্কে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন কদিন আগে। সেখানে আমি মন্তব্য লিখেছিলাম। আসলে সিভিল সোসাইটি সম্পর্কে বাংলাদেশের রাজনীতিক এবং শাসকেরা জনমনে এমন ঘৃণার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন যে আজকাল যাঁরা নিজেদের নৈতিক দায়িত্ব মনে করেন দানবীয় রাষ্ট্র বা দুর্নীতিপরায়ণ রাজনীতিক বা আমলাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে, তাঁরাও কিছুটা শঙ্কিত মুখ খুলতে—পাছে তাঁদের কেউ সিভিল সোসাইটির সদস্য ভেবে বসে। বিষয়টি দুঃখজনক! শাসক শ্রেণি নিজেদের স্বার্থে এমন গোষ্ঠী, শ্রেণি বা ব্যক্তিবিশেষকেও মিথ্যা অপপ্রচার দিয়ে কালিমালিপ্ত করছে বেশ কয়েক বছর ধরে। অথচ তাঁরা অপশাসনের প্রতিবাদ করেন, তাঁদের কেউ কেউ সত্যিই নৈতিক মানুষ এবং দেশের জন্য তাঁদের অবদানও প্রশ্নাতীত।
বহির্বিশ্বে যেসব বাঙালি বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের পণ্ডিত বা জ্ঞানী মানুষদের কাছে ভীষণ শ্রদ্ধেয়, তাঁদের কেউ কেউ শাসক শ্রেণির ঘৃণা এবং অপপ্রচারের শিকার। এতে সত্যিকার ক্ষতি হয় দেশের, দেশের নৈতিক মানুষের। আমাদের রাষ্ট্রটি সত্যিই ‘নৈতিক অভিভাবকহীন’ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এক বিশিষ্ট সাংবাদিক, আফসান ভাইয়ের ‘সাংবাদিক টু সাংবাদিক’ অনুষ্ঠানে। কথাটি মনে হয় ঠিকই। আনোয়ারের স্ট্যাটাসে আমার মন্তব্য ছিল এ রকম—
আমি ব্যক্তিগতভাবে সিভিল সোসাইটি শব্দটি ব্যবহারের পক্ষে। তবে বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি বা সুশীল সমাজ বলতে যা বোঝায়, তা পশ্চিমা সমাজবিজ্ঞানীদের দেওয়া সংজ্ঞা থেকে একটু আলাদা। গত ৪০ বছরে মার্কিন এবং ইউরোপীয় সমাজবিজ্ঞানীরা সিভিল সোসাইটি নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন, লিখেছেন। এখন পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়। আমার ধারণা, বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানীরা ছাড়া কেউ এ বিষয়ে খুব বেশি পড়াশোনা করেন না, সিভিল সোসাইটির ইতিহাস সম্পর্কে জানেনও না। প্রায় আড়াই দশক আগে কবি অধ্যাপক ড. কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় সিভিল সোসাইটি নিয়ে কাজ করছিলেন। সে সময় তিনি আমার সঙ্গে ই–মেইলে যোগাযোগ করেছিলেন, আমি তখন ছাত্র। আমার জানামতে, সিভিল সোসাইটি নিয়ে লেখা সবচেয়ে ভালো বই লিখেছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপক জিন কোহেন এবং অধ্যাপক অ্যাড্র এরাটো। প্রায় সাত–আট শত পাতার দীর্ঘ বইটি অনেক দিনের গভীর গবেষণার ফসল। এসব গবেষণা নিয়ে জানলে মনে হয়, বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি বা সুশীল সমাজ শব্দটির এমন ঘৃণাব্যঞ্জক ব্যবহার হতো না। জনগণ এবং দানবীয় রাষ্ট্র বা দুষ্ট রাজনীতিকদের মাঝে সমাজে একটি শ্রেণি আছে, যারা অটল প্রহরীর ভূমিকায় সমাজের কল্যাণে সংগ্রামরত। এটাই সিভিল সোসাইটি। কিন্তু এদের সততা এবং দৃঢ়তাকে কেনার জন্য দুর্নীতিপরায়ণ রাষ্ট্র উদগ্রীব থাকে, রাজনীতিকেরা বিভিন্ন কৌশলে কেনেও এদের কাউকে কাউকে। তখন বিপর্যয় দেখা দেয়। তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশে এই কেনাবেচা বেশি হয়!
এখন রাজনীতির এক গতিময়তার সময়। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী দুর্নীতিপরায়ণ শাসন ছাত্র আন্দোলনে উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী শাসনকালে দ্রুততার সঙ্গে নানা রকম রাজনৈতিক কথাবার্তা, চিন্তা-ভাবনা, চেষ্টা-অপচেষ্টা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটছে।
২১ ঘণ্টা আগেবহু বছর আগে সেই ব্রিটিশ যুগে কাজী নজরুল লিখেছিলেন, ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন।’ আসলে পেটের খিদে নিয়ম, আইন, বিবেক, বিচার কোনো কিছুই মানে না। তাই তো প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে, খিদের জ্বালা বড় জ্বালা। এর থেকে বোধ হয় আর কোনো অসহায়তা নেই। খালি পেটে কেউ তত্ত্ব শুনতে চায় না। কাওয়ালিও ন
২১ ঘণ্টা আগেতিন বছরের শিশু মুসা মোল্লা ও সাত বছরের রোহান মোল্লা নিষ্পাপ, ফুলের মতো কোমল। কারও সঙ্গে তাদের কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। কিন্তু বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে তাদের। আহাদ মোল্লা নামের এক ব্যক্তি দুই ছেলেসন্তানকে গলা কেটে হত্যা করার পর নিজের গলায় নিজে ছুরি চালিয়েছেন।
২১ ঘণ্টা আগেদলীয় রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তুলনা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্ন পাশে রেখেই ইউনূস সরকারের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে এর ১০০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার সময়টায়। তবে সাধারণ মানুষ মনে হয় প্রতিদিনই তার জীবনে সরকারের ভূমিকা বিচার করে দেখছে।
২ দিন আগে